শুধু যুবলীগ নেতা নয়, ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত আওয়ামী লীগের আরো অনেক অঙ্গ সংগঠনের নেতা। আটক দুই শীর্ষ যুবলীগ নেতার ঘনিষ্ট ছবি আছে মন্ত্রী, এমপি ও শীর্ষ নেতাদের সাথে। সেক্ষেত্রে দল কিভাবে দায় এড়ায়?
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ শনিবার আটক যুবলীগ সমবায় সম্পাদক নেতা জিকে শামীমকে১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। তার নিকেতনের অফিস থেকে এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর-এর কাগজপত্র এবং মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়। মাদক, অস্ত্র ও মানিলন্ডরিং আইনে তিনটি মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। ঢাকায় সরকারি বিভিন্ন কাজের দরপত্রের নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিত তিনি। একই দিনে আটক কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল ইসলাম ফিরোজ দুই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তিনি কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা।
এদিকে যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী দাবী করেছেন, জিকে শামীম যুবলীগের কেউ নন। সে যুবলীগের নাম ভাঙিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা তা বলছেনা। ওমর ফারুক চৌধুরীর সাথে শামীমের অনেক ঘনিষ্ট ছবি এরইমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। শুধু যুবলীগ সভাপতি নয়, আওয়ামী লীগের আরো শীর্ষ নেতা এবং এমপিদের সঙ্গেও তার ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
বুধবার যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ক্যাসিনো ব্যবসায়ী খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়াকে আটকের পর সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র এবং মাদক আইনে দুইটি মামলা হয়েছে। খালেদকে যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। যুবলীগ সভাপতি বলেছেন, ‘‘যাকে গ্রেপ্তার করা হবে তাকেই সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হবে।''
তবে প্রধানমন্ত্রী ১৪ সেপ্টেম্বর গণভবন যাদের নাম ধরে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন তাদের অনেকেই এখনও আটক হয়নি। বিশেষ করে যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট এখানো বহাল তবিয়তে আছেন। বুধবার খালেদকে আটকের রাতে সম্রাট তার কাকরাইলের অফিসে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে অবস্থান করে ক্ষমতা দেখান।
ড. শান্তনু মজুমদার
তবে তাকে এখনও আটক না করে প্রমাণের অপেক্ষায় আছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি শনিবার বলেছেন, ‘‘প্রমাণ পেলে সম্রাটকেও গ্রেপ্তার করা হবে। অথচ কাকরাইলে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের নতুন ভবন নির্মাণ থেকে তার চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন। তদন্ত আর তথ্য প্রমাণে স্পষ্ট যে যুবলীগ নেতাদের ক্যাসিনো ব্যবসার মাঠ পর্যায়ের তদারককারী হলো সম্রাট।
বিশ্লেষকরা বলছেন , আসলে এখন আরো বড় অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা চলছে। বিশেষ করে যুবলীগ সভাপতির নানা কথায় তা স্পষ্ট। তিনি প্রধানমন্ত্রীর শক্ত অবস্থানের পর বলেছেন, ‘‘আমাদের ধরলে আমরা বসে থাকবোনা। পুলিশ কি এতদিন আঙ্গুল চুষছিলো? ৬০ থানাকে অ্যারেস্ট করতে হবে।‘‘
তবে সেখান থেকে সরে এসে ওমর ফারুক চৌধুরী এখন বলছেন, ‘‘ওরা আমাদের কেউ নয়। ওরা বহিরাগত।'' সেইসঙ্গে অভিযুক্তদের দল থেকে বহিস্কার করেই দায় এড়াতে চান তিনি। জানিয়েছেন যাকে গ্রেপ্তার করা হবে তাকেই সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপকড. শান্তনু মজুমদারবলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী যে অবস্থান নিয়েছেন তাকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু যুবলীগ বা দলের একটি অংশ এখন পানি ঘোলা করে নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। তারা নানা কৌশলে নিজেদের অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করছে।''
নূর খান
শীর্ষ পর্যায়ের যারা এই অপরাধে জড়িত তারা কিন্তু তাদের কথার মাধ্যমেই প্রমাণ দিচ্ছেন বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মী নূর খান। তিনি বলেন, ‘‘শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বের আশ্রয় প্রশ্রয় ছাড়া এটা সম্ভব হয়নি। প্রধানমন্ত্রী যাদের নাম ধরে বলেছেন তারাই এখন সুর পরিবর্তন করে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন। তাদের সঙ্গে এই সব অপরাধীদের ঘনিষ্ট ছবি আমরা দেখেছি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও তারা উল্টো হুমকি দিয়েছেন।‘‘ তিনি বলেন, ‘‘এখন বহিস্কার বা অন্যদল থেকে অনুপ্রবেশকারী বলে দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। দায় নিয়ে যার যতটুকু সংশ্লিষ্টতা তা খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে হবে।''
আটক যুবলীগ নেতাদের ঘনিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে পুলিশ র্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং কতিপয় প্রভাবশালী সাংবাদিকের সঙ্গেও। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক প্রধান সৈয়দ বজলুল করিম বলেন, ‘‘পুলিশের সহায়তা ছাড়া এতদিন এই ক্যাসিনো ব্যবসা চলতে পারেনা। আর যুবলীগের শীর্ষ নেতারা পারিবারিক কারণেই অনেক প্রভাবশালী। ফলে দুই পক্ষ মিলে এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়েছে। পুলিশ কমিশনার কোনাভাবেই এর দায় এড়াতে পারেন না।''
রাজনীতির আদর্শহীনতা ও দুর্বৃত্তায়ন এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও অপরাধ বিজ্ঞানের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন। তিনি বলেন, ‘‘দেশের আইন, প্রশাসন, পুলিশ যদি সঠিক নিয়মে চলতো তাহলো তো এই পরিস্থিতি হতো না। রাজনীতি যদি আদর্শ ভিত্তিক হতো তাহলেতো এই যুবলীগ নেতারা চাঁদবাজি বা ক্যাসিনো ব্যবসা করতে পারত না। জিন্দাবাদের লোক জয়বাংলা বলে ঢুকে পড়েছে এটা বলেতো এখন দায় এড়ানো যাবেনা।''
তিনি বলেন, ‘‘তবে আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।''
হারুন উর রশীদ স্বপন(ঢাকা)
অভিযানে আলোচনায় ক্যাসিনো
বাংলাদেশে ক্যাসিনোয় মদ, জুয়া চলছে অনেক দিন ধরে৷ তবে বুধবার যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হবার পর ক্যাসিনোই হয়ে গেছে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’৷ বাংলাদেশে ক্যাসিনোের বিস্তারের ইতিহাস নিয়েই এই ছবিঘর...
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
ক্লাবে ক্লাবে মদ, জুয়া
আয়ের উৎস হিসেবে বাংলাদেশের অনেক ফুটবল ক্লাবে ‘হাউজি’ খেলা শুরু হয় আশির দশকের দিকে৷ তবে নব্বইয়ের দশকে জুয়ার আসরও জমে ওঠে৷ গত কয়েক বছরে তা আরো ভয়াবহ মাত্রা পায়৷ ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের অনেক ক্লাবেই গড়ে ওঠে ক্যাসিনো৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
প্রতিবেদনে ক্যাসিনো
জাতীয় দৈনিকে ক্যাসিনো নিয়ে প্রথম উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন নজরে আসে ২০১৩ সালে৷ প্রথম আলো-র সেই প্রতিবেদনে তখন বলা হয়, ‘‘বছরের পর বছর ধরে ক্লাবগুলোতে নিপুণ, চড়চড়ি, ডায়েস, ওয়ান-টেন, ওয়ান-এইট, তিন তাস, নয় তাস, রেমি, ফ্ল্যাসসহ বিভিন্ন ধরনের তাস খেলা বা কথিত ‘ইনডোর গেমস’-এর নামে জুয়া খেলা চলছে৷’’
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
এগিয়ে থাকা ঢাকার কিছু ক্লাব
ছয় বছর আগে প্রথম আলো’র সেই প্রতিবেদনে ঢাকার ক্লাবগুলোর মধ্যে ফকিরেরপুল ইয়ংমেনস ক্লাব, ক্লাব প্যাভিলিয়ন ফকিরাপুল, আরামবাগ ক্লাব, দিলকুশা ক্লাব, ডিটিএস ক্লাব, আজাদ বয়েজ ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব, বিজি প্রেস স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটি ক্রীড়াচক্র বিমানবন্দর কমান্ড-এর নাম এসেছিল৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
ঢাকার বাইরেও...
বগুড়ার রহমান নগর ক্রিকেট ক্লাব, নোয়াখালীর শহীদ শাহ আলম স্মৃতি সংসদ হলরুম, সোনাইমুড়ী, চাঁদপুরের মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাব, ফ্রিডম ফাইটার (৫ নম্বর গুপ্তি ইউনিয়ন পরিষদ), নারায়ণগঞ্জের সানারপাড় বর্ণালী সংসদ, বরিশালের সেতুবন্ধন ক্লাব ও লাইব্রেরি, চট্টগ্রামের মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদেও তখন থেকেই নিয়মিত জুয়ার আড্ডা বসছে বলে জানা যায়৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
আরো প্রতিবেদন
২০১৭ সালে দৈনিক বণিক বার্তা ‘অবৈধ তবু বড় হচ্ছে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ তাতে তুলে ধরা হয় ক্লাবভিত্তিক রেস্টুরেন্টগুলোতেও পশ্চিমা ধাঁচের অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা জমে ওঠার তথ্য৷ বলা হয়, প্রশিক্ষিত জুয়াড়ি আনা হচ্ছে বিদেশ থেকে, তাঁদের কাজে লাগিয়ে ক্লাবগুলোতে প্রতি রাতে বসানো হচ্ছে জুয়ার আসর৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
বিচ্ছিন্ন অভিযান
এরপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনি দু-একটি ক্লাবে অভিযান চালালেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, বরং ক্যাসিনোর বিস্তার আরো বেড়েছে৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এক বৈঠকে দলের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতাদের কঠোর সমালোচনা করেন৷ আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবলীগের ঢাকা মহানগরের একজন নেতা যা ইচ্ছে করে বেড়াচ্ছে, চাঁদাবাজি করছে৷ আরেকজন এখন দিনের বেলায় প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে চলেন৷ এসব বন্ধ না করলে যেভাবে জঙ্গি দমন করা হয়েছে, একইভাবে তাদেরকেও দমন করা হবে৷
ছবি: DW
যুবলীগের ৬০টি ক্যাসিনো?
প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পর যুবলীগ নেতারা ৬০টি জুয়ার আখড়া বা ক্যাসিনো চালাচ্ছেন বলে কয়েকটি সংবাদপত্র জানায়৷ এরপরই ক্যাসিনোতে অভিযান শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনি৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
যুবলীগ নেতা আটক
ঢাকার ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে বুধবার যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব৷ গুলশান ২ নম্বরের ৫৯ নম্বর সড়কের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ একই দিনে ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালিয়ে দুই নারীকর্মীসহ ১৪২ জনকে আটক ও ২৪ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
অভিযান চলছে
শুক্রবার যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে ঠিকাদারি চালিয়ে আসা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, অস্ত্র ও মদ উদ্ধার করে র্যাব৷ বুধবার ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবের পাশাপাশি ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, বঙ্গবন্ধু এভিনিউর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র এবং বনানীর আহমেদ টাওয়ারের একটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র্যাব৷ এ পর্যন্ত ১৮২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
মোহামেডান, ভিক্টোরিয়াতেও ক্যাসিনো!
রোববার ঢাকার মতিঝিলে চারটি ক্লাবে অভিযান চালায় পুলিশ৷ ভিক্টোরিয়া ক্লাব থেকে জুয়া খেলার নয়টি বোর্ড, এক লাখ টাকা, জুয়ায় ব্যবহৃত চিপস ও মদ পাওয়া গেছে। দুটো রুলেট টেবিল, নয়টি বোর্ড, বিপুল পরিমান কার্ড পাওয়া গেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে৷ এছাড়া আরামবাগ ও দিলকুশা ক্লাবেও বাকারা ও রুলেট টেবিলসহ বিভিন্ন জুয়ার সরঞ্জাম পেয়েছে পুলিশ। এর আগে শনিবার চট্টগ্রামে ক্লাবগুলোতে অভিযান চালিয়েছে র্যাব৷
ছবি: bdnews24.com
ক্যাসিনোতে রাজনীতির প্রভাব
ক্যাসিনো প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ও অন্য দলের নেতাদের নামও উঠে এসেছে৷ ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা এবং ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন আর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী সাব্বির সাধারণ সম্পাদক৷ রাশেদ খান মেননের দাবি, ক্লাবে যে ক্যাসিনো চলছে তা তিনি জানতেন না৷