বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে চলবে হিন্দি ছবি
২৫ এপ্রিল ২০১০শুধু তাই নয়, বাংলাদেশী শিল্পী-প্রযোজকদের অসম প্রতিযোগিতায় ফেলে না দেয়াও ছিল হিন্দি ছবি না দেখানোর বড় কারণ৷ কিন্তু হঠাৎই শনিবার বদলে গেলো সরকারের নীতি৷ বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী ফারুক খান জানালেন, আমরা চলচ্চিত্র শিল্পে বড় বাণিজ্যের ছোঁয়া লাগাতে হিন্দি ছবির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছি৷
একথা ঠিক, হিন্দি ছবি প্রেক্ষাগৃহে চালানোর জন্য বহুদিন ধরেই মুখিয়ে আছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা৷ অপেক্ষা ছিল সরকারি অনুমতির৷ আর সেটি পাওয়ার পর পরই ব্যবসায়ীরা জানালেন, খুব শীঘ্রই হিন্দি ছবি শুরু হবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে৷
অবশ্য বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে এর বিকল্প কিছু হয়তো ছিল না৷ কারণ, এই ব্যবসার ধস দেখা যায় পরিসংখ্যানের দিকে একবারটি তাকালেই৷ ২০০০ সালে বাংলাদেশে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা ছিল ১,৬০০৷ অথচ ২০১০ গিয়ে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬০০ তে! যারা এখনো টিঁকে আছে, তাদের কথায়, শুধু বাংলা সিনেমা আর ইংরেজি ভাষার হালকা-পর্ন দেখিয়ে ব্যবসা তেমন একটা হচ্ছে না৷
এদিকে, হিন্দি ছবি প্রদর্শনের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পীরা৷ জনপ্রিয় চিত্রনায়ক এবং নব গঠিত ‘হিন্দি ছবি প্রতিরোধ' কমিটির সমন্বয়ক মাসুম পারভেজ রুবেল এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ভারতীয় ছবি আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প এবং সংস্কৃতিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেবে৷ এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২৫ হাজার মানুষ কর্মহীনও হবে৷''
আর তাই হিন্দি ছবি প্রদর্শনের বিরুদ্ধে নায়কোচিত ভূমিকায় রুবেল৷ বললেন, আমরা বাণিজ্যমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার জন্য অনুরোধ করছি৷ নতুবা, শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবো আমরা৷
ও হ্যাঁ, হিন্দি ছবি কিংবা দক্ষিণ এশিয়ার যেকোন চলচ্চিত্র বাংলাদেশে প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ছোট একটা নিয়ম কিন্তু করেছে সরকার৷ আর তা হলো, প্রতিটি ছবির সঙ্গে যুক্ত করতে হবে ইংরেজি ‘সাব-টাইটেল'৷
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়