বাংলাদেশি গৃহকর্মী আবিরন বেগম হত্যার দায়ে সৌদি আরবের এক গৃহকর্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড ও তার স্বামী-সন্তানের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছে রিয়াদের অপরাধ আদালত৷ প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
রোববার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয় বলে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে৷ এতে বলা হয়, ‘‘মামলার প্রধান আসামি গৃহকত্রী আয়েশা আল জিজানির বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত এবং সুনির্দিষ্টভাবে হত্যাকাণ্ড সংঘটনের দায়ে আদালত ‘কেসাস’ (জানের বদলে জান) এর রায় প্রদান করেছে৷’’
সৌদি আরবে নারী নির্যাতন
01:43
হত্যাকাণ্ডের আলামত ধ্বংস, গৃহকর্মীকে নিজ বাসার বাইরে অবৈধভাবে কাজে পাঠানো এবং গৃহকর্মীর চিকিৎসার ব্যবস্থা না করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অপর এক আসামি গৃহস্বামী বাসেম সালেমকে তিন বছর দুই মাস কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হয়েছে৷ মামলার আরেক আসামি তাদের সন্তান ওয়ালিদ বাসেদ সালেমকে হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণের প্রমাণ পাওয়া না গেলেও গৃহকর্মী আবিরন বেগমকে বিভিন্নভাবে অসহযোগিতার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে সাত মাস কিশোর সংশোধনাগার কেন্দ্রে কারাভোগের সাজা দেওয়া হয়৷
খুলনার পাইকগাছার আবিরন ঢাকার একটি রিক্রুটিংএজেন্সির মাধ্যমে ২০১৭ সালে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন বলে জানান ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান৷ ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ আবিরনকে হত্যা করা হয়৷ মরদেহের সঙ্গে থাকা আবিরনের মৃত্যু সনদে মৃত্যুর কারণের জায়গায় মার্ডার (হত্যা) লেখা ছিল৷ রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আবিরনের পরিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আবিরনকে শুরু থেকেই নির্যাতন করা হয়৷ মরদেহ যখন দেশে আসে, তা এতটাই বীভৎস ছিল যে দেখার মতো ছিল না৷’’
এনএস/জেডএইচ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
২০১৯ সালের ছবিঘরটি দেখুন...
যে ১০ দেশে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি নারী শ্রমিক গেছেন
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বা বিএমইটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া নারী শ্রমিকের সংখ্যা নিয়মিত প্রকাশ করে থাকে৷ ছবিঘরে ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তথ্য থাকছে৷
ছবি: Imago Images/Zuma/M. Hasan
১. সৌদি আরব
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, বিএমইটি-র হিসেবে, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি নারী শ্রমিক গেছেন সৌদি আরবে৷ ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সংখ্যাটি ছিল তিন লাখ ৩২ হাজার ২০৪ জন৷ ২০১৯ সালের প্রথম দশ মাসে ৫৩ হাজার ৭৬২ জন নারী সৌদি আরব গেছেন৷ ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক (৮৩ হাজার ৩৫৪ জন) নারী শ্রমিক সে দেশে গেছেন৷
ছবি: Imago Images/Zuma/M. Hasan
২. জর্ডান
ইসরায়েলের প্রতিবেশী এই দেশে যাওয়া নারী শ্রমিকের সংখ্যা এক লাখ ৫৫ হাজার ৪১১ জন৷ সর্বোচ্চ সংখ্যক গেছেন ২০১৬ সালে, ২২ হাজার ৬৮৯ জন৷
ছবি: Imago/blickwinkel
৩. সংযুক্ত আরব আমিরাত
২০১৫ সালে সর্বোচ্চ ২৪ হাজার ৩০৭ জন নারী শ্রমিক সেই দেশে গিয়েছেন৷ সবমিলিয়ে দেশটিতে যাওয়া নারী শ্রমিকের সংখ্যা এক লাখ ৩০ হাজার ৫৭১ জন৷
ছবি: picture-alliance/J. Schwenkenbecher
৪. লেবানন
১৯৯১ থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশ লেবাননে গেছেন এক লাখ ছয় হাজার ৮৪০ জন নারী শ্রমিক৷
ছবি: Imago
৫. ওমান
ওমানে যাওয়া বাংলাদেশি নারী শ্রমিকের সংখ্যা ৮৬ হাজার ১৩২ জন৷
ছবি: Getty Images/C. Jackson
৬. কাতার
বিএমইটির হিসেবে ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মোট আট লাখ ৮৭ হাজার ৪৩২ জন নারী শ্রমিক বিভিন্ন দেশে গেছেন৷ এই সময়ে কাতারে গেছেন ৩২ হাজার ২৫৯ জন৷
ছবি: DW/M. Kos
৭. মরিশাস
পর্যটনের জন্য বিখ্যাত এই দ্বীপরাষ্ট্রে ১৭ হাজার ৯২৩ জন নারী শ্রমিক গেছেন৷ ভারত মহাসাগরঘেঁষা এই দেশটিতে বাংলাদেশি নারী শ্রমিকরা গার্মেন্ট ও মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণে যুক্ত আছেন বলে জানা গেছে৷ এছাড়া হোটেল-রেস্তোরাঁতেও তাঁরা কাজ করছেন৷
ছবি: Imago Images/Zuma/M. Hasan
৮. কুয়েত
শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে আটটিই মধ্যপ্রাচ্যের৷ এর মধ্যে কুয়েতে যাওয়া বাংলাদেশি নারী শ্রমিকের সংখ্যা নয় হাজার ১৯ জন৷
ছবি: Imago Images
৯. মালয়েশিয়া
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে বেশি নারী শ্রমিক গেছেন৷ সংখ্যাটি ছয় হাজার ৬৩৮ জন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Lyn
১০. বাহরাইন
মধ্যপ্রাচ্যের এই দ্বীপরাষ্ট্রে গেছেন চার হাজার ২৯০ জন নারী শ্রমিক৷