1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে জঙ্গি ট্রেন্ড

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা নানা দিক দিয়ে ‘বিকশিত' হচ্ছে৷ দেশের ভেতরে জঙ্গিদের নানা গ্রুপ তো আছেই, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আইএস-এর তৎপরতা৷ একই সঙ্গে দেশের বাইরের জঙ্গিদের বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়ার দাবিও করা হচ্ছে৷

Propagandabild IS-Kämpfer ARCHIV
ছবি: picture-alliance/abaca/Yaghobzadeh Rafael

সর্বশেষ খবর হলো, থাই পুলিশ দাবি করেছেস যে ব্যাংককে ইরাওয়ান মন্দিরে বোমা হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী ইজান চীনা পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে৷ বৃহস্পতিবার থাই পুলিশ কর্মকর্তারা দাবি করেন, ‘‘বোমা হামলার আগের দিনই সে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে৷'' ওই হামলায় ১৪ পর্যটকসহ ২০ জন নিহত হয়৷ তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি৷

সিরিয়ায় ব্রিটেনের ড্রোন হামলায় নিহত তিনজন ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গির মধ্যে একজন, রহুল আমিনের জন্ম বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলায় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম৷ যদিও আমিন বড় হয়েছেন স্কটল্যান্ডে৷ অর্থাৎ তিনি একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক৷

তবে বাংলাদেশি তরুণদের সরাসরি সিরিয়া গিয়ে আইএস-এ যোগ দেয়ার খবর দিয়েছেন বাংলাদেশের গোয়েন্দারাই৷ তাঁরা জানিয়েছেন, এ রকম অন্তত ৯ জন তরুণের তথ্য আছে তাঁদের কাছে৷ গত বছর আইএস-এর একটি ভিডিওতে বাংলাদেশি কয়েক তরুণের সিরিয়া গিয়ে আইএস-এ যোগ দেয়ার কথা প্রকাশ করা হয়েছিল৷ বাংলাদেশ থেকে এক তরুণীর আইএস-এ যোগ দেয়ার জন্য বিমানে ঢাকা ত্যাগের খবরও সংবাদমাধ্যমগুলি প্রকাশ করেছে৷ তার পরিবার তাকে ফেরত আনার জন্য দূতাবাসের মাধ্যমে এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷

এইসব তথ্য প্রমাণ করে যে বাংলাদেশে সক্রিয় আইএস৷ তারা এখান থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে৷ এই সদস্য সংগ্রহের কথা স্বীকারও করেছেন গত মে মাসে ঢাকায় আটক হওয়া আইএস-এর ‘বাংলাদেশের সমন্বয়কারী' আমিনুল ইসলাম বেগ৷ তিনি গোয়েন্দাদের জানান, তারা প্রায় ২০ জন যুবককে তালিকাভুক্ত করেছেন, যারা সিরিয়িায় গিয়ে আইএস-এ যোগ দিতে উদগ্রীব৷

বাংলাদেশের তরুণদের কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে আইএস-এ যোগ দিতে দেশ ছাড়ছেন৷ গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র আশেকুর রহমানের সিরিয়ায় আইএস-এ যোগদানের খবর নিয়ে বাংলাদেশে তখন ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়৷ এছাড়া গত দেড় বছরে পুলিশ বাংলাদেশে অন্তত ৩০ জনকে আইএস-এর সঙ্গে জড়িত বলে আটক করেছে৷

বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে আলোচিত জঙ্গি গ্রুপ হলো আনসারুল্লাহ বাংলা টিম৷ তারা ব্লগারদের একের পর এক হত্যা করে আলোচনায় এসেছে৷ নতুন জঙ্গি সংগঠন হিসেবে নাম জানা গেছে আরো দু'টি সংগঠনের৷ সংগঠন দু'টি হলো হামজা ব্রিগেড এবং হিলফুল ফুজুল৷

বাংলাদেশে এখন মোট ৬টি জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ৷ এগুলো হলো হরকাতুল জিহাদ, জেএমবি, জেএমজেবি, শাহদাৎ-ই-আল হিকমা, হিযবুত তাহরির ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিম৷ এদের মধ্যে হিজবুত তাহরি গত সপ্তাহে ঢাকায় অনলাইন সম্মেলন করেছে৷ তারা প্রায়ই ঢাকাসহ সারাদেশে প্রকাশ্যেই ঝটিকা মিছিল এবং প্রচারপত্র বিলি করে থাকে৷

২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বাংলা বর্ষরণে বোমা হামলার মধ্য দিয়ে হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের নাম আলোচনায় আসে৷ বর্তমানে কারাগারে আটক হরকাতুল নেতা মুফতি হান্নান একজন আফগান ফেরত বাংলাদেশি তালেবান৷ এই হরকাতুল জিহাদই ২০০৩ সালের ২১শে আগস্ট ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালায়৷ ২০০৪ সালের ১৭ই আগস্ট দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালায় জেমএবি৷ জেএমবি পাকিস্তানের লস্কর-এ-তৈয়বা এবং আল-কায়েদার অনুসারী৷

২০১৩ সালে ব্লগার হত্যার মধ্য দিয়ে আলোচনায় আসে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম৷ এর সদস্যরা উচ্চ ও প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত৷ হিজবুত তাহরির সদস্যরাও তাই৷ আর সর্বশেষ বাংলাদেশের জঙ্গিদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে আইএস ‘ট্রেন্ড'৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ