1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিক্ষার্থীরা কি ইংরেজি পড়ে না!

৩ অক্টোবর ২০১৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে দেশে সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ বিশেষ করে সারা দেশে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হওয়ার মতো ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দুইজনের বেশি নেই – এই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনার ঝড়৷

Bangladesch Schüler Schulkasse in Dhaka Prüfung
ছবি: picture-alliance/landov

বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম মতামত বিশ্লেষণে এ নিয়ে লিখেছেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর অনেক বক্তব্য এবং দৃষ্টিভঙ্গির সাথে আমি একমত নই৷''

তিনি লিখেছেন, ‘‘আমরা সবাই জানি, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার অনেক সমস্যা আছে কিন্তু তার ভেতরে থেকেও অসংখ্য ছাত্রছাত্রী নিজেদের আগ্রহ নিয়ে লেখাপড়া করে, হাজার প্রতিবন্ধকতা দিয়েও তাদের ঠেকিয়ে রাখা যায় না৷ তাই আমি যখন পত্রপত্রিকায় দেখি সারা বাংলাদেশে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বিভাগে ভর্তি হওয়ার মতো ছাত্রছাত্রী দুইজনের বেশি নেই, আমি অত্যন্ত বিচলিত হই, আমাদের দেশের ছাত্রছাত্রীদের সারাদেশের সামনে হেয় করার এই দায়িত্বহীন প্রচারণা দেখে আমি ব্যথিত হই৷''

ড. ইকবাল মনে করেন, পুরো বিষয়টি ঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা দরকার৷ তিনি একটি উপায়ের কথা বলেছেন৷ তা হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরদের ডেকে একটি নির্দেশ দেন যে, সামনের বছর থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয় মিলে একটি সমন্বিত ভর্তিপরীক্ষা নিতে হবে, তাহলেই সেটি সম্ভব৷ তা না হলে ছাত্রছাত্রীদের বছরের পর বছর যন্ত্রণা কষ্ট আর অপমান সহ্য করে যেতে হবে৷

এ বিষয়ে টুইটারে অনেকেই অনেক লেখা পোস্ট করেছেন৷ খান নোবেল অধ্যাপক জাফর ইকবালের লেখাটি শেয়ার করেছেন টুইটারে৷

টুইটার ব্যবহারকারী শিবলি সাদিক ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে যমুনা টেলিভিশনের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন ‘গোমর ফাঁস'৷

ইমরুল চৌধুরী লিখেছেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার সবচেয়ে কঠিন অংশ ইংরেজি৷'

শরিফুল ইসলাম সীমান সামহয়্যার ইন ব্লগে লিখেছেন মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুর রহমানের ভর্তি প্রসঙ্গে৷ এই লেখাটি টুইটারেও বেশ কয়েকজন শেয়ারও করেছেন৷ শরিফুল লিখেছেন, ‘‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় আবারও প্রথম হয়েছে একজন মাদ্রাসার ছাত্র নাম আবদুর রহমান৷ প্রথম হতে তাকে ৪২ হাজার শিক্ষার্থীকে পিছন ফেলতে হয়েছে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সবচেয়ে কঠিন অংশ ইংরেজি৷ এতে অংশগ্রহণকারীদের ৯০ শতাংশ ফেল করেছে৷ অথচ আবদুর রহমান ইংরেজিতে ভালো ৩০-এ পেয়েছে ২৮.৫০৷ এরপরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ে পড়তে পারবে না আবদুর রহমান৷ দোষ সে মাদ্রাসার ছাত্র৷ রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের কারণে বলি হতে হবে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের৷''

তিনি লিখেছেন, ‘‘মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা ও সিলেবাসের সংস্কার নিয়ে উদ্যোগ ও আলোচনা হতে পারে৷ ত্রুটি থাকলে নেয়া যেতে পারে সংশোধনের পদক্ষেপও৷ কিন্তু মেধা ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও একজন শিক্ষার্থীকে তার পছন্দের বিষয় পড়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা কি মানবিক? এত বড় একটা অন্যায় হচ্ছে, অথচ অন্য অনেক তুচ্ছ বিষয়ে অতি সোচ্চার বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, মানবাধিকারকর্মীরা এ বিষয়ে নীরব কেন?''

সংকলন: অমৃতা পারভেজ

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ