1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশকে ‘সবুজ জ্বালানি’ সহায়তা দিচ্ছে জার্মানি

২ ডিসেম্বর ২০১১

সবুজ জ্বালানির উৎপাদন এবং ব্যবহার উভয় দিক থেকেই এগিয়ে আছে জার্মানি৷ বর্তমানে এই দেশের প্রয়োজনীয় জ্বালানির ২০ শতাংশের উৎস বায়ু, সূর্য কিংবা বিকল্প কোন সবুজ উৎস৷ বাংলাদেশকেও সবুজ জ্বালানি ব্যবহারে সহায়তা দিচ্ছে জার্মানি৷

বাংলাদেশের একটি গ্রামে সৌরশক্তিতে চলছে টেলিভিশনছবি: GTZ

শুরুতেই একটু পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যাক৷ ২০০০ সালে জার্মানিতে উৎপাদিত মোট জ্বালানির মাত্র ৬.৭ শতাংশ এসেছিল নবায়নযোগ্য উৎস থেকে৷ লক্ষ্য ছিল ২০১০ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বাড়ানো হবে ১২ শতাংশ৷ কিন্তু জার্মানি সেই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ২০০৭ সালেই৷ জার্মানির জ্বালানি এবং পানি বিষয়ক অ্যাসোসিয়েশন বিডিইডব্লিউ'র সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদন ২০ শতাংশে পৌঁছেছে৷

সবুজ জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে সৌরশক্তি৷ ২০১০ সালের তুলনায় ২০১১ সালে সৌরশক্তি থেকে উৎপাদন বেড়েছে ৭৬ শতাংশ৷ বিডিইডব্লিউ'র বিবৃতি অনুযায়ী, নতুন ধরনের সোলার প্যানেলের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং এই বসন্তে সূর্যের প্রখরতা উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে৷ তাছাড়া সৌরশক্তি সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম কমে যাওয়া এবং সবুজ জ্বালানি বিষয়ক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের ভর্তুকি দেওয়ার ফলেও উৎপাদন বাড়ছে৷

সোলার প্যানেল ব্যবহার করে সৌরশক্তিকে বিদ্যুতে রূপান্তরের কাজে বাংলাদেশকেও সহায়তা করছে জার্মানি৷ জার্মান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা জিআইজেড বাংলাদেশের দুর্গম অঞ্চলে প্রায় দশ লাখ সোলার হোমসিস্টেম স্থাপনে সহায়তা করেছে৷ দেশীয় বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে জিআইজেড মাত্র কয়েকবছরে দশ লাখের লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হয়েছে৷ বাংলাদেশে জিআইজেড'এর সিনিয়র অ্যাডভাইজার ড. ইঞ্জিনিয়ার খোরশেদুল ইসলাম এই প্রসঙ্গে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘দুর্গম অঞ্চল, যেখানটা বিদ্যুতের গ্রিড থেকে দূরে সেখানে প্রায় এক মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে৷ গড়ে আমরা পঞ্চাশ ওয়াট করে হিসেব করি৷ সে হিসেবে ৫০ মেগাওয়াটের মত সিস্টেম ক্যাপাসিটি স্থাপন করা হয়েছে৷ একেকটি সোলার সিস্টেম ব্যবহার করে দুটি বা তিনটি বাতি এবং টেলিভিশন অনায়াসে চালানো যায়''৷

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে জার্মানিতে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদন ২০ শতাংশে পৌঁছেছে (ফাইল ফটো)ছবি: AP

সোলার প্যানেলের মূল্য বেশি হওয়ায় শুরুতে এই খাতে ভর্তুকি দিয়েছে জিআইজেড৷ গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহজে সৌরশক্তি পৌঁছে দেয়াই জার্মান সহযোগী সংস্থার মূল লক্ষ্য৷ ইঞ্জিনিয়ার খোরশেদুল ইসলাম জানালেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বিনামূল্যে সোলার প্যানেলে সরবরাহ করা হচ্ছে না৷ কারণ বিনামুল্যের কোন কিছু দীর্ঘস্থায়ী হয়না৷ তিনি বলেন, ‘‘একেকটা হোম সিস্টেমের দাম ২৫ হাজার বা ৩০ হাজার টাকার মতো হয়ে থাকে৷ আগ্রহী গ্রাহকরা সোলার সিস্টেমের জন্য প্রথমে একটি ডাউন পেমেন্ট করেন৷ এরপর কিস্তিতে বাকি টাকা পরিশোধ করেন৷ সেটা তাদের খুব একটা গায়ে লাগেনা৷ কারণ কেরোসিনের পেছনে যে অর্থ খরচ হত সেটা এখান থেকে তুলে নেওয়া যায়''৷ 

সোলার প্যানেল ছাড়াও সবুজ জ্বালানি হিসেবে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বায়োগ্যাস৷ জিআইজিড এই খাতেও সহায়তা দিচ্ছে৷ বিভিন্ন অঞ্চলে বায়োগ্যাস প্রকল্পের সফলতাও কম নয়৷ জনাব খোরশেদুল জানালেন, ‘‘বায়োগ্যাসের দুইটি প্রকার৷ একটি হচ্ছে ডোমেস্টিক বা গৃহস্থালী বায়োগ্যাস৷ হল্যান্ডের একটি বড় উন্নয়ন সংস্থার সহায়তায় বাংলাদেশে ৪০ থেকে ৪৫ হাজারের মত গৃহস্থালী বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন হয়ে গেছে৷ আর বাণিজ্যিক পর্যায়ে যেগুলোর প্রতিদিনের ক্যাপাসিটি ৪.৮৮ কিউবিক মিটারের উপরে, সেগুলো জিআইজেড প্রায় পনেরশো'র মত স্থাপন করেছে, বাংলাদেশে''৷ 

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ