প্রথম আর শততম টেস্টের মাঝে বাংলাদেশ এমন একটা কাজ করে ফেলেছে, যা আর কেউ পেরেছে বলে মনে হয় না৷ তখন দেশের বাইরে নিয়মিতই শুনতে হতো সমালোচনা আর তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য৷ এখন সব সমালোচক যেন দেশেই৷
ছবি: Getty Images/AFP/Strdel
বিজ্ঞাপন
প্রথম টেস্টের পর থেকেই কোনো দেশকে নিয়ে ‘ধন্য ধন্য' পড়ে গেছে, এমন অবশ্য কখনো হয়নি, সম্ভবত হবেও না৷ এখন যাঁরা ক্রিকেট দুনিয়ার কেউকেটা, তাদের নিয়ে কত কাহিনি ইতিহাসে লেখা৷ প্রথম দিকে তাদেরও কত তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য সইতে হয়েছে৷ এই মুহূর্তে ভারতের সর্বনিম্ন টেস্ট স্কোর নিয়ে মজার একটা গল্প মনে পড়ছে৷ গল্পটি যদিও ৪৩ বছর আগের, কিন্তু সে এত হাস্যকর যে মনে পড়লে এখনো ভীষণ হাসি পায়৷
১৯৭৪ সাল৷ ইংল্যান্ড সফরে গেছে ভারত৷ ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রথম টেস্টটা ১১৩ রানে জিতল ইংল্যান্ড৷ লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজে ফিরবে কি, উল্টো মহালজ্জায় ডুবল ভারত৷ ইংল্যান্ডের ৬২৯ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে টেনেটুনে ৩০২ রান৷ ফলো অন করায় তৃতীয় দিনেই শুরু দ্বিতীয় ইনিংস৷ দিন শেষে ভারতের স্কোর বিনা উইকেটে ২৷ তখন আবার টেস্ট ম্যাচে একদিনের বিশ্রাম থাকতো৷ তো বিশ্রাম নিয়ে-টিয়ে একদিন পরে আবার শুরু হলো সুনীল গাভাস্কার, ফারুক ইঞ্জিনিয়ার, অজিত ওয়াড়েকর, গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথের মতো তারকাসমৃদ্ধ ভারতীয় দলের ব্যাটিং৷ শুরু হতে-না-হতেই মাত্র ৪২ রানে তারা অল আউট৷ পরেরদিন একতরফা ওই ম্যাচ নিয়ে ব্রিটেনের এক দৈনিকে একটা কার্টুন ছাপা হলো৷ এক দর্শক ভারতের উদ্বোধনী জুটিকে মাঠে নামতে দেখে ভেবেছিলেন, ‘‘প্রশ্রাব করে একটু হালকা হয়ে এসে মজা করে ব্যাট-বলের লড়াই দেখি...৷'' কিন্তু প্রশ্রাব সেরে এসে দেখেন ভারত অল আউট! খেলা শেষ! কার্টুনে তো আর সব ঠিকঠাক থাকে না৷ তবে এটা ঠিক, ম্যাচ শেষে সেদিন অনেক দর্শক টিকেটের টাকা ফেরত চেয়েছিলেন৷
যে পাঁচ কারণে টেস্টে পিছিয়ে বাংলাদেশ
টেস্ট ক্রিকিটে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয় ২০০০ সালে৷ পরিসংখ্যানে এখনো বেশ পিছিয়ে সেদেশ৷ এখন পর্যন্ত খেলা ৯৯ টেস্টের মধ্যে হেরেছে ৭৬টিতে, জয় মাত্র আটটি৷ টেস্ট ক্রিকেটে টাইগারদের পিছিয়ে থাকার পাঁচ কারণ জানাচ্ছে এএফপি৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
কম টেস্ট খেলা
বিশ্বের ক্রিকেট পরাশক্তি হিসেবে বিবেচিত ভারত এবং ইংল্যান্ড যেখানে বছরে ২০টির মতো টেস্ট ম্যাচ খেলে, বাংলাদেশ সেখানে গড়ে ছয়টি টেস্ট খেলার সুযোগ পায়৷ মোটের উপর বড় দলগুলোর বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ আরো সীমিত৷ গত ১৭ বছরের মধ্যে ভারতের মাটিতে একবারই টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছে টাইগাররা, তাও গতমাসে৷ ফলে টেস্ট খেলার সুযোগ কম থাকায় খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতায় ঘাটতি থেকে যাচ্ছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/F. K. Godhuly
সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা
গত জুলাইয়ের ঢাকায় সন্ত্রাসী হামলার পরও ইংল্যান্ড বাংলাদেশ সফর করেছিল, যা টাইগারদের জন্য এক ইতিবাচক ব্যাপার৷ সেই সফর না হলে বাংলাদেশের অবস্থা পাকিস্তানের মতো হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল৷ ২০০৯ সালে পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট টিমের উপর হামলার পর সেদেশ সফর করেনি কোনো বিদেশি ক্রিকেট দল৷ তবে ইংল্যান্ড ঢাকা সফর করলেও নিরাপত্তার শঙ্কায় আগের বছর অস্ট্রেলিয়া সেদেশ সফর করেনি৷ আরো কয়েকটি দল সফর সীমিত করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
খেলার মাঠের সংখ্যা কম
৫৫ হাজার বর্গ মাইল দেশের বাসিন্দা ১৬ কোটি মানুষ৷ আর শুধু ঢাকাতেই থাকেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ৷ দেশটিতে খেলার মাঠের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে৷ বিশেষ করে ঢাকাতে সাধারণ মানুষের খেলার মাঠ পাওয়া মুশকিল৷ ফলে তৈরি হচ্ছে না খেলোয়াড়৷ অবস্থা এমন যে, বর্তমান টেস্ট টিমে ঢাকার খেলোয়াড় শুধু একজন, তাসকিন আহমেদ৷
ছবি: Getty Images/Q. Rooney
ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ আয়োজনে দুর্বলতা
যদিও বাংলাদেশে চারদিনের দু’টি ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, কিন্তু সেগুলো বেশ দুর্বল পর্যায়ের৷ নির্দিষ্ট সময়ের ঠিক নেই, নেই প্রফেশনালিজমের ছোঁয়া৷ ফলে সেসব প্রতিযোগিতা আন্তর্জাতিক মানেরতো হয়ই না, অনেকক্ষেত্রে হয়ে পড়ে একপাক্ষিক৷ দেখা যায়, সেসব টুর্নামেন্টে ডাবল সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যানও পরের সপ্তাহে আন্তর্জাতিক ম্যাচে বোল্ড আউট হন দ্রুত৷ টেস্টের মান বাড়াতে গেলে এসব আয়োজনের মানও বাড়াতে হবে৷
ছবি: Getty Images
স্পিনার থাকলেও পেসারের অভাব
বাংলাদেশ দলে আন্তর্জাতিক মানের স্পিনার থাকলেও টেস্ট জিততে ভালো মানের পেসারও প্রয়োজন৷ কিন্তু টিমে পেসারের ঘাটতি রয়ে গেছে৷ যারা সম্ভাবনা তৈরি করেছেন, যেমন মাশরাফি বিন মোর্তুজা, তারা ইনজুরির কবলে পড়েছেন৷ বর্তমানে দলে থাকা দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান এবং তাসকিন আহমেদও ইনজুরির কবলে পড়েছেন একাধিকবার৷ ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য টেস্টের জন্য পেসার তৈরিতে চেষ্টা করছে৷ তবে সেই চেষ্টার ফল এখনও পাওয়া যায়নি৷
ছবি: AP
5 ছবি1 | 5
১৯৭৪ সালের ওই ম্যাচ অবশ্য সেটা ভারতের প্রথম বা প্রথম দিকের টেস্টও নয়৷ তবু ওই ম্যাচের কথা বললাম, কারণ, এখন যেমন টেস্ট ম্যাচে সাকিব-তামিমদের ব্যাটিংযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, সেই ম্যাচের পরে সুনীল গাভাস্কার, ফারুক ইঞ্জিনিয়ার, অজিত ওয়াড়েকরদের নিয়েও একই প্রশ্ন উঠেছিল৷ তাঁরাও বাজে শট খেলেই উইকেট দিয়ে এসেছিলেন৷ অবাক হয়ে অনেকেই ভেবেছিলেন – টেস্ট ব্যাটিংয়ের অ, আ, ক, খ-ও ভুলে গেলেন ভারতের তারকা ব্যাটসম্যানরা?
ভারত তখনো ওয়ানডে খেলা সে অর্থে শেখেইনি৷ তাই বলার উপায় ছিল না যে, সুনীল গাভাস্কাররা অতিরিক্ত ওয়ানডে খেলার কারণে টেস্ট ম্যাচের উপযোগী ব্যাটিং ভুলে গেছেন৷
সাকিব, তামিমরা ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি – দু'টিই খেলছেন সারা বছর৷ টেস্ট খেলছেন ফাঁকফোকরে৷ বল ছাড়তে ভুলে যাওয়া, অফ স্টাম্পের দু'হাত বাইরের বলও তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেয়া – এ সব তো হবেই৷ হতো না, যদি ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত চার দিনের ম্যাচ খেলার বাধ্যবাধ্যকতা থাকতো৷ দেশে চারদিনের ক্রিকেট বলতে গেলে হয়ই না, বর্তমান বা আগামীর সাকিব, তামিম, সৌম্যরা টেস্ট ম্যাচের জন্য তৈরি হবেন কী করে?
কিন্তু এখনো হয় না বলে ভবিষ্যতেও হবে না? হবে হয়তে৷ চলুন স্বপ্নের ভেলায় চড়ে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ডাবল সেঞ্চুরি, অর্থাৎ দু'শ'তম টেস্ট পর্যন্ত এগিয়ে যাই৷
আশীষ চক্রবর্ত্তী, ডয়চে ভেলেছবি: DW/P. Henriksen
ধরুন, ততদিনে ক্রীড়া সাংবাদিকরা এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, আর শুধু বোর্ডের সমালোচনা নয়, নিজেদের দায়-দায়িত্বও স্মরণে রেখে প্রতি দিনের আয়োজনে বড় পরিসরের ক্রিকেটকেও টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে-র মতো গুরুত্ব দেয়া হবে৷
ধরা যাক, তখনকার বিসিবি সভাপতি একেবারেই বাচাল বা প্রচারকাঙাল নন৷ ধরা যাক, ততদিনে বিসিবি ভাষণ-তোষণ ছেড়েছে আর স্বল্প পরিসরের ম্যাচের সাফল্যে তৃপ্তির ঢেঁকুড় তুলে তুলে ক্লান্তও হয়েছে৷ ক্লান্তি ভুলতে ঘরোয়া ক্রিকেটকে ঢেলে সাজিয়ে ত্রিমাত্রিকতা দিয়েছে৷ সব বিভাগীয় শহর তো বটেই, অজপাড়াগাঁয়েও লিগ হচ্ছে৷ বিসিবির পাশাপাশি কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটারও খালেদ মাসুদ পাইলটের মতো অ্যাকাডেমি গড়েছেন৷ অ্যাকাডেমিগুলো থেকে নিয়মিত বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন ক্রিকেটার৷ পাইপলাইনে ক্রিকেটারের অভাব নেই৷ ফলে টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে দল গড়েও ৭-৮ জন অন্তত এমন থাকেই যারা প্রকৃত অর্থেই লঙ্গার ভার্সন ক্রিকেট স্পেশালিস্ট৷
যে ১৬টি টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ
সেই ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১২৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা৷ তার মধ্যে জয় এসেছে ১৬টিতে৷ চলুন জেনে নিই সেই টেস্টগুলোর কথা৷
ছবি: Marty Melville/Photospor/AP/picture alliance
জানুয়ারি ১-৫ (২০২২), প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডকে তাদেরই মাটিতে হারিয়ে টেস্টে ঐতিহাসিক এক জয় পায় বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে যেকোনো ফরম্যাটেই এটি বাংলাদেশের প্রথম জয়। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথম টেস্টের শেষ দিনে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে মুমিনুলবাহিনী।
ছবি: Marty Melville/Photospor/AP/picture alliance
জুলাই ৭-১১ (২০২০) প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে
হারারের একমাত্র টেস্ট ২২০ রানে জিতেছে সফরকারীরা। বাংলাদেশের দেওয়া ৪৭৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পঞ্চম দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবোয়ে অলআউট হয় ২৫৬ রানে। এই জয়ের অন্যতম রূপকার মেহেদী হাসান মিরাজ।
মুশফিকুর রহিমের দ্বিশতক (২০৩) আর মুমিনুলের শতকে (১৩২) ভর করে বাংলাদেশ জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে এক ইনিংস ও ১০৬ রানের জয় পায়৷ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবোয়ে ২৬৫ রান করেছিল৷ এরপর বাংলাদেশ খেলতে নেমে ছয় উইকেটে ৫৬০ রান তোলে৷ পরের ইনিংসে জিম্বাবোয়ে ১৮৯ রান করে অলআউট হয়ে যায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. U. Zaman
নভেম্বর ৩০-ডিসেম্বর ২, ২০১৮ প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ
মিরপুর টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১৮৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ৷ এই প্রথম প্রতিপক্ষকে ফলো অন করানো ও ইনিংস ব্যবধানে জয়ের অনির্বচনীয় দুটি স্বাদ দল পেল একদিনেই৷ দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০তে জয়৷ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ৷ ১১৭ রানে ১২ উইকেট, বাংলাদেশের হয়ে এক ম্যাচে সেরা বোলিংয়ের কীর্তি৷ ম্যান অব দা ম্যাচ মেহেদী হাসান মিরাজ৷ ম্যান অব দা সিরিজ সাকিব আল হাসান৷
ছবি: Picture-alliance/AP Photo/A.M. Ahad
নভেম্বর ২২-২৪, ২০১৮ প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ
প্রতিপক্ষকে দুই ইনিংস মিলিয়ে সবচেয়ে কম বলে দুবার অলআউট করে জেতা ম্যাচের নতুন রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ৷ আড়াই দিনে টেস্ট জিতেছিল টাইগাররা৷ সাড়ে সাত সেশনের মতো খেলা হয়েছে এই টেস্টে৷ এটিই টেস্টে বাংলাদেশের দ্রুততম জয়৷ নাঈম হাসান প্রথম ইনিংসে পেয়েছেন ৫ উইকেট৷ দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল পেয়েছেন ৬ উইকেট৷ মুমিনুল হক পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. U. Zaman
নভেম্বর ১১-১৫, ২০১৮ প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে
জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ২১৮ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ৷ সিরিজ ১-১ ড্র৷ ৪৪৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দ্বিতীয় সেশনে জিম্বাবুয়ে থামে ২২৪ রানে৷ ৩৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সফলতম বোলার মেহেদী হাসান মিরাজ৷ দ্বিশত হাঁকিয়ে ম্যাচ সেরা মুশফিকুর রহিম৷ সিরিজ সেরা হয়েছেন তাইজুল ইসলাম৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
জানুয়ারি ৬-১০, ২০০৫, প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে: বাংলাদেশ ২২৬ রানে জয়ী
টাইগাররা প্রথমবারের মতো টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় চট্টগ্রামে৷ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৪৮৮ রান তোলে স্বাগতিকরা৷ আর দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ৯ উইকেটে ২০৪ রান করে৷ প্রথম ইনিংসে জিম্বাবোয়ের স্কোর ছিল ৩১২ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৪ রান৷
ছবি: Getty Images/AFP
জুলাই ৯-১৩, ২০০৯, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ: বাংলাদেশ ৯৫ রানে জয়ী
দেশের বাইরে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জয়ের দেখা পায় ২০০৯ সালের ১৩ জুলাই৷ কিংসটাউনে সেই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯৫ রানে হারায় টাইগাররা৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Samad
জুলাই ১৭-২০, ২০০৯, প্রতিপক্ষ ওয়েস্টইন্ডিজ: বাংলাদেশ চার উইকেটে জয়ী
সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ছিল সাফল্যে ঠাসা৷ দ্বিতীয় টেস্টে সেন্ট জর্জেসে স্বাগতিকদের হারায় টাইগাররা, সেবার জিতেছিল চার উইকেটে৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Brooks
এপ্রিল ২৫-২৯, ২০১৩, প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে: বাংলাদেশ ১৪৩ রানে জয়ী
জিম্বাবোয়ের হারারেতে স্বাগতিকদের আবার ‘বধ’ করে টাইগাররা৷ প্রথম ইনিংসে ৩৯১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৯১ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ৷ জবাবে প্রথম ইনিংসে ২৮২ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৭ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবোয়ে৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Njikizana
অক্টোবর ২৫-২৭, ২০১৪, প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে: বাংলাদেশ তিন উইকেটে জয়ী
ঢাকায় বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়৷ তিন দিনে শেষ হওয়া সেই টেস্টে শুরুতে ব্যাট করতে গিয়ে প্রথম ইনিংসে ২৪০ রান করে জিম্বাবোয়ে৷ আর দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ছিল ১১৪৷ অন্যদিকে, প্রথম ইনিংসে ২৫৪ আর দ্বিতীয় ইনংসে ৭ উইকেটে ১০৭ রান তুলে জিতে যায় স্বাগতিকরা৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
নভেম্বর ৩-৭, ২০১৪, প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে: বাংলাদেশ ১৬২ রানে জয়ী
খুলনায় জিম্বাবোয়েকে হারায় বাংলাদেশ৷ সেই টেস্ট পাঁচ দিন পর্যন্ত গড়ালেও শেষমেশ তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি জিম্বাবোয়ে৷ ফলাফল স্বাগতিকদের ১৬২ রানের জয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
নভেম্বর ১২-১৬, ২০১৪, প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে: বাংলাদেশ ১৮৬ রানে জয়ী
আবারো চট্টগ্রামে জিম্বাবোয়েকে হারায় টাইগাররা৷ সেবার ব্যবধান ছিল ১৮৬ রানের৷
ছবি: Getty Images/AFP/Strdel
অক্টোবর ২৮-৩০, ২০১৬, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড: বাংলাদেশ ১০৮ রানে জয়ী
এখন পর্যন্ত বড় কোনো ক্রিকেট শক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের একমাত্র টেস্ট জয় এটি৷ ঢাকায় ইংল্যান্ডকে নাস্তানাবুদ করে টাইগাররা৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
মার্চ ১৫-১৯, ২০১৭, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা: বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী
একদিকে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের শততম ম্যাচে জয়, অন্যদিকে প্রথমবারের মত শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয়-দুই দিক দিয়েই ঐতিহাসিক বাংলাদেশের এই টেস্ট ম্যাচটি৷ পঞ্চম দিনে ৪ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা৷ ম্যাচ সেরা হয়েছেন তামিম ইকবাল৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. S. Kodikara
আগস্ট ২৭-৩০, ২০১৭, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া: বাংলাদেশ ২০ রানে জয়ী
প্রথমবারের মত অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশ ইতিহাস গড়ে৷ এটা ছিল সাকিব ও তামিমের ৫০তম টেস্ট। সাকিব মোট ১০ উইকেট নিয়ে এবং তামিম দুই ইনিংসেই অর্ধশত করে স্মরণীয় করে রাখলেন এই টেস্টকে৷ ম্যাচ সেরা সাকিব আল হাসান৷ দ্রষ্টব্য: ইএসপিএন ক্রিকইনফো থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ছবিঘরটি তৈরি করা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
16 ছবি1 | 16
এবং ধরা যাক, ২০৩৪ সালের এমন সময়েই টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের ডাবল সেঞ্চুরির ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ৷ কাকতালীয়ভাবে অভিষেক টেস্টের মতো সেই ম্যাচেও বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত৷ ৩৪ বছরে টেস্ট ম্যাচে বেশ হাত পাকানো বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতে গেল! তখন সুকান্তের ওই কবিতাটা মনে পড়বেই, ‘‘সাবাস বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়...৷''