বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসী নারীদের জঙ্গি সংগঠন আইএস-এ যোগ দেয়ার খবর এর আগে পাওয়া গেলেও এবার বাংলাদেশ থেকে নারীদের আইএস-এ যোগদানের খবর জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম৷
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘‘অল্প কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি তরুণের আইএস-এ যোগদানের খবর আমাদের কাছে আছে৷ তাদের মধ্যে কয়েকজন নারীও রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে৷’’ তবে তাদের পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানাননি পুলিশের এই কর্মকর্তা৷
তুরস্ক থেকে তরুণী ফেরত পুলিশ জানায়, বাংলাদেশি এক তরুণী মাইরুনা ফারহিন (১৯) আইএস-এ যোগ দিতে ঢাকা ত্যাগের পর তাকে আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে৷ সে আইএস-এ যোগ দিতে গত মাসে তুরস্কের উদ্দেশ্যে টার্কিশ এয়ারলাইনস যোগে ঢাকা ত্যাগ করেছিল৷ এরপর বাংলাদেশ দূতাবাস অতি জরুরি ভিত্তিতে একটি কূটনৈতিক নোট ভারবালের মাধ্যমে বিষয়টি তুরস্ক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়৷ তুরস্কের ন্যাশনাল পুলিশের ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্ট মাইরুনা ফারহিনকে দ্রুত শনাক্ত করে তাকে তুরস্কে প্রবেশের অনুমতি দানে বিরত থাকে৷ কামাল আতাতুর্ক বিমানবন্দর থেকেই ৫ই মে’র ফিরতি ফ্লাইটে তাকে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়৷
দুজনের পর আরও একজন গ্রেপ্তার
চলতি মাসেই পুলিশ আমিনুল ইসলাম বেগ (৩৫) ও সাকিব বিন কামাল (৩০) নামে দু’জন আইএস সদস্যকে আটক করে৷ তাদের মধ্যে আমিনুল বরিশাল ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলেন৷ পরে মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন৷ দেশে কয়েকটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করার পর সর্বশেষ কোকাকোলায় আইটি বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেন৷ আর সাকিব ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে লেখাপড়া শেষ করে লালমাটিয়ার একটি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছিলেন৷
ডিএমপি’র যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আমিনুল আইএসের নির্দেশিত খিলাফত প্রতিষ্ঠায় কাজ করছিল৷ এজন্য তিনি বিভিন্নভাবে প্রচার, গোপনে অর্থ ও কর্মী সংগ্রহ, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যার পরিকল্পনাসহ বিভিন্নভাবে আইএসের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছিলেন৷’’
আইএস কী, কোথায় এবং কেন?
প্রতিদিনই খবরে আইএস৷ কোনোদিন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য, কোনোদিন হয়তো ইরাক বা সিরিয়ায় কোনো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য৷ আইএস বলছে, ইসলামি খেলাফত কায়েম করার জন্য যুদ্ধে নেমেছে তারা৷ ছবিঘরে আইএস সম্পর্কে কিছু তথ্য....
ইসলামিক স্টেট বা আইএস আসলে কী?
আল কায়েদা থেকে তৈরি হওয়া সুন্নি মুসলমানদের জঙ্গি সংগঠন আইএস৷ সাদ্দাম পরবর্তী সময়ে ইরাকে এবং বাশার আল আসাদের আমলে সিরিয়ায় সুন্নিদের হতাশা থেকেই জন্ম সংগঠনটির৷ আইএস-এর পতাকায় লেখা থাকে, ‘মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর নবী’ এবং ‘আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই৷’
ছবি: AP
আইএস কোথায় সক্রিয়?
শরিয়া আইন অনুযায়ী পরিচালিত হবে এমন রাষ্ট্র, বা ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায় আইএস৷ সিরিয়া এবং ইরাকেই প্রত্যক্ষভাবে সক্রিয় তারা৷ দুটি দেশেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগে বেশ বড় অঞ্চল দখল করে নিয়েছে আইএস৷
আইএস কেন আলাদা?
মূলত নিষ্ঠুরতার জন্য৷ শত্রুপক্ষ এবং নিরীহ মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়াতে তারা এমন বর্বরতা এবং নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করে যা আগে কেউ করেনি৷ জবাই করে ভিডিও প্রচার, পুড়িয়ে মারা, বাবার সামনে মেয়েকে জবাই করা এবং তার তার ভিডিও প্রচার, মেয়েদের যৌনদাসী বানানো আর পণ্যের মতো বিক্রি করা – এসব নিয়মিতভাবেই করছে আইএস৷ কোনো অঞ্চল দখলে নেয়ার পর সেখানে শাসন প্রতিষ্ঠায় মন দেয় আইএস৷
ছবি: gebphotography - Fotolia.com
অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক
আইএস যদিও শুধু সিরিয়া এবং ইরাকেই সক্রিয়, তবে বিশ্বের অন্যান্য ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন নয়৷ নাইজেরিয়ার জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম কয়েকদিন আগেই জানিয়েছে, আইএস-কে তারা সমর্থন করে৷ দুটি সংগঠনের মধ্যে একটি জায়গায় মিলও আছে৷ আইএস-এর মতো বোকো হারামও নিষ্ঠুরতা এবং বর্বরতার প্রতিভূ হয়ে উঠেছে৷ অন্য ধর্মের নারীদের প্রতি দুটি সংগঠনের দৃষ্টিভঙ্গি এবং আচরণই মধ্যযুগীয়৷
ছবি: Getty Images/A. Katib
আইএস-এর অনুসারী কারা?
অনুসারী সংগ্রহের সাফল্যেও আইএস অন্য সব জঙ্গি সংগঠনের চেয়ে আলাদা৷ এ পর্যন্ত অন্তত ২০ হাজার বিদেশী যোদ্ধা আইএস-এ যোগ দিয়েছে৷ তাদের মধ্যে ৪ হাজারই পশ্চিম ইউরোপ এবং উত্তর অ্যামেরিকার৷
আইএস-কে রুখতে অন্য দেশগুলো কী করছে?
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বেশ কিছু পশ্চিমা এবং আরব দেশ সিরিয়া ও ইরাকে আইএস ঘাঁটির ওপর বিমান থেকে বোমা হামলা চালাচ্ছে৷ বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সিরিয়ায় ১৪২২ এবং ইরাকে ২২৪২ বার হামলা হয়েছে৷ কোনো কোনো সরকার দেশের অভ্যন্তরেও কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে৷ সিরিয়া ফেরত অন্তত ৩০ জন সন্দেহভাজন জঙ্গির বিচার শুরু করবে জার্মানি৷ গত মাসে সৌদি পুলিশও ৯৩ জন সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে৷
6 ছবি1 | 6
তিনি জানান, ‘‘অন্তত ২০ জনের একটি গ্রুপ করে আমিনুল আইএসের আদর্শ প্রচার করছিলেন৷ তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া সাকিব ওই ২০ জনের একজন৷’’ পুলিশের এই কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, ‘‘ওই দুজনের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে পরে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তারা জানিয়েছে তাদের গ্রুপের ৫/৬ জন আইএস-এ যোগ দিতে বাংলাদেশ ছেড়েছে৷ তাদের মধ্যে নারী সদস্যও রয়েছে বলে তারা স্বীকার করেছে৷ আর যারা জিহাদে যেতে প্রস্তুত তাদের মধ্যেও বাংলাদেশি নারী আছেন৷ তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে৷’’ প্রথম তথ্য বাংলাদেশে আইএস এর অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রথম জানা যায় ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে সামিয়ূন নামে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিককে ঢাকায় গ্রেপ্তারের পর৷ সামিয়ূন আইএস এর জন্য কর্মী সংগ্রহের উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশে এসেছিল বলে তখন দাবি করেছিল গোয়েন্দা কর্মকর্তারা৷
আর গত মাসে ঢাকার মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র আশেকুর রহমানের সিরিয়ায় আইএস-এ যোগদানের খবর নিয়ে তোলপাড় হয় বাংলাদেশে৷ তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হলেও ফিরিয়ে আনা যায়নি৷
হত্যা, আতঙ্ক আর ঘৃণায় আইএস
শুধু ইরাক আর সিরিয়া নয়, আজকাল বিশ্বের অনেক দেশেই ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর তৎপরতার কথা শোনা যায়৷ খেলাফত কায়েমের কথা বলে মধ্যপ্রাচ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা জঙ্গি সংগঠনটিকে নিয়েই আমাদের আজকের ছবিঘর৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jordan News Agency
তাদের কাছে নারী যেন বাজারের পণ্য
অনেক সময় আটক নারী ও শিশুদের আইএস জঙ্গিরা যৌন দাস হিসেবে ব্যবহার করে৷ সম্প্রতি আইএস-এর কবল থেকে পালিয়ে আসা ৪০ জনেরও বেশি ইয়াজিদি নারীর সঙ্গে কথা বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ নারী ও শিশুদের সঙ্গে আইএস-এর এমন আচরণে নিন্দা জানিয়েছেন সবাই৷
ছবি: DW/Andreas Stahl
সাংবাদিক, এনজিওকর্মী হত্যা করে হুমকি
তাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা বন্ধ না করায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে নিরপরাধ মানুষ হত্যার বেশ কিছু নজীর গড়েছে আইএস৷ বিমান হামলার প্রতিশোধের কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রের দু’জন সাংবাদিক, একজন এনজিও কর্মী এবং ব্রিটেনের দু’জন এনজিও কর্মীর শিরশ্ছেদ করেছে তারা৷ ওপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক জেমস ফলিকে৷ গত আগস্টে তাঁর শিরশ্ছেদ করে ভিডিওচিত্র প্রচার করে আইএস৷
ছবি: dapd
মুসলমান হলেও রক্ষা নেই....
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সিরীয় শরণার্থীদের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন পিটার কাসিগ৷ মুসলমান হিসেবে তাঁর নাম হয়েছিল আব্দুল রহমান কাসিগ৷ গত নভেম্বরে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় তাঁকেও হত্যা করে আইএস৷ হত্যার পর ভিডিও চিত্রও প্রকাশ করা হয়৷ নৃশংস এ ঘটনাকে ‘শয়তানের কাজ' হিসেবে বর্ণনা করেন বারাক ওবামা৷
ছবি: picture-alliance/AP/Kassig Family
জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি, তারপর...
জাপানের দুই নাগরিককে জিম্মি করে প্রথমে ২০০ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দাবি করে আইএস৷ মুক্তিপণ না পাওয়ায় হারুনা ইউকাওয়াকে হত্যা করলেও সাংবাদিক কেনজি গোতোকে আটকে রাখে৷ গোতো এবং জর্ডানের বৈমানিক আইমান মাজ-আল-কাসাবেহকে জিম্মি করে তাঁদের প্রাণের বিনিময়ে জর্ডানে আটক আইএস-এর এক নারী যোদ্ধার মুক্তি দাবি করা হয়৷ তাঁকে মুক্তি না দেয়ায় কেনজি গোতো এবং আইমান মাজ-আল-কাসাবেহকে হত্যা করে আইএস৷
ছবি: Reuters/www.reportr.co via Reuters TV
ইরাকে শুরু....
গত বছরের জুন মাসে ঝটিকা আক্রমণের ইরাকের মোসুল দখল করে নেয় আইএস৷ সুন্দিদের এই জঙ্গি সংঠনটি তারপর ইরাকের বেশ বড় একটা অংশে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে৷ সিরিয়াতেও দখল করে নেয় কিছু এলাকা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
বাংলাদেশেও তৎপর আইএস...
আইএস সরাসরি যুদ্ধ করছে ইরাক আর সিরিয়ায়৷ যোদ্ধা সংগ্রহ করা হচ্ছে বিশ্বের প্রায় সব প্রান্ত থেকে৷ জার্মানি, বৃটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের মতো ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে জঙ্গি মনোভাবাপন্নরা গিয়েছে ইরাক, সিরিয়ায়৷ এশিয়ার দেশগুলোতেও তৎপর আইএস৷ বাংলাদেশেও আইএস সমর্থক সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েকজনকে৷
ছবি: Reuters
জুতার নীচে আইএস!
আইএস-এর প্রতি ঘৃণাও বাড়ছে সারা বিশ্বে৷ ইরাকের স্থপতি আকীল খ্রীফ তো আইএস জঙ্গিদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে বেছে নিয়েছেন অভিনব এক উপায়৷ পুরোনো জুতা সংগ্রহ করে তার নীচে জুতার পরিত্যক্ত ফিতা, বোতাম ইত্যাদি দিয়ে ফুটিয়ে তুলছেন আইএস জঙ্গিদের চেহারার আদল৷ আকীল খ্রীফ মনে করেন, আইএস জঙ্গিদের স্থান জুতার নীচেই হওয়া উচিত৷
ছবি: Armend Nimani/AFP/Getty Images
বৈমানিককে পুড়িয়ে মারা এবং জর্ডানের ‘প্রতিশোধ’
আটক নারী যোদ্ধাকে মুক্তি না দেয়ায় জর্ডানের বৈমানিক আইমান মুয়াত আল-কাসেসবেহ-কে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারে আইএস৷ ক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা ব্যবস্থা নিতেও দেরি করেনি জর্ডান৷ আইমান মুয়াত আল-কাসেসবেহ-কে (ওপরের ছবি) হত্যা করে আইএস ভিডিও প্রকাশের পরই তাদের নারী যোদ্ধা সাজিদা আল-রিশোয়াই ও আরেক কর্মীকে ফাঁসিতে ঝোলায় জর্ডান সরকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jordan News Agency
8 ছবি1 | 8
এর আগে গত আগস্টে ইউটিউবে প্রকশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, পাঁচজন ‘বাংলাদেশি’ যুবক ইসলামিক স্টেট (আইএস) প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির কাছে জিহাদের শপথ নিচ্ছেন৷ তারা শপথ নেন বাংলায়৷
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশে আইএস-এর জন্য ছোট ছোট গ্রুপে কাজ করছে জঙ্গিরা৷ আর তাদের প্রতিটি গ্রুপেই নারী সদস্য আছে৷
গত আট মাসে এপর্যন্ত কমবেশি ২৫ জনকে আইএস এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে৷ তারা সিরিয়া অথবা ইরাকে গিয়ে আইএস-এ যুক্ত হয়ে ‘জিহাদ’এ অংশ নিতে ব্যাকুল ছিলেন৷ আর তাদের কাছ থেকেই বাংলাদেশি তরুণ এবং তরুণীদের আইএস-এ যোগদানের খবর পাওয়া যায়৷
বাংলাদেশে যেসব নারী-পুরুষ আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন তাদের প্রায় সবাই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত৷ আর যারা ছাত্র তারা নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করেন৷ তাদের পরিবারও বিত্তশালী৷
বিশেষজ্ঞ মত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক এবং অপরাধ বিজ্ঞানী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘প্রথমত একটি অংশ হিরোইজম থেকে আইএস-এর দিকে ঝুঁকছে৷ এছাড়া বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিরা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় এখানে সক্রিয়৷ সমাজের সংস্কৃতির মধ্যে একধরণের মৌলবাদের উপাদান আছে, যা এদের বিপথগামী করছে৷ আর উচ্চবিত্তদের সন্তানরা যেহেতু প্রযুক্তি সুবিধা বেশি পায় তাই তারা নানা মাধ্যমে আইএস-এর সঙ্গে সহজে যুক্ত হচ্ছে৷’’
তিনি মনে করেন, ‘‘আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি এখন প্রয়োজন জঙ্গিবিরোধী সামাজিক সচেতনতা এবং আন্দোলন৷’’