বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে নোবেল জয়ীর আবেদন
৮ মার্চ ২০১১ইউনূসের আবেদন
‘অধ্যাপক ইউনূসের একটি আবেদন' - শিরোনাম করেছে দৈনিক প্রথম আলো৷ সোমবার রাতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে একটি আবেদন জানিয়েছেন৷ ইউনূস বলেন, আমি আমার জীবনের পুরো সময়টা কাটিয়েছি বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন থেকে দারিদ্র্যের চিহ্নগুলো একে একে মুছে ফেলার ব্রত নিয়ে৷ ইউনূস একটি ‘মসৃণ ও আনন্দময় পরিবেশে' গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব হস্তান্তরের সুযোগ সৃষ্টির আগ্রহের কথা জানান৷ এজন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন৷ নিজের পদ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক প্রসঙ্গে ইউনূস তাঁর আবদনে দাবি করেন, ‘‘বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতিক্রমে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ আমাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব অর্পণ করেছিল''৷ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ক্ষেত্রে বয়সসীমা প্রযোজ্য নয় বলেও নির্ধারণ করেন ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ৷
‘রেওয়াজের পরিপন্থী'
ইউনূস-এর আবেদন প্রসঙ্গে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সম্পাদক স ম রেজাউল করিম এর একটি মন্তব্য প্রকাশ করেছে৷ তিনি বলেছেন, ‘‘আদেশ হওয়ার আগে এভাবে একটি বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়া বিচারিক রেওয়াজের পরিপন্থী''৷
আইনজীবীর শঙ্কা
দৈনিক ইত্তেফাকের শিরোনাম, ‘রিটে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে ব্যারিস্টার রোকনের শঙ্কা'৷ তিনদিন শুনানির পর ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে আদালতেই প্রশ্ন তোলেন ইউনূসের কৌঁসুলি ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ৷ একই বিষয়ে দৈনিক সমকাল লিখেছে, ‘ন্যায়বিচার নিয়ে সংশয়, ইউনূসের রিটের শুনানি শেষ আজ আদেশ'৷ পত্রিকাটি আদালতে ব্যরিস্টার রোকন এর বক্তব্য প্রকাশ করেছে ঠিক এভাবে, ‘‘সেদিন একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূত ড. ইউনূসের চাকরির বয়স সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি অল্প সময়ের মধ্যে বিষয়টি তাঁকে বুঝিয়ে দেন৷ কিন্তু আজ তিনদিন ধরে এ মামলার শুনানি করছি৷ মামলার মেরিট আছে বলেই আপনারা শুনছেন৷ এখন পর্যন্ত কোনো রুল পেলাম না''৷ আদালত অবশ্য জানিয়েছেন, ‘‘এটা একটা বিশেষ আইনের মামলা৷ সে কারণে আমরা দীর্ঘ সময় শুনছি৷''
গ্রন্থনা: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার