বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা: জার্মান রাষ্ট্রদূত যা বললেন
১ সেপ্টেম্বর ২০২১০১. শিক্ষার্থী ভিসার ক্ষেত্রে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে কেন?
শিক্ষার্থী ভিসার আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে দূতাবাসের যে সামর্থ্য, ভিসার চাহিদা তার চেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে৷ আবেদনের সংখ্যা আরো বাড়ছে৷ তাই অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার জন্য ‘অপেক্ষার' (waiting) সময় বাড়াতে হচ্ছে৷ করোনা মহামারির কারণে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে৷
০২. শিক্ষার্থী ভিসার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার ‘অপেক্ষার' সময় কত দিন?
২০২০ সালের শুরুর দিকে এ সময় এক বছরের বেশি ছিল৷ অনলাইনে আবেদন পূরণের সময় এই তথ্য দেয়া হয়েছে৷ সব আবেদনকারীকে জানানো হয়েছিল, পরীক্ষা কিংবা ভর্তির সময়সীমা শেষের দিকে থাকলেও অপেক্ষার সময় কমানো সম্ভব নয়৷
০৩. অপেক্ষার সময় দ্রুত কমানোর কোনো উপায় কি আছে?
দুর্ভাগ্যবশত না - ভিসা সেকশনের কাজ নতুন করে সাজানোর অবাস্তব পরামর্শ সত্ত্বেও নয়৷
ভিসা সেকশন যতটুকু সম্ভব আবেদন গ্রহণ ও তা নিয়ে কাজ করছে৷ করোনা মহামারির কারণে আমাদের ক্লায়েন্ট ও কর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভাবতে হচ্ছে৷ সবসময় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হচ্ছে৷ আরো ডকুমেন্ট গ্রহণ সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়ায় গতি আনবে না৷ ভিসার আবেদন নিষ্পত্তির বিষয়টি শুধু কাউন্টারের সংখ্যার উপর নয়, কোনো একজন কর্মীর দক্ষতার উপরও নির্ভর করে৷ ইতিমধ্যে বিপুল সংখ্যক আবেদন পাওয়া গেছে এবং সেই সংখ্যা আরো বাড়ছে৷ অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, অপেক্ষার সময় কমানোর জন্য অ্যাডহক ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া যুক্তিসঙ্গত নয়৷ বরং এতে সমস্যা বাড়ে, এমনকি কাজ স্থগিতও রাখতে হয়৷
০৪. শিক্ষার্থী ভিসা নিষ্পত্তির জন্য কি ‘নতুন টিম’ এসেছে?
না৷ জার্মান দূতাবাস জার্মানি থেকে দুজন নতুন সহকর্মীকে স্বাগত জানিয়েছে৷ তারা বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া সহকর্মীদের জায়গায় এসেছেন৷ দুর্ভাগ্যবশত, তারা অতিরিক্ত কর্মী হিসেবে আসেননি৷ ফলে তাদের আসার কারণে শিক্ষার্থী ভিসা নিষ্পত্তি করতে দূতাবাসের সামর্থ্য বাড়েনি৷ অতীতের মতোই আমাদের সব সহকর্মী কঠিন পরিস্থিতিতে চাপ নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করছেন৷ এমন অসন্তোষজনক পরিবেশে তারাও সমানভাবে ভুগছেন, কিন্তু তারা তাদের সেরাটা করার চেষ্টা করছেন৷
০৫. এই পরিস্থিতিতে ভিসা সেকশন কি শুধু শিক্ষার্থী ভিসা নিয়ে কাজ করতে পারতো না?
আইনগত কারণে ভিসা সেকশন শুধু শিক্ষার্থী ভিসা নিয়ে কাজ করতে পারে না৷ তাছাড়া ফ্যামিলি রিইউনিয়ন ভিসা আবেদনের মতো অনেক জরুরি ও বৈধ ভিসা আবেদনও আছে, যেগুলো বাংলাদেশ-জার্মানি সম্পর্কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট৷ সে কারণে অন্য সব ভিসা আবেদনের চেয়ে শিক্ষার্থী ভিসাকে অগ্রাধিকারে নেয়া ঠিক নয়৷
০৬. দূতাবাস কি এটা নিশ্চিত করতে পারবে যে, শিক্ষার্থীরা জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরিক উপস্থিতির সময়সীমা মিসড করবে না?
ওয়েবসাইটে আবেদন করার সময়ই দূতাবাস সব আবেদনকারীকে জানিয়ে দিয়েছিল যে, পরীক্ষা ও ভর্তির সময়সীমা বিবেচনা করা সম্ভব নয়৷
জেডএইচ/এসিবি (সূত্র: জার্মান দূতাবাস ঢাকা)
দেখুন ২০২০ সালে ছবিঘর...