1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশুদের জন্য এভারেস্ট জয়

দানিয়েল পিন্টু লপেশ/এসি৭ জুন ২০১৩

বাংলাদেশের গরীব ছেলে-মেয়েদের সাহায্য করাই এই প্রাক্তন এয়ার হোস্টেস মারিয়া দা কঁসেইসাঁও-এর জীবনের উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ নিজ প্রকল্পের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করেছেন এই পর্তুগিজ নারী৷

FOTO: Maria in Everest with Portuguese flag.JPG Titel: Maria in Everest with Portuguese flag.JPG Schlagworte: Maria da Conceição, Everest, Maria Cristina Foundation Wer hat das Bild gemacht?: Maria da Conceição Wann wurde das Bild gemacht?: Kein Information Wo wurde das Bild aufgenommen?: Mount Everest Bildbeschreibung: Bei welcher Gelegenheit / in welcher Situation wurde das Bild aufgenommen? Wer oder was ist auf dem Bild zu sehen? The photos shows Maria da Conceição at the top of Mount Everest with Portuguese flag. In welchem Zusammenhang soll das Bild/sollen die Bilder verwendet werden?: Artikel / Bildergalerie / Dossier (Nichtzutreffendes bitte löschen, u. U. genauere Angaben ergänzen) Bildrechte: (Grundsätzlich nur eine Variante möglich, Nichtzutreffendes bitte löschen.) - Der Fotograf / die Fotografin ist (freie) Mitarbeiter(in) der DW, so dass alle Rechte bereits geklärt sind. Copyrightangabe: Maria da Conceição Thematische oder zeitliche Nutzungsbeschränkungen: ----
Mount Everest Portugal Flaggeছবি: DW/M. da Conceição

মারিয়া দা কঁসেইসাঁও ছিলেন এমিরেটস এয়ারলাইনস-এর ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্ট৷ আট বছর আগের কথা৷ মারিয়া তখন থাকতেন মেঘলোক আর স্বপ্নজগতে: ফার্স্ট ক্লাস ফ্লাইট, ফাইভ স্টার হোটেল৷ হঠাৎ একদিন ঢাকায় একটি ‘স্টপওভার' কঠিন বাস্তব সম্পর্কে তাঁর চোখ খুলে দেয়৷

‘‘আমি যে দারিদ্র্য দেখি, তা উপেক্ষা করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না, উপেক্ষা করে এয়ার হোস্টেসের দৈনন্দিন রুটিনে ফিরে আসা সম্ভব ছিল না,'' ডয়চে ভেলেকে বলেছেন মারিয়া৷ তখন থেকেই মারিয়ার ‘ঢাকা প্রোজেক্ট'-এর শুরু৷ আজ অবধি সেই প্রকল্প থেকে বাংলাদেশের প্রায় ছ'শো দরিদ্র ছেলে-মেয়েকে সাহায্য করা সম্ভব হয়েছে: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অন্ন, বস্ত্র, সমাজকল্যাণ, সর্বক্ষেত্রেই সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে মারিয়ার ‘ঢাকা প্রকল্প'৷

‘‘আমি যে দারিদ্র্য দেখি, তা উপেক্ষা করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না'': মারিয়াছবি: Shanewaz Chowdhury

দাতব্য প্রকল্প দাতাদের উপর নির্ভর৷ মারিয়ার প্রকল্পের জন্য অনুদান আসে প্রধানত দুবাই থেকে, আবার তাঁর স্বদেশ পর্তুগাল থেকেও অনেকে দান করেন৷ মারিয়া শুধু শিশুদের কথাই ভাবেননি, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য একটি প্রকল্প শুরু করেছেন, যার নাম ‘‘ক্যাটালিস্ট''৷ ধারণাটা সহজ: ছোটদের সাহায্য করতে গেলে আগে অভিভাবকদের সাহায্য করা প্রয়োজন৷

আট বছর আগে মারিয়া ঢাকার রাস্তায় এই সব ছেলে-মেয়েদের দেখেন, যাদের ‘‘কোনো অধিকার নেই'', যাদের মানুষ ভুলে গেছে, যারা উপেক্ষিত, অবহেলিত৷ একজন বিদেশি এসে তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করছে: বাংলাদেশের সকলেই যে তা-তে বিশেষ খুশি হয়েছেন, এমন নয়৷ নানারকম সরকারি বিধিনিষেধ, আমলাতন্ত্রের কথা বললেন মারিয়া, যে কারণে তিনি আজও তাঁর প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে বাধা পান৷ ‘‘ওদের দেশে আমি স্বাগত নই৷ ওরা আমাকে ভিসা দিতে চায় না,'' বলেছেন মারিয়া৷ গতবছর তাঁর বিরুদ্ধে মানুষ পাচারের অভিযোগও ওঠে৷

অর্থ সংগ্রহের জন্য এভারেস্টেও আরোহণ করেন মারিয়া...ছবি: DW/S. Nestler

তবুও মারিয়া তাঁর কাজ চালিয়ে গেছেন৷ এবং তা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও, যদিও সেই সংকটে অন্যান্য দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মতোই তাঁর প্রকল্পেও অনুদানের পরিমাণ কমে গেছে৷ শেষমেষ মারিয়া তাঁর ঢাকা প্রকল্প ঢেলে সাজাতে বাধ্য হন, নতুন নাম রাখেন ‘মারিয়া ক্রিস্টিনা ফাউন্ডেশন' – নিজের নামে নয়, তাঁর পালিকা মাতার নামে৷

ফাউন্ডেশনটির কাজের ধরন অভিনব: মূল লক্ষ্য হলো অভিভাবকরা৷ মেধাবী ছেলে-মেয়েদের বৃত্তি পাবার সম্ভাবনা থাকলে সেই প্রক্রিয়ায় এভাবে সাহায্য করে মারিয়ার ফাউন্ডেশন৷ এমনকি ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে আয়োজন করেছেন মারিয়া, যা-তে ঐ অভিভাবকরা ইংরিজি শিখে দুবাইয়ে কাজ করতে পারেন৷ কপর্দকশূ্ন্য অবস্থায় এই মানুষগুলো আমিরাতে আসেন: তাদের দেখাশোনার পূর্ণ দায়িত্ব নেয় মারিয়ার ফাউন্ডেশন৷ এভাবে প্রায় ছ'শো দুঃস্থ শিশুকে সাহায্য করা সম্ভব হয়েছে৷

এই শিশুদের সত্যি সত্যিই ভালোবেসে ফেলেছেন মারিয়া...ছবি: DW/M. da Conceição

মারিয়ার আসল দায়িত্ব হলো তাঁর ফাউন্ডেশনের জন্য অর্থসংগ্রহ৷ সেজন্য চাই ‘মিডিয়া ভিজিবিলিটি' – মারিয়া তা-তেও পিছপা নন৷ তাঁর মাথায় আইডিয়া আসে: একটা ভালো কাজে এভারেস্টে চড়লে কেমন হয়? যেমন কথা, তেমনি কাজ৷ দুবাইতে এক মাস হাড়ভাঙা ট্রেনিং নেওয়ার পর মারিয়া দা কঁসেইসাঁও সত্যিই বিশ্বের সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণ করেন, প্রথম পর্তুগিজ মহিলা হিসেবে৷

তাঁর পরের ‘পাগলামো' হলো ‘সাত-সাত-সাত', অর্থাৎ সাতদিনে সাতটি মহাদেশে সাতবারের ম্যারাথন দৌড়৷ তিনি সে অসাধ্যসাধন করবেন তাঁর প্রকল্পের কল্যাণে, বাংলাদেশের সেই সব পথের শিশুদের কল্যাণে, যাদের ভাগ্য তাঁর নিজের ভাগ্যই বদলে দিয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ