হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘‘কতগুলো সমস্যা শ্বাশত, যেমন কালো টাকার কথা বলেছেন৷ এখানে কিন্তু আপনাদেরকে...যেটাকে আমরা বলি সেলফ ডিফেন্স, আত্মরক্ষার্থমূলক বা নিজের স্বার্থে যেটা করণীয়, সেই পদক্ষেপগুলো আপনাদেরকে নিতে হবে৷ নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শত-সহস্র সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়৷’’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘‘মাঠে যখন খেলা হবে দুই পক্ষকেই খেলতে হবে৷ আমি যদি কালো টাকা বিতরণ করে থাকি, আরেকজনকে এই কালো টাকা বিতরণ প্রতিহত করার চেষ্টা করতে হবে - যতদূর সম্ভব৷ পারবেন কি পারবেন না... কিন্তু নির্বাচন কমিশন এসে, পুলিশ এসে রাতারাতি সেটা করতে পারবে, অনেক ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হবে না৷’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘এই কালো সংস্কৃতি থেকে আমাদের ধীরে ধীরে উঠে আসতে হবে৷ আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থায় এখনো অনেক অপসংস্কৃতি-কালো সংস্কৃতি রয়ে গেছে৷ আপনাদের চেষ্টায় হয়তো একটা সময় আসবে যখন আমরা-আপনারা সকলে সুশৃঙ্খল-অহিংসভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন৷’’

অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের যা কিছু করণীয়, তা করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘‘যতটুকু আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে থাকবে...আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব থাকবে না, আমাদের চেষ্টার কোনো অভাব থাকবে না৷ আমরা পুরোপুরি সেই চেষ্টাটা করব৷’’

‘‘এটা ঠিক যে, নির্বাচন কমিশন...আপনারা বলেছেন, আমরা এককভাবে তেমন কিছু করতে পারব না৷ যদি আমাদের সহযোগী প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন তাদের দায়িত্ব শক্তভাবে এবং পেশাগতভাবে ডিসচার্জ করে না থাকে৷ আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, এটা যেহেতু মেট্রোপলিটন এরিয়া, এখানে কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের গুরুত্ব জেলা পুলিশের চেয়ে অধিক৷ বেশ কিছু ম্যাজিস্ট্রিয়াল পাওয়ার পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ কর্মকর্তাদের দেওয়া আছে,’’ বলেন তিনি৷

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘‘বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে শুধু আমরা না, সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে৷'' 

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা যখন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করি, আমরা যখন দেখি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আমাদের নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে, আমরা কিন্তু তাদের মুখ চেপে ধরতে পারছি না৷ যদি সম্ভব হতো, মুখ চেপে ধরতাম, কিন্তু মুখ চেপে ধরতে পারব না, পৃথিবীটা এখন উন্মুক্ত৷’’

‘‘আমাদের নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা, ইউকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান কথা বলছে এবং ইউনাইটেড নেশনস থেকেও কথা বলা হচ্ছে৷ কাজেই গাজীপুরের যে নির্বাচনটা হবে এটার গুরুত্ব আমাদের কাছে অত্যাধিক৷ কারণ আগামীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে, এর আগে এত বড় পরিসরে একটি নির্বাচন জাতীয়ভাবে অনেক গুরুত্ব বহন করবে বলে আমরা মনে করি,’’ বলেন সিইসি৷

এনএস/জেডএইচ (দ্য ডেইলি স্টার)