EU hails 'peaceful' Bangladesh election
৩১ ডিসেম্বর ২০০৮![](https://static.dw.com/image/3907604_800.webp)
বুধবার পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপিয় ইউনিয়ন, এনডিআই, এনফিল ও কমনওয়েলথের প্রতিনিধিরা জানান, এই নির্বাচন বিশ্ববাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে৷ তাই প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের সবরকম প্রতিহিংসা ভুলে সরকারকে সহযোগিতা করা উচিত৷
বরাবরের মতো এবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে এসেছিলেন একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি৷ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর এখন চলছে তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট প্রকাশের পালা৷ তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের প্রধান জার্মানির কাউন্ট আলেকজান্ডার লামম্বসডর্ফ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নির্বাচনে কোন অনিয়ম খুঁজে পাননি তারা৷ খুবই উঁচু মানের এই নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র উত্তরণে সহায়তা করবে৷ এবং ভবিষ্যতে এই নির্বাচনের মান বজায় রাখা উচিত৷ এটি রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মীদের ওপর নির্ভর করবে৷ তাঁদের সংসদীয় গনতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল থাকা উচিত৷ সংসদকে কার্যকর ও শক্তিশালী করতে হবে৷ সংসদকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দিতে হবে বিরোধী দলকে সাথে নিয়ে৷ বিরোধীদলের সদস্যদের প্রধানমন্ত্রীকে পরিকল্পনা এবং এর বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন করার অধিকার আছে৷
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট-এনডিআই প্রধান হাওয়ার্ড বি শেফার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে প্রশাসন ও সামরিক বাহিনী৷ তিনি বলেন, বিএনপির মেনে নেয়া উচিত যে গণতন্ত্রে একটি দলে উত্থান-পতন হয়, হয় জয় পরাজয়৷ তবু তারা নতুন দিনের জন্য সংগ্রাম করবে৷ এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য৷
কমনওয়েলথ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের প্রধান কাসাম উতিম বললেন, নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের সকল শর্ত পূরণ করেছে বাংলাদেশ৷ এই নির্বাচন অবশ্যই বিশ্ববাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে৷ কমনওয়েলথ পর্যবেক্ষকদের মতে, ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা জনগণ ও রাজনৈতিক দলের কাছে নির্বাচন প্রক্রিয়ার আস্থা বাড়িয়ে দিয়েছে৷