আঞ্চলিক বাণিজ্য ও সংযোগ, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং পরিবেশ ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশকে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবে৷
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস সোমবার এই অর্থায়ন চুক্তি বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন৷
পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এই ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক৷ এগুলো হলো:
- পূর্ব দক্ষিণ এশিয়ায় পরিবহন ও বাণিজ্য সংযোগ ত্বরান্বিতকরণ (অ্যাকসেস)-বাংলাদেশ ফেজ-১ প্রকল্প, যার মূল্য ৭৫৩ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার৷
- স্থিতিস্থাপকতা, অভিযোজন ও দুর্বলতা হ্রাসের জন্য ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিল্ডিং প্রজেক্ট (রিভার), যা বাংলাদেশের ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ কে সমর্থন করার জন্য প্রথম বড় বিনিয়োগ হবে৷ এটি অভ্যন্তরীণ বন্যার বিরুদ্ধে দুর্যোগ প্রস্তুতি উন্নত করতে সহায়তা করবে৷
বর্ণিল আয়োজনে স্বপ্নপূরণের দিন
অবশেষে বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হলো৷ প্রমত্তা পদ্মার বুকে স্বপ্নের সেতু পারাপারের সুযোগ পাচ্ছেন তারা৷ শনিবার মাওয়া প্রান্তে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতু উদ্বোধন করে জাজিরা প্রান্তে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷
ছবি: Pithu Biswas/DW
বর্ণাঢ্য আয়োজন
দীর্ঘ দুই যুগ আগে যে সেতুর পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সেই সেতু উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণ উপলক্ষে পদ্মানদীর দুই প্রান্তে বর্ণাঢ্য এবং জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ সেতুর জাজিরা পয়েন্টে বিশাল এক জনসভার আয়োজন করা হয়েছে, যার প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷
ছবি: Pithu Biswas
ফলক উন্মোচন ও টোল প্রদান
পৃথিবীর অন্যতম খরস্রোতা নদী পদ্মার বুকে বহুকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী৷ শনিবার সকাল ১১টা ৫৮ মিনিটে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে ফলক উন্মোচন করেন তিনি৷ এরপর প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে নির্ধারিত টোল প্রদান করে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে যান এবং ফলক উন্মোচন করেন৷
ছবি: Press Information Department of Bangladesh/PID
কড়া নিরাপত্তা
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সেতুর মাওয়া এবং জাজিরা পয়েন্টে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়৷ পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা শুক্রবারই পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেন৷
ছবি: Pithu Biswas/DW
‘স্মোকপাস’ প্রদর্শনী
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী নান্দনিক ‘স্মোকপাস’ প্রদর্শনীর আয়োজন করে৷ ৩১টি বিমানের সমন্বয়ে এই মনোজ্ঞ ফ্লাইপাস্টের আয়োজন করা হয়৷ বিমানগুলোর সাহায্যে লাল-সবুজ রংয়ের মাধ্যমে পুরো এলাকাকে বর্ণিল করে তোলা হয়৷
ছবি: Pithu Biswas/DW
যান চলাচল শুরু কাল
শনিবার উদ্বোধন হলেও সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য সেদিনই খুলছে না সেতু৷ সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রীর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে ২৬ জুন (রবিবার) সকাল ৬টা থেকে৷
ছবি: Pithu Biswas/DW
সীমিত আকারে ফেরি চলাচল
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে মাওয়া-জাজিরার মধ্যে চলাচলকারী ফেরি যুগের আনুষ্ঠানিক অবসান হচ্ছে৷ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছাড়ে ‘কুঞ্জলতা’ আর ওপারের মাঝিরকান্দি ঘাট থেকে ছাড়ে ‘বেগম রোকেয়া’৷ তবে এই রুটে দৃশ্যত ফেরি যুগ শেষ হলেও সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা৷
ছবি: Pithu Biswas/DW
সমাবেশে জনস্রোত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুর পৌনে বারোটার দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করে জাজিরা প্রান্তের দিকে দলীয় সমাবেশে যোগ দিতে রওনা হন৷ সেখানে তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ রাখেন৷ এ সমাবেশে অংশ নিতে দলীয় নেতা কর্মীদের জনস্রোতে পরিণত হয় সমাবেশস্থল৷
ছবি: Mahmud Hossain Opu/AP/picture alliance
ভোগান্তির অবসান
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেতু চালু হওয়ার পর সড়ক ও রেলপথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে৷ এর ফলে এ অঞ্চলের মানুষের একদিকে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির লাঘব হবে, অন্যদিকে অর্থনীতি হবে বেগবান৷ আশা করা হচ্ছে এ সেতু জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে এক দশমিক দুই-তিন শতাংশ হারে অবদান রাখবে’৷
ছবি: Pithu Biswas/DW
সেতু এলাকা এখন পর্যটনকেন্দ্র
পদ্মা সেতুকে ঘিরে বেশ কয়েকমাস ধরেই আশেপাশের এলাকাগুলো পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে৷ আজ পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে নদীর দুই প্রান্তেই ছিল উৎসুক জনতার উপচে পড়া ভিড়৷ নিরাপত্তাজনিত কারণে সেতুর কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ না থাকলেও অনেকেই স্পিডবোট, ট্রলারে করে দূর থেকে সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ করেন৷
ছবি: Pithu Biswas/DW
নির্মাণ চ্যালেঞ্জ
বিশেষজ্ঞদের মতে, পদ্মা বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা এক নদী৷ যার বুকে সেতু গড়ে তোলা মোটেও সহজ কাজ ছিল না৷ কারণ পদ্মার নদীগর্ভের মাটি এতটাই পরিবর্তনশীল যে মুহূর্তের মধ্যে যে কোনো স্থান থেকে যে পরিমাণ মাটি সরে যায় তাতে ২১ তলা ভবনের সমপরিমাণ গভীরতার খাদ তৈরি হয়৷ তাই এই সেতু নির্মাণকে পৃথিবীর অন্যতম ‘প্রকৌশল বিস্ময়’ হিসেবে অভিহিত করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা৷
ছবি: Pithu Biswas/DW
নিষেধাজ্ঞায় তোয়াক্কা নেই
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে ছিল উৎসাহ ও আনন্দ৷ পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা বেষ্টনি টপকে এবং তার কেটে ভিতরে প্রবেশ করছেন শত শত উৎসুক জনতা৷ তাদেরকে সামলাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হিমশিম খেতে হয়৷
ছবি: Pithu Biswas/DW
পদ্মা সেতুর আদ্যোপান্ত
পদ্মা বহুমুখী সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার, প্রস্থ ১৮.১ মিটার৷ মোট স্প্যান ৪১টি এবং পিলার ৮১টি৷ নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর৷ দ্বিতল এ সেতুর উপরে যান এবং নিচে ট্রেন চলাচল করবে৷ পানি থেকে সেতুটি ৬০ ফুট উঁচু এবং পাইলিং গভীরতা ৩৮৩ ফুট৷ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী৷ এ সেতুর ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৯ জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ত্বরান্বিত হবে৷
ছবি: Pithu Biswas/DW
12 ছবি1 | 12
- ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফার্স্ট বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট (জিসিআরডি), প্রকল্পটি এ ধরনের প্রথম ঋণ যা দেশের স্থিতিস্থাপক উন্নয়নে রূপান্তরে সহায়তা করবে৷
- ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাসটেইনেবল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশন (স্মার্ট) প্রকল্পের লক্ষ্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা খাতকে আরও গতিশীল, কম দূষণকারী, সম্পদ দক্ষ এবং জলবায়ু সহনশীল প্রবৃদ্ধি খাতে রূপান্তর করতে সহায়তা করা৷
- ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (বেস্ট) প্রকল্পটি পরিবেশ ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে এবং সবুজ বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করবে৷
অনেক স্বপ্নের, অনেক প্রথমের পদ্মা সেতু
এক দশক ধরে বহু আলোচনা, অসংখ্য সংবাদের জন্ম দিয়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প৷ নানা বাধা আর চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে অবশেষে সেই সেতু দিয়ে পদ্মা পরাপারের স্বপ্ন হতে যাচ্ছে সত্যি৷ এই প্রকল্প নিয়ে কিছু তথ্য থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP
যেভাবে শুরু
পদ্মা সেতু প্রকল্পের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে প্রথম সম্ভাব্যতা যাচাই পরীক্ষা হয় ১৯৯৮-৯৯ সালে৷ দ্বিতীয় সম্ভাব্যতা পরীক্ষাটি হয়েছে ২০০৩-০৫ সালে৷ বিস্তারিত নকশা, ক্রয় পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয় ২০০৯ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে৷ ২০১২ সালের জুলাইয়ে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়৷ ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় নির্মাণকাজ৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP
‘নিজস্ব অর্থায়ন’
শুরুতে বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাইকা, আইডিবি এই প্রকল্পে অর্থায়নের কথা ছিল৷ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২০ কোটি ডলার দেয়ার কথা ছিল বিশ্বব্যাংকের৷ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পরবর্তীতে তারা এই প্রকল্প থেকে সরে গেলে বাজেট থেকে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে সরকার সেতু নির্মাণ শুরু করে৷ শেষ পর্যন্ত খরচ বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৩৮৭ কোটি ডলার বা ত্রিশ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা৷ নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশের প্রথম কোন মেগা প্রকল্প৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP
সবচেয়ে বড়
মূল সেতু দৈর্ঘ্যে ছয় দশমিক এক-পাঁচ কিলোমিটার, ভায়াডাক্ট তিন দশমিক এক-পাঁচ কিলোমিটার (সড়ক) ও ৫৩২ মি (রেল)৷ সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক এক-দুই কিলোমিটার৷ মূল সেতু নির্মাণের দায়িত্বে ছিল চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পো. লি.৷ নদীশাসনের কাজ করেছে চীনের সিনোহাইড্রো কর্পো.৷ দুই প্রান্তের সংযোগ সড়ক তৈরি করেছে এএমএল-এইচসিএম জয়েন্ট ভেঞ্চার৷ বঙ্গবন্ধু সেতুকে পেছনে ফেলে এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP
আধুনিক স্থাপত্য
খরস্রোতা পদ্মার উপর এই সেতু নির্মাণে আধুনিক স্থাপত্য কৌশল প্রয়োগ করা হয়েছে৷ প্রকল্প কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নদী তলদেশে মাটির ১২০-১২৭ মিটার গভীরে গিয়ে বসানো হয়েছে পদ্মা সেতুর পাইল৷ ‘ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং’ এর সক্ষমতা ১০ হাজার টন, যার কারণে রিখটার স্কেলে নয় মাত্রার ভূমিকম্পে টিকে থাকার মতো সক্ষমতা রয়েছে সেতুটির৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP
যা থাকছে
সেতুতে থাকছে চার লেনের সড়ক, ডুয়েল গেজ একমুখী রেল ট্র্যাক৷ মধ্যে ৪০ টি সহ মোট ৪২ টি স্প্যানের উপর দাঁড়িয়ে সেতুটি৷ সড়ক, রেলপথ ছাড়াও গ্যাস ট্রান্সমিশন লাখ, ফাইবার অপটিক ও টেলিফোন লাইন গেছে এর উপর দিয়ে৷ ছয় দশমিক এক-পাঁচ কিলোমিটার সেতুটি পার হতে লাগবে মাত্র ছয় মিনিট৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP
খরচ উঠবে কবে
সরকারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, পদ্মা সেতুর টাকা সেতু কর্তৃপক্ষকে এক শতাংশ হার সুদে সরকারকে ফেরত দিতে হবে৷ সম্ভাব্যতা নিরীক্ষা অনুযায়ী, ২৪ থেকে ২৫ বছরে মধ্যে নির্মাণ ব্যয় উঠে আসবে৷ তবে এখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ১৬-১৭ বছরের মধ্যেই টাকা উঠে আসবে৷ এরইমধ্যে সেতু দিয়ে যানবাহন পার হওয়ার টোলও নির্ধারণ করেছে সরকার৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP
অপেক্ষা যান চলাচলের
শুক্রবার উদ্বোধন হলেও পদ্মা সেতুতে সবার জন্য যান চলাচল শুরু হচ্ছে পরের দিন৷ ঢাকা থেকে যেসব গাড়ি শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া হয়ে দক্ষিণের বিভিন্ন গন্তব্যে যায়, সেগুলো সেতু দিয়ে পদ্মা পার হতে পারবে৷ এমনকি ভারতের পশ্চিমাংশ থেকে পূর্বাংশে পণ্য পরিবহণেও ব্যবহৃত হবে এই সেতু৷ এডিবির ধারণা অনুযায়ী, শুরুর দিকে প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে প্রায় ২৪ হাজার যানবাহন চলাচল করবে৷ পরবর্তীতে তা আরও বাড়বে৷