বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে৷ গত ৩০ বছরের মধ্যে এ বছরই সবচেয়ে বড় বন্যা হয়েছে৷ এখন পর্যন্ত বন্যা ১৯ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে, যাতে মারা গেছে ১৭ জন৷ এ পরিস্থিতি অব্যহত থাকলে বহু মানুষ বাড়ি-ঘর ছাড়া হবেন৷
বিজ্ঞাপন
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ-এর সোমবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে এবার গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে৷ এতে এ পর্যন্ত যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের অধিকাংশই জামালপুরের৷ এছাড়া ১৯টি জেলার ১৯ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ মোট ৬৯টি রিলিফ ক্যাম্পে আছেন ৭ হাজার ৪০০ মানুষ৷ জানা গেছে, জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় এই বন্যা শুরু হয়, যার ফলে ইতিমধ্যেই পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি দেখা দিয়েছে৷
বুয়েট-এর ইনস্টিটিউট অফ ওয়াটার অ্যান্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. এম মোজাম্মেল হক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণেই বন্যা হচ্ছে৷ ভারত ও চীনে এবার অন্য বছরের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে৷ সেই পানিই নামছে৷ তবে নদীতে পলি পড়ে যাওয়ার কারণেও বেড়েছে বন্যা৷ প্রতি বছরই ডেইজিংয়ের মাধ্যমে পলিমাটি সরাতে হয়৷ পলি অপসারণ না করলে সামনের বছর আরো ভয়াবহ অবস্থা হতে পারে৷ বন্যার পানি তো আর আমরা ইচ্ছে করলে আটকে রাখতে পারি না৷''
ড. এম মোজাম্মেল হক
সরকারের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের এক হিসেবে দেখা গেছে, বর্তমানে ৩৪ লাখের বেশি মানুষ বন্যাকবলিত৷ উত্তরাঞ্চলের জেলা জামালপুরে ইতিহাসে সর্বোচ্চ পানি উঠেছে৷ যমুনার পানি বিপদসীমার ১২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে৷ এর প্রভাবে জামালপুরের নীচু এলাকা এবং চরাঞ্চল তলিয়ে গেছে৷ বহু বাড়ি-ঘর, এমনকি প্রধান সড়ক ও ট্রেন লাইন তলিয়ে গেছে পানিতে৷ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে দেড় লাখেরও বেশি পরিবার৷
এর আগে, ১৯৮৮ সালে, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বন্যা হয়েছিল৷ তখন যমুনার পানি উঠেছিল বিপদসীমার ১১২ সেন্টিমিটার উপরে৷ অর্থাৎ এবার সেটি ১২২ সেন্টিমিটার উঠে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে৷
সরকারি পর্যায় থেকে বন্যার্ত মানুষের মধ্যে কিছু ত্রাণ বিতরণ করা হলেও, বেসরকারি ত্রাণ খুব একটা যাচ্ছে না এলাকাগুলিতে৷ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, জামালপুরের একটি এলাকায় তাঁরা ত্রাণ দিতে গিয়েছিলেন৷ সেখানে গিয়ে দেখেন সরকারি-বেসরকারি কোনো ত্রাণই পাননি স্থানীয়রা৷ গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকেও বন্যার্ত মানুষের ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে৷ এরপরেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ত্রাণ বাড়ানো দরকার৷
ভয়াবহ বন্যার কবলে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে৷ গত ১০ দিনে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের কিছু এলাকার বন্যা পরিস্থিতির ছবি থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/NurPhoto/S. Ramany
নিহত ২১ না ৪২?
উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি দেশের মধ্যাঞ্চলেও বন্যা দেখা দিয়েছে৷ মধ্য জুলাই থেকে বন্যায় দেশের ১৬ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে, যাতে এ পর্যন্ত ২১ জন মারা গেছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর জানালেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে মৃতের সংখ্যা ৪২ জন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/NurPhoto/S. Ramany
নদীগর্ভে বিলীন আট হাজার বাড়ি
সরকারি হিসাবে, এ পর্যন্ত বন্যায় ১৬ জেলার ৭২ উপজেলার ৩৭৮ ইউনিয়নের ছয় লাখ ৩৪ হাজার ৪০৯টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ আর নদীগর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে ৮ হাজার ১৪০টি ঘরবাড়ি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/NurPhoto/S. Ramany
কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি
ভয়েস অব অ্যামেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনও কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে, যাদের পুনর্বাসনে তৎপরতা বা উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না৷ বানভাসি মানুষের অভিযোগ, সরকারি ত্রাণ অপ্রতুল, পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানির ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/NurPhoto/S. Ramany
কুড়িগ্রাম প্লাবিত
কুড়িগ্রাম জেলায় শহররক্ষা বাঁধ ভেঙে পড়ে নয়টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে৷ সেখানকার একজন বাসিন্দা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, চুরানব্বই সালের পর এমন বন্যা আর দেখেনননি তিনি৷ স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, কুড়িগ্রামের ছয় লাখ মানুষ এখন পানিবন্দি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/NurPhoto/S. Ramany
স্কুল বন্ধ
ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্রায় দুইশ স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷ যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১১৬ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যেটা ১৯৮৮ সালের বন্যায় ছিল ১২৫ সে.মি.৷
ছবি: picture-alliance/dpa/NurPhoto/S. Ramany
পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা
ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কাজনক অবনতি ঘটায়, সেখানকার বন্যার পানি নামতে শুরু করলে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/NurPhoto/S. Ramany
6 ছবি1 | 6
নেপাল ও ভারতে অতিবৃষ্টি এবং বন্যার পানি ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা দিয়ে ঢুকেছে বাংলাদেশে৷ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক মাসুদ আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এবার বন্যা হয়েছে যমুনার পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে৷''
তাঁর কথায়, ‘‘বন্যায় আমাদের এখানে যে পানি আসছে, তার ৯৫ শতাংশ বাংলাদেশের বাইরের পানি৷ নেপাল, ভুটান, ভারত ও চীন থেকে এই পানি আসছে৷ আসলে নেপাল এবং ভারতে বৃষ্টিপাতের কারণেই যমুনায় পানি বাড়ছে৷''
মাসুদ আহমেদ
গত রবিবার সকালে পদ্মার প্রবল স্রোতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এবং রাজবাড়ির দৌলদিয়া ফেরী ঘাটের সব কিছু ওলটপালট হয়ে গেছে৷ সেখানকার পাঁচ পল্টুনের মধ্যে চারটিই ভেসে গেছে৷ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাটুরিয়ায় পারাপারের অপেক্ষায় ছিল ৫ শতাধিক যাত্রীবাহী যানবাহন এবং আরো কয়েক হাজার যাত্রী৷ তাঁরা নিদারুণ দুর্ভোগে পড়েছেন৷
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সোমবার দুপুরে বিআইডাব্লিউটিসি-র চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান দৌলতদিয়া ঘাটে যান৷ তিনি সাংবাদিকদের জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং বিআইডাব্লিউটিসি-র সমন্বয়ে জরুরিভাবে সড়ক ও ঘাট নির্মাণে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে৷ প্রবল স্রোতের কারণে অবশ্য ঘাটে কোনো পল্টুনই বসানো যাচ্ছে না৷
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১০টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি গুরুতর৷ এগুলো হলো – কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, রাজাবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ ও শরিয়তপুর৷ এছাড়া ১২টি নদীর ১৭টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে৷
আপনি বা আপনার কোনো আত্মীয় কি বন্যাকবলিত এলাকায় রয়েছেন? জানান আপনার অবস্থা, নীচের ঘরে৷
বিনা দোষে ভুগছে বাংলাদেশ
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির পেছনে বাংলাদেশের তেমন কোনো অবদান নেই৷ তবে এর ফলে অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ৷ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ায় ঘরবাড়ি হারাচ্ছে উপকূলের মানুষ৷ অসময়ে বন্যা, খরা ও লবণাক্ত পানি ফসলের ক্ষতি করছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
জলবায়ু পরিবর্তন
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশ৷ উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ছে৷ ফলে উপকূলের মানুষ বাসস্থান হারাচ্ছেন৷ অসময়ের বন্যা, খরা ফসলের ক্ষতি করছে৷ মোটের উপর লবণাক্ত পানি চাষ উপযোগী জমির পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছে৷
ছবি: dapd
বাড়ছে পানি, বাড়ছে ভোগান্তি
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা অনুযায়ী, ২১০০ সাল নাগাদ যদি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক মিটার বেড়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশের তিন মিলিয়ন হেক্টর জমি প্লাবিত হতে পারে৷ সম্প্রতি সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফের সমুদ্র উপকূলের পানি পরিমাপ করে গবেষকরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের উপকূলে প্রতি বছর ১৪ মিলিমিটার করে সমুদ্রের পানি বাড়ছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
জলবায়ু উদ্বাস্তু
বাংলাদেশের জলবায়ু শরণার্থী বিষয়ক সংগঠন এসিআর-এর মুহাম্মদ আবু মুসা চলতি বছর ডয়চে ভেলেকে জানান, ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বে ৪৫ জনের মধ্যে ১ জন জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে৷ আর বাংলাদেশে সংখ্যাটা হবে প্রতি সাতজনে একজন৷ দেশের ১৭ ভাগ এলাকা বিলীন হয়ে যাবে সমুদ্র গর্ভে৷ ইতোমধ্যে কুতুবদিয়া এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ মূল ভূখণ্ড ত্যাগ করে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন৷
ছবি: Jewel Samad/AFP/Getty Images
লবণাক্ত পানি
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় লবণাক্ত পানি সমতল ভূমির আরো ভেতরের দিকে চলে আসছে৷ ফলে লবণাক্ততা বাড়ছে৷ বাংলাদেশের সাতক্ষীরা অঞ্চলে ইতিমধ্যে এ সমস্যা সনাক্ত করা হয়েছে৷ পানি ও মাটিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷
ছবি: DW
মাছের উৎপাদন কমছে
জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মাছ উৎপাদনের উপর৷ মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং মাত্রাতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকা থেকে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে৷ এছাড়া গত কয়েক বছর ধরে খাল, বিল, প্লাবনভূমিতে সময় মতো পানি না পৌঁছানোয় দেশীয় মাছের প্রজনন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
ক্ষতির শিকার সুন্দরবন
জলবায়ুর পরিবর্তন ও বিশ্ব ঐতিহ্যের পাঠ শীর্ষক ইউনেস্কোর এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তনের নানা কারণে সুন্দরবনের ৭৫ শতাংশ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে৷ ইতোমধ্যে সুন্দরবনের পশ্চিম বন বিভাগের সবচেয়ে গহীনের ক্যাম্প মান্দারবাড়িয়া ক্যাম্প সাগরে হারিয়ে গেছে৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
জার্মানির সহায়তা
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশকে প্রায় ১১ মিলিয়ন ইউরো বা ১১২ কোটি টাকার অর্থ সহায়তা দিতে গত বছর এক চুক্তি স্বাক্ষর করে জার্মানি৷ এই অর্থ দিয়ে বাংলাদেশের তিনটি উপকূলীয় জেলায় দুর্যোগ সহনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ ২০১২-২০১৭ মেয়াদে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে৷ এসব প্রকল্পের মধ্যে আছে টেকসই রাস্তা-ঘাট, সেতু ও আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ৷
ছবি: DW
জলবায়ু তহবিল
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে অর্থ সহায়তা দিতে বিভিন্ন সম্মেলনে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক সমাজ৷ তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এসব সহায়তা পুরোপুরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এখনো বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা রয়েছে৷ একইসঙ্গে জলবায়ু তহবিল বণ্টনের ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ সব মিলিয়ে এক্ষেত্রে আরো সক্রিয় উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷