বাংলাদেশে একটি পোশাক কারাখানায় চার দিনের মধ্যে দু'বার অগ্নিসংযোগের ঘটনা আবারো কারাখানাগুলোর শ্রমিক নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে৷ প্রশ্ন উঠেছে, এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলি আদৌ আন্তরিক কিনা৷
বিজ্ঞাপন
ঢাকার অদূরে গাজীপুরের বোর্ডবাজার সাইনবোর্ড এলাকায় মেট্রিক্স সোয়েটার কারখানার ৮তলা ভবনে সর্বশেষ আগুন লাগে ২রা ফেব্রুয়ারি৷ শ্রমিকরা সকালে কাজে যোগ দেয়ার ঠিন আধঘণ্টা আগে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে৷ শেষ পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও, লাফিয়ে পড়ে চারজন গুরুতর আহত হন৷ এছাড়া আগুনের সময় পুরো এলাকা ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে৷
জানা যায়, কারখানায় সিনথেটিক মালামাল থাকায় আগুন নাকি দ্রুত পুরো ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়েছিল৷ আটটি ইউনিট একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে৷ এটাই প্রথমবার নয়, এর মাত্র চারদিন আগে ২৯শে জানুয়ারি ঐ কারাখানায় আরো একবার আগুন লাগে৷
বাংলাদেশে পোশাক কারখানার নিরাপত্তা
পশ্চিমা বিশ্বের একদল পরিদর্শক বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে ভয়াবহ নিরপত্তা ঝুঁকি দেখতে পেয়েছেন৷ রানা প্লাজা বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় তারা এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
রানা প্লাজা বিধ্বস্তের পর...
২০১৩ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের সাভারে রানা প্লাজা বিধ্বস্ত হলে নিহত হয় অন্তত ১,১০০ পোশাক শ্রমিক৷ এ ঘটনার পর পশ্চিমা যেসব দেশে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি হয়, তারা পোশাক কারখানাগুলো পরিদর্শনের উদ্যোগ নেয়৷ সম্প্রতি বেশ কিছু নামি-দামি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো পরিদর্শন করেছেন৷
ছবি: Reuters
নিরাপত্তা ঝুঁকি
পরিদর্শকরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ পোশাক কারখানায় অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা এবং ভবনের কাঠামোর বিষয়ে অন্তত ৮০,০০০ নিরারপত্তা ইস্যু খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা৷
ছবি: Kamrul Hasan Khan/AFP/Getty Images
২,২০০ কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্য
বাংলাদেশে পোশাক খাতে বাণিজ্যের পরিমাণটি বিশাল৷ অর্থের অঙ্কে প্রায় ২,২০০ কোটি মার্কিন ডলার৷
ছবি: DW/C. Meyer
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং পোশাক কারখানাগুলোতে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে গার্মেন্টসগুলো তাদের ক্রেতা হারাচ্ছে৷ ফলে পোশাক রপ্তানির হার হ্রাস হয়েছে৷
ছবি: Reuters
পোশাক কারখানা পরিদর্শন
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পোশাক ব্র্যান্ড এইচঅ্যান্ডএম এবং ইনডিটেক্সসহ ১৮০টিরও বেশি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধি ও সদস্যরা অন্তত ১,১০৬টি কারখানা পরিদর্শন করেছেন৷ তাঁরা জানিয়েছেন, প্রতিটি কারখানায় বৈদ্যুতিক ঝুঁকির পাশাপাশি, ভবনের কাঠামো ও অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থাতে গাফিলতি খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা৷ এমনকি অনেক কারখানায় ফায়ার অ্যালার্ম ও ফায়ার এক্সিটও নেই৷
ছবি: DW/C. Meyer
অবিলম্বে খালি করার নির্দেশ
১৭টি কারখানা অবিলম্বে খালি করে বন্ধের নোটিস দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিদর্শকরা৷ কারণ ঐ ১৭টি কারখানা যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা৷ এছাড়া ১১০টি কারখানার ভবন বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলেও জানা গেছে৷
ছবি: Reuters
নিরাপত্তা ইস্যু খতিয়ে দেখা
এর আগে নর্থ অ্যামেরিকান কোম্পানি ওয়ালমার্ট ও গ্যাপ-এর মতো বেশ কিছু কোম্পানির প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের ৫৮০টি কারখানা পরিদর্শন করেছেন৷ উদ্দেশ্য একই, নিরাপত্তা ইস্যু খতিয়ে দেখা৷ দেশের অন্তত ৩০০টি কারখানায় ওয়ালমার্ট ও গ্যাপ-এর পোশাক তৈরি হয়৷
ছবি: AP
আশঙ্কায় শ্রমিকরা
তবে যেসব কারখানা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে, সেসব শ্রমিকরা বেতন না পাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন৷ কেননা পরিদর্শকরা শ্রমিকদের বেতন দেয়ার কথা বললেও মালিকরা এ বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি৷
ছবি: Imago/Xinhua
পরবর্তী পদক্ষেপ
পরিদর্শকরা বেশিরভাগ কারখানার মালিক ও প্রকৌশলীদের নিয়ে আলোচনায় বসে কী কী ইস্যুতে পরিবর্তন আনা দরকার, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে৷ এরপর আবারো তাঁরা পরিদর্শনে আসবেন নিজেদের নির্দেশনা কতটা বাস্তবায়ন হলো, তা দেখার জন্য৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
9 ছবি1 | 9
এ কারখানায় প্রায় আট হাজার শ্রমিক কাজ করেন৷ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে যখন শ্রমিকরা কারখানায় কাজ যোগদানের জন্য আসছিলেন, ঠিক তখন আগুন লাগায় কারখানার ভেতরে কোনো শ্রমিক ছিলেন না৷ তবে আর এক ঘণ্টা পর বা কাজের সময়ে যদি আগুন লাগত, তাহলে কী পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো তা সহজেই অনুমান করা যায়৷
এই পোশাক কারাখানাটির কাছ থেকে এইচঅ্যান্ডএম এবং জেসি পেনির মতো ক্রেতারা পোশাক কেনে৷
২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে ‘অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেইফটি' নামে অ্যামেরিকা ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান এই পোশাক কারাখানাটি পরিদর্শন করে৷ তারা নাকি কারখানাটির অগ্নি নিরাপত্তাসহ অন্যান্য নিরাপত্তার নিয়ে নেতিবাচক মতামত দেয়৷ কিন্তু এতদিনেও কারখানাটির নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি৷
ফিরে দেখা: আগুন, ভবন ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক খাত
বাংলাদেশে তৈরি পোশাক ইউরোপ, অ্যামেরিকার প্রায় সব শপিং মলেই পাওয়া যায়৷ পোশাক খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি৷ আর এই খাত যেসব দুর্ঘটনায় ক্ষতির মুখে পড়েছে সেগুলো থাকছে এই ছবিঘরে৷
ছবি: Reuters
২৫.০২.২০১০: ‘গারিব এন্ড গারিবে’ আগুন
সুইডেনের একটি জনপ্রিয় ফ্যাশন চেইনের জন্য কাপড় তৈরি করার সময় আগুনে প্রাণ হারান গারিব এন্ড গারিব ফ্যাক্টরির কমপক্ষে ২১ শ্রমিক৷ নিহতদের মধ্যে ১৩ জন ছিলেন নারী আর কারখানাটি ছিল গাজীপুরে৷
ছবি: Imago/Xinhua
১৪.১২.২০১০: দ্যাটস ইট স্পোর্টসওয়ারে আগুন
সে আগুন প্রাণ হারান কমপক্ষে ২৯ ব্যক্তি, আহত অন্তত ২০০৷ হাম্মিম গ্রুপের কারখানাটি আধুনিক ভবনে অবস্থিত হলেও অভিযোগ রয়েছে অগ্নি নির্বাপকের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা তাতে ছিল না৷ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক উৎপাদন হতো কারখানাটিতে৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: picture-alliance/AP
২৪.১১.২০১২: তাজরীন ফ্যাশনসে আগুন
ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশন ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত কমপক্ষে ১১২, আহত কয়েকশত৷ নয় তলা ভবনটিতে আগুন লাগার পর অনেক পোশাক কর্মী লাফিয়ে পড়তে গিয়েও প্রাণ হারান৷ কেউ কেউ হয়েছেন জীবন্ত দগ্ধ৷ ভবনটির জরুরী বাইরে যাওয়ার গেটগুলো হয় বন্ধ ছিল, অথবা ব্যবহার অনুপযোগী ছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
তাজরীনের মালিকের বিচার শুরু
আশার কথা হচ্ছে, তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও তাঁর স্ত্রীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে৷ ঢাকার একটি আদালতে বিচার কাজ চলছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
১৪.০৪.২০১৩: রানা প্লাজা ধস
ঢাকার অদূরে সাভারে রানা প্লাজা ভবন ধসে প্রাণ হারান কমপক্ষে ১,১৩৮ ব্যক্তি, আহত কয়েক হাজার৷ ইতিহাসের অন্যতম বড় দুর্ঘটনা এটি৷ রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাননি৷ এই ঘটনায় দায়ীদের বিচার নিয়েও গড়িমসি চলছে৷
ছবি: Reuters
০৯.০৫.২০১৩: মিরপুর টেক্সটাইল ফ্যাক্টরিতে আগুন
মিরপুরে পোশাক কারখানায় আগুনে নিহত হয় কমপক্ষে আট ব্যক্তি৷ সেই ঘটনায় পোশাক কারখানাটির বাংলাদেশ অংশের প্রধান এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তাও প্রাণ হারান বলে দাবি করেছে, পোশাক রপ্তানিকারকদের প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ৷ দ্রষ্টব্য: গ্যালারিটি তৈরিতে ক্লিন ক্লোদস ক্যাম্পেইন থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: Reuters
6 ছবি1 | 6
২০১৩ সালে সাভারে রানা প্লাজা ধসে ১১শ' শ্রমিকের মৃত্যু এবং এর আগে আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশানস-এ অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বাংলাদেশের পোশাক কারখানার নিরপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ এরপর থেকে ক্রেতা, মালিক, সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন এ নিয়ে কাজ শুরু করে৷ বিশেষ করে ‘অ্যাকর্ড' সবচেয়ে বেশি তৎপর হয়৷ তারপরও পরিস্থিতি আশানুরূপ নয়৷ মালিক ও ক্রেতারা এ তথা স্বীকার করতে না চাইলেও শতকরা ৫০ ভাগ পোশাক কারাখানা এখনো নিরপত্তার মান অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশে৷
তাসলিমা আখতার
তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির নেত্রী তাসলিমা আক্তার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মেট্রিক্স সোয়েটার কারখানার আগুনের ঘটনাই প্রমাণ করে যে, পোশাক কারখানার নিরপত্তার বিষয়টি আশানুরূপভাবে এগোচ্ছে না৷ এর জন্য মালিক, ক্রেতা, সরকার – সকলেই দায়ী৷ কেউই আন্তরিকভাবে কাজ করছে না৷ বিশেষ করে মালিকরা শ্রমিক নিরাপত্তার বিষয়টি বাড়তি খরচের কাজ বলে মনে করছেন৷''
তাসলিমা জানান, ‘‘আমরা সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি যে, দেশের ৫০ ভাগ কারাখানা এখনো নিরাপত্তার মান অর্জন করতে পারেনি৷''
তাঁর কথায়, ‘‘শ্রমিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলেও পর্যাপ্ত শাস্তির ব্যবস্থা না থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷''
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খান তৈরি পোশাক৷ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয় ছিল ৩২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ এর মধ্যে পোশাক খাত থেকেই আয় হয় ২৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷
বন্ধু, আপনি কি কখনও কোনো পোশাক কারখানায় গেছেন? আপনার অভিজ্ঞতা জানান নীচের ঘরে৷
বাংলাদেশি পোশাক শ্রমিকদের পাশে জার্মানি
রানা প্লাজা বিপর্যয়ের দেড় বছর পর জার্মানি যে ‘টেক্সটাইলস পার্টনারশিপ’ চালু করেছে, সে উপলক্ষ্যে ফেডারাল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলার বাংলাদেশ যান৷ নিজের চোখে দেখেন সেখানকার মানুষ ও তাঁদের উন্নয়নকে৷
ছবি: DW/S. Burman
‘মেড ইন বাংলাদেশ’
রানা প্লাজা বিপর্যয় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গার্মেন্টস রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে৷ চালু হয়েছে ‘‘অ্যাকর্ড’’, ‘‘অ্যালায়েন্স’’ এবং ‘‘টেক্সটাইলস পার্টনারশিপ’’ মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, যার উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের গার্মেন্টস ওয়ার্কারদের কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা৷
ছবি: DW/S. Burman
একযোগে
জার্মান উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এক করা৷ গাজিপুরের ডিবিএল গ্রুপ ‘‘টেক্সটাইলস পার্টনারশিপ’’-এ যোগ দিয়েছে ও ইতিমধ্যেই একাধিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করেছে৷ জার্মান উন্নয়নমন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলার তাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং এই আশা প্রকাশ করেন যে, অন্যান্য সংস্থাও এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করবে৷
ছবি: DW/S. Burman
মোটরসাইকেলে
প্রায় দেড়’শ নতুন লেবার ইনস্পেক্টরদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে, কারখানাগুলোর পরিস্থিতির উপর নজর রাখার জন্য৷ কোনো সংকট ঘটলে যানজট এড়িয়ে চটজলদি অকুস্থলে পৌঁছানোর জন্য তাদের মোটরসাইকেল দেওয়া হয়েছে৷
ছবি: DW/S. Burman
লুডো খেলাও সচেতনতা বাড়ায়
গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকরা প্রধানত মহিলা, নিজেদের আইনি দাবিদাওয়া সম্পর্কে তাঁদের বিশেষ ‘জানকারি’ নেই৷ কাজেই কারখানায় ‘‘মহিলাদের কাফে’’ সৃষ্টি করে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, সেই সঙ্গে বিনোদনের জন্য লুডো খেলা৷
ছবি: DW/S. Burman
কাজের জায়গায়
পরিস্থিতি কিছুটা অন্যরকম৷ দিনে দশ থেকে চোদ্দ ঘণ্টা কাজ৷ ‘‘টেক্সটাইলস পার্টনারশিপ’’ এই অনলস কর্মীদের কাজের পরিবেশের উন্নতি ঘটাতে চায়৷
ছবি: DW/S. Burman
রাজনীতিও শামিল
বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ গাজিপুরের ডিবিএল গ্রুপের ফ্যাক্ট্রিতে জার্মান উন্নয়নমন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলারের সঙ্গে যোগ দেন এবং সহযোগিতা সম্পর্কে আলোচনা করেন৷ গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতি ঘটানোর জন্য সরকারের উদ্যোগ বিশেষভাবে প্রয়োজন৷
ছবি: DW/S. Burman
মিনি ফায়ার ব্রিগেড
গ্যার্ড ম্যুলার গাজিপুরে ডিবিএল গ্রুপের কারখানার নতুন ‘খুদে দমকল বাহিনীর’ উদ্বোধন করেন৷ এই ফায়ার ব্রিগেড এক কিলোমিটার ব্যাসের এলাকার মধ্যে অগ্নি নির্বাপণে সক্ষম৷ ম্যুলারের সঙ্গে ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ৷
ছবি: DW/S. Burman
চাইল্ড কেয়ার
শ্রমিক কল্যাণ উদ্যোগের অংশ হিসেবে কারখানা প্রাঙ্গণে ডে-কেয়ার সেন্টার সৃষ্টি করে মহিলা শ্রমিকদের শিশুসন্তানদের দেখাশোনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷
ছবি: DW/S. Burman
সবে মিলে করি কাজ
জার্মান সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা, মালিকপক্ষ, বিদেশি ক্রেতা এবং অপরাপর সংশ্লিষ্টরা সকলে একত্রিত হয়ে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করছেন৷
ছবি: DW/S. Burman
লক্ষ্য
বাংলাদেশ বর্তমানে ২৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের গার্মেন্টস রপ্তানি করে থাকে৷ সরকার সেটাকে ২০২১ সাল – অর্থাৎ দেশের পঞ্চাশতম বার্ষিকীর মধ্যে ৫০ বিলিয়নে দাঁড় করাতে চান৷ জার্মান উন্নয়ন মন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলার গত ৭ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন৷