1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এখনই সতর্ক হতে হবে

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪

আল কায়েদার নতুন পরিকল্পনায় বাংলাদেশও আছে৷ ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমারে নতুন করে ডানা মেলতে চায় তারা৷ নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন,

ছবি: Reuters

নতুন এই জঙ্গি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সতর্কতা ছাড়াও আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করা প্রয়োজন৷

আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরির ৫৫ মিনিটের এক ভিডিওতে তাদের সংগঠন বিস্তারের যে পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে, তার লক্ষ্য হল ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারসহ গোটা উপমহাদেশে ৷

জাওয়াহিরি বলেছেন, ভারতীয় উপমহাদেশে জিহাদের পতাকা তুলে আল-কায়েদা ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করবে৷ এই অঞ্চলের মুসলিম জনতাকে এক করতে যাবতীয় কাল্পনিক সীমানা তারা মুছে দেবে৷

বৃহস্পতিবার এই ভিডিও প্রচারের পর পরই ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ দেশের গোয়েন্দা প্রধানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে দু-তিন দিনের মধ্যেই আল-কায়েদার পরিকল্পনা-সংক্রান্ত আরও তথ্য সংগ্রহ করতে৷ দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের সরকারকে সজাগ করে দিয়ে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রয়োজনীয় সব কিছু যেন করা হয়৷

কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের এখনো দৃশ্যমান কোনো প্রতিক্রিয়া বা তৎপরতা নেই৷ নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন, আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরির ভিডিও বার্তাকে হালকাভাবে নেয়ার কোন সুযোগ নেই৷ এটাকে আমলে নিয়ে বাংলাদেশকে জঙ্গি বিরোধী কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে৷

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রশীদ (অব.) ডয়চে ভেলেকে বলেন, আল-কায়েদার শক্তি কমে যাওয়ায় তারা নতুন করে অনুসারী বাড়াতে চাইছে৷ বিশেষ করে ইরাকের আইসিস জঙ্গিরা যেভাবে আকর্ষণ সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছে, আল-কায়েদা সে ক্ষেত্রে ব্যর্থ৷ তাই তারা নতুন করে কাজ শুরু করছে৷

তিনি বলেন, তারা জঙ্গি অনুসারী বাড়ানোর পাশাপাশি ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারসহ উপমহাদেশের সীমানা মুছে দিতে চাইছে৷ এটি তাদের বক্তব্যে একটি নতুন দিক৷ যা তারা মুসলমান তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে ব্যবহার করতে চাইছে৷

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রশীদ বলেন, ‘‘গত ১০ বছরে বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা তেমন বড় আকারে দেখা না গেলেও আল-কয়েদার অনুসারী ছোট ছোট অনেক জঙ্গি সংগঠন আছে৷ তাদের এক ছাতার নীচে আনার তৎপরতা চালান হতে পারে৷ আর তারা যদি একটি নেটওয়ার্কের অধীনে আসে, তাহলে তা বড় ধরনের হুমকির কারণ হতে পারে৷''

তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশে মসজিদ, মাদ্রাসা এবং ইসলামি জলসার আড়ালে জঙ্গিরা সক্রিয় আছে৷ একটি গোষ্ঠী এ সবের মাধ্যমে জঙ্গি মতাদর্শ ছড়ায়৷ এ ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক হতে হবে৷ বিশেষ করেন ধর্মীয় আলোচনার নামে কেউ যাতে উগ্র-জঙ্গি মতবাদ ছড়াতে না পারে, তার জন্য সুনির্দিষ্ট আইন থাকা প্রয়োজন৷ আর নজরদারির মাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে৷'' এর বাইরে জঙ্গি বিরোধী সচেতনতামূলক কর্মসূচি সব সময় সচল রাখার কথা বলেন তিনি৷

তিনি বলেন, এই উপমহাদেশই এখন আল-কায়েদার টার্গেট৷ আর তাদের অনুসারীরাই পুরো উপ মহাদেশেই আছে ৷ তাই জঙ্গি বিরোধী আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রয়োজন৷ এ জন্য তথ্য বিনিময় ছাড়াও কৌশল নির্ধারণে এক দেশ আরেক দেশকে সহায়তা করতে পারে৷ আর আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে তথ্য এবং কৌশল জানা উচিত বলে মনে করেন ব্রিগেডিয়ার রশীদ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ