রক সংগীত
১ নভেম্বর ২০১২ব্রায়ান অ্যাডামস একাধারে গীতিকার, সুরকার, প্রযোজক, বাদক, গায়ক ও আলোকচিত্র শিল্পী৷ সমাজ সচেতন এই সংগীত শিল্পী সারা বিশ্বের সংগীতানুরাগীদের উপহার দিয়ে আসছেন তাঁরই রচিত ব্যালেড আঙ্গিকের অসাধারণ সব গান৷ ১৯৮৩ সালে ‘কাটস লাইক এ নাইফ' অ্যালবাম তাঁকে এনে দেয় আন্তর্জাতিক খ্যাতি৷
তাঁর পরবর্তি অ্যালবাম ‘ব়েকলেস' তাঁকে এনে দেয় বিরাট সাফল্য৷ বেস্ট সেলার এই অ্যালবামের তিনটি গান বিখ্যাত বিলবোর্ড সংগীত তালিকায় প্রথম ১০টি গানের মধ্যে স্থান অধিকার করে৷ তারপর থেকেই বিশ্বব্যাপী শুরু হয় তাঁর একের পর এক কনসার্ট৷
ব্রায়ান অ্যাডামস-এর জন্ম ১৯৫৯ সালের ৫ই নভেম্বর ক্যানাডার কিংস্টন শহরে৷ বাবা ছিলেন কূটনীতিক৷ সেই সুবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন তিনি৷ ১৪ বছর বয়স থেকে মায়ের সাথে ব্রিটিশ কোলাম্বিয়ার ভেঙ্কুভারে থিতু হন ব্রায়ান৷ এ সময়ই তিনি কেনেন তাঁর প্রথম গিটার৷ সেই থেকেই শুরু হয় তাঁর সংগীত চর্চা৷ ১৯৭৮ সালে ‘এ অ্যান্ড এম' রেকর্ডসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি৷ ১৯৮০ এবং ১৯৮১ সালে প্রকাশ পায় তাঁর দুটি অ্যালবাম৷ ৮৩ সালে ‘কাটস লাইক এ নাইফ' অ্যালবামের মধ্য দিয়ে বিশ্ব রক-ব্যালেড সংগীতের অঙ্গনে ব্রায়ান জয় করেন খ্যাতি ও সাফল্য৷ তারপর থেকেই তাঁর একের পর এক হিট অ্যালবাম বের হয় বাজারে৷
আজ অবধি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন ব্রায়ান অ্যাডামস৷ ২০১১ সালে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশে কনসার্ট পরিবেশন করেছেন তিনি৷ চলচ্চিত্র সংগীত রচনা ও আলোকচিত্র শিল্পী হিসেবে তিনি পেয়েছেন সমান সমাদর৷ মানবিক সাহায্যার্থে বিশ্বব্যাপী বহু বেনেফিট কনসার্ট পরিবেশনও করেছেন তিনি৷ বিশ্বের অবহেলিত ও দরিদ্র শিশুদের শিক্ষার সাহায্যার্থে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘ব্রায়ান অ্যাডামস ফাউন্ডেশন'৷ আলোকচিত্র শিল্পী হিসেবে অর্জিত গোটা অর্থই এই কর্মসূচির জন্য নিয়োগ করা হয়৷ বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন রক সংগীত জগতের বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ব্রায়ান অ্যাডামস৷
প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ