বগুড়ায় কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যখন ফুঁসছে বাংলাদেশ, তার মধ্যেই দেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে৷ ঢাকায় চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ট্রাকে কিশোরী ধর্ষণ, কলেজছাত্রীকে সাত মাস আটকে রেখে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে৷
বিজ্ঞাপন
কলেজছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক কলেজছাত্রীকে প্রায় সাত মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ ধর্ষণ ঘটনার মূলহোতা ও প্রধান আসামি বাদল মিয়া ওরফে বাদল বাবুকে মামলা হওয়ার চারদিন পর শুক্রবার গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ৷ রবিবার বিকেলে ৬ মাস ১৭ দিন পর বাদল মিয়ার পরিত্যক্ত ঘর থেকে ওই ছাত্রীকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে এলাকাবাসী৷ আটক রাখা অবস্থায় ওই ছাত্রীকে ঘুমের ওষুধ ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবন করিয়ে ধর্ষণ করে আসছিলেন বাদল মিয়া৷ শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি৷
ধর্ষিতার দুই আঙুল পরীক্ষা
কোনো নারী ধর্ষিতা হয়েছেন কিনা, তা নিরূপণের জন্য বিতর্কিত দুই আঙুল পরীক্ষা চালু করতে চেয়েছিল ভারত৷ এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে, বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়৷ শেষে অবশ্য বিশেষ কারণ ছাড়া পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়৷ কী এই পরীক্ষা?
ছবি: AP
প্রমাণ করার জন্য
ধর্ষণকারীকে সাজা দিতে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনাটাই যথেষ্ট নয়৷ ধর্ষণ যে হয়েছে, সেটা প্রমাণ করতে হয়৷ তাই এতদিন পর্যন্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসকরা দুই আঙুল পরীক্ষা করতেন৷
ছবি: Fotolia/detailblick
সম্ভোগের অভ্যাস
নিগৃহীতা মহিলার যৌনসম্ভোগের অভিজ্ঞতা বা অভ্যাস আছে কিনা, তা যাচাই করা হতো, কোথাও কোথাও এখনও হয়ে থাকে যোনিপথে আঙুল ঢুকিয়ে৷
ছবি: AP
কুমারিত্বের প্রমাণ
আঙুলের স্পর্শে চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন, একজন নারীর সতীচ্ছদ অক্ষত আছে কিনা, অর্থাৎ সেই নারীর কুমারিত্ব অক্ষুণ্ণ আছে কিনা৷
ছবি: Fotolia/NinaMalyna
ভিত্তিহীন ধারণা
আঙুলের সাহায্যে নাকি বোঝা যায়, বলপূর্বক যৌন সম্পর্ক হয়েছিল, না সম্মতি নিয়ে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই পদ্ধতিকে ভিত্তিহীন বলে নিষিদ্ধ করার পক্ষপাতী৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot
সর্বোচ্চ রায়
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ২০১৩ সালেই বলেছিল, দুই আঙুল পরীক্ষা ধর্ষিতার পক্ষে শারীরিক ও মানসিকভাবে অবমাননাকর৷ সরকারের বিকল্প পদ্ধতির সন্ধান করা উচিত৷
ছবি: CC-BY-SA-3.0 LegalEagle
আর্মিতে ভর্তি হতে গেলে
ইন্দোনেশিয়ায় মহিলারা আর্মিতে ভর্তি হতে চাইলে, তাঁদের এই পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়৷ দেশটির আর্মি প্রধান জেনারেল মোয়েলদোকোর কথায়, ‘‘দুই আঙুল পরীক্ষা নারীর আচার-আচরণ, চরিত্র নিরীক্ষণের মূল চাবিকাঠি৷’’ বলা বাহুল্য, দক্ষিণ এশিয়া ছাড়াও মধ্য-পূর্ব এবং উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতেও এটি একটি চালু পরীক্ষা৷
ছবি: AFP/Getty Images/A. Berry
6 ছবি1 | 6
গর্ভবতী নারীকে ধর্ষণ:
ঢাকায় শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এক গর্ভবতী নারী ও তার পরিবার৷ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে, যশোরের অভয়নগরে যুবলীগ নেতা জনি সরদারসহ চারজন ওই গর্ভবতী নারীকে ধর্ষণ করার পর থানা মামলা নেয়নি৷ জনি সরদার অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷
বগুড়ায় কিশোরীকে ধর্ষণের আলামত:
এদিকে, বগুড়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ এবং পরে ওই কিশোরী ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার ঘটনায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার, তার স্ত্রী এবং নারী ওয়ার্ড কমিশারসহ ১১ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তবে তুফানের বড় ভাই যুগলীগ নেতা মতিনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ৷ বগুড়ার সাংবাদিক নাজমুল হুদা নাসিম অবশ্য ডয়চে ভেলেকে জানান সাধারণ মানুষ এখনো আতংকের মধ্যে রয়েছে৷ তবে ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক নেতারা, যেমন বগুড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজেদের দায় এড়াতে ধর্ষণ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন বলে জানান তিনি৷
‘তুফানদের অবৈধ অর্থের ভাগ পেয়েছেন অনেক রাজনৈতিক নেতা’
নাজমুল হুদা জানান, তুফানরা সাত ভাই৷ তারা ২০০৯ সাল থেকে মাদক, চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী তৎপরতাসহ নানা অপরাধের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে৷ আর তাদের এই অবৈধ অর্থের ভাগ পেয়েছেন অনেক রাজনৈতিক নেতা৷ তাই তাদের নাম প্রকাশ হওয়ার আশঙ্কায় এখন ঐ নেতারা তুফানদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন৷
এদিকে, ডাক্তারি পরীক্ষায় ঐ কিশোরীকে ধর্ষণ এবং নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে৷ বর্তমানে পুলিশ কিশোরী এবং তার মাকে নিরাপত্তা দিচ্ছে৷ কিন্তু নির্যাতিতরা বলছেন, সাংবাদিক ও পুলিশ সক্রিয় থাকায় এখন কিছুটা ভালো আছেন, কিন্তু পরবর্তীতে কতটা ভালো থাকবেন এ নিয়ে শঙ্কা রয়ে গেছে৷
গত ৬ মাসের পরিসংখ্যান:
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী ,চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ২৮০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে৷ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৬ জনকে৷ আর আত্মহত্যা করেছেন পাঁচ জন৷ ২০১৬ সাল ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭২৪ জন নারী৷ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩৭ জনকে৷ আত্মহত্যা করেছেন ১৬ জন৷ ২০১৫ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮৪৬ জন নারী৷ আর ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৬০ জনকে৷ এই হিসাব পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী৷ তবে বাস্তব সংখ্যা যে আরো অনেক বেশি তা বলঅর অপেক্ষা রাখে না৷
‘সমাজ ও রাষ্ট্রে বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে’
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ২রা আগস্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত সাত মাসে সারাদেশে কেবল শিশুই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২২৯টি৷ এরমধ্যে মারা গেছে আটটি শিশু৷ ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে আরো ২২টি শিশুকে৷
মহিলা পরিষদের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৮ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত আট বছরে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন চার হাজার ৩০৪ জন৷ তাদের মধ্যে ৭৪০ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে৷ এসব ধর্ষণের ঘটনায় বিচার হয়েছে হাতে গোনা কিছু মামলার৷
ধর্ষণের ঘটনা বাড়ায় উদ্বেগ:
গত সপ্তাহে পুলিশ সদর দপ্তর সারাদেশ ধর্ষণের অপরাধ বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে৷ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ তিনি এক বিবৃততে বলেন, ‘‘সামাজিক অস্থিরতা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি ছাড়াও কিছু দুর্বৃত্ত রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ছত্রছায়ায় এ ধরনের অপরাধ করছে৷''
যৌন হয়রানির হাত থেকে কীভাবে বাঁচাবেন শিশুকে
শিশুরা বিকৃতকাম মানুষের সহজ শিকার৷ সারল্যের সুযোগ নিয়ে সহজে ভোলানো যায় তাদের৷ অনেক সময় শিশুরা বুঝতে পারে না, চিনতে পারে না পিশাচের থাবা৷ আর বুঝলেও করতে পারে না প্রতিবাদ, প্রতিরোধ৷ শুধু একটা অস্বস্তি থেকে যায় সারাটা জীবন৷
ছবি: picture alliance/abaca
ভয়াবহ অবস্থা ভারতে
ভারতের জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের অর্ধেকেরও বেশি বাচ্চা যৌন নিগ্রহের শিকার৷ তবে সবচেয়ে ভয়ংকর সত্য হলো, নাবালিকা বা শিশুর ওপর যৌন হেনস্থার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে পরিবারের মধ্যে, পরিবারেরই কোনো মানসিক বিকারগ্রস্ত সদস্যের হাতে৷ তাই সে সব ঘটনা পুলিশের কাছে পৌঁছাচ্ছে না, হচ্ছে না কোনো ডাইরি অথবা মামলা৷
ছবি: Fotolia/Gina Sanders
হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব
এভাবে প্রতিদিন বিকৃত যৌন নির্যাতনে হারিয়ে যাচ্ছে অগুন্তি শৈশব৷ অনেকক্ষেত্রেই শিশুরা বুঝে উঠতে পারছে না, বলে উঠতে পারছে না তাদের অমানবিক সেই সব অভিজ্ঞতার কথা৷ তাই শিশুদের প্রতি যৌনাসক্ত, বিকৃত মানুষগুলো থেকে যাচ্ছে লোকচক্ষুর আড়ালে৷ সমাজবিদরা বলছেন, এ জন্য আগাম সতর্কতার দায়িত্ব নিতে হবে অভিভাবক এবং স্কুলের৷ শিশুকে দিতে হবে তার প্রাপ্য শৈশব৷
ছবি: Fotolia/Kitty
যেভাবে বোঝাবেন বাচ্চাদের
সহজ ভাষায় খেলা বা গল্পচ্ছলে শিশুদের এ বিষয়ে একটা ধারণা গড়ে তোলা যেত পারে৷ বাচ্চাদের বলতে হবে যে, তাদের শরীরটা শুধুমাত্র তাদের৷ অর্থাৎ কেউ যেন তাদের ‘গোপন’ জায়গায় হাত না দেয়৷ তাই কোনো আত্মীয় বা পরিচিত ব্যক্তির আচরণ অস্বস্তিকর ঠেকলে, কেউ তাদের জোর ঘরে কোনো ঘরে নিয়ে গেলে, খেলার ছলে চুমু দিলে বা শরীরের কোথাও হাত দিলে – তা যেন মা-বাবাকে জানায় তারা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চিনিয়ে দিন যৌনাঙ্গ
অনেক বাবা-মা নিজ সন্তানের সঙ্গে যৌনাঙ্গ নিয়ে কথা বলতে কুণ্ঠা বোধ করেন৷ কিন্তু এই লজ্জা কাটিয়ে উঠতে হবে এবং খুব ছোটবেলাতেই ছবি এঁকে অথবা গল্পে-গানে বাচ্চাকে তার শরীরের অন্য সব অঙ্গের মতো যৌনাঙ্গ, লিঙ্গ ইত্যাদি চিনিয়ে দিতে হবে৷ এমনটা করলে কেউ যদি তাদের সঙ্গে পিশাচের মতো ব্যবহার করে, তাহলে শিশুরা সহজেই বলতে পারবে কে, কখন, কোথায় হাত দিয়েছিল৷
ছবি: DW/S.Rahman
শিশুর কথা শুনুন, তার পক্ষ নিন
শিশু যাতে আপনাকে বিশ্বাস করতে পারে, বন্ধুর মতো সবকিছু খুলে বলতে পারে – সেটা নিশ্চিত করুন৷ আপনার বাচ্চা যদি পরিবারের কাউকে বা আপনার কোনো বন্ধুকে হঠাৎ করে এড়িয়ে যেতে শুরু করে অথবা আপনাকে খুলে বলে বিকৃত সেই মানুষের কৃতকর্মের কথা, তবে সময় নষ্ট না করে শিশুটির পক্ষ নিন আর তিরস্কার করে বাড়ি থেকে বার করে দিন ঐ ‘অসুস্থ’ লোকটাকে৷
ছবি: Fotolia/pegbes
স্কুলেরও দায়িত্ব আছে
বাচ্চারা দিনের অনেকটা সময় স্কুলে কাটায়৷ তাই যৌন শিক্ষার ক্ষেত্রে স্কুলের একটা বড় দায়িত্ব থেকে যায়৷ তবে স্কুলের মধ্যে, বিদ্যালয় চত্বরেও ঘটতে পারে শিশু নির্যাতনের ঘটনা৷ তাই স্কুল থেকে ফেরার পর বাচ্চা যদি অতিরিক্ত চুপচাপ থাকে, একা একা সময় কাটায় বা পড়াশোনা করতে না চায়, তাহলে ওর সঙ্গে কথা বলুন৷ জানতে চান কী হয়েছে, প্রয়োজনে স্কুল কর্তৃপক্ষকেও জানান৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel
ছেলে-মেয়ে সমান!
আমাদের সমাজে ছোট থেকেই মেয়েদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়৷ মেয়ে হলেই হাতে একটা পুতুল আর ছেলে হলে ধরিয়ে দেয়া হয় বল বা খেলনার পিস্তল৷ ছেলের পাতে যখন তুলে দেয়া হয় মাছের বড় টুকরোটা, তখন মেয়েটির হয়ত এক গ্লাস দুধও জোটে না৷ এ বৈষম্য বন্ধ করুন৷ বাবা-মায়ের চোখে ছেলে-মেয়ে সমান – সেভাবেই বড় করুন তাদের৷ তা না হলে নারীর ক্ষমতায়ন হবে কীভাবে? কীভাবে কমবে শিশু নির্যাতন?
ছবি: picture alliance/abaca
7 ছবি1 | 7
যথাসময়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হওয়ায় দুর্বৃত্তরা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে বলে মনে করেন তিনি৷ বগুড়ায় ছাত্রী ধর্ষণ, রাজধানীতে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষণের কারণে অন্তঃস্বত্তা হয়ে পরায় শরীয়তপুরে দশম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা, আপন ফুফার হাতে বাকপ্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণসহ একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা মেনে নেয়া যায় না৷''
কাজী রিয়াজুল হক আরো বলেন, ‘‘কমিশন মনে করে, এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে এসব ঘটনা দ্রুত আমলে নিয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক৷ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত ও সঠিকভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে আদালতে সোপর্দ এবং মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন৷''
মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী এবং মানবাধিকার নেত্রী অ্যাডভোকেট এলিনা খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সমাজ ও রাষ্ট্রে বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ এরসঙ্গে মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় যুক্ত হয়েছে৷'' পর্নোগ্রাফির ব্যাপক বিস্তারও এতে ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন তিনি৷ আর তাই সমাজে নারীকে সম্মান করা এবং শিশুর অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, এগুলো নিশ্চিত করা না গেলে এই পরিস্থিতি মহামারী আকার ধারণ করবে৷