1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশের ব্লগারদের আশ্রয় দেয়ার চিন্তা যুক্তরাষ্ট্রের

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৮ এপ্রিল ২০১৬

বাংলাদেশে উগ্রপন্থিদের হামলার হুমকিতে থাকা ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের মানবিক আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র মার্ক টোনার বৃহস্পতিবার এ কথা জানান৷

DW Sendung Shift Blogger in Bangladesh
ছবি: Robert Richter

এ ব্যাপারে বাংলাদেশের মানবাধিকার নেতা নূর খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘যাঁরা মুক্তচিন্তা করছেন তাঁদের রক্ষায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না৷ তাই অনেক ব্লগার বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন৷ আর কেউ কেউ পাড়ি জমাতে চাইছেন৷ সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যদি হুমকির মুখে থাকা মুক্তমনাদের আশ্রয় দেয় তাহলে তা ইতিবাচক৷ তবে এটা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়৷''

নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে বুধবার অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যার প্রসঙ্গ টেনে মার্ক টোনার বলেন, ‘‘নাজিমুদ্দিনের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি৷ সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আমাদের সমর্থন অব্যাহত আছে৷''

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম নয়৷ এর আগেও এ ধরনের হত্যার ঘটনা ঘটেছে৷'' এই ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার ইসলামি চরমপন্থাকে দায়ী করছে উল্লেখ করে ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের একজন টোনারকে প্রশ্ন করেন যে যুক্তরাষ্ট্র একই ধরনের সংযোগ খুঁজে পাচ্ছে কিনা?

এটা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়: নূর খান

This browser does not support the audio element.

জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কোনো ধারণা নেই৷ নাজিমুদ্দিন হত্যার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি৷ অতীতের হত্যাকাণ্ডগুলোর ক্ষেত্রে ভারতীয় উপমহাদেশের আল-কায়েদার পক্ষ থেকে দায় স্বীকারের কথা বলা হলেও এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷''

বাংলাদেশে একের পর এক ব্লগার হত্যার ঘটনায় গত ডিসেম্বরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির কাছে লেখা এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো হুমকিতে থাকা বাংলাদেশি লেখক-ব্লগারদের মানবিক আশ্রয় দেয়ার আহ্বান জানায়৷ নাজিমুদ্দিন হত্যার পর সে দাবি আবারও জোরালো হয়ে উঠেছে৷ কয়েকমাস আগের সেই চিঠির প্রসঙ্গ তুলে টোনারের কাছে আশ্রয়ের ব্যাপারটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হামলার হুমকিতে থাকা অনির্দিষ্ট সংখ্যক ব্লগারকে মানবিক আশ্রয় দেয়ার বিষযটি বিচেনায় রাখা হয়েছে৷'' তবে এ ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন থাকলে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগের পরার্মশ দেন তিনি৷

বাংলাদেশের মানবাধিকার নেতা এবং জঙ্গি বিষয়ক গবেষক নূর খান মনে করেন, ‘‘বাংলাদেশে এপর্যন্ত যেসব ব্লগার, প্রকাশক বা মুক্তচিন্তার মানুষ হত্যা অথবা আক্রমণের শিকার হয়েছে বলতে গেলে তার কোনো বিচার হয়নি৷ দু'একটি ব্যতিক্রম বাদে অপরাধীরাও আটক হয়নি৷ সরকারের মন্ত্রী বা শীর্ষমহলের কথায় একধরণের সমঝোতার লক্ষণ স্পষ্ট৷ তাঁরা ব্লগারদের জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বলছেন৷ তাঁদের আটকও করা হচ্ছে৷ কিন্তু ধর্মীয় উগ্রবাদীরা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে৷''

তিনি বলেন, ‘‘এই বিচারহীনতাই স্বাধীন চিন্তার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ অনেকেই এখন আর দেশে থাকা নিরাপদ মনে করছেন না৷ তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হলেও তা সামাধান নয়৷ তাহলেতো দেশের ১৬ কোটি মানুষকেই বিদেশে চলে যেতে হবে৷''

নূর খান বলেন, ‘‘সামাধান হলো জঙ্গিদের দমন, তাদের বিচারের আওতায় আনা এবং স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ নিশ্চিত করা৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ