বাংলাদেশের ‘সুপার ফ্যান’ কে ভারতে মারধরের অভিযোগ কি সত্যি?
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার দৈনিক প্রথম আলো জানিয়েছে, কানপুরের কল্যাণপুর এলাকার এসিপি অভিষেক পান্ডে আজ সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘পানিশূন্যতার কারণে তিনি (রবি) পড়ে গিয়েছিলেন। পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তিনি ভালো অনুভব করছেন।’’ পরে যোগ করেন, ‘‘মারামারির অভিযোগটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁকে কোনো সমর্থক আঘাত করেনি।’’
এদিকে এক প্রকাশিত ভিডিও এক বার্তায় রবিকে হিন্দিতে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমার শরীর খারাপ হয়ে যাওয়ার পর পুলিশ আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখন আমি সুস্থ হয়ে গিয়েছি।’’ যদিও কানপুর টেস্টের প্রথম দিন মধ্যাহ্নবিরতির সময় কিছু স্থানীয় সমর্থকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন টাইগার রবি।
এর আগে চেন্নাইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টেও তাঁকে ভারতীয় সমর্থকেরা হেনস্তা করেছিলেন বলে রবি অভিযোগ করেছিলেন। যদিও আজকের মতো সেদিনও ভারতীয় পুলিশ সেটাকে মিথ্যা অভিযোগ বলে দাবি করেছিল।
সংবাদসংস্থা পিটিআই এক্সে পোস্ট করে জানিয়েছিল, ‘‘বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সুপার ফ্যান টাইগার রবিকে কিছু ব্যক্তি মেরেছেন বলে অভিযোগ৷ কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে এই ঘটনা ঘটেছে৷ পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে৷ বিস্তারিত খবরের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে৷’’
ওই পুলিশ কর্মী বলেছিলেন, কানপুরে স্টেডিয়ামে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে৷ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে৷
কানপুরে কড়া নিরাপত্তা
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হরিশ চান্দের বলেছেন, দুই দলের ক্রিকেটারদের জন্য এবং মাঠের দর্শকদের জন্য সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷ কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেক্রিকেটারদের হোটেল থেকে মাঠে নিয়ে আসা হচ্ছে৷ গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকা সিল করে দেয়া হয়েছে৷ স্টেডিয়ামের ভিতরে এক হাজার পুলিশ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে৷ ক্রিকেটার ও ভিআইপি-দের জন্য দুই হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে৷
গত সোমবার হিন্দু মহাসভার কিছু কর্মী গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে যজ্ঞ করে৷ তারপর ২০ জন হিন্দু মহাসভা নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে৷ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে৷
চান্দের বলেছেন, তারা কোনো ঝুঁকি নিচ্ছেন না৷ দুই দলের ক্রিকেটারদের বলা হয়েছে, তারা যেন নিরাপত্তা সংক্রান্ত সব নীতিনির্দেশিকা মেনে চলেন৷
জিএইচ/জেডএইচ (পিটিআই, প্রথম আলো)