বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের জন্য কমিশনের প্রস্তুতি কতদূর?
৯ মে ২০২৫
নির্বাচন আয়োজনের প্রধান প্রস্তুতি নির্বাচন কমিশনের (ইসি)৷ তার সঙ্গে দরকার হয় সরকারের প্রস্তুতি৷ নির্বাচন কশিনকে নিরাপত্তা, প্রশাসনিক সহায়তা এবং অর্থ সহায়তা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের৷ প্রস্তুত হতে হয় রাজনৈতিক দলগুলোকেও৷
নির্বাচনে নিরাপাত্তা ও শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করে সামরিক, আধা সামরিক বাহিনী ও পুলিশ৷ আর জেলা প্রশাসকেরা জেলা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন৷ ভোটের সময় প্রয়োজন হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত৷ আর সেই আদালতে দায়িত্ব পালন করে প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা৷ তবে সবার আগে প্রস্তুত হতে হয় নির্বাচন কমিশনকে৷
সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ‘‘নির্বাচনের প্রস্তুতি দুই ভাগে নিতে হয় কমিশনকে৷ তফসিল ঘোষণার আগে এবং তফসিল ঘোষণার পরে৷ তফসিল ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসতে হয়৷ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বসতে হয়৷ সরকারের গ্রিন সিগন্যাল নিতে হয়৷ কারণ, নির্বাচন কমিশন একা তো আর নির্বাচন করতে পারে না৷''
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের জন্য ঋতুও একটা বড় বিষয়৷ সাধারণত বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন হয় না৷ অক্টোবর থেকে মার্চ, এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনের ভালো সময়৷ রোজা, ঈদের সময় নির্বাচনের সময় এড়ানো হয়৷
প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ সে অনুযায়ী ডিসেম্বরে নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে ইসি৷ নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচনের একটা টাইম লাইন করে কাজ এগিয়ে নিচ্ছি৷ কিছু কাজ আছে রুটিন ওয়ার্ক৷ কিছু কাজ আছে ধারাবাহিকভাবে করতে হয়৷ আমরা সবই করছি৷”
মোটাদাগে নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যে আছে ছবিসহ বিতর্কমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা, নির্বাচনি দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন দেয়া এবং বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানানো৷ আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য এক্ষেত্রে কতটা প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন?
ভোটার তালিকা শেষ পর্যায়ে, সীমানা নির্ধারণ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে
আইন অনুযায়ী, ইসি প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে৷ এ ছাড়া প্রয়োজনে যে-কোনো সময় তালিকা সংশোধন করতে পারে ইসি৷
গত ২ মার্চ হালনাগাদ (২০২৪ সালের সর্বশেষ তথ্য) ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন৷ চলতি বছরের হালনাগাদ কার্যক্রমও চলছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার হোসেন৷ জুন মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ হওয়ার কথা৷ তবে এটি চূড়ান্ত হবে আগামী বছরের ২ মার্চ৷ এর আগে নির্বাচন হলে ভোটার হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের তালিকাভুক্ত করতে আইনে সংশোধনী আনার প্রয়োজন হতে পারে বলে জানান নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার৷
আখতার হোসেন জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদের মাঠ পর্যায়ের কাজ তারা সেরে ফেলেছেন৷ যাচাই-বাছাই শেষে দ্রুতই তারা ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে পারবেন৷
তবে সাবেক নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, "নির্বাচন যদি আরো এক বছর পর হয়, এর মধ্যে আরো অনেকে ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন৷ ফলে, নির্বাচনের আগে আবার ভোটার তালিকা করতে হবে৷ এখন যেটা হচ্ছে, সেটা হলো, প্রতিছর নিয়ম অনুযায়ী যে হালনাগাদ করা হয়, তা৷”
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ কারার কাজও চলছে বলে কমিশন জানিয়েছে৷ আইন অনুযায়ী, কোনো আদমশুমারির পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের আগে ও ইসি চাইলে যে-কোনো জাতীয় নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করতে পারে৷ এই কাজে অতীতে দুই থেকে চার মাস সময় লেগেছে৷ নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, "সীমানার বিষয়টি এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পেন্ডিং আছে৷”
নির্বাচনের অন্তত ২৫ দিন আগে ভোট কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করতে হয়৷ সাধারণত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ভোট কেন্দ্র হিসাবে কাজে লাগানো হয়৷
নির্বাচনের আগে আরেকটি কাজ হলো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন৷ ২২ জুন পর্যন্ত নিবন্ধনের আবেদনের সময় দেয়া হয়েছে৷ শর্ত অনুযায়ী, আবেদনগুলো যাচাই বাছই করতে হয় সরেজমিন৷ তারপর নিবন্ধন দেয়া হয়৷ আর তা তফসিল ঘোষণার আগেই শেষ করতে হয়৷
আখতার হোসেন জানান, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সসহ কেনাকাটার জন্য টেন্ডার কল করা হয়েছে৷ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এগুলো হবে বলে তিনি মনে করেন৷ রাজনৈতিক দল, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এগুলো তো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ওপর নির্ভর করে৷ আমরা তো এখনো বলতে পারছি না তফসিল কবে ঘোষণা করতে পারবো৷ এটা তো আমাদের একার বিষয় নয়৷ নির্বাচনের তফসিলের সঙ্গে রাজনৈতিক ঐক্যের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে৷ তাদের সঙ্গে এর একটা সম্পর্ক আছে৷”
নির্বাচনের বাজেট পাশ হতে পারে ‘সাতদিনে'
নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারতে হয় নির্বাচন কমিশনকে৷ ভোটের জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে স্বচ্ছ ব্যালটবাক্স ও ঢাকনা, ছবিসহ ভোটার তালিকা ছাপানো, ব্যালট পেপার, অমোচনীয় কালি, কয়েক ধরনের সিল, গালা, স্ট্যাম্প প্যাড, কালি, থলে, ১৭ ধরনের খাম, কাগজ, কলম, ছুরি, মোমবাতি, দেশলাইসহ অনেক কিছুরই প্রয়োজন হয়৷ ব্যালট পেপারের কাগজ সাধারণত রাষ্ট্রায়ত্ত কর্ণফুলী পেপার মিল থেকে নেয়া হয়৷ ভোটের বেশ আগেই তাদের কাছে চাহিদাপত্র দিতে হয়৷ আর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর ব্যালট পেপার ছাপা হয় সরকারি ছাপাখানায়৷ এর বাইরে অন্য সামগ্রী কিনতে হয় উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে৷ এই কারণে কিছুটা দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয় কেনাকাটায়৷
সাবেক নির্বাচন কশিনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘প্রিন্টিং-এর কিছু কাজ আছে, যা তফসিল ঘোষণার আগেই করতে হয়৷ তার মধ্যে আছে নানা ধরনের খাম, প্যাকেট, প্যাকেজিং ম্যাটারিয়াল, ব্যালট বক্স ইত্যাদি৷ কিছু করতে হয় তফসিল ঘোষণার পরে৷ আর কিছু করতে হয় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার পর যেমন ব্যালট পেপার৷”
রিটার্নিং ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয় ভোটের তফসিলের সময়৷ সাধারণত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়৷ আর প্রিসাইডিং, সহকারি প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের৷ চূড়ান্ত করা হয় তফসিল ঘোষণার পর৷ এরপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তাদের৷
ভোটের দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজটি করে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসারসহ বিভিন্ন বাহিনী৷ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা থাকেন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে৷ তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে নির্দেশনা দিয়ে থাকে ইসি৷
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক হাজার ৪৫৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে৷ এই বাজেটও পাশ করাতে হয় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে৷ রফিকুল ইসলাম বলেন, "বাজেট পাশে কোনো সমস্যা হয় না৷ এটার একটি নির্ধারিত ব্যবস্থাই আছে৷ সাত দিনের মধ্যে হয়ে যায়৷”
আইন ও বিধি পরিবর্তনের কতদূর
আইন অনুযায়ী কমপক্ষে ৩৯ দিন আগে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হয়৷ তফসিল ঘোষণার পর অনেক চাপ থাকে তাই সাধাণত ৫০-৫৫ দিন সময় রেখে তফসিল ঘোষণা করা হয় বলে জানান রফিকুল ইসলাম৷
নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার হোসেন জানান, "নির্বাচনের আগে কিছু নীতিমালা সংশোধন করতে হবে৷ ওই সংশোধন এবং নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে একজন নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করছে৷ দেশি পর্যবেক্ষদের নিবন্ধন নিয়েও কাজ হচ্ছে৷ এগুলো দ্রুতই হয়ে যাবে৷ ”
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশসহ বেশ কিছু আইনবিধিতে সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছে৷ গত ১৯ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নয়টি প্রস্তাব ইসির কাছে পাঠিয়েছে৷ সেগুলো হলো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন সংশোধন, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন সংশোধন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও গণমাধ্যম নীতিমালা, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা সংশোধন, হলফনামার খসড়া, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, পোস্টাল ব্যালটের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং রাজনৈতিক এবং নির্বাচনি অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও শুদ্ধাচার চর্চা নিশ্চিত করা৷ এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে কত সময় লাগতে পারে এবং এতে কোনো টাকা খরচ হবে কি না, তা জানাতে বলা হয়েছে৷
সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করেছে ইসির সংশ্লিষ্ট কমিটি৷ এটি অনুমোদনের জন্য নির্বাচন কমিশনের সভায় তোলা হবে৷ নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অধিকাংশ সুপারিশ প্রস্তাবিত আচরণবিধিমালায় যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি৷
নির্বাচন কমিশন সচিব আরো বলেন, "এইসব সংস্কার ও আইন পরিবর্তন নিয়ে কমিশনের কমিটি কাজ করছে৷” নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, "নির্বাচনের আগে কিছু সংস্কার তো করতে হবে৷ কিছু সংস্কার আছে সংবিধান সংশোধন না করেও করা যাবে৷ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনে পরিবর্তন আনতে হবে, কলো টাকা বন্ধ করতে হবে৷ আরো কিছু আইন ও বিধি পরিবর্তন করতে হবে৷ এখন সেগুলো কত দ্রুত হয়, তা দেখার আছে৷ ডিসেম্বরে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে তারা সেটা করতে পারবে কিনা, সেটা তো তাদের কাজেই বোঝা যাবে৷ আমি তো বাইরে থেকে কিছু বলতে পারবো না৷”
সফল নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কমিশন ছাড়া বাকিদের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য বলে মনে করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘আর এই নির্বাচন কমিশন একটি সফল নির্বাচন করতে পারবে কিনা তা আমি বলতে পারছি না৷ কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সরকার, পুলিশ ও প্রশাসন তাদেরও কাজ আছে৷ কমিশন তো একা নির্বাচন করতে পারে না৷”
প্রশাসন কতটা তৈরি
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে৷ থানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ছাড়াও পুলিশের প্রায় ৩০০ অপারেশনাল গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে৷ ৬৩৯টি থানার মধ্যে ৪৬০টি থানায় এবং অন্যান্য পুলিশ স্থাপনায় আগুন দেয়া হয়েছে৷ পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, থানাগুলো মেরামত করা হয়েছে৷ আর গাড়ির ঘাটতি পূরণে পুলিশের জন্য ২০০টি ডাবল কেবিন পিকআপ কেনা হচ্ছে৷
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘‘নির্বাচনের জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের মনোবল কতটুকু আছে তা বিবেচনার দাবি রাখে৷ তবে তা নির্ভর করছে ওইসব প্রতিষ্ঠানের যারা নেতৃত্বে আছেন তাদের ওপর৷”
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেন," আমাদের জানা মতে, নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ তবে পুলিশের মনোবল এখনো ফিরে আসেনি৷ আর সরকারের কিছু উপদেষ্টা আছে যাদের নির্বাচনে অনীহা আছে৷ এখন নির্বাচন কমিশনকে অসহযোগিতা করলে তো নির্বাচন কমিশন এগোতে পারে না৷”
তবে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন," এই কমিশন এরই মধ্যে তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে মেয়র হিসাবে ইশরাক হোসেনের গেজেট জারি করে৷ তারা যেন কোনো একটি পক্ষের হয়ে নির্বাচন করতে চায়৷ কিন্তু প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া তো নির্বাচন সম্ভব নয়৷”
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, "আগে নির্বাচন কবে হবে, কীভাবে হবে সেটার একটা রাজনৈতিক ঐক্য হতে হবে৷ একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে হবে৷ নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিতে পারে৷ কিন্তু রাজনৈতিক ঐক্য ছাড়া তো আর তফসিল হবে না৷”
নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার হোসেন বলেন, "ঐকমত্য তৈরির জন্য তো জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে৷”