বাংলাদেশে দুর্নীতি বেড়েছে না কমেছে – তা নিয়ে বিতর্ক চলেছে৷ এই বিতর্কের কেন্দ্রে আছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যালনাল ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যালনাল বাংলাদেশ৷ এদের ধারণা সূচক আর জরিপ যাই হোক না কেন, দুর্নীতি কিন্তু কমেনি৷
বিজ্ঞাপন
গত ২৭ জানুয়ারি বার্লিনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) সারা বিশ্বে একযোগে দুর্নীতির ধারণা সূচক-২০১৫ প্রকাশ করে৷ দেখা যায়, বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের এবারকার অবস্থান ১৩তম৷ আগের বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪তম৷ দৃশ্যতই দুর্নীতিতে বাংলাদেশ আরো একধাপ এগিয়েছে, অর্থাৎ দুর্নীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অধঃপতন ঘটেছে৷
টিআই দুর্নীতির ০ থেকে ১০০ পর্যন্ত একটি স্কোরও তৈরি করে৷ তাতে ৪৩ স্কোরকে বিশ্বের গড় স্কোর হিসেবে বিচেনা করা হয়৷ বাংলাদেশের স্কোর কখনোই ২৭-এর উপরে যায়নি৷ তবে এবার, বাংলাদেশের দুর্নীতির স্কোর ২৫, যা আগের বছরের সমান৷ টিআইবি-র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘স্কোরে বাংলাদেশ আগেরবারের মতো ১০০-এর মধ্যে ২৫ পেয়েছে৷ এই স্কোর অধিক দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের স্কোর৷ তাছাড়া অবস্থানের দিক থেকেও অবনতি ঘটেছে৷ তাই সহজেই বলা চলে যে, বাংলাদেশে দুর্নীতি কমেনি বরং বেড়েছে৷''
সেরা দশ দুর্নীতির দেশ, সবচেয়ে কম দুর্নীতির দেশ
এক সময়ের দুর্নীতির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ এবার হয়েছে ১৩তম৷ চলুন দেখা যাক ট্র্যান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআইবি)-র প্রতিবেদনে এবার কোন কোন দেশ আছে দুর্নীতির সেরা দশে আর কোন দশটি দেশে এখন দুর্নীতি সবচেয়ে কম৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Antonisse
৮ থেকে ১০ নম্বরে কঠিন লড়াই
টিআইবি-র এবারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সমান ১৮ পয়েন্ট করে পাওয়ায় সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দশটি দেশের তালিকায় ৮ নাম্বার থেকে ১০ নাম্বার পর্যন্ত স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তান, লিবিয়া এবং ইরিত্রিয়া৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
দুর্নীতির সপ্তম স্বর্গে তুর্কমেনিস্তান
উজবেকিস্তান, লিবিয়া এবং ইরিত্রিয়ার চেয়ে মাত্র এক পয়েন্ট কম হওয়ায় দুর্নীতিতে সেরা দশটি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে তুর্কমেনিস্তান৷
ছবি: DW
ইরাকের দুরবস্থা
যুদ্ধ, হানাহানির মাঝে ইরাকে দুর্নীতিও চলছে পুরোদমে৷ তাই ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন দুর্নীতিতে সেরা দেশগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে৷
ছবি: Reuters
পঞ্চম স্থানে দক্ষিণ সুদান
ইরাকের পরেই রয়েছে সদ্য স্বাধীন দেশ দক্ষিণ সুদান৷ তারা পেয়েছে ১৫ পয়েন্ট৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Karumba
আফগানিস্তান দুর্নীতিরও স্থান
দুর্নীতিরও স্থান না হলে আফগানিস্তান কি আর ১২ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বের চতুর্থ সেরা দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হতো?
ছবি: Getty Images/AFP/S. Marai
দক্ষিণ সুদানের চেয়ে দুর্নীতিতে এগিয়ে সুদান
সুদান থেকে আলাদা হয়ে দক্ষিণ সুদান শুধু মানচিত্রেই নয়, দুর্নীতিতেও কিছুটা ব্যবধান দেখাতে পেরেছে৷ দক্ষিণ সুদান যখন সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে, সুদান তখন ১১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়৷ দুর্নীতিতে এগিয়ে থাকা তো আর ভালো কথা নয়!
ছবি: getty / C. Bouroncle
উত্তর কোরিয়া আর সোমালিয়া
সমাজতন্ত্র কায়েমের পথে হোঁচট খেয়ে প্রায় মুখ থুবড়ে পড়লেও দুর্নীতিতে খুব এগিয়েছে উত্তর কোরিয়া৷ আফ্রিকার দারিদ্র্য জর্জরিত দেশ সোমালিয়াও কম যায় না৷ ৮ পয়েন্ট করে নিয়ে এই দুই দেশই আছে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে৷
ছবি: picture alliance/dpa/R. Sinmun
সবচেয়ে কম দুর্নীতির দেশ ডেনমার্ক
নারীর জন্য সবচেয়ে ভালো দেশ হওয়ার পর, এবার সবচেয়ে কম দুর্নীতির দেশও হয়েছে ডেনমার্ক৷ স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এই দেশ পেয়েছে ৯২ পয়েন্ট৷
ছবি: Reuters/N. Ahlmann Olesen
দ্বিতীয় নিউজিল্যান্ড, তৃতীয় ফিনল্যান্ড
সবচেয়ে কম দুর্নীতির দেশগুলোর মাঝে নিউজিল্যান্ড ৯১ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে আর ৮৯ পয়েন্ট পেয়ে ফিনল্যান্ড দ্বিতীয় স্থানে৷
ছবি: picture alliance / Robert Harding
চতুর্থ স্থানে সুইডেন
আরেক স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ সুইডেনও কম দুর্নীতিগ্রস্থ দেশগুলোর মাঝে খুব ভালো অবস্থানে৷ তাদের পয়েন্ট ৮৭, অবস্থান চতুর্থ৷
ছবি: DW/T. Mehretu
নরওয়ে আর সুইজারল্যান্ডে সমতা
৮৬ পয়েন্ট করে পেয়েছে নরওয়ে আর সুইজারল্যান্ড৷ ফলে দেশ দু’টি আছে পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্থানে৷
ছবি: EBU
একের হেরফেরে সাত থেকে দশ
সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দশ দেশের তালিকায় সপ্তম থেকে দশম স্থানে আছে যথাক্রমে সিঙ্গাপুর, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবুর্গ এবং ক্যানাডা৷ সপ্তম থেকে দশম, অষ্টম, নবম ও দশমে মাত্র এক পয়েন্ট করে ব্যবধান৷ সিঙ্গাপুরের ৮৪, নেদারল্যান্ডসের ৮৩, লুক্সেমবুর্গের ৮২ এবং ক্যানাডার পয়েন্ট ৮১৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Antonisse
12 ছবি1 | 12
বাংলাদেশ দুর্নীতিতে এর আগে, ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত, টানা পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে৷ ২০০৭ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৪-এর নীচে কখনো নামতে পারেনি বাংলাদেশ৷ টিআই-এর দুর্নীতির ধারণা সূচকে ১ নম্বর হলো সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ৷ এরপর নীচের দিকে যত নামা যায়, দুর্নীতি তত কম হয়েছে বলে ধরা হয়৷
টিআই-এর এই দুর্নীতির ধারণা সূচক মূলত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি পলিসি অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল অ্যাসেসমেন্ট, ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম এক্সিউকিউটিভ ওপিনিয়ন সার্ভে , বার্টেলসম্যান ফাউন্ডেশন ট্রান্সপরমেশন ইনডেক্স, ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট ‘রুল অফ ল' ইনডেক্স, পলিটিক্যাল রিস্ক সার্ভিসেস ইন্টারন্যাশনাল কান্ট্রি রিস্ক গাইড, ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কান্ট্রি রিস্ক রেটিংস এবং গ্লোবাল ইনসাইট কান্ট্রি রিস্ক রেটিংস রিপোর্ট-এর ওপর ভিত্তি করে এই সূচক তৈরি করে৷ তাই এ সূচকে খাতওয়ারি দুর্নীতির খবর জানা যায় না৷
হাফিজউদ্দিন খান
তবে টিআইবি যে ‘খানা জরিপ' তৈরি করে, তা স্থানীয় ভাবে তৈরি হয়৷ এর থেকে জানা যায় কোন খাতে কেমন দুর্নীতি হয়৷ অর্থাৎ এর মাধ্যমে খাতওয়ারি দুর্নীতির খবর জানা যায়৷ ২০১২ সালের খানা জরিপে জানা যায় যে, যারা সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা গ্রহণ করেন তাদের ৬৩ ভাগ ঘুস দিতে বাধ্য হন বা দুর্নীতির শিকার হন৷ এছাড়া ঐ বছর সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত হয় শ্রম ও অভিবাসন বিভাগ৷ তারপর পর্যায়ক্রমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, ভূমি প্রশাসন ও বিচারিক সেবা খাত৷ বলা হয়, এই সব খাতে ওই সময়ে মোট ঘুস আদায় হয় ২১,৯৫৫.৬ কোটি টাকা, যা কিনা ২০১১-২০১২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের শতকরা ১৩.৬ ভাগ এবং জিডিপি-র ২.৪ ভাগ৷ এর আগে ২০১০ সালে খানা জরিপে সেবাখাতের মধ্যে দেশের বিচার বিভাগকে সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল৷
টিআইবি-র ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সাবেক অডিটর অ্যান্ড কম্পট্রলার জেনারেল হাফিজউদ্দিন খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে বছরে কী পরিমাণ টাকার দুর্নীতি হয়, তা নির্নয় করা সম্ভব নয়৷ তবে খানা জরিপে ঘুসের একটি পরিমাণ জানা যায়৷ আর তার পরিমাণ বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকার কম নয়৷ কিন্তু এটা দিয়ে মোট দুর্নীতির আর্থিক পরিমাণ জানা যায় না৷ অবশ্য বাংলাদেশে মোট দুর্নীতির পরিমাণ যে এর চেয়ে অনেক বেশি হবে, তা বোঝা যায়৷''
টিআইবি-র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘‘দুর্নীতি যদি অর্ধেকে নামনো যেত, তাহলে আমাদের প্রবৃদ্ধির হার আরো দুই থেকে আড়াই শতাংশ বেশি হতো৷ এই দুর্নীতির কারণে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ সাধারণভাবে যার চাপ এসে পড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর৷''
তিনি বলেন, ‘‘দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না৷ দুর্নীতি দমন কমিশন বড় দুর্নীতিবাজদের ধরতে পারছে না৷ ফলে দুর্নীতি কমছে না৷ তাছাড়া সরকারের দুর্নীতি প্রতিরোধে অঙ্গীকার থাকলে তা কার্যকরে দৃশ্যমান কোনো ‘ম্যাকানিজম' বা তৎপরতা নেই৷ সংসদীয় কমিটিগুলোও কার্যকরভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে না৷ তাই দুর্নীতি কমানোর সুযোগ থাকলেও, তা হচ্ছে না৷''
হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ‘‘দুর্নীতি কমানোর জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন৷ কিন্তু সেই সদিচ্ছার বড় অভাব বাংলাদেশে৷ নির্বাচনি ইশতেহারে রাজনৈতিক দলগুলো দুর্নীতি দমনের কথা বললেও, বাস্তবে তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয় ন৷''
তাঁর কথায়, ‘‘বাংলাদেশে মাত্র পাঁচ থেকে ছয়ভাগ দুর্নীতির মামলায় শেষ পর্যন্ত শাস্তি হয়৷ বাকি মামলায় শাস্তি হয় না৷ ফলে দুর্নীতি করতে কেউ ভয় পায় না৷ দুর্নীতির সঙ্গে ক্ষমতার সম্পর্ক থাকায় দুর্নীতিবাজরা আরো শক্তিশালী হয়৷ তাই রঘব বেয়ালদের ধরতে পারে না দুদক৷''
তাঁর মতে, ‘‘সাধারণ মানুষকে হয়রানি থেকে রক্ষা এবং অর্থনেতিক উন্নয়নের জন্য দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সবার আগে প্রয়োজন৷''
দুর্নীতি কমাতে সরকারের ঠিক কী করা উচিত বলে আপনি মনে করেন? জানান নীচের ঘরে৷
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ার পাঁচ কৌশল
বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইন্ডিকেটরস গ্রুপ’-এর পরিচালক আওগুস্তো লোপেজ-কার্লোস এক ব্লগ পোস্টে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ার কয়েকটি কৌশল আলোচনা করেছেন৷ ছবিঘরে থাকছে সে’সব কথা৷
ছবি: Getty Images
সরকারি চাকুরেদের জন্য ভালো বেতন
যাঁরা সরকারি চাকরি করেন তাঁদের বেতন যদি খুব কম হয়, তাহলে আয় বাড়াতে তাঁরা ‘অনানুষ্ঠানিক’ পথ অবলম্বন করতে পারেন৷ বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে সরকারি চাকুরেদের কম বেতন ও দুর্নীতির মধ্যে সম্পর্ক পাওয়া গেছে৷
ছবি: DW
অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা
যে সমস্ত দেশের নাগরিকদের সরকারি কর্মকাণ্ড পর্যালোচনার সুযোগ আছে সেসব দেশে দুর্নীতি কম হয়৷ অর্থাৎ যেখানে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, শিক্ষিতের হার বেশি এবং সক্রিয় সুশীল সমাজ রয়েছে সেখানে দুর্নীতির হার কম৷ কেননা এর ফলে বিভিন্ন প্রকল্পে সরকারের ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়, সরকারের নীতি নিয়ে আলোচনা করা যায়৷
ছবি: Colourbox/Hin255
লাল ফিতার দৌরাত্ম কমানো
বিশ্বব্যাংকের ‘ডুয়িং বিজনেস’ প্রতিবেদন বলছে, যে সব দেশে ব্যবসা শুরু করতে, সম্পত্তি নিবন্ধন করতে, আন্তর্জাতিক ব্যবসায় জড়িত হতে নানা ধরনের সার্টিফিকেট, আইন, লাইসেন্স ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে সে’সব দেশে দুর্নীতি বেশি হয়৷ তাই বিশ্বব্যাংকের এক গবেষক দুর্নীতির জন্ম দিতে পারে এমন আইনকানুন বাদ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷
ছবি: DW
ভর্তুকি নয়
জ্বালানি খাতে ভর্তুকির নানা সমস্যা আছে৷ প্রায়ই এর সুবিধাভোগী হন ধনীরা৷ এছাড়া ভর্তুকি মূল্যে কেনা জ্বালানি চোরাচালানের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হন অনেকে৷ তাই ভর্তুকির মতো ব্যয়বহুল পদ্ধতির চেয়ে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মানুষদের অর্থ সহায়তা দেয়া যেতে পারে৷
ছবি: DW/W.Jantschits
স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার
সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে নাগরিকদের সরাসরি যোগাযোগ যত কমানো যাবে, দুর্নীতি কমানো ততই সম্ভব হবে৷ এক্ষেত্রে বিভিন্নক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সহায়তা নেয়া যেতে পারে৷ সরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে অনলাইনে টেন্ডার আহ্বানের মতো বিষয়াদি চালু করলে দুর্নীতির সুযোগ কমবে৷