1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশি পোশাক বর্জন না করার আহ্বান

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৪ মে ২০১৩

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বর্জন না করার আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আইএলও’র উপ মহাপরিচালক জিলবার ফুসুন উংবো৷ ঢাকা সফরের শেষ দিনে শনিবার তিনি এ আহ্বান জানান৷

ছবি: picture-alliance/Bildarchiv

তিনি বলেন সবাই মিলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে৷ আর তাতে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদেরও ভূমিকা রাখার কথা বলেন তিনি৷

সাভারের রানা প্লাজা ধসের সময় সেখানে মোট ৫টি গার্মেন্টস-এ প্রায় ৩,৫০০ পোশাক কর্মী কাজ করছিলেন৷ আর ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও গার্মেন্টস মালিকরা ছাঁটাইয়ের হুমকি দিয়ে তাদের ভবনে ঢুকতে বাধ্য করে৷ এর পরপরই ভবনটি ধসে পড়ে৷ এই পর্যন্ত যাদের লাশ উদ্ধার এবং যারা আহত হয়েছে তাদের ৯০ ভাগেরও বেশি ঐ ৫টি গার্মেন্টস-এর শ্রমিক৷

এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্রেতা ওয়াল্ট ডিজনি বাংলাদেশ থেকে পোশাক না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে৷ তারা বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ৪০ কোটি ডলারের পোশাক কেনে -যা বাংলাদেশি টাকায় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা৷ আরো অনেক ক্রেতা বাংলাদেশ থেকে ভবিষ্যতে পোশাক নেবে কিনা তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছে৷ আর নানা মহল বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বয়কট করার দাবি তুলছে৷

আইএলও’র উপ মহাপরিচালক জিলবার ফুসুন উংবোছবি: AP

এই অবস্থায় শনিবার ঢাকায় আইএলও'র উপ মহাপরিচালক জিলবার ফুসুন উংবো বলেছেন এখনই বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বর্জন বা বাংলাদেশ থেকে পোশাক না কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবেনা ক্রেতাদের৷ তিনি বলেন জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে তিনি তাদের উদ্বেগের কথা জেনেছেন৷ তবে এখন বয়কটের সিদ্ধান্ত না নিয়ে বরং পর্যবেক্ষণ করতে হবে৷ বাংলাদেশকে পোশাক কারখানার কাজের পরিবেশ এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে৷ আর এজন্য সরকার, পোশাক শিল্প মালিক এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের দায়িত্ব নিতে হবে৷

বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ'র সভাপতি আতিকুল ইসলাম ডয়চে ভলেকে বলেন, তারা আন্তর্জাতিক উদ্বেগের ব্যাপারে সচেতন আছেন৷ আর তাই ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছেন৷ তিনি জানান রানা প্লাজার গার্মেন্টস মালিকরা যেমন ছাড় পাচ্ছেন না, তেমনি তারা পোশাক কারখানা পরিদর্শন শুরু করেছেন৷ ক্রটিপূর্ণ কারখানা তারা চলতে দেবেন না৷ চলতি বছরের মধ্যেই তারা বাংলাদেশের প্রায় ৪ হাজার পোশাক কারখানার ভবন, নিরাপত্তা এবং কর্মপরিবেশ গ্রহণযোগ্য মানে আনার কাজ শেষ করবেন৷

বাণিজ্য সচিব মিকাইল শিপার ডয়চে ভেলেকে জানান ৬টি দফা নিয়ে সরকার, মালিক এবং শ্রমিক পক্ষ কাজ করছে৷ পোশাক শিল্পে কীভাবে ট্রেড ইউনিয়ন চালু করা যায় তার পথ বের করা হবে শিগগিরই৷ এছাড়া আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও প্রশিক্ষণের কথাও বলেন তিনি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ