বাংলাদেশে অসহায় শিশুদের জন্য হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক
৭ অক্টোবর ২০২১
রাজধানীতে হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ উদ্যোগটি যেসব শিশু জন্মের সময় মা হারায় বা মায়ের অসুস্থতার কারণে বুকের দুধ পায় না কিংবা মায়ের দুধ নবজাতকের পুষ্টির জন্য পর্যাপ্ত নয় তাদের জন্য৷
বিজ্ঞাপন
‘স্ট্রেনদেনিং মাল্টিসেক্টরাল নিউট্রেশন প্রজেক্ট' এর আওতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক ইউনিট, ঢাকা শিশু হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মাতুয়াইলের শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে (আইসিএমএইচ) এই মিল্ক ব্যাংক করতে চায় এফএইচআই৩৬০৷ হাসপাতালগুলোর সঙ্গে এরই মধ্যে তাদের প্রাথমিক চুক্তি হয়ে গেছে৷ দুই বছর আগে একবার মাতুয়াইলের শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট মিল্ক ব্যাংক স্থাপনের উদ্যোগ নিলে ধর্মীয় কারণে তা আটকে যায়৷
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফ্যামিলি হেলথ ইন্টারন্যাশনাল-এফএইচআই ৩৬০ সেজন্য গত ৩১ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতির জন্য আবেদন করেছে৷
ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘‘এতে ধর্মীয় বিষয় জড়িত থাকায় সবার সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, একা সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না৷ ইসলামিক ফাউন্ডেশন আছে, ধর্মীয় নেতারা আছেন, সব স্টেকহোল্ডারদের যুক্ত করে এগোতে হবে৷''
মিল্ক ব্যাংক স্থাপনের এই নতুন উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত আছেন বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ৷তিনি বিডিনিউজকে বলেন, ‘‘নবজাতক এবং শিশু স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হলো মায়ের বুকের দুধ৷ শরীরে পুষ্টি যোগানোর পাশাপাশি বুকের দুধ টিকা হিসেবে কাজ করে, সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করে৷''
দেশে দেশে মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক
ছবিঘরে দেখে নিন মাতৃদুগ্ধ ব্যাংকের ধারণা কোথা থেকে এল, কোন কোন দেশে তা চালু আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Sabangan
মাতৃদুগ্ধ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে প্রতিবছর দুই কোটি শিশু কম ওজন নিয়ে জন্ম নেয়৷ এই ধরনের নবজাতকদেরকে মায়ের বুকের দুধ পান করানোর উপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছে সংস্থাটি৷ পাশাপাশি যেকোনো নবজাতককে জন্মের পর থেকে অন্তত ছয়মাস মাতৃদুগ্ধ পান করার পরামর্শ ডব্লিউএইচও এবং ইউনিসেফের৷
ছবি: picture alliance / Sergei Bobylev/TASS/dpa
সংরক্ষণ যে কারণে
শিশু তার মায়ের দুধ না পেলে অন্যকোন মায়ের বুকের দুধ যাতে পান করতে পারে সেই ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে ডব্লিউএইচও৷ এই প্রয়োজনের নিরিখেই হিউম্যান মিল্ক ব্যাংকের উদ্ভব৷ যেসব মায়েদের নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে কিংবা সন্তানকে খাওয়ানোর পরও যাদের অতিরিক্ত দুধ আছে তারা হিউম্যান মিল্ক ব্যাংকে তা সংরক্ষণ করতে পারেন৷ যেসব শিশুরা মায়ের বুকের দুধ থেকে বঞ্চিত তারা সেখান থেকে দুধ পানের সুযোগ পায়৷
ছবি: picture-alliance/Zuma/C. Jianxiong
প্রথম মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক
প্রথম মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৪৩ সালে ব্রাজিলে৷১৯৮৫ সালে দেশটিতে তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়৷ ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ব্রাজিলিয়ান নেটওয়ার্ক অফ হিউম্যান মিল্ক ব্যাংকস৷ শুধু নিজ দেশে নয় গোটা লাতিন আমেরিকায় মিল্ক ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা দেয় তারা৷ ২০১৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই অঞ্চলে এমন ৩০১টি সংরক্ষণাগার রয়েছে যার ২১৮টিই ব্রাজিলে৷
ছবি: Getty Images/AFP/E. Benavides
ইউরোপে দুই শতাধিক
ইউরোপের বিশটিরও বেশি দেশে মাতৃদুগ্ধ সংরক্ষণাগার রয়েছে৷ সব মিলিয়ে যার সংখ্যা ২৩৯টি বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন৷ আরো ১৫ টি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া চলছে৷ এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ৩৭টি ব্যাংক আছে ইটালিতে৷ ফ্রান্সে ৩৬টি, সুইডেনে ২৮টি আর জার্মানিতে রয়েছে ২০টি৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Isakovic
উত্তর আমেরিকায়
১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হিউম্যান মিল্ক ব্যাংকিং অ্যাসোসিয়েশন অফ নর্থ আমেরিকা৷ তারা এই অঞ্চলের অলাভজনক মাতৃদুগ্ধ সংরক্ষণাগারগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে৷ বর্তমানে তাদের অধীনে মিল্ক ব্যাংকের সংখ্যা ২৯টি৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/A. Rush
আফ্রিকার ত্রয়ী
আফ্রিকার তিনটি দেশে বর্তমানে মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক রয়েছে৷ ১৯৮০ সালে প্রথম চালু হয় সাউথ আফ্রিকাতে, এরপর ২০১১ সালে আফ্রিকার কেপ ভার্দে এমন উদ্যোগ নেয়৷ সবশেষ চলতি বছরের আগস্টে কেনিয়ার নাইরোবিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশটির প্রথম হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক৷
ছবি: Getty Images/AFP/E. Benavides
এশিয়ায় প্রথম ভারতে
এশিয়ায় প্রথম মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক যাত্রা শুরু করে ভারতের মুম্বাইতে ১৯৮৯ সালে৷ বর্তমানে যার সংখ্যা প্রায় অর্ধশত৷ চীনেও এমন ব্যাংক আছে অনেকদিন থেকে৷ ২০১৭ সালে সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম তাদের প্রথম মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে৷ ২০১৫ সালে থেকে এই উদ্যোগ চালু রয়েছে ফিলিপিন্সেও৷ চলতি বছর ইউনিসেফের সহযোগিতায় বিশ্বের অন্যতম বড় হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সেখানে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Sabangan
মুসলিম দেশগুলোতে
মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মধ্যে ২০১৬ সালে তাবরিজ শহরে প্রথম মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে ইরান৷ চলতি বছরের আগস্টে পঞ্চম ব্যাংকের উদ্বোধন করা হয়েছে সিরাজ শহরে৷ ২০১২ সালে তুরস্কের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশটিতে এ ধরনের ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেয়৷ তবে এখনও তা বাস্তবায়ন হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/TASS/S. Bobylev
বাংলাদেশে
২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো মাতৃদুগ্ধ ব্যাংকের উদ্যোগ নেয় ঢাকার মাতুআইলে অবস্থিত শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট৷ প্রাথমিকভাবে এই ব্যাংকে ৫০০ লিটার দুধ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়৷ সে বছর ১ ডিসেম্বর এর যাত্রা শুরুর কথা থাকলেও বাধার মুখে তা চালু করা যায়নি৷
ছবি: Zakia Ahmed
9 ছবি1 | 9
মিল্ক ব্যাংক খোলার প্রয়োজনীয়তার কথা জানাতে গিয়ে ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, ‘‘মায়ের বুকের দুধ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রিম্যাচিওর বাচ্চার পুষ্টির জন্য৷ মা পর্যাপ্ত দুধ দিতে পারছে না, মায়ের অপারেশন বা একটা রোগ ধরা পড়েছে, এমন ওষুধ খাচ্ছে যে বুকের দুধ দিতে পারছে না-এ ধরনের নবজাতককে বর্তমানে হাসপাতাল বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে অন্য মায়েদের অনুরোধ করে তার বুকের দুধ খাওয়ানো হয়৷কিন্তু এটা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নয়, ধর্মীয়ভাবেও প্রশ্ন থেকে যায়৷ কার বাচ্চাকে কার দুধ খাওয়াচ্ছি, রেকর্ড রাখছি কি না সেটাও প্রশ্ন৷ এসব কারণেই মিল্ক ব্যাংক তৈরি করা দরকার৷''
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে জন্মের পর প্রতি এক হাজারে ১৬ জন নবজাতকের মৃত্যু হয়৷ জন্মের পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতি হাজারে মারা যায় ২৯টি শিশু৷মায়ের বুকের দুধ নিশ্চিত করতে না পারা শিশু মৃত্যুর প্রধান চারটি কারণের একটি বলে জানান এফএইচআই ৩৬০ এর অ্যাডভাইজার ডা. গাজী মাসুম আহমেদ ৷ মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো নিশ্চিত করতে পারলে যেসব শিশু মারা যাচ্ছে তাদের অর্ধেককে বাঁচানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি৷
‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক' নিয়ে বিতর্ক
মায়ের বুকের দুধ থেকে বঞ্চিত শিশুদের মায়ের দুধের ব্যবস্থা করতে ২০১৭ সাল থেকে কাজ শুরু করে ঢাকার মাতুয়াইলের শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইসিএমএইচ)৷ বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতিও আনার পরেও ওলামাদের একটি অংশের বিরোধিতা কারণে থেমে যায় উদ্যোগটি৷ এ বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অবস্থান সম্পর্কে গবেষণা বিভাগের মুফতি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ গত মাসে বিডিনিউজকে জানিয়েছিলেন, যে প্রক্রিয়ায় এটা হবে বলা হচ্ছে, এভাবে বৈধতা দেওয়া যাবে না৷
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর রেকর্ড নিয়ে আলেম সমাজের আপত্তি রয়েছে তবে এর বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধানও রয়েছে৷
এর সমাধান করতে দুগ্ধদানকারী মা এবং দুধ পান করেছে যে শিশু তার সব তথ্যসহ দুটো আলাদা আইডি নম্বর ড্যাশবোর্ডে থাকবে বলে জানান এফএইচআই ৩৬০ এর অ্যাডভাইজার ডা. গাজী মাসুম আহমেদ৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
শিশুর জন্য মায়ের দুধ, নানা রোগের মহৌষধ
মায়ের দুধের গুণের কথা সকলেই জানেন৷ তবে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা জানাচ্ছে শুধু শিশুর জন্যই মায়ের দুধ উপকারীই নয়৷ মাতৃদুগ্ধ যেমন শিশুকে নানা রোগ থেকে দূরে রাখে তেমনি যিনি দুধ পান করাচ্ছেন, তাঁকেও নানা অসুখ থেকে দূরে রাখে এটি৷
ছবি: Fotolia/evgenyatamanenko
মা-বাবার সিদ্ধান্ত
শিশু জন্মের পর তাকে মায়ের বুকের দুধ পান করানো হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবে নতুন মা-বাবাই৷ তবে শিশুর স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করলে মায়ের বুকের দুধই শিশুর জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট খাবার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Wolfraum
যা যা আছে
মায়ের বুকের দুধে নবজাতক শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সব পুষ্টিগুণই থাকে, যাতে একটি শিশু সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে৷ এ কথা জানা যায় সাম্প্রতিক একটি গবেষণা থেকে৷
ছবি: Fotolia/evgenyatamanenko
অ্যাজমার ঝুঁকি কমায়
মায়ের দুধ পান করলে শিশুর অ্যাজমার ঝুঁকি কমে শতকরা ৪০ভাগ – এই তথ্যটি জানা যায় ক্যানাডিয়ান একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রতিক করা গবেষণা থেকে৷ বলা বাহুল্য, জার্মানিতে শিশুরা যে রোগগুলোতে সবচেয়ে বেশি ভোগে তা হলো অ্যাজমা বা হাঁপানি৷
ছবি: picture-alliance/ZB/H.Wiedl
প্রতি ফোটা দুধই শিশুর জন্য গরুত্বপূর্ণ
একটি শিশু প্রতি মাসে যতদিন যতটুকু দুধই পান করুক না কেন, তার প্রতি ফোটাই অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে৷ জানা যায়, প্যারিসের মাতৃদুগ্ধ বিষয়ক একটি গবেষণা গ্রুপের করা সমীক্ষা থেকে৷ তথ্যটি দিয়েছেন গবেষক গ্রুপের প্রধান মেঘান আজাদ৷
ছবি: Fotolia/Okea
তবে পাম্প করা দুধ নয় কিন্তু!
যে শিশু সরাসরি মায়ের বুক থেকে দুধ পান করে তার অ্যাজমার ঝুঁকি কমে বেশি৷ পাম্প করে নিয়ে পরে দুধ খাওয়ালে নাকি উপকার কম হয়৷ কারণ ধারণা করা হয়, পাম্প করা দুধ ঠান্ডা হলে তার গুণ কমে যায়৷ তাই মায়ের দুধ সরাসরি পান করারই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: picture-alliance/Godong
শিশুর ফুসফুসকে শক্তিশালী করে
মায়ের দুধ সরাসরি পান করার মধ্য দিয়ে শিশুর ফুসফুসও শক্তিশালী হয়৷
ছবি: colorbox
কমপক্ষে ছ’মাস
বিশেষজ্ঞদের মতে শিশুকে কমপক্ষে চার থেকে ছ’মাস বুকের দুধ পান করানো উচিত৷ কারণ এতে শিশুর ডায়বেটিস, অতিরিক্ত ওজন বাড়া, অ্যালার্জি এবং ইনফেকশনের ঝুঁকি কমে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Kalaene
মায়ের উপকার
শিশু মায়ের দুধ পান করলে মায়ের স্তন ক্যানসার ও ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমে৷ তাছাড়া তাড়াতাড়ি মায়ের গর্ভকালীন ওজন কমাতেও সাহায্য করে এটি৷ তাছাড়া দুধ পান করানোর মধ্য দিয়ে মা এবং শিশুর মধ্যে সম্পর্ক আরো গভীর এবং মজবুত হয়৷