1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আশা-হতাশার জলবায়ু চুক্তি'

সমীর কুমার দে, ঢাকা১৪ ডিসেম্বর ২০১৫

প্যারিসে সই হওয়া জলবায়ু চুক্তিকে কেউ বলেছেন ইতিবাচক৷ আবার কেউ বলছেন, এটা হতাশার৷ অনেকে একে ‘ঐতিহাসিক অর্জন' বলে বর্ণনা করছেন৷ আর অনেকে বলছেন, এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো উন্নতি হবে না, এটা লোক দেখানো৷

Klimawandel Flusserosion in Bangladesch
ছবি: picture-alliance/dpa/Zakir Hossain Chowdhury

[No title]

This browser does not support the audio element.

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির বা বেলা-র প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমি মনে করি চুক্তি হওয়াটাই ইতিবাচক৷ এই চুক্তির মধ্যে এমন অনেক কিছুই আছে, যা আমরা অনেকদিন ধরে দাবি করে আসছি৷ তবে চুক্তি হলেই তো আর হবে না, এর সঠিক বাস্তবায়ন হয় কিনা – সেটাই এবার দেখার বিষয়৷ এখান থেকে যে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে, সেটা বাস্তুহারা মানুষ আদৌ পান কিনা – তাও কিন্তু নিশ্চিত করতে হবে সরকারকেই৷''

চুক্তির পরপরই ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে টেলিফোনে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান যে, বাংলাদেশ এই চুক্তিতে খুশি৷ তবে চুক্তির বিস্তারিত নথিপত্র বাংলাদেশ আরো বিস্তারিত খুঁটিয়ে দেখবে এবং শীঘ্রই এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তাদের প্রতিক্রিয়াও জানাবে৷

তবে বাংলাদেশে জলবায়ু নিয়ে কাজ করছেন এমন অনেকেই বলছেন যে, এই চুক্তিতে বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তেমন লাভ হবে না৷ উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ুর প্রভাব নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠন কোস্ট-এর সহকারী পরিচালক মুজিবল হক বলেন, ‘‘বরং বাংলাদেশের ভয়াবহ লোকসান হয়ে গেল৷''

তিনি বলেন, ‘‘চুক্তিতে স্পষ্টভাবে লেখা আছে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করা যাবে না৷ এটা বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর দীর্ঘদিনের দাবি৷ কিন্তু যারা ঐতিহাসিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী, তাদের অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে৷ এটা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অধিকার৷ কিন্তু এই চুক্তির ফলে তা ভেস্তে গেল৷''

অন্যদিকে জলবায়ু সম্মেলনে পৃথিবীর সব রাষ্ট্র প্রধানদের একমত হওয়ায় অভিনন্দন জানান বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূস৷ ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ অভিনন্দন জানান৷ এতে বলা হয়, পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি অবিস্মরণীয় মুহূর্ত! আমাদের গ্রহটিকে রক্ষা করার জন্য প্যারিস সম্মেলনে পৃথিবীর সব জাতি একযোগে পদক্ষেপ নিতে একমত হয়েছে৷ এই বৈশ্বিক মতৈক্য পৃথিবীকে শক্তি যোগাবে৷ এই গ্রহের অধিবাসী হিসেবে এই উদ্যোগকে নির্ধারিত সময়ের আগেই বাস্তবে রূপায়িত করা এখন আমাদের উপর নির্ভর করছে৷ সেই সঙ্গে পৃথিবীর সকল মানুষকে অভিনন্দনও জানান ইউনূস৷

ওদিকে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ-এর নির্বাহী পরিচালক আতিক রহমান বলেন, ‘‘এই অর্থ কিভাবে আসবে তা মোটেও পরিষ্কার নয়৷ বরং শব্দের মারপ্যাঁচে অনেক কিছুই চাপা পড়ে যাচ্ছে৷''

তাঁর কথায়, ‘‘এই অর্থ কোথা থেকে আসবে, কে দেবে, কবে দেবে, কিভাবে দেবে আর কাদের দেয়া হবে – সে সব বিস্তারিত এই চুক্তিতে নেই৷ এ সব কারণেই আমাদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে৷''

চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম রাখার কথা বলা হচ্ছে৷ তবে কোস্ট-এর মুজিবল হক বলছেন, শিল্পোন্নত দেশগুলো ছাড় দিতে কতটা সচেষ্ট হবে সেটি নিয়ে তিনি সন্দিহান৷ এবারের চুক্তিতে ২ ডিগ্রির মধ্যে রাখার কথা বলা হয়েছে৷ এরপর তারা চেষ্টা করবে ১.৫ ডিগ্রিতে রাখার৷ এই চেষ্টা কতটা হবে, তা নিয়েই সন্দিহান তিনি৷

আপনার কি মনে হয়, প্যারিসের জলবায়ু চুক্তি কি বাংলাদেশের জন্য সত্যিই নেচিবাচক হয়েছে? জানান আপনার মতামত, নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ