মালয়েশিয়ায় কর্মরত এক বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিকের পোর্ট্রেট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে৷ ছবিটিতে রূপালি চোখের তরুণকে ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা গেছে৷
বিজ্ঞাপন
পোর্ট্রেটটি ২১ মার্চ নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেন আলোকচিত্রী আবেদিন মুং৷ এরপর সেটি শুধু সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই পঁচিশ হাজারবারের বেশি রিটুইট হয়েছে৷ এছাড়া সত্তর হাজারের বেশি মানুষ সেটি লাইকও করেছেন৷ শুধু তাই নয়, ছবিটি অনেকে ডাউনলোড করে নিজের মতো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটেও পোস্ট করেছেন৷ সেগুলোও অনেক মানুষের নজর কেড়েছে৷
ছবিটি প্রসঙ্গে আবেদিন মং বলেন, ‘‘আমি প্রথম যখন তাঁকে দেখেছিলাম তখন একটা ‘ভ্লগ' শুট করছিলাম৷ ফলে তখন তাঁর ছবি তোলার সুযোগ হয়নি৷ কিন্তু আজকে আবার তাঁকে একইস্থানে দেখি৷''
তিনি বলেন, ‘‘তখন আমি দ্রুত অন্য ফোনের বদলে পিক্সেল ২ এক্সএল ফোনটি বের করি, কেননা আইফোন এক্সএস ম্যাক্স ফোনে তখন আমি চ্যাট করছিলাম৷''
মং নাকি শুরুতেই বুঝতে পেরেছিলেন যে ছবিটা সুন্দর হবে৷ কেননা বাংলাদেশি তরুণ যেখানে ছিলেন সেখানকার লাইটিং ভালো ছিল৷ পাশাপাশি তাঁর পোশাকও ছিল ছবি তোলার জন্য আদর্শ৷ মোটের উপর তাঁর রূপালি চোখ ছিল বিশেষভাবে আকর্ষণীয়৷
টুইটারে ছবিটি প্রকাশ হওয়ার পর অনেকেই সেটির প্রশংসা করেছেন৷ কেউ কেউ ছবিটিকে ১৯৮৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের কভারে প্রকাশিত এক আফগান কিশোরীর ছবির সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেটি তুলেছিলেন সাংবাদিক স্টিভ ম্যাকক্যারি৷
বাংলাদেশের সফটওয়্যার শিল্প বিষয়ক সংগঠন বেসিস এর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির লিখেছেন, ‘‘আমাদের ফ্যাশন হাউসগুলোর উচিত এই ছেলেটাকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং ব়্যাম্পে তোলা!''
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি এই তরুণের ছবিটি ভাইরাল হওয়ায় যে ফোন দিয়ে ছবিটি তোলা হয়েছে সেটির পরোক্ষ বিজ্ঞাপনও হচ্ছে৷ আলোকচিত্রী আবেদিন মুং ছবিটির ক্যাপশনে এবং পরবর্তীতে দেয়া বক্তব্যে ফোনটির কথা বারংবার উল্লেখ করেছেন৷ তিনি সেটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এজন্য কোনো সুযোগসুবিধা নিয়েছেন কিনা তা অবশ্য জানাননি৷
বুধবার এক টুইটে ছবির তরুণের নাম ইরফান মালিক বলে জানিয়েছেন তিনি৷ পোর্ট্রেটটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই নাকি মালিকের ছবি তুলতে ভিড় করছেন৷
চোখের রং যা জানিয়ে দেয়
মানুষ কথা না বললেও তার চোখের দৃষ্টিই অনেককিছু জানিয়ে দেয়, সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা৷ কিন্তু চোখের মণি রং দেখেও কী কিছু বোঝা যায়? চলুন, জানা যাক সে রহস্যের কথা৷
ছবি: Fotolia
বাদামী চোখ
বাদামী রংয়ের চোখ যাদের, তারা খুব বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল হয়ে থাকেন৷ আর অন্যদের কাছে টানার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে এঁদের৷ আর পেশার ক্ষেত্রে খানিকটা জেদি স্বভাবের যদিও টিমকে ভালোভাবেই চালিয়ে নেওয়ার যোগ্যতা রাখেন৷
ছবি: Colourbox/L. Dolgachov
নীল চোখ
চোখের মণি সাগর বা আকাশের মতো নীল-যেমনই হোকনা কেন, নীল নয়নারা দেখতে সুন্দর তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ তা না হলে কি আর এদের নিয়ে এতো গান কবিতা হয়? তবে চোখের রং যাঁদের নীল তাঁরা নাকি শিশু বয়স থেকেই একটু লাজুক স্বভাবের হয়ে থাকে এবং অল্পতেই দুঃখ পায় বা কেঁদে ফেলে৷ তাছাড়া এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে যে, তাদের প্রায়ই অ্যালকোহলজনিত সমস্যা হয়ে থাকে৷
ছবি: Fotolia/Jürgen Fälchle
সবুজ চোখ
শতকরা মাত্র চার ভাগ মানুষের চোখের রং হয়ে থাকে সবুজ৷ আর সে কারণেই হয়তো সকলের পছন্দ সবুজ চোখের মণি৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ কুইন্সল্যান্ড-এর করা এক সমীক্ষা থেকে বেরিয়ে এসেছে, যে চোখ যাদের সবুজ তারা খুব সৃজনশীল, স্থিতিশীল ও বাস্তববাদী হয়ে থাকেন৷ এবং জীবনে চলার পথে যে কোনো সমস্যাকে সহজে মোকাবিলা করতে পারেন৷
ছবি: Africa Studio/Fotolia
ধূসর চোখ
এই চোখের মানুষ সাধারণত হয়ে থাকে খুবই ভদ্র এবং কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি পছন্দ করেনা৷ তবে অন্যদের পক্ষে তাঁদের মন বোঝা বেশ কঠিন হয়ে থাকে৷ তবে পেশাগত জীবনে তাঁরা বেশ শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারেন এবং টিমের সাথে মিলেমিশে কাজ করতেও ভালোবাসেন৷
ছবি: Soheil Soleimani
মজার তথ্য
যে পুরুষের চোখের রং নীল, সে নাকি সঙ্গিনী পেতে নীল নয়নাকেই খোঁজেন৷ তবে নীল নয়নাদের কিন্তু এ ব্যাপারে বিশেষ কোনো পছন্দ নেই৷ নেদারল্যান্ডসের রটারডামে করা এক সমীক্ষা থেকে এই তথ্যটি জানা যায়৷
ছবি: picture-allianc/dpa/Prokino
তাছাড়া...
বেশ কয়েকটি গবেষণায় জানা যায় মানুষের চোখের মণির রং এর সাথে চরিত্রের অনেকটা মিল থাকে৷ সুইডেনের ও্যরেব্রো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা থেকেও এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে৷ সে সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন মোট ৪০০ জন মানুষ এবং তাঁদের চোখের মণির রং ছিলো বিভিন্ন রংয়ের৷