বাংলাদেশের সরকার ‘দুর্বল’
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যা না কমে বরং গত তিন বছরের বেড়েছে৷ যদিও এই হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে ভারতের শীর্ষ পর্যায় থেকে৷
এ সম্পর্কে ডয়চে ভেলের পাঠক মো. সাজ্জাদ হোসেন বলছেন, ‘‘ইন্ডিয়া বাংলাদেশের বন্ধুরূপী শত্রু৷ তারা নিজ স্বার্থ ছাড়া এক পা বাড়ায় না...৷'' আর রাজিব উদ্দিনের ভাষায়, ‘‘শত্রুর সঙ্গে তো শত্রুর মতোই তো আচরণ করবে আর ইন্ডিয়া হলো বাংলাদেশে এক নাম্বার শত্রু৷''
‘‘ভারতের সিকিউরিটি ফোর্সগুলো হচ্ছে এক নম্বর কালপ্রিট'' – এই মন্তব্য পাঠক সিদ্দিকের৷
সাখাওয়াত হোসেন কিন্তু অন্যদের দোষ না দিয়ে নিজের দেশের সরকারকেই দায়ী করছেন৷
তাঁর মতে, ‘‘আমাদের বাংলাদেশের সরকার হচ্ছে দুর্বল ও অবৈধ৷''
হাসান মাহমুদ সাখাওয়ার হোসেনের সাথে পুরোপুরি একমত৷ তিনি বলছেন, ‘‘সীমান্তে বাঙালিদের ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো মানুষ মারছে৷ দেখে মনে পাখি শিকার করছে, মনে হয় একতরফা যুদ্ধ লেগে গেছে৷ আর বিজিবি হা করে সুটিং দেখছে৷''
২০১৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে ২৪ জন গরু পাচারকারী নিহত হয়েছেন৷ আর ২০১৪ সালে সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন ১০ বাংলাদেশি৷
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসেবে, গত তিন বছরে বিএসএফ-এর হাতে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা বেড়েছে৷ এই হত্যাকাণ্ডগুলি ঘটছে গোলাগুলি ও নির্যাতনের কারণে৷ তাদের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩ সালে মোট ২৭ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ সদস্যরা৷ এদের মধ্যে ১২ জনকে গুলি করে এবং ১৪ জনকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়৷ বাকি একজনকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তা জানা যায়নি৷ এরপর ২০১৪ সালে হত্যা করা হয়েছে ৩৩ জন বাংলাদেশিকে৷
এ সব ঘটনা জানার পর আতিকুর রহমান কিবরিয়া বলছেন, ‘‘আমার তো মনে হয় না যে ভারতের মতো দেশ আমাদের দেশকে সবার আগে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ অবাক লাগে৷ এখন তাদের কথা বা আচার আচরণ দেখলে কষ্ট পাই৷''
অন্যদিকে অনুকুল সরকারের মন্তব্য, ‘‘বাংলাদেশিরা ভারতীয়দের শত্রু মনে করলে তারা কী করবে?'' আর পাঠক মাসুদ রানার প্রশ্ন সরকার নীরব কেন?
এভাবে মানুষ মারা একেবারে অনুচিত, কিন্তু ইন্ডিয়ানদের সেটা বোঝাবে কে? এই মন্তব্য কামাল হোসেন দুলুর৷
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যার বিষয়টি মনে হয় মেনে নিতে রাজি নন কৌশিক হাজারি৷ তাঁর ধারণা, কোথাও কোনো ভুল হচ্ছে৷ তাই তিনি ফেসবুকে বাংলাদেশি বন্ধুদের লক্ষ্য করে লিখেছেন, ‘‘ভুল করছো বন্ধুরা, আমরা ভারতীয়, আমরা ভুল কাজ করি না৷ তোমরা কোথাও ভুল করছো৷ তাই খুঁটিয়ে দেখো৷''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ