বাংলাদেশের পোশাকের মূল্য বাড়াতে রাজি বিদেশি ব্র্যান্ডগুলো
৯ নভেম্বর ২০২৩কাঙ্খিত মজুরির দাবিতে অক্টোবরের শেষ থেকে আন্দোলন করে আসছেন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের শ্রমিকেরা৷ মঙ্গলবার সরকার ১২ হাজার টাকা বা ১১৩ ডলার ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করলেও তাতে খুশি নন অনেক শ্রমিক৷ আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে৷
তৈরি পোশাক মালিকেরা অভিযোগ করে আসছেন বর্ধিত মজুরির কারণে তাদের লাভ কমে যাবে৷ উৎপাদন খরচ পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ বৃদ্ধি পাবে৷
এমন অবস্থায় বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের পণ্য বেশি দামে কিনবে কিনা জানতে চেয়ে অ্যামেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ) প্রধান নির্বাহী স্টিফেন লামারের কাছে ই-মেইল পাঠায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স৷ জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই'৷
লামার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘‘আমরা এবং আমাদের সদস্যরা আগেও কয়েকবার বাজারমূল্য থেকে বেশি দামে কিনেছি, এইবারও তার ব্যতিক্রম হবে না৷''
বাংলাদেশে বর্তমানে পাঁচ বছর পরপর তৈরি পোশাক খাতের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়৷ তবে মূল্যস্ফীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি বছর মজুরি বৃদ্ধির দাবি করে আসছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা৷ এই বিষয়ে স্টিফেন লামার জানান, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রতি বছর ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা করবেনতারা, যাতে অর্থনীতি পরিবর্তনের সাথে তাদের পরিস্থিতির অবনতি না হয়৷
অবশ্য বাংলাদেশের কারখানার মালিকদের অভিযোগ অন্য দেশের তুলনায় তারা ক্রেতাদের কাছ থেকে পোশাকের কম মূল্য পান৷ বিভিন্ন গবেষণাতেও এমন তথ্য উঠে এসেছে৷
চীনের পরে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বড় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ৷ এই খাতে নিয়োজিত রয়েছে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক, যাদের বেশিরভাগই নারী৷
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সবশেষ ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধির পরও বাংলাদেশের শ্রমিকরা মজুরির দিক থেকে প্রতিযোগী অন্য দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে আছে৷ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও'র হিসাবে ভিয়েতনামের তৈরি পোশাক শ্রমিকদের গড় মজুরি ২৭৫ ডলার৷ কম্বোডিয়ার শ্রমিকদের মজুরি ২৫০ ডলার৷
এমকে/এফএস (রয়টার্স)