1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্বাধীন বাংলাদেশ

২৬ মার্চ ২০১২

মাথাপিছু আয় ৯০ থেকে ৭০০ ডলারে উন্নীত হওয়া, বিশ্বের দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ হওয়ার দুর্নাম থেকে মুক্তি - গত ৪১ বছরে এমনি বেশ কিছু সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ৷ তবে ব্যর্থতাও রয়েছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে৷

ছবি: AP

স্যার ফজলে হাসান আবেদ৷ বিশ্বের অন্যতম বড় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক'এর প্রতিষ্ঠাতা তিনি৷ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভ করার পর ভারত থেকে শরণার্থীরা সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরতে শুরু করেন৷ তাদের সহায়তা করতেই জন্ম হয়েছিল ব্র্যাকের৷ সেই থেকে সংস্থাটি এখন বিশ্বের অন্যতম বড় উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে৷

স্যার ফজলে হাসান আবেদছবি: BRAC

স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে কথা হচ্ছিল ফজলে হাসান আবেদের সঙ্গে৷ তিনি বললেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ছিল আপারভোল্টা, যেটা বর্তমানে বুর্কিনা ফাসো নামে পরিচিত৷ আর তার পরেই ছিল বাংলাদেশ৷ সেই পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশ এখন অনেক দূর এগিয়ে এসেছে বলে জানান আবেদ৷ তিনি বলেন, যুদ্ধের পরপর বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯০ ডলারের নীচে৷ এখন সেটা প্রায় সাতশো ডলারের কাছাকাছি৷ ‘‘বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৭৬ ভাগ তখন দারিদ্রসীমার নীচে বাস করতো৷ এখন সেই হার ত্রিশের নীচে৷ এক বছরের কম বয়সি শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ছিল ২০০ জন৷ এখন সেটা ৪৫'এ নেমে এসেছে৷ মাতৃমৃত্যুর হার লাখে ৮০০ জন থেকে ২০০'তে কমে এসেছে৷''

অন্যদিকে, স্বাক্ষরতার হার ২৫ থেকে বেড়ে ৬৫ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা আবেদ৷ তিনি বলেন সবচেয়ে বড় সাফল্য এসেছে কৃষিখাতে৷ গবেষণার মাধ্যমে এমন সব ধানের জাত বের বের করা হয়েছে যে কারণে ধান উৎপাদন আগের চেয়ে তিনগুন বেড়ে গেছে৷ ‘‘১৯৭৩-৭৪ সালের দিকে ৯০ লক্ষ হেক্টর জমিতে দেড় কোটি ধান উৎপন্ন হতো৷ এখন সেটা তিনগুন বেড়ে যাওয়ায় জনসংখ্যা দ্বিগুন হয়ে গেলেও কোনো সমস্যা হচ্ছেনা''৷

কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য লক্ষ্য করার মতছবি: AP

এরপর কথা প্রসঙ্গে জানতে চাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি অর্থাৎ ২০২১ সালে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান তিনি৷ বললেন, ‘‘গণতন্ত্র যদি ঠিক থাকে, আর আমাদের সরকারগুলো যদি ঠিকমত দেশ শাসন করে তাহলে প্রতি বছর ৮-৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করা যায়৷ এটা হলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে৷ ফলে তখন মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়াবে ২০০০ ডলারে৷ এছাড়া অন্যান্য সূচকেও এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ৷''

ফজলে হাসান আবেদের মতো একজন শ্রদ্ধেয় উন্নয়নকর্মীর কাছ থেকে এবার চলে যাই একজন শিক্ষাবিদের কাছে৷ যিনি দেশের টানে সুদূর অ্যামেরিকা থেকে চলে এসেছেন৷ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে হারিয়েছেন বাবাকে৷ তিনি মুহম্মদ জাফর ইকবাল৷ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তিনি৷ স্বাধীনতার এতবছর তাঁর কাছে সবচেয়ে দু:খের ঘটনা হচ্ছে, শিক্ষাখাতে প্রয়োজনমত খরচ করতে না পারা বা করতে না চাওয়া৷ অধ্যাপক জাফর ইকবাল মনে করেন একটা জাতির উন্নতির জন্য শিক্ষাই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার৷ ‘‘শিক্ষাকে আমরা এখনো অগ্রাধিকারের তালিকায় আনতে পারিনি৷ এখনো অনেকেই মনে করেন শিক্ষা খাতে খরচ করার চেয়ে একটা রাস্তা তৈরি বা অন্যখাতে ব্যয় করাটা জরুরি৷''

এই মানসিকতার যে পরিবর্তন হবেই ভবিষ্যতে, তেমন প্রত্যাশা থাক৷ যে প্রত্যাশা আলোর দিকে নিয়ে যাবে প্রিয় বাংলাদেশকে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ