1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রসঙ্গ: বিদেশে ‘বাংলাদেশি জঙ্গি'

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২১ জানুয়ারি ২০১৬

বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্যাপারে সরকারের তথ্য রাখা উচিত৷ কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে উদাসীন৷ এটা দেশের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে মনে করেন বিআইপিএসএস-এর প্রধান মেজর জেনারেল এ এন এম মুনীরুজ্জামান (অব.)৷

Screenshot der Internetseite straitstimes.com
ছবি: straitstimes.com

বাংলাদেশে যে ২৬ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে৷ আর বাকি ১২ জনকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়েছে৷ এই ১২ জনের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ মেলেনি বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েনদা বিভাগের উপ-কমিশনার মাশরুকুর রহমান৷ তিনি জানিয়েছেন, ‘‘যে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তারা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানীর অনুসারী৷ তারা সিঙ্গাপুরের মোস্তফা মার্টের কাছে অ্যাঙ্গোলিয়া মসজিদে জড়ো হয়ে বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সদস্য, অর্থ সংগ্রহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতেন৷ মসজিদে প্রতি রবিবার সন্ধ্যায় তারা সমবেত হয়ে জিহাদি বক্তব্য, বয়ান শুনতেন ও জিহাদি ভিডিও দেখতেন৷''

ডিসেম্বরে তাদের ফেরত আসার কথা জানিয়ে ঐ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘‘১৪ জনকে রিমান্ডে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে৷''

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ‘‘যাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে তাদেরও নজরদারিতে রাখা হয়েছে৷''

সিঙ্গাপুরে মোট ২৭ জন বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিককে আটক করা হয়৷ তাদের মধ্যে একজন সেখানে আলাদা একটি মামলার আসামি হওয়ায়, তাকে ফেরত পাঠানো হয়নি৷

মুনীরুজ্জামান

This browser does not support the audio element.

‘বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্ট্যাডিজ' বা বিআইপিএসএস-এর প্রধান মেজর জেনারেল এ এন এম মুনীরুজ্জামান (অব.) ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশের নাগরিকরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আছেন৷ কিন্তু তারা সেখানে কী করছেন, সেখানে তাদের তৎপরতা কী – সে সব তথ্য রাখছে না সরকার৷ রাখার কোনো ব্যবস্থাও নেই৷ মধ্যপ্রাচ্যসহ আরো অনেক দেশে বাংলাদেশিরা আছেন এবং তারা এ ধরনের জঙ্গি ঝুঁকির মধ্যে আছেন৷ তারা যে প্রভাবিত হচ্ছেন না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না৷ এমনকি সিরিয়াও বাংলাদেশি নাগরিকরা রয়েছেন৷''

মুনীরুজ্জামানের কথায়, ‘‘বাংলাদেশকে বাস্তব অবস্থা বুঝতে হবে৷ কোনো তথ্য গোপন করে লাভ নেই৷ কারণ তাতে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে৷ সিংঙ্গাপুরের ঘটনাও আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছিল৷ কারা আটক হয়েছে আর কারা ছাড়া পেয়েছে, এই তথ্য গণমাধ্যম এবং দেশের মানুষকে জানানো উচিত ছিল৷ অবশ্য এক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে৷''

তিনি বলেন, ‘‘আমার জানা মতে, এর আগে মালয়েশিয়াতেও এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে, যা আমরা জানতে পারিনি৷ এ রকম ঘটনা বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করবে৷ শুধু তাই নয়, যারা বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে যাবেন, তারাও চাপের মুখে পড়বেন৷''

‘‘তাই বাংলাদেশের উচিত হবে স্বাধীনভাবে প্রবাসীদের ‘মনিটর' করা এবং বাস্তব অবস্থা জেনে ব্যবস্থা নেয়া৷ কোনো কিছু গোপন করা সমাধান নয়'', জানান মুনীরুজ্জামান৷

আপনারা কি এ এন এম মুনীরুজ্জামানের সঙ্গে একমত? মতামত জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ