বাংলাদেশে ক্রিকেট এখন একটি আবেগ, জাতীয় আবেগ৷ বাংলাদেশ দলের কোনো খেলা থাকলে দেশের মানুষ যেন সব ভুলে যায়, পরিণত হয় ক্রিকেট পাগলে৷ একসময় ফুটবল নিয়ে মতামাতি ছিল, কিন্তু ক্রিকেট জ্বর অনেক আগেই তাকে হারিয়ে দিয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোনো ভালো খবর পুরো জাতিকে যেমন উদ্বেলিত করে, তেমনি কোনো খারাপ খবরে মুষড়ে পড়েন দেশের মানুষ৷ দেশের প্রতিটি শিশুই আজ বড় হয়ে একজন ক্রিকেটার হতে চায়, হতে চায় সাকিব অথবা তামিম৷ এই আবেগ, ভালোবাসা, ভালোলাগা – যা ক্রিকেটের জন্য, তা নিয়ে বাংলাদেশের স্বপ্ল কী? স্বপ্নটা অনেক বড়৷ স্বপ্নটা ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতা৷ এটা কি এখনই সম্ভব? ক্রীড়া লেখক এবং সাংবাদিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘আমাদের আরো বাস্তবভিত্তিক হতে হবে৷ বুঝতে হবে আমাদের শক্তি সম্পর্কে৷ আর ভাবতে হবে বিশ্বকাপ জয়ে আমাদের আরও কী করা প্রয়োজন, তা নিয়ে৷''
শিরোপা না জিতলেও রেকর্ডে এগিয়ে বাংলাদেশ
ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বের সবগুলো ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ৷ পরাজয়ের এই হিসেব হতাশ করলেও প্রাপ্তি কিন্তু একেবারে কম নয়৷ কিভাবে? দেখুন৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তামিম
ভারতে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল৷ ছয় ম্যাচে ছয় ইনিংস খেলে তাঁর সংগ্রহ ২৯৫ রান৷ বলাবাহুল্য, ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি খেলেননি তিনি৷ সেটা খেললে রান হয়ত আরো অনেক বাড়ত৷ টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ছয়ও মেরেছেন তামিম, মোট ১৪টি৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
হিসেবে দ্বিতীয়, বিবেচনায় সেরা কোহলি
ভারতের ক্রিকেট তারকা বিরাট কোহলি রানের হিসেবে আইসিসি-র ‘মোস্ট রানস’ তালিকায় আছেন তামিমের পর দ্বিতীয় অবস্থানে৷ পাঁচটি ম্যাচ খেলে মোট ২৭৩ রান করেছেন তিনি৷ তবে তাঁকেই ‘প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট’ ঘোষণা করেছে আইসিসি৷ এক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের জো রুট এবং বাংলাদেশে তামিম ইকবালের নামও প্রাথমিক বিবেচনায় রাখা হয়েছিল৷ টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি চারও মেরেছেন কোহলি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Qadri
জো রুট করেছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ রান
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে বিজিত দল ইংল্যান্ডের জো রুটের মোট সংগ্রহ ২৪৯ রান, খেলেছেন ছয়টি ম্যাচ৷
ছবি: GettyImages/AFP/M. Sharma
মুস্তাফিজের রেকর্ড
বাংলাদেশের তরুণ বোলার মুস্তাফিজুর রহমান ইনজুরির কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারেননি৷ তবে দলের জন্য তিনি যে এক বড় সম্পদ, সেটা বোঝাতে তাঁর খুব একটা সময় লাগেনি৷ ভারতের সমাপ্ত বিশ্বকাপে এক ইনিংসে সবচেয়ে সফল বোলার তিনি৷ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২২ রানে পাঁচ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
তবে বোলিংয়ে শীর্ষে মোহাম্মদ নবী
আইসিসি-র বোলিং রেকর্ড অনুযায়ী, সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী৷ সাতটি ম্যাচ খেলে মোট বারোটি উইকেট নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার, ১৬৪ রানের বিনিময়ে৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Bhoot
দ্বিতীয় রশিদ খান
আফগানিস্তানের আরেক বোলার রশিদ খান রয়েছেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে৷ তিনি নিয়েছেন ১১ উইকেট, খেলেছেন সাতটি ম্যাচ আর দিয়েছেন ১৮৩ রান৷ আফগানরা যে ক্রিকেটে শীঘ্রই উপরের দিকে পৌঁছাবেন তার ইঙ্গিতই দিচ্ছে এ সব রেকর্ড৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Bhoot
আছেন সাকিব আল হাসানও
আইসিসি-র ‘মোস্ট উইকেট’ শিকারিদের তালিকায় পাঁচ নম্বরে আছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান৷ ১৬৬ রান দিয়ে দশটি উইকেট নেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ
এ কথা জানে না, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না৷ তবুও জানাচ্ছি, ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০১৬ সালের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷ এই দলই কিন্তু প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হেরেছিল!
ছবি: Getty Images/D. Sarkar
8 ছবি1 | 8
বাংলাদেশ ক্রিকেটের যাত্রাটা ৩০ বছরের৷ আমাদের স্বাধীনতার চেয়েও অনেক কম বয়সি আমাদের ক্রিকেট৷ ১৯৮৬ সালের ৩১শে মার্চ পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ৷ এরপর ২০০০ সালে টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের অভিষেক হয়৷ টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জয়ের পরিসংখ্যান হলো শতকরা ৭.৫২ ভাগ৷ এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৯৩টি খেলায় জয় পেয়েছে মাত্র সাতটি, ড্র করেছে ১৫টিতে আর পরাজিত হয়েছে ৮১টি ম্যাচে৷
তবে ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশে টেস্টের চেয়ে অনেক বেশি সফল৷ ২০১৫ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সফলতা ছিল গর্ব করার মতো৷ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা, ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে ‘হোয়াইটওয়াশ' করা এবং ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজ হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল ‘টাইগাররা'৷
১৮টি ওয়ানডে খেলে তার মধ্যে ১৩টি ম্যাচেই জিতেছে মাশরাফি-সাকিবরা৷ তাই আইসিসি-র ওয়ানডে র্যাংকিংয়েও বাংলাদেশের অনেকখানি উন্নতি হয়েছে৷ পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে সাত নম্বরে উঠে এসেছে তারা৷ অথচ টেস্টের র্যাংকিংয়ে নবম এবং টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে দশম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ দল৷ চারটি সিরিজের সব ক'টির ট্রফি ঘরে রাখার সৌভাগ্যে হয়েছে তাদের৷ তারপরও পর্যাপ্ত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে না বাংলাদেশ৷ আইসিসি-র পূর্ণ সদস্য ১০টি দেশের মধ্যে সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে কম ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছে তারা৷
দেবব্রত মুখোপাধ্যায়
২০১৬ সালে বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ফাইনালিস্ট বা রানার্স আপ৷ ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে হারানো বাংলাদেশের আরেকটি বড় সফলতা৷ এছাড়া এ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাসকিনকে ছাড়া ভারতের বিপক্ষে অসাধারণ খেলেছে বাংলাদেশ৷ অবশ্য জিততে পারেনি তারা৷ ফাইনালেও যেতে পারেনি৷ এখানে দেখা গেছে অভিজ্ঞতার ঘাটতি৷
২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে আর্ন্তজাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের পর থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ৫০টি আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ৷ দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা ওয়ান ডে বা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সফলতা পেয়েছি, ঠিকই৷ কিন্তু এইসব সফলতা টোটাল টিম নির্ভর নয়, অনেকটা খেলোয়াড় বা ব্যক্তি নির্ভর৷ ফলে এই সফললতা দীর্ঘ মেয়াদে ধরে রাখা সম্ভব হয় না৷ বাংলাদেশে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের মতো ক্রিকেটারের জন্ম হয়েছে৷ তাঁদের ব্যক্তিগত পারফরমেন্স অনেক উঁচুতে৷ কিন্তু তাঁদের সঙ্গে দলীয় পারফর্ম্যান্স সেই উচ্চতায় যায়নি৷ আমাদের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নকে হাতের কাছে আনতে হলে দল হিসেবে আরো এগিয়ে যেতে হবে৷''
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাসকিনের বোলিং অবৈধ হওয়া নিয়ে বাংলাদেশের ক্ষোভ আছে, আছে ষড়যন্ত্রের কথা৷ দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ও মনে করেন, ‘‘তাসকিন ষড়যন্ত্রের শিকার৷ বাংলাদেশে ক্রিকেটকে নিয়ে একটি ষড়যন্ত্র আছে৷ আর সেটা হলো ক্রিকেট অর্থনীতির ষড়যন্ত্র৷''
দীপু রায় চৌধুরী
প্রশ্ন হলো, সেই ষড়যন্ত্র বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কি আটকে দিচ্ছে? এর জবাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোচ এবং জাতীয় দলের সাবেক অলরান্ডার দিপু রায় চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ষড়যন্ত্র তো হচ্ছেই৷ তা না হলে তাসকিনকে ঐ সময়ে কেন আটকে দেয়া হবে? এটা অন্য সময়য়েও তো করা যেত৷ আমরা তো আর নতুন করে আরেকজন তাসকিনকে ‘রিপ্লেস' করতে পারিনি৷ তবে এ সব সামনে নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে৷''
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আরো শক্তি অর্জন করতে হলে অবকঠামো ও প্রশিক্ষণ সুবিধা যেমন বাড়াতে হবে, তেমনি ঘরোয়া ক্রিকেটের ওপর জোর দিতে হবে৷ আমাদের ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেটে সময় দিচ্ছে কই? তবে সুযোগও তো নেই৷''
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের গ্রাফটা এগোচ্ছে৷ আমরা আশাবাদী৷ কিন্তু বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয় করতে হলে আমাদের আরো অপেক্ষা করতে হবে৷
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিয়ে অনেক উচ্ছ্বাস আছে, আছে প্রশংসাবাক্য৷ এই উচ্ছ্বাস এবং প্রশংসাবাক্য সাবেক ও বর্তমান বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটারদের৷ বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই বিস্ময় তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসান৷ আইপিএল-এ এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা অপরিহার্য৷ তাই একদিন বিশ্বকাপের স্বপ্ন তো বাংলাদেশ দেখতেই পারে৷
বিশ্বকাপ জয় করতে হলে বাংলাদেশকে আরো কতদিন অপেক্ষা করতে হবে? জানান নীচের ঘরে৷
সাকিব ও সালমা: বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটতারকা
বাংলাদেশের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে কে না চেনেন? বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার এখনো আছেন ওয়ানডে ব়্যাংকিংয়ের শীর্ষে৷ বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেট দলে সালমা খাতুনের ভূমিকা এবং গুরুত্বও সাকিবের মতো৷
ছবি: Getty Images/S. Abdullah
ওয়ানডের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব
আইসিসি-র সর্বশেষ ওয়ানডে ব়্যাংকিং অনুযায়ী এখনো বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান৷ ৪১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছেন বাংলাদেশের এই সাবেক অধিনায়ক৷ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ (৩৬৩) এবং শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশান (৩৪৯)৷আইসিসি ব়্যাংকিং সম্পর্কে আরো জানতে ওপরের প্লাস (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
ক্রিকেটে বাংলাদেশের আরেক ‘অহংকার’ সালমা
বাংলাদেশের ক্রিকেটের কথা উঠলেই একে একে আসে সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাশরাফি, মুস্তাফিজ, সৌম্যদের কথা৷ অথচ প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম সুযোগ-সুবিধা পেয়েও বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররাও কিন্তু কম করছেন না৷ বড় কোনো দলীয় সাফল্য আসেনি ঠিকই, তবে কেউ কেউ একক নৈপুণ্যে বিশ্বসেরাদেরও চমকে দিচ্ছেন৷ খুলনার মেয়ে সালমা আক্তার তেমনই একজন৷ প্রায় নিয়মিতই বাংলাদেশের হয়ে কথা বলে তাঁর বল-ব্যাট৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Tabassum
টেস্টে এখনো দ্বিতীয় সেরা সাকিব
ওয়ানডের মতো একসময় আইসিসি ব়্যাংকিংয়ে টেস্ট ক্রিকেটেরও সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন সাকিব৷ হালে ভারতের রবিচন্দ্রণ অশ্বিনের কাছে শীর্ষস্থানটা হারিয়েছেন৷ হারানো স্থানটি অচিরেই হয়ত ফিরে পাবেন বাংলাদেশ দলে ‘নির্ভরতার প্রতীক’ সাকিব৷ অশ্বিনের (৪০৬) চেয়ে তো মাত্র ২২ পয়েন্ট পিছিয়ে তিনি! ওপরের ছবিতে সস্ত্রীক সাকিব৷
ছবি: Getty Images/AFP
অলরাউন্ডার সালমাই বা কম কিসে!
এবার মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ৷ তবে সালমা ঠিকই নিজের জাত চিনিয়েছেন৷ মেয়েদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সালমা তাই বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন৷ এ মুহূর্তে ব়্যাংকিংয়ে চতুর্থ স্থানে আছেন তিনি৷ ওপরের ছবিতে পাকিস্তানের সানা মীরের সঙ্গে সালমা খাতুন (ডানে)
ছবি: Getty Images/AFP/A. Hassan
সেরা অলরাউন্ডার সাকিব
টি-টোয়েন্টি ব়্যাংকিংয়ে অলরাউন্ডারদের মাঝে সাকিব এখন দ্বিতীয়৷ শীর্ষে রয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন৷ সুতরাং শিগগিরই শীর্ষে ফিরতেই পারেন সাকিব৷ অবশ্য টি-টোয়েন্টির শীর্ষে না উঠলেও সাকিব এমনিতেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, কারণ, টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির অলরাউন্ডারদের ব়্যাংকিংয়ের শীর্ষ তিনে তো শুধু সাবিকই আছেন৷ সব ধরণের ক্রিকেট মিলিয়ে তাই সাকিবই সেরা৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
বোলার সালমা
বাংলাদেশের মেয়েরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো নতুন৷ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার সুযোগও কম৷ তাই এ পর্যন্ত মাত্র ১৮টি ওয়ানডে আর ৩০টি টি-টোয়েন্টি খেলতে পেরেছেন বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে নিয়মিত পারফর্মার সালমা৷ এই সুযোগেই ওয়ানডেতে পেয়েছেন ১৯টি উইকেট আর টি-টোয়েন্টিতে ৩০টি৷ টি-টোয়েন্টি ব়্যাংকিংয়ে বিশ্বের একাদশতম সেরা বোলারও বাংলাদেশের সালমা খাতুন৷ ওপরের ছবিতে ব্যাটিংয়ের প্রস্তুুতি নিচ্ছেন সালমা৷