1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সরকার চাইলে তদন্তে রাজি ব়্যাব

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩ জুন ২০১৩

বাংলাদেশের ক্রিকেটে ম্যাচ পাতানো বা স্পট ফিক্সিং এর সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে ব়্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন বা ব়্যাবের কাছে৷ সরকার বা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চাইলে ব়্যাব এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত তদন্ত করবে৷

NOTTINGHAM, ENGLAND - JUNE 08: Mohammad Ashraful of Bangladesh celebrates taking the wicket of Gary Wilson of Ireland during the ICC World Twenty20 matchbetween Ireland and Bangladesh at Trent Bridge on June 8, 2009 in Nottingham, England. (Photo by Matthew Lewis/Getty Images)
ছবি: Getty Images

ব়্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান ডয়চে ভেলেকে জানান, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ পাতানো বা স্পট ফিক্সিং এর মাধ্যমে জুয়ার ঘটনা তদন্ত হয় মে মাসে৷ আর এই ঘটনা তদন্তে আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশনের (আকসু) সদস্যরা ঢাকায় এসে ব়্যাবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন৷ তারা ব়্যাবের সহায়তা নেন এবং তথ্যের আদান প্রদান করেন৷ তিনি জানান, আগে থেকেই ক্রিকেট নিয়ে জুয়াড়ি বা বুকিদের তত্‍পরতার খবর ছিল তাদের কাছে৷ তারা চেষ্টা করছিলেন, এধরনের জুয়াড়ি বা বুকিদের চিহ্নিত করতে৷

সরকার বা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চাইলে ব়্যাব এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত তদন্ত করবেছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images

তিনি জানান, গত ফেব্রুয়ারির ২, ৪ এবং ১২ তারিখের ৩টি ম্যাচ ফিক্সিং-এর সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে তাদের কাছে৷ এই ম্যাচগুলো ছিল ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-খুলনার মধ্যে৷ আর এই ম্যাচ পাতানোর নেপথ্যে ছিল ঢাকা গ্লাডিয়েটরস এর মালিক পক্ষ৷ বুকি হিসেবে একজন ভারতীয় এবং একজন শ্রীলংকান নাগরিকের নাম উঠে এসেছে৷ তারা আন্তর্জাতিক জুয়াড়ি৷ জুয়াড়িদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে বাংলাদেশের কয়েক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে

জিয়া জানান, বাংলাদেশের যাদের নাম এসেছে তাদের সাবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে৷ এবং তারা তাদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করতে পারেননি৷ এই ম্যাচ পাতানোয় বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন হয়েছে৷

লে. কর্নেল জিয়া জানান, এই ধরনের ক্রিকেট দুর্নীতির ঘটনা বাংলাদেশে এই প্রথম প্রকাশ পেল৷ কিন্তু এর আইনি তদন্তে কোন বাধা নেই৷ এই তদন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনও করতে পারে৷ আবার ব়্যাব অথবা পুলিশের কোন সংস্থাকেও দেয়া যেতে পারে৷ তিনি বলেন, ‘‘আইসিসির আইনে যাই থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কোন আদালতে বা থানায় অভিযোগ আনা হলে তার তদন্ত বাংলাদেশের তদন্তকারী সংস্থাকেই দিতে হবে৷ কারণ বাংলাদেশের আদালতে বাংলাদেশি ছাড়া বিদেশি কোন তদন্ত সংস্থার তদন্ত গ্রহণযোগ্য নয়৷''

তিনি বলেন, ‘‘সরকার বা বিসিবি চাইলে ব়্যাবও এর তদন্ত করতে প্রস্তুত আছে৷ আর ব়্যাবের কাছে তথ্যও আছে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ