1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বাংলাদেশে নিরাপত্তার অভাব বোধ করিনি'

১২ জুন ২০১৮

বাংলাদেশ নিয়ে ডয়চে ভেলের তথ্যচিত্র নির্মাতারা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা এভাবেই জানালেন গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে৷ বনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে তথ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হয়৷

33 | Film | Bangladesh—The Dawn of Islamism
ছবি: DW/P. Böll

ভেন্যুর রুম বার্লিনে আলাদা একটি সেশনে শুরুতেই ডয়চে ভেলে বাংলার প্রধান দেবারতি গুহ সূচনা বক্তব্য দেন৷ সেখানে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে দেখেছি, সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম যোগ করা হলো৷ সাম্প্রতিককালে আমরা দেখেছি, বেশ কিছু উগ্রবাদী ঘটনা ঘটলো৷ এমনকি গতকালও একজন প্রকাশককে হত্যা করা হয়েছে, যদিও এখনো জানি না, কারণ কী৷ তবে এটা ঠিক যে, এখানেই ঘটনাগুলো একদম থেমে নেই৷''

দেবারতি গুহ, ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধানছবি: DW/P. Böll

এরপর তথ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হয়৷ তারপর শুরু হয় আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব৷ সেখানে নির্মাতাদের একজন ডয়চে ভেলের সাংবাদিক সান্দ্রা পেটার্সমান বলেন, ‘‘আমি যখন এআরডি'র দিল্লি সংবাদদাতা ছিলাম, তখন পাকিস্তান,আফগানিস্তানের খবর সংগ্রহ করার পর যখন বাংলাদেশে যেতাম, তখন মনে হতো, শান্তিতে আছি৷ কিন্তু সাম্প্রতিককালে আমাকে শুধু এসব ব্লগার, মুক্তমনাদের মৃত্যুর খবরই সংগ্রহ করতে হতো৷ তার মানে, সমাজে কিছু একটা পরিবর্তন ঘটেছে৷''

তিনি যোগ করেন, ‘‘তবে এবার যখন আমি গিয়েছি, সেখানে ২৪ দিন শুটিং করেছি, এক মুহূর্তের জন্যও কখনো মনে হয়নি, আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি৷ তবে এটাও ঠিক যে, এখানে অনেককে হত্যা করা হয়েছে, তার কারণ তাঁরা ভিন্নভাবে ভাবতেন৷''

সান্দ্রা পেটার্সমানছবি: DW/P. Böll

তথ্যচিত্রটির অপর নির্মাতা ডয়চে ভেলের আরেক সাংবাদিক হান্স ক্রিস্টিয়ান ওস্টারমানেরও একই মত৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি এই প্রথম বাংলাদেশে গিয়েছি৷ সত্যি বলছি, আমি খুন-খারাবির যেসব খবর দেখেছি, তাতে শুরুতে একটু শঙ্কিতই ছিলাম৷ কিন্তু পরে সেই শঙ্কা কেটে গেছে৷''

প্রশ্নোত্তর পর্বে অনেকেই আলোচনায় অংশ নেন৷ কেউ কেউ জানতে চান যে, বাংলাদেশকে যেভাবে এখানে দেখানো হয়েছে কিংবা ইসলামকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তাতে পূর্ণ চিত্র উঠে এসেছে কিনা৷ তখন তাঁরা বলেন, মাত্র ৪২ মিনিটে একটি দেশকে বা একটি ধর্মকে তুলে ধরা সম্ভব নয়৷ তাই একটু ওপর থেকে শুধু সেখানে উগ্র ইসলামপন্থা নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা-ই উঠে এসেছে তথ্যচিত্রে৷

সান্দ্রা বলেন, ‘‘অসহিষ্ণুতার যে সংস্কৃতি এখানে গড়ে উঠেছে, তা শুধু ধর্মীয় দিক থেকেই নয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকেও৷ আমরা সে জায়গাগুলোই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি৷''

হান্স ক্রিস্টিয়ান ওস্টারমানছবি: DW/P. Böll

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আসা সাংবাদিক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও ছিলেন৷

বাংলাদেশ – উগ্র ইসলামপন্থার উত্থান

42:37

This browser does not support the video element.

উল্লেখ্য, জার্মানির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে এশিয়া নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন সিরিজ তৈরি করছে, যার নাম ‘জিরো টলারেন্স'৷ লক্ষ্য, বিশ্বের পাঠক, দর্শকদের  কাছে এশিয়ার এই দিকগুলো তুলে ধরা৷ সেই সিরিজের প্রথম পর্বটি হয়েছে বাংলাদেশ নিয়ে, যেটির নাম দেয়া হয়েছে, ‘দ্য ডন অফ ইসলামিজম ইন বাংলাদেশ'৷

এই প্রতিবেদনটি করতে গিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী থেকে দক্ষিণাঞ্চলের দিকে ভ্রমণ করেছে তথ্যচিত্র নির্মাতা দলটি৷ সর্ব দক্ষিণের জেলা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরেও গেছেন তাঁরা৷

তথ্যচিত্রটি দেখেছেন? কেমন লাগলো জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ