বুথ-ফেরত সমীক্ষার ফলে বিজেপি-এনডিএ জোটের ব্যাপক জয় আসতে চলেছে ভারতে৷ উত্তরপ্রদেশে অপেক্ষাকৃত খারাপ ফলের ঘাটতি মেটাবে নাকি পশ্চিমবঙ্গ!
বিজ্ঞাপন
ভারতের অন্তত ৭টি বুথ-ফেরত সমীক্ষার ফল একসুরে দাবি করছে, দ্বিতীয়বারের জন্য কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীএবং বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট৷ ৫৪৩ আসনের ভারতীয় সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার ২৭২টি আসন৷ সেখানে যে সমীক্ষায় বিজেপি একক দল হিসেবে সবথেকে কম আসন পাচ্ছে, সেখানেও ২৬০ আসনে জেতার সম্ভাবনা৷ আর সবথেকে বেশি জেতার সম্ভাবনা ৩৬৫টি আসন৷ সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, একমাত্র কর্ণাটক বাদে দক্ষিণ ভারতে বিশেষ সুবিধে করতে পারছে না বিজেপি৷ রাজনৈতিক কর্তৃত্ব দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে আঞ্চলিক দলগুলির হাতেই থাকছে৷ ভারতে সবথেকে বেশি আসন যে রাজ্যে, হিন্দি বলয়ের রাজধানী সেই উত্তরপ্রদেশেও সমাজবাদী পার্টি বহুজন সমাজ পার্টির মহাজোটের কারণে বিজেপি ভালো ফল করতে পারবে না বলেই সমীক্ষায় ধরা পড়েছে৷ তবে সেই ক্ষতি নাকি পুষিয়ে দেবে পূর্ব ভারতের দুটি রাজ্য ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ৷ওড়িশায় এবার নাকি ৯টি আসন পেতে পারে বিজেপি৷ আর পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ১১ থেকে ১৬টি আসন৷ এই অবিশ্বাস্য সম্ভাবনা বেড়ে হতে পারে ২২টি৷ এমনও শোনা যাচ্ছে যে, এবার রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের থেকেও বেশি আসন বিজেপি পেতে পারে৷ কারণ, গত ৮ বছরের অপশাসনের কারণে রাজ্যজুড়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ, যা বিশেষ করে দানা বাঁধতে শুরু করে গত পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক রাজনৈতিক সন্ত্রাস এবং বহু এলাকায় বিরোধীদের প্রার্থী দিতে না দেয়ার ক্ষোভ থেকে৷
তৃণমূল নেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যদিও এক্জিট পোলের ফল ঘোষণার পরই টুইট করেন, ‘‘এসব সমীক্ষার গালগল্পে আমার বিশ্বাস নেই৷ আসল ছক হলো গুজব ছড়িয়ে ইভিএমগুলো বদলে দেওয়া৷ কাজেই সব বিরোধী দলের প্রতি আমার আবেদন, একজোট থাকুন, শক্ত থাকুন, সাহস রাখুন৷ আমাদের একসঙ্গে এই লড়াই লড়তে হবে৷''
একজন নরেন্দ্র মোদী
উগ্র সাম্প্রদায়িক আদর্শ এবং বিভাজনের রাজনীতির কারণে ভারতের বহু মানুষের কাছে তিনি খলনায়ক৷ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নিজেকে নতুন মোড়কে সামনে এনে সেই নরেন্দ্র মোদীই শোনাচ্ছেন ভারতকে বদলে দেয়ার মন্ত্র৷
ছবি: dapd
চা ওয়ালা
১৯৫০ সালে গুজরাটের নিম্নবিত্ত এক ঘাঞ্চি পরিবারে জন্ম নেয়া নরেন্দ্র মোদী কৈশরে বাবাকে সাহায্য করতে রেল ক্যান্টিনে চা বিক্রি করেছেন৷ ঘাঞ্চি সম্প্রদায়ের রীতি অনুযায়ী ১৭ বছর বয়সে যশোদাবেন নামের এক বালিকার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়, যদিও বেশিদিন সংসার করা হয়নি৷ ছাত্র হিসেবে সাদামাটা হলেও মোদী বিতর্কে ছিলেন ওস্তাদ৷ ১৯৭১ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস-এর প্রচারক হিসাবে রাজনীতির দরজায় পা রাখেন মোদী৷
ছবি: UNI
গুজরাটের গদিধারী
১৯৮৫ সালে আরএসএস থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়ার ১০ বছরের মাথায় দলের ন্যাশনাল সেক্রেটারির দায়িত্ব পান ১৯৯৫ সালে গুজরাটের নির্বাচনে চমক দেখানো মোদী৷ ১৯৯৮ সালে নেন দলের জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্ব৷ ২০০১ সালে কেশুভাই প্যাটেলের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দলের মনোনয়নে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আবির্ভূত হন নরেন্দ্র মোদী, যে দায়িত্ব তিনি এখনো পালন করে চলেছেন৷
ছবি: Reuters
দাঙ্গার কালিমা
মোদীকে নিয়ে আলোচনায় ২০০২ সালের দাঙ্গার প্রসঙ্গ আসে অবধারিতভাবে৷ স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ সেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় গুজরাটে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হন৷ মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েও তিনি দাঙ্গায় উসকানি দেন৷ তিনি এ অভিযোগ স্বীকার করেননি, আদালতও তাঁকে রেহাই দিয়েছে৷ তবে দাঙ্গার পক্ষে কার্যত সাফাই গেয়ে, হিন্দুত্ববাদের গান শুনিয়েই তিন দফা নির্বাচনে জয় পান মোদী৷
ছবি: AP
রূপান্তর
দাঙ্গার পর নিজের ভাবমূর্তি ফেরানোর উদ্যোগ নেন নরেন্দ্র মোদী৷ একজন বিতর্কিত নেতার বদলে উন্নয়নের কাণ্ডারি হিসাবে তাঁকে প্রতিষ্ঠা দিতে শুরু হয় ‘গুজরাট মডেল’-এর প্রচার৷ ২০০৭ সালের পর নিজেকে একজন সর্বভারতীয় নেতা হিসাবে তুলে ধরতে নতুন প্রচার শুরু করেন এই বিজেপি নেতা, প্রতিষ্ঠা করেন ‘ব্র্যান্ড মোদী’৷গুজরাটের উন্নয়নের চিত্র দেখিয়ে কলঙ্কিত ভাবমূর্তিকে তিনি পরিণত করেন ভারতের ত্রাতার চেহারায়৷
ছবি: UNI
ভারতের পথে পথে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌঁড়ে নরেন্দ্র মোদী পাড়ি দিয়েছেন তিন লাখ কিলোমিটার পথ৷ সারা ভারতে পাঁচ হাজার ৮২৭টি জনসভায় তিনি অংশ নিয়েছেন, নয় মাসে মুখোমুখি হয়েছেন পাঁচ কোটি মানুষের৷ কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা হিসাবে শুরু করলেও এবার তিনি হিন্দুত্ব নিয়ে প্রচার এড়িয়ে গেছেন সচেতনভাবে, যদিও বাংলাদেশের মানুষ, ভূখণ্ড এবং ধর্ম নিয়ে নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি নেতাদের বক্তব্য নতুন সমালোচনার জন্ম দিয়েছে৷
ছবি: AP
নতুন ইতিহাস
ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটই যে এবার ভারতে সরকারগঠন করতে যাচ্ছে, বুথফেরত জরিপ থেকে তা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল৷ ৬৩ বছর বয়সি মোদীর নেতৃত্বে এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি৷ ৭ই এপ্রিল থেকে ১২ই মে অনুষ্ঠিত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৮১ কোটি ৪০ লাখ৷ তাঁদের মধ্যে রেকর্ড ৬৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শেষ হাসি
নির্বাচনে বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল – মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের অর্থনীতি নতুন গতি পাবে, গুজরাটের আদলে তিনি ভারতকে বদলে দেবেন৷ অবশ্য সমালোচকরা বলছেন, ‘কলঙ্কিত ভাবমূর্তি’ ঢাকতে এসব মোদীর ফাঁপা বুলি৷ তাঁর স্বৈরাচারী মেজাজ, শিক্ষা ও অর্থনীতির জ্ঞান নিয়েও ঠাট্টা-বিদ্রুপ হয়েছে৷ বলা হচ্ছে, ভোটাররা টানা তৃতীয়বার কংগ্রেসকে চায়নি বলেই বিজেপি জয় পেয়েছে৷ যদিও শেষ হাসি দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর মুখেই৷
ছবি: dapd
7 ছবি1 | 7
রাজনৈতিক মহলে এই গুজব রীতিমতো জোরদার হয়েছে যে, ভোটের ফল খারাপ হবে ধরে নিয়েই বিজেপি কৌশলে নির্বাচন কমিশনের হেফাজতে থাকা সমস্ত ইভিএম বদলে দেওয়ার চেষ্টা করবে৷ মমতার নির্দেশে আসলেই গণনা কেন্দ্রের ওপর নজর রাখছেন তৃণমূল কর্মীরা৷ ওদিকে জাতীয় স্তরের বিরোধী নেতাদের অনবরত ফোন আসছে মমতার কাছে৷ সবাইকেই একই আশ্বাস দিচ্ছেন মমতা যে, ২৩ মে সরকারিভাবে ফল ঘোষণার আগে পর্যন্ত তিনি হাল ছাড়তে রাজি নন৷ অন্যদিকে তেলুগু দেশম পার্টির নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুও কলকাতায় এসে মমতার সঙ্গে দেখা করেছেন৷ দিল্লিতেও বিরোধী শিবিরে ব্যস্ততা নজরে পড়েছে৷
আবার কেউ কেউ হতাশ৷ যেমন, জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা৷ এদিন সবকটি বুথ-ফেরত সমীক্ষাতেই মোদী এবং বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা দেখার পর তিনি টুইট করে বলেন, সব সমীক্ষার ফল ভুল হতে পারে না৷ এখন সময় টিভি বন্ধ করে, সোশাল মিডিয়া থেকে বেরিয়ে গিয়ে ২৩ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করা এবং দেখা, পৃথিবী তখনও ঘোরে কিনা৷
বুথ-ফেরত সমীক্ষার অসারতা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক নির্বাচনে সমীক্ষার ফল এবং আসল ফলের মধ্যে ফারাকের উল্লেখ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর৷ টুইট করেছেন, ‘‘আমার বিশ্বাস বুথ-ফেরত সমীক্ষার সব ফল ভুল৷ গত সপ্তাহশেষে অস্ট্রেলিয়ায় ৫৬টি সমীক্ষা সংস্থা ভুল প্রমাণিত হয়েছে৷ ভারতে ভোটাররা সমীক্ষকদের প্রশ্নের ঠিক জবাব দেয় না৷ কারণ, তারা ভয় পায়, প্রশ্নকর্তা সরকারের লোক হতে পারে৷ আমি ২৩ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করব৷''
তবে বুথ-ফেরত সমীক্ষার ফলে চাঙা হয়ে উঠেছে ভারতের শেয়ার বাজার৷ কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, বাজারকে তেজি করতে ইচ্ছাকৃতভাবেই বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে সমীক্ষার ফলাফল৷ আপাতত আরো দু'দিন শেয়ার বাজার এরকম চাঙাই থাকবে৷
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের খুঁটিনাটি
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে৷ ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে সাত ধাপে ১৯ মে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Dey
আসনসংখ্যা
সাধারণ নির্বাচন মানে ভারতের লোকসভা সদস্যদের নির্বাচন করার পদ্ধতি৷ লোকসভায় মোট আসন সংখ্যা ৫৪৫ হলেও নির্বাচন হয় ৫৪৩টি আসনে৷ বাকি দুটি আসন ভারতের অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত৷ তাদের দুই প্রতিনিধি কে হবেন, তা ঠিক করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি৷
ছবি: picture alliance/dpa
ভোটার সংখ্যা
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৮৩ কোটিরও বেশি, যা বর্তমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের নির্বাচনে বাড়বে এই সংখ্যা৷ নতুন ভোটারের সংখ্যা এবছর প্রায় সাড়ে চার কোটি হতে চলেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কয়টি দল?
গত নির্বাচনে মোট ৮,২৫১ জন প্রার্থী নির্বাচনে লড়েছিলেন৷ সেবার মোট ৪৬০টি রাজনৈতিক দল ভোটের ময়দানে নেমেছিল৷ ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশনই জানাচ্ছে এই তথ্য৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
মোট প্রার্থী
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, প্রতিটি আসনে গড়ে ১৪ জন প্রার্থী থাকে ভারতে৷ এখন পর্যন্ত একটি আসনে সর্বোচ্চ ৪২ জন প্রার্থী হয়েছেন!
ছবি: DW/M. Krishnan
ভোটকেন্দ্র কতগুলি?
২০১৪ সালের নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ৯,২৭,৫৫৩টি৷ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি বুথে গড়ে ৯০০ জন ভোটার ভোট দেন৷ উল্লেখ্য, ভারতের নির্বাচনি আইন বলে, যে-কোনো ভোটারের বাসস্থানের দুই কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে অন্তত একটি ভোটকেন্দ্র থাকতে হবে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
নির্বাচনি দায়িত্ব পালন
ভারতের সাধারণ নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, তার দায়িত্ব পড়ে সরকারী কর্মচারীদের ওপর৷ গত নির্বাচনে এই দায়িত্ব পান প্রায় ৫০ লক্ষ আধিকারিক ও নিরাপত্তাকর্মী৷ শুধু তাই নয়, এই কর্মীরা পায়ে হেঁটে, বাসে-ট্রামে-ট্রেনে-নৌকায়, এমনকি হাতির পিঠে চড়েও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছেছেন বলে জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
একজন ভোটারের জন্যও রয়েছে বুথ!
২০০৯ সালের নির্বাচনের সময় গুজরাটের গির অঞ্চলের জঙ্গলেও ছিল ভোটগ্রহণ কেন্দ্র৷ এই ভোটকেন্দ্রের আওতায় যদিও ছিলেন মাত্র একজন ভোটার৷ তবুও বুথ চালু রাখা হয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে৷ (প্রতীকী ছবি)
ছবি: Reuters/Danish Siddiqui
ভোটের পর...
২০১৯ সালের নির্বাচন মোট সাতটি পর্যায়ে সম্পন্ন হবে৷ এই প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লেগে যাবে একমাসেরও বেশি৷ ২০১৯ সালের নির্বাচন হবে ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত৷ আগে যদিও ব্যালট পেপারে ভোট হবার ফলে ফলপ্রকাশ হতে কয়েকদিন লেগে যেত, আজকাল ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম আসার ফলে ফলাফল বেরোতে সময় লাগে মাত্র একদিন৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/P. Gill
কত খরচ?
ভারতের মতো বিশালাকারের দেশের নির্বাচন যে খরচসাপেক্ষ হবে, তা বলাই বাহুল্য৷ নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত তথ্য বলছে, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে খরচ হয় প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মার্কিন ডলার সমান অর্থ, ভারতীয় মুদ্রায় যা দাঁড়ায় ৩,৮৭০ কোটি রুপির কাছাকাছি৷
ছবি: Fotolia/ARTEKI
কতগুলি ইভিএম?
২০১৪ সালের নির্বাচনে আনুমানিক ১৮ লক্ষ ইভিএম ব্যবহৃত হয়েছিল৷ ইভিএম আসায় নির্বাচনের কাজ দ্রুত শেষ করা গেলেও অনেক রাজনৈতিক দল মনে করে যে এখানেও কারচুপি সম্ভব৷ বিভিন্ন মহল থেকে ব্যালট পেপার ফিরিয়ে আনার দাবি থাকলেও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তা হবার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ৷