1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের জন্য কমিশনের প্রস্তুতি কতদূর?

৯ মে ২০২৫

নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদের মাঠ পর্যায়ের কাজ শেষ করেছে কমিশন৷ দ্রুতই প্রকাশ করা যাবে বলে মনে করেন ইসি সচিব৷ তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন এক বছর দেরি হলে আবার ভোটার তালিকা করতে হবে৷

ঢাকায় অবস্থিত নির্বাচন কমিশন ভবন
আইন অনুযায়ী, ইসি প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করেছবি: Mortuza Rashed/DW

নির্বাচন আয়োজনের প্রধান প্রস্তুতি নির্বাচন কমিশনের (ইসি)৷ তার সঙ্গে দরকার হয় সরকারের প্রস্তুতি৷ নির্বাচন কশিনকে নিরাপত্তা, প্রশাসনিক সহায়তা এবং অর্থ সহায়তা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের৷ প্রস্তুত হতে হয় রাজনৈতিক দলগুলোকেও৷

নির্বাচনে নিরাপাত্তা ও শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করে সামরিক, আধা সামরিক বাহিনী ও পুলিশ৷ আর জেলা প্রশাসকেরা জেলা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন৷ ভোটের সময় প্রয়োজন হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত৷ আর সেই আদালতে দায়িত্ব পালন করে প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা৷ তবে সবার আগে প্রস্তুত হতে হয় নির্বাচন কমিশনকে৷

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ‘‘নির্বাচনের প্রস্তুতি দুই ভাগে নিতে হয় কমিশনকে৷ তফসিল ঘোষণার আগে এবং তফসিল ঘোষণার পরে৷ তফসিল ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসতে হয়৷ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বসতে হয়৷ সরকারের গ্রিন সিগন্যাল নিতে হয়৷ কারণ, নির্বাচন কমিশন একা তো আর নির্বাচন করতে পারে না৷''

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের জন্য ঋতুও একটা বড় বিষয়৷ সাধারণত বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন হয় না৷ অক্টোবর থেকে মার্চ, এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনের ভালো সময়৷ রোজা, ঈদের সময় নির্বাচনের সময় এড়ানো হয়৷

প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ সে অনুযায়ী ডিসেম্বরে নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে ইসি৷ নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচনের একটা টাইম লাইন করে কাজ এগিয়ে নিচ্ছি৷ কিছু কাজ আছে রুটিন ওয়ার্ক৷ কিছু কাজ আছে ধারাবাহিকভাবে করতে হয়৷ আমরা সবই করছি৷”

মোটাদাগে নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যে আছে ছবিসহ বিতর্কমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা, নির্বাচনি দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন দেয়া এবং বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানানো৷ আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য এক্ষেত্রে কতটা প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন?

নির্বাচনের আগে কিছু নীতিমালা সংশোধন করতে হবে: আখতার হোসেন

This browser does not support the audio element.

ভোটার তালিকা শেষ পর্যায়ে, সীমানা নির্ধারণ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে

আইন অনুযায়ী, ইসি প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে৷ এ ছাড়া প্রয়োজনে যে-কোনো সময় তালিকা সংশোধন করতে পারে ইসি৷

গত ২ মার্চ হালনাগাদ (২০২৪ সালের সর্বশেষ তথ্য) ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন৷ চলতি বছরের হালনাগাদ কার্যক্রমও চলছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার হোসেন৷ জুন মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ হওয়ার কথা৷ তবে এটি চূড়ান্ত হবে আগামী বছরের ২ মার্চ৷ এর আগে নির্বাচন হলে ভোটার হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের তালিকাভুক্ত করতে আইনে সংশোধনী আনার প্রয়োজন হতে পারে বলে জানান নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার৷

আখতার হোসেন জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদের মাঠ পর্যায়ের কাজ তারা সেরে ফেলেছেন৷ যাচাই-বাছাই শেষে দ্রুতই তারা ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে পারবেন৷

তবে সাবেক নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, "নির্বাচন যদি আরো এক বছর পর হয়, এর মধ্যে আরো অনেকে ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন৷ ফলে, নির্বাচনের আগে আবার ভোটার তালিকা করতে হবে৷ এখন যেটা হচ্ছে, সেটা হলো, প্রতিছর নিয়ম অনুযায়ী যে হালনাগাদ করা হয়, তা৷”

সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ কারার কাজও চলছে বলে কমিশন জানিয়েছে৷ আইন অনুযায়ী, কোনো আদমশুমারির পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের আগে ও ইসি চাইলে যে-কোনো জাতীয় নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করতে পারে৷ এই কাজে অতীতে দুই থেকে চার মাস সময় লেগেছে৷ নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, "সীমানার বিষয়টি এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পেন্ডিং আছে৷”

নির্বাচনের অন্তত ২৫ দিন আগে ভোট কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করতে হয়৷ সাধারণত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ভোট কেন্দ্র হিসাবে কাজে লাগানো হয়৷

নির্বাচনের আগে আরেকটি কাজ হলো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন৷ ২২ জুন পর্যন্ত নিবন্ধনের আবেদনের সময় দেয়া হয়েছে৷ শর্ত অনুযায়ী, আবেদনগুলো যাচাই বাছই করতে হয় সরেজমিন৷ তারপর নিবন্ধন দেয়া হয়৷ আর তা তফসিল ঘোষণার আগেই শেষ করতে হয়৷

আখতার হোসেন জানান, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সসহ কেনাকাটার জন্য টেন্ডার কল করা হয়েছে৷ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এগুলো হবে বলে তিনি মনে করেন৷ রাজনৈতিক দল, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এগুলো তো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ওপর নির্ভর করে৷ আমরা তো এখনো বলতে পারছি না তফসিল কবে ঘোষণা করতে পারবো৷ এটা তো আমাদের একার বিষয় নয়৷ নির্বাচনের তফসিলের সঙ্গে রাজনৈতিক ঐক্যের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে৷ তাদের সঙ্গে এর একটা সম্পর্ক আছে৷”

নির্বাচনের বাজেট পাশ হতে পারে ‘সাতদিনে'

নির্বাচনের জন্য  প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারতে হয় নির্বাচন কমিশনকে৷ ভোটের জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে স্বচ্ছ ব্যালটবাক্স ও ঢাকনা, ছবিসহ ভোটার তালিকা ছাপানো, ব্যালট পেপার, অমোচনীয় কালি, কয়েক ধরনের সিল, গালা, স্ট্যাম্প প্যাড, কালি, থলে, ১৭ ধরনের খাম, কাগজ, কলম, ছুরি, মোমবাতি, দেশলাইসহ অনেক কিছুরই প্রয়োজন হয়৷ ব্যালট পেপারের কাগজ সাধারণত রাষ্ট্রায়ত্ত কর্ণফুলী পেপার মিল থেকে নেয়া হয়৷ ভোটের বেশ আগেই তাদের কাছে চাহিদাপত্র দিতে হয়৷ আর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর ব্যালট পেপার ছাপা হয় সরকারি ছাপাখানায়৷ এর বাইরে অন্য সামগ্রী কিনতে হয় উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে৷ এই কারণে কিছুটা দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয় কেনাকাটায়৷

সাবেক নির্বাচন কশিনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘প্রিন্টিং-এর কিছু কাজ আছে, যা তফসিল ঘোষণার আগেই করতে হয়৷ তার মধ্যে আছে নানা ধরনের খাম, প্যাকেট, প্যাকেজিং ম্যাটারিয়াল, ব্যালট বক্স ইত্যাদি৷ কিছু করতে হয় তফসিল ঘোষণার পরে৷ আর কিছু করতে হয় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার পর যেমন ব্যালট পেপার৷”

রিটার্নিং ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয় ভোটের তফসিলের সময়৷ সাধারণত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়৷ আর প্রিসাইডিং, সহকারি প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের৷ চূড়ান্ত করা হয় তফসিল ঘোষণার পর৷ এরপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তাদের৷

ভোটের দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজটি করে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসারসহ বিভিন্ন বাহিনী৷ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা থাকেন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে৷ তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে নির্দেশনা দিয়ে থাকে ইসি৷

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক হাজার ৪৫৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে৷ এই বাজেটও পাশ করাতে হয় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে৷ রফিকুল ইসলাম বলেন, "বাজেট পাশে কোনো সমস্যা হয় না৷ এটার একটি নির্ধারিত ব্যবস্থাই আছে৷ সাত দিনের মধ্যে হয়ে যায়৷”

নির্বাচনের আগে কিছু সংস্কার তো করতে হবে: বদিউল আলম মজুমদার

This browser does not support the audio element.

আইন ও বিধি পরিবর্তনের কতদূর

আইন অনুযায়ী কমপক্ষে ৩৯ দিন আগে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হয়৷ তফসিল ঘোষণার পর অনেক চাপ থাকে তাই সাধাণত ৫০-৫৫ দিন সময় রেখে তফসিল ঘোষণা করা হয় বলে জানান রফিকুল ইসলাম৷

নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার হোসেন জানান, "নির্বাচনের আগে কিছু নীতিমালা সংশোধন করতে হবে৷ ওই সংশোধন এবং নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে একজন নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করছে৷ দেশি পর্যবেক্ষদের নিবন্ধন নিয়েও কাজ হচ্ছে৷ এগুলো দ্রুতই হয়ে যাবে৷ ”

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশসহ বেশ কিছু আইনবিধিতে সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছে৷ গত ১৯ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নয়টি প্রস্তাব ইসির কাছে পাঠিয়েছে৷ সেগুলো হলো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন সংশোধন, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন সংশোধন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও গণমাধ্যম নীতিমালা, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা সংশোধন, হলফনামার খসড়া, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, পোস্টাল ব্যালটের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং রাজনৈতিক এবং নির্বাচনি অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও শুদ্ধাচার চর্চা নিশ্চিত করা৷ এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে কত সময় লাগতে পারে এবং এতে কোনো টাকা খরচ হবে কি না, তা জানাতে বলা হয়েছে৷

সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করেছে ইসির সংশ্লিষ্ট কমিটি৷ এটি অনুমোদনের জন্য নির্বাচন কমিশনের সভায় তোলা হবে৷ নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অধিকাংশ সুপারিশ প্রস্তাবিত আচরণবিধিমালায় যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি৷

নির্বাচন কমিশন সচিব আরো বলেন, "এইসব সংস্কার ও আইন পরিবর্তন নিয়ে কমিশনের কমিটি কাজ করছে৷” নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, "নির্বাচনের আগে কিছু সংস্কার তো করতে হবে৷ কিছু সংস্কার আছে সংবিধান সংশোধন না করেও করা যাবে৷ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনে পরিবর্তন আনতে হবে, কলো টাকা বন্ধ করতে হবে৷ আরো কিছু আইন ও বিধি পরিবর্তন করতে হবে৷ এখন সেগুলো কত দ্রুত হয়, তা দেখার আছে৷ ডিসেম্বরে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে তারা সেটা করতে পারবে কিনা, সেটা তো তাদের কাজেই বোঝা যাবে৷ আমি তো বাইরে থেকে কিছু বলতে পারবো না৷”

সফল নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কমিশন ছাড়া বাকিদের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য বলে মনে করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘আর এই নির্বাচন কমিশন একটি সফল নির্বাচন করতে পারবে কিনা তা আমি বলতে পারছি না৷ কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সরকার, পুলিশ ও প্রশাসন তাদেরও কাজ আছে৷ কমিশন তো একা নির্বাচন করতে পারে না৷”

প্রশাসন কতটা তৈরি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে৷ থানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ছাড়াও পুলিশের প্রায় ৩০০ অপারেশনাল গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে৷ ৬৩৯টি থানার মধ্যে ৪৬০টি থানায় এবং অন্যান্য পুলিশ স্থাপনায় আগুন দেয়া হয়েছে৷ পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, থানাগুলো মেরামত করা হয়েছে৷ আর গাড়ির ঘাটতি পূরণে পুলিশের জন্য ২০০টি ডাবল কেবিন পিকআপ কেনা হচ্ছে৷

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘‘নির্বাচনের জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের মনোবল কতটুকু আছে তা বিবেচনার দাবি রাখে৷ তবে তা নির্ভর করছে ওইসব প্রতিষ্ঠানের যারা নেতৃত্বে আছেন তাদের ওপর৷”

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেন," আমাদের জানা মতে, নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ তবে পুলিশের মনোবল এখনো ফিরে আসেনি৷ আর সরকারের কিছু উপদেষ্টা আছে যাদের নির্বাচনে অনীহা আছে৷ এখন নির্বাচন কমিশনকে অসহযোগিতা করলে তো নির্বাচন কমিশন এগোতে পারে না৷”

তবে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন," এই কমিশন এরই মধ্যে তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে মেয়র হিসাবে ইশরাক হোসেনের গেজেট জারি করে৷ তারা যেন কোনো একটি পক্ষের হয়ে নির্বাচন করতে চায়৷ কিন্তু প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া তো নির্বাচন সম্ভব নয়৷”

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, "আগে নির্বাচন কবে হবে, কীভাবে হবে সেটার একটা রাজনৈতিক ঐক্য হতে হবে৷ একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে হবে৷ নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিতে পারে৷ কিন্তু রাজনৈতিক ঐক্য ছাড়া তো আর তফসিল হবে না৷”

নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার হোসেন  বলেন, "ঐকমত্য তৈরির জন্য তো জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে৷”

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ