বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিশুদের সুরক্ষা কেন্দ্র, কিংবা উগান্ডায় মোবাইল ফার্ম স্কুল, অথবা ভারতে প্রতিবন্ধী শিশু প্রকল্প -সব জায়গায় কাজ করছে শিশুদের জরুরি সাহায্যসংস্থা কিন্ডারনোটহিল্ফে৷
বিজ্ঞাপন
কিন্ডারনোটহিল্ফে সংস্থাটি গত বছর বিভিন্ন দেশের শিশু এবং তাদের পরিবারকে সাহায্য করেছে৷ এ পর্যন্ত মোট দুই মিলিয়ন, অর্থাৎ, শিশু এবং কিশোর-কিশোরীকে সাহায্য করেছে কিন্ডারনোটহিল্ফে৷
কিন্ডারনোটহিল্ফের অর্থের পরিমাণ বেড়ে বর্তমানে ৬৩.৮ মিলিয়ন ইউরো হয়েছে, যার মধ্যে ৭৯ শতাংশই অনুদান৷ এবং এই অর্থ দিয়ে ৩২টি দেশের মোট ৫৯৫টি প্রকল্পকে সহায়তা করা হয়৷ আগের বছরের চেয়ে কাজের পরিসর আরো বাড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করে কিন্ডারনোটহিল্ফের সিইও কাটরিন ভিডেমান বলেন, ‘‘বিশ্বের বিভিন্ন দরিদ্র দেশে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের, বিশেষ করে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশের ক্ষুধা, সহিংসতা ও শোষণের শিকার এবং শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত শিশুদের জন্য আরো বেশি করে সাহায্যের চেষ্টা করতে হবে আমাদের৷’’
এনএস/এসিবি (ডিপিএ)
২৬ জুনের ছবিঘরটি দেখুন...
ইয়েমেনের শিশুদের খাদ্য নিরাপত্তা কে দেবে?
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলছে, ২০২০ সালের শেষ নাগাদ যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা ২৪ লাখ হয়ে যাবে৷ অচিরেই তাদের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছে তারা৷
করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে তহবিলের অভাব হচ্ছে জাতিসংঘের৷ এতে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে পর্যাপ্ত সহায়তা করতে পারছে না তারা৷ বাড়ছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা৷ শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে৷
ছবি: Save the Children/Sami Jassar
ইউনিসেফের রিপোর্ট
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থাটির নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী, ইয়েমেনে অপুষ্টিতে ভোগা পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুর সংখ্যা এ বছরের শেষ নাগাদ ২০ ভাগ বাড়বে৷ অর্থাৎ প্রায় ২৪ লাখ হবে, যদি না তাদের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য সাহায্য না পৌঁছে৷
প্রায় পাঁচ বছরের যুদ্ধে ইয়েমেন প্রায় বিধ্বস্ত৷ সেখানে মুখোমুখি যুদ্ধে লিপ্ত সৌদি আরব সমর্থিত সরকার ও ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা৷ এই ক’বছরে লাখো মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন, ঘরছাড়া হয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/Xinhua/M. Mohammed
ত্রাণ সংকট
যেহেতু এই যুদ্ধ শেষ হবার নাম নেই, তাই জাতিসংঘ বলছে যে, তারা সহায়তার চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে৷ সেখানে কার্যক্রম চালাতে ইউনিসেফের প্রায় ৪৬ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন৷ এছাড়া কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জরুরি তহবিল হিসেবে আরো ৫.৩ কোটি ডলার প্রয়োজন তাদের৷ এখন পর্যন্ত যথাক্রমে এই দুই তহবিলের ৩৯ ভাগ ও ১০ ভাগ মিলেছে৷
ছবি: picture-lliance/Photoshot/M. Mohammed
শিশুশ্রম বৃদ্ধির ঝুঁকি
ইউনিসেফ বলছে, যুদ্ধের কারণে ৭৮ লাখ ইয়েমেনি শিশু স্কুলে যেতে পারছে না৷ তাদের শ্রমের দিকে ঠেলে দিয়ে এ অবস্থার ফায়দা লোটা হচ্ছে৷ শুধু শিশুশ্রমই নয়, এই শিশুরা বাল্যবিবাহ ও সশস্ত্র দলগুলোতে জড়ানোর ঝুঁকিতে আছে৷