1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অলিম্পিকে মিসাইল দেবে নিরাপত্তা

৪ মে ২০১২

অলিম্পিকের নিরাপত্তা৷ দুনিয়া জুড়ে সন্ত্রাসী তাণ্ডবের মধ্যে ব্রিটেনের মত দেশের কাছে সেটা তো বড় বিষয় বটেই৷ অলিম্পিকে মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবহার করবে ব্রিটেন৷ সেটাই দেখা গেল অবশেষে৷

ছবি: AP

লন্ডন থেকে খানিক দূরে কাদায় ভরা একটা মাঠের মধ্যে ব্রিটিশ মিলিটারির বাঘা বাঘা অফিসার আর সেনাদের জটলা৷ সঙ্গে অবশ্যই হাজির মিডিয়া৷ ব্যাপারটা তো আর যে সে নয়, যাকে বলে অলিম্পিকের নিরাপত্তা৷ আর যে অলিম্পিকের ওপর যদি কোন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী একখানা হামলা চালাতে সফল হয়, তাহলে আর দেখতে হবে না! ব্রিটেন পড়বে মহা সমস্যায়৷ বদনামের শেষ থাকবে না তাদের৷

তাই প্রতিরক্ষার ব্যাপক ব্যবস্থা৷ একেবারে মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুতি৷ মিসাইলের নাম ব়্যাপিয়ার৷ এই র়্যাপিয়ার অবশ্যই কোন ছোটখাটো ক্ষেপণাস্ত্র নয়৷ যাকে বলে দুর্ধর্ষ তার ক্ষমতা৷ ভূমি থেকে আকাশে চলতে পারা এই মিসাইল দিয়ে যাত্রীবোঝাই একখানা বোয়িং ৭৪৭ বিমানকে মাটিতে পেড়ে ফেলা যায়৷ অর্থাৎ, সন্ত্রাসবাদী হামলাটা যদি ৯/১১ স্টাইলে চালানো হয়, তবে আগেভাগেই সেটাকে বুঝে নিয়ে এই মিসাইল সচল হয়ে যাবে৷ যাতে সন্ত্রাসীরা অলিম্পিকের কোন একটা স্টেডিয়ামে, যেখানে ৮০ হাজার মানুষ রয়েছে, সেখানে হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করার আগেই এই মিসাইল দিয়ে তাদের অপচেষ্টা রুখবে ব্রিটেন৷

লন্ডনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামছবি: Reuters

সে কারণেই শুক্রবার লন্ডন থেকে খানিক দূরে এই ব়্যাপিয়ার মিসাইলের প্রদর্শনী করল ব্রিটিশ সেনা৷ বলা হল, ভূমি থেকে ৫ মাইল বা ৮০০০ ফিট ওপরের লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করে শেষ করে ফেলার ক্ষমতা সম্পন্ন এই মিসাইল হল লন্ডন অলিম্পিকের সর্বশেষ প্রতিরক্ষা লাইন৷ মানে এখানেই প্রতিরক্ষার চূড়ান্ত৷

তবে এই বিধ্বংসী মিসাইল ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়বে না বলেই বিশ্বাস বিশেষজ্ঞদের৷ কারণ, ধরা যাক, এই মিসাইল ব্যবহার হল, তারপরেও অনেক প্রশ্ন থেকে যায়৷ বিমানকে বা অন্য কোন উড়ুক্কু হামলা রুখতে যদি এই মিসাইল চালানোও হয়, সেই বিমানের ভেঙে পড়া অংশ যেখানে পড়বে, সেখানেও তো মানুষ মারা যাবে৷ বিমানের যাত্রীদের নিরাপত্তা? তারই বা কী হবে? এসব প্রশ্ন নিয়ে এখন মিডিয়ার মাথা ঘামানো চলছে৷ অলিম্পিকের আসরে ঠিক কতটা হামলার আশঙ্কা রয়েছে, তাও মিডিয়া জানতে চায় খোলাখুলি৷ ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর জবাব, ৯/১১ পরবর্তী বিশ্বে এ ধরণের বড় কোন আন্তর্জাতিক আসরে মিসাইল প্রতিরক্ষা সব সময়েই করা হচ্ছে৷ তাই এ কোন নতুন কথা নয়৷

নতুন কথার দরকারটাই বা কী? অলিম্পিকে সন্ত্রাসী হামলা হোক, সেটা কারওই প্রত্যাশা হতে পারেও না৷ তাই অলিম্পিক ভালোয় ভালোয় মিটুক, তৈরি হোক অনেক নতুন রেকর্ড৷ দেখা যাক প্রচুর চোখ ধাঁধানো খেলোয়াড়ি কৃতিত্ব৷ মিসাইল সেসবের পাহারায় থেকে আরাম করে খেলা দেখুক৷ এবং পরে আবার তার গোপন অস্ত্রাগারে ফিরে যাক৷ একটাই প্রত্যাশা, ব়্যাপিয়ারকে যেন কাজে না নামতে হয়!

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ