1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের’ আশা

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
৯ ডিসেম্বর ২০১৭

বাংলাদেশের মানুষ আরেকটি সাধারণ নির্বাচনের অপেক্ষা করছে৷ আর সেটা হতে পারে ২০১৯ সালে৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, তাই যদি হয় তাহলে ২০১৮ সালই নির্বাচনের বছর৷ ইইউ চায় সেই নির্বাচন যেন হয় সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু৷

Bangladesch Wahlen 04. Januar 2014
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images

বাংলাদেশে ২০১৪ সালের ৪ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন ছিল একপাক্ষিক৷ সেই নির্বাচনে দেশের তখনকার বিরোধী দল এবং তার মিত্ররা অংশ নেয়নি৷ ফলে সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের দাবি অনেক দিনেরউ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার আগাম নির্বাচনের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন৷ তাই সাধারণ নিয়মে মেয়াদ পূর্ণ করে নির্বাচন হওয়ার কথা ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে৷ এই নির্বাচন নিয়ে এখনই সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে একধরনের প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে৷  এখন পর্যন্ত যা আভাস, তাতে গত নির্বাচন বর্জন করলেও বিএনপি ও তার শরিকরা এবারের নির্বাচন বর্জন করবে না৷

Nazmul.mp3 - MP3-Stereo

This browser does not support the audio element.

আর এই প্রেক্ষাপটে ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলেছে, ‘‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমরা আশা করি৷''

ইইউ বিবৃতিতে লিখেছে, ‘‘বাংলাদেশ-ইইউ ২০০১ সালে যে সহযোগিতা চুক্তি সই করে তাতে দুই পক্ষই জাতিসংঘ সনদ মেনে মানবাধিকার সুরক্ষার মূলনীতিগুলোর গুরুত্বের ব্যাপারে একমত হয়৷ মানুষের মর্যাদা, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, বৈষম্যহীনতা, আইনের শাসন এবং মানবাধিকার দু’পক্ষের কাজের ভিত্তি৷''

ইইউ বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করেছে, ‘‘আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে৷'' 

Badiul.mp3 - MP3-Stereo

This browser does not support the audio element.

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ইইউ'র প্রত্যাশা বিষয়ে ডয়চে ভেলে'র কথা হয় বাংলাদেশ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ (জানিপপ)-এর প্রধান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর সঙ্গে৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, স্টেকহোল্ডার সবাই৷ নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হলেও তার খুব বেশি দেরি নাই৷ তাই এই জানুয়ারি থেকেই নির্বাচনের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে যাবে৷ সেই বিবেচনায় ২০১৮ সাল ইলেকশন ইয়ার৷ সব পক্ষই চাইছে তার অবস্থান সংহত রেখে কম ছাড় দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে৷ এখন আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি৷ তাদের সহযোগী জামায়াত৷ আর জামায়াতের জন্যতো এটা শেষ যুদ্ধের মত৷ তাই তারা চাইবে তাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে এই নির্বাচনের ফল ঘরে তুলতে৷''

তিনি বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন চায় একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন৷ আর তাতে সব বড় দলের অংশগ্রহণ অপরিহার্য৷ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতার লেবাস দিতে হলে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে হবে৷ এটাই হল নির্বাচনের এই পর্যায়ের পরিস্থিতি৷''

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত হওয়ার সময় পাচ্ছে৷ সামনে সিটি নির্বাচনগুলোতে সে মাঠ পর্যায়ে প্রস্তুতি নিতে পারবে৷ সংকট মোকাবিলার শিক্ষা পাবে৷ কমিশনকেও পুরো মাত্রায় প্রস্তুত করতে পারবে৷''

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার নির্বাচনের অগে অবশ্য খারাপ পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ বা বিএনপি যারাই যখন ক্ষমতায় থেকেছে তারা ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে৷ সরকারি দল সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের কথা বলছে৷ আমার মনে হয় নির্বাচনের আগে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে৷ বাংলাদেশের ইতিহাস হলো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল জিতেছে৷ আর নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিরোধী দল জিতেছে৷'' 

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ