বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অগ্রগতির কারণে আমাদের জীবনধারায় পরিবর্তন আসছে, দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড অধিকতর গতিশীল হচ্ছে৷ এখন দৈনন্দিন জীবনে সফলভাবে চলতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জ্ঞানে দক্ষ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই৷
বিজ্ঞাপন
কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম সহ অন্যান্য যে সব দেশ ৫০ বছর আগেও উন্নয়নের মাপকাঠিতে প্রায় আমাদের কাতারে ছিল, তারা জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে আকাশচুম্বী সাফল্য লাভ করেছে৷ অথচ উন্নয়ন ও উৎপাদনবিমুখ পরিকল্পনার কারণে আমরা পিছিয়ে আছি৷ অতীতে জাপান, জার্মানি থেকে যে পণ্য আমদানি করা হতো এখন সেটি করা হচ্ছে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত কিংবা চীন থেকে৷ কথিত আছে, পাকিস্তান সরকার যখন পিএল৪৮০ থেকে গম পেয়েই খুশি হততখন ভারত সরকার বিদেশিদের কাছে গমের পরিবর্তে বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সহায়তা চেয়েছিল৷ যার ফলশ্রুতিতেই আইআইটিগুলোর আবির্ভাব এবং সেগুলো আজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ভারতের পতাকাকে বিশ্বের সামনে উঁচু করে তুলেছে৷ স্বাধীনতার সময় যে ভারত ভালো মানের ব্লেড প্রস্তুত করতে পারতো না, এখন তারা চাঁদে রকেট পাঠিয়ে পানির অস্তিত্ব খুঁজে পায়৷
ক. প্রতি বাজেটে আমরা উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করি, শিক্ষায় বরাদ্দ সর্বাধিক৷ কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, শিক্ষায় সাধারণত জিডিপির ৬ শতাংশ ব্যয় করার পরামর্শ দেয়া হয়৷ কিন্তু বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বরাদ্দের সংখ্যাটি কোনো অবস্থাতেই ২ দশমিক ৫-এর বেশি হচ্ছে না৷ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, অনেক স্কুল কলেজে পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক নেই৷ অবশ্য দেশে শিক্ষিত বেকারেরও অভাব নেই৷ আগেই বলেছি, এত বড় জনসংখ্যার দেশে শিক্ষার মত বিশাল খাতকে এগিয়ে নেয়া মোটেই সহজ কাজ নয়৷ শুধু বরাদ্দ নয় তার ফলপ্রসু, অতি উচ্চ উৎপাদনশীল এবং কার্যকর ব্যবহারেই একে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব৷ অতি সম্প্রতি শিক্ষাখাতে দেশ এবং জাতি যে সমস্যাগুলোর আবর্তে পড়েছে তার একটি হলো প্রশ্নপত্র ফাঁস৷ এছাড়া আছে মাত্রাতিরিক্ত হারে কোচিং ব্যবসা, পাঠ্যপুস্তকে ভুল, দক্ষতা অর্জনে ছাত্রদের জন্য প্রণোদনার অভাব ইত্যাদি৷ একসময় আমাদের দেশেই বোর্ডের পরীক্ষায় মেধা তালিকা নামক ছাত্রদের জন্য লোভনীয় একটি বিষয় ছিল৷ হাজার হাজার ছাত্র মেধা তালিকায় নাম ওঠানোর জন্য পড়ালেখা করতো৷ তার থেকে জনা বিশেকের নাম পত্রিকায় আসতো৷
বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা
বিজ্ঞানে বাংলাদেশিদের অবদান কখনোই কম ছিল না৷ ঐতিহ্যগতভাবেই বাঙালি বিজ্ঞানীরা অসামান্য অবদান রেখে গেছেন৷ সেখান থেকে কয়েকজনের আবিষ্কার তুলে ধরা হলো৷ এর বাইরেও আরো অনেকেই অসাধারণ সব কাজ করে সমৃদ্ধ করেছেন বিজ্ঞানকে৷
ছবি: Bibliothèque nationale de France
আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু
সবর্প্রথম উদ্ভিদে প্রাণের অস্তিত্ব অনুভব করেছিলেন বাংলাদেশের প্রথম আধুনিক বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু৷ বিভিন্ন উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণার এক পর্যায়ে তার মনে হলো, বিদ্যুৎ প্রবাহে উদ্ভিদও উত্তেজনা অনুভব করে এবং সাড়া দিতে পারে৷ এর অর্থ, উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে৷ ১৯১০ সালের দিকে বিজ্ঞানী বসু তাঁর গবেষণার পূর্ণাঙ্গ ফলাফল বই আকারে প্রকাশ করেন৷
ছবি: Bibliothèque nationale de France
ড.কুদরাত-এ-খুদা
গবেষণা জীবনের এক পর্যায়ে, তিনি বনৌষধি, গাছগাছড়ার গুণাগুণ, পাট, লবণ, কাঠকয়লা, মৃত্তিকা ও অনান্য খনিজ পদার্থ নিয়ে কাজ করেন৷ বিজ্ঞানী হিসাবে তিনি ও তাঁর সহকর্মীদের ১৮টি আবিষ্কারের পেটেন্ট রয়েছে, যার মধ্যে ন’টি পাটসংক্রান্ত৷ এর মধ্যে পাট ও পাটকাঠি থেকে রেয়ন, পাটকাঠি থেকে কাগজ এবং রস ও গুড় থেকে মল্ট ভিনেগার আবিষ্কার উল্লেখযোগ্য৷ দেশে বিদেশে তাঁর ১০২টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে৷
ছবি: hybridknowledge.info
সত্যেন্দ্রনাথ বসু
১৯২২ সালে পার্টিকেল স্ট্যাটিস্টিক্স নিয়ে সত্যেন বোসের গবেষণাটি, যেটি আইনস্টাইন নিজে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন, অনেকের ভাষায় ২০ শতকের সেরা দশ কাজের একটি৷ যদিও তিনি নোবেল পুরস্কার পাননি, কোয়ান্টাম থিওরির অনেক গবেষণার পথ খুলে দেয় তাঁর গবেষণা৷ কোয়ান্টাম ফিজিক্সের অনন্য আবিষ্কার ‘গডস পার্টিকেলস’ বা ‘ঈশ্বর কণা’-র নামকরণ করা হয়েছে, তাঁর ও আরেক পদার্থবিজ্ঞানী পিটার হিগসের নামে – হিগস-বোসন পার্টিকেল৷
ছবি: public domain
পি সি রায়
বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ভারতীয় উপমহাদেশের শিল্পায়নে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য৷ ১৮৯৫ সালে তিনি মারকিউরাস নাইট্রাইট আবিষ্কার করেন যা বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে৷ এটি তার অন্যতম প্রধান আবিষ্কার৷ তিনি তার সমগ্র জীবনে মোট ১২ টি যৌগিক লবণ এবং পাঁচটি থায়োএস্টার আবিষ্কার করেন৷
মেঘনাদ সাহা
মেঘনাদ সাহা পরমাণু বিজ্ঞান, আয়ন মণ্ডল, পঞ্জিকা সংস্কার, বন্যা প্রতিরোধ ও নদী পরিকল্পনা নিয়ে গবেষণা করেন৷ তাপীয় আয়নবাদ সংক্রান্ত তত্ত্ব উদ্ভাবন করে জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন৷
আব্দুস সাত্তার খান
নাসা ইউনাইটেড টেকনোলজিস এবং অ্যালস্টমে কাজ করার সময়ে ৪০টিরও বেশি সংকর ধাতু উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানী খান৷ এই সংকর ধাতুগুলো ইঞ্জিনকে আরো হালকা করেছে, যার ফলে উড়োজাহাজের পক্ষে আরো দ্রুত উড্ডয়ন সম্ভব হয়েছে এবং ট্রেনকে আরো গতিশীল করেছে৷ তার উদ্ভাবিত সংকর ধাতুগুলো এফ-১৬ ও এফ-১৭ যুদ্ধবিমানের জ্বালানি সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে৷
ছবি: AP/NASA
ডাক্তার শাহ এম ফারুক
কলেরা রোগের কারণ আবিষ্কার করেছেন ডা. ফারুক৷ কলেরার ঘটক ‘ভিবরিও’ নামে এক ধরনের শক্তিশালী ব্যাক্টেরিয়ার সংস্পর্শে অন্যান্য ব্যাক্টেরিয়া এসে কীভাবে একে আরো কার্যকরী বা শক্তিশালী করে তোলে সেটিই ছিল তাঁর গবেষণা৷ আন্তর্জাতিক কলেরা রোগ গবেষণা কেন্দ্র বা আইসিডিডিআরবি-তে তিনি ও তাঁর গবেষণা দল এ আবিষ্কার করেন৷
ছবি: picture-alliance/Dr.Gary Gaugler/OKAPIA
ড. মাকসুদুল আলম
পাটের জিনের আবিষ্কারক ড. মাকসুদুল আলম৷ এই বাংলাদেশি জিনতত্ত্ববিদের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডাটাসফটের একদল উদ্যমী গবেষকের যৌথ প্রচেষ্টায় ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে সফলভাবে উন্মোচিত হয় পাটের জিন নকশা৷
ছবি: Bdnews24.com
ড. জামালউদ্দিন
বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর সৌর বিদ্যুৎ কোষ উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে ম্যারিল্যান্ডের কপিন স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং গবেষক বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. জামালউদ্দিন ইতিহাস গড়েছেন৷ ড. জামাল উদ্দিন এবং তার গ্রুপ সোলার সেল থেকে শতকরা ৪৩.৪ পুনঃব্যবহারযোগ্য শক্তি উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছে যা বিশ্বে এই উৎপাদনের সর্বোচ্চ মাত্রা৷
শুভ রায়
বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম কিডনি তৈরি করেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানী শুভ রায়৷ এটি চিকিৎসাবিজ্ঞানে অসামান্য কীর্তি৷ ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার সহযোগী অধ্যাপক শুভ রায় তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে কৃত্রিম কিডনি তৈরির কাজ শুরু করেন৷ চলতি দশকের গোড়ার দিকে দলটি ঘোষণা দেয় যে, তাঁরা কৃত্রিম কিডনি তৈরি করে তা অন্য প্রাণীর দেহে প্রতিস্থাপন করে সফল হয়েছে৷
ছবি: hybridknowledge.info
হরিপদ কাপালী
হরিপদ কাপালী ছিলেন এক প্রান্তিক কৃষক৷ কিন্তু তাঁর আবিষ্কার হরিধান কৃষিবিজ্ঞানের এক অনন্য সাফল্য৷ প্রকৃতির কাছ থেকেই শিক্ষা৷ প্রকৃতিতেই তাঁর গবেষণা৷ তাঁর নামে নামকরণ করা এই ধানটি অন্য যে কোনো ধানের চেয়ে উচ্চ ফলনশীল৷ এতে সার ও ওষুধও লাগে অনেক কম৷ সব মিলিয়ে সোনার বাংলার সোনালি আবিষ্কার হরিপদ কাপালীর হরিধান৷
ছবি: Bdnews24.com
11 ছবি1 | 11
সেই তালিকায় নাম ওঠানোর ইঁদুর দৌড়ের পিছনে নানারকম অপতৎপরতা থাকায় মেধা তালিকাই উঠিয়ে দেয়া হয়েছে – যা আসলে মাথাব্যথার জন্য মাথা কাটার শামিল৷ শিক্ষায় পর্যাপ্ত বিনিয়োগ/ব্যয় কবে হবে তা আমাদের পরিসংখ্যান দেখে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই৷ উৎকর্ষ অর্জনের সবচেয়ে ব্যয়সাশ্রয়ী চাবিকাঠি হলো সুস্থ প্রতিযোগিতা৷ আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই সুস্থ প্রতিযোগিতা উঠে গেছে৷ গান-বাজনার প্রতিযোগিতায় প্রথম হলে আপত্তি নেই, অন্য সকল রকম খেলাধুলা, সেখানেও আপত্তি নেই৷ আপত্তি শুধু পরীক্ষায় প্রথম হওয়াতে, যার নাকি বিশ্বাসযোগ্যতা নেই৷ এক নম্বর কম বেশি, সেতো শিক্ষকের মূল্যায়নে হতেই পারে৷ কিন্তু অন্য সকল মূল্যায়নেই আমাদের যথেষ্ট আস্থা রয়েছে৷ একজন ছাত্র একবার গণিতে কিংবা পদার্থ বিজ্ঞানে ৯০-৯৫ পেলে তার পরের পরীক্ষায় ফেল করার সম্ভাবনা শূন্য৷ মেধাভিত্তিক কর্মকাণ্ডের নির্ভরযোগ্যতা এমনই৷ পক্ষান্তরে একজন ব্যাটসম্যান এক ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করলেও তার পরবর্তী ইনিংসেই শূন্য করতে পারে৷ কিন্তু সেই স্কোরলাইনে আমাদের দারুণ বিশ্বাস৷ আমার মনে হয় আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় উৎকর্ষ অর্জনের যে প্রণোদনা ছিল, তা আমরা তুলে নিয়েছি৷ এখন মেধাহীন জাতিতে পরিণত হওয়ার পথে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে৷ কোনো ছাত্রকে শুধু ভাল বলতে যে আমাদের আপত্তি তা নয়, এমনকি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও ভালো বলতে আমাদের আপত্তি৷ একসময় এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে স্কুল-কলেজগুলোর র্যাংকিং করা হতো৷ অনুরূপ কোনো খোড়া যুক্তি দাঁড় করিয়ে এখন আমরা তাও তুলে দিয়েছি৷ সুস্থ প্রতিযোগিতা দিয়ে কী অর্জন করা যায় তার চমৎকার উদাহরণ হলো পৃথিবীর পাঁচ শতাংশ মানুষের দেশ যুক্তরাষ্ট্র৷ প্রতিবছর তারা নিয়মিতভাবে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং করে থাকে এবং সেটি প্রতিটি বিষয়ে, প্রাক-স্নাতক, কিংবা স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষায়, গবেষণা সহ আরো অনেকভাবে৷ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ৫০টি আসে সেই দেশ থেকে৷ এছাড়া জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ান, ভারত, পাকিস্তান, ইউরোপীয় দেশগুলো সবাই বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের র্যাংকিং করছে৷ র্যাংকিং নেই শুধু বাংলাদেশে৷ এতে ফলাফলও পরিষ্কার৷ শ্রেষ্ঠ ২০০-৫০০ অথবা হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় পৃথিবীর অষ্টম বৃহত্তম জনবহুল দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই৷ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের শিক্ষার মান কোনো দাগ কাটতে পারছে না৷ এটা নিয়ে শিক্ষাঙ্গনের কর্তাব্যক্তিদের দারুণভাবে ভাবতে হবে৷
নোবেল বিজয়ীদের মিলনমেলায় চার বাংলাদেশি
জার্মানির দক্ষিণে ছোট্ট দ্বীপ-শহর লিন্ডাউতে ‘নোবেল লরিয়েট মিটিংস’-এ আমন্ত্রণ জানানো হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তরুণ গবেষক, বিজ্ঞানীদের৷ এ বছর সেই বৈঠকে অংশ নেয়ায় সুযোগ পান বাংলাদেশের চারজন গবেষক৷
ছবি: DW/A. Islam
লিন্ডাউয়ে নোবেল বিজয়ীদের বৈঠক
জার্মানির লিন্ডাউ শহরে চলতি বছর নোবেল বিজয়ীদের বৈঠকে হাজির হন ৬৫ জন নোবেল বিজয়ী৷ তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৬৫০ জন তরুণ বিজ্ঞানী, গবেষক৷ বাংলাদেশের চারজন বিজ্ঞানীও এতে অংশ নেন৷
ছবি: DW/A. Islam
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গবেষণায় আক্তার
মানবদেহে জলবায়ু পরবর্তনের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছেন ড. সেলিনা আক্তার৷ বর্তমানে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে অধ্যাপনা করছেন তিনি৷ ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের বিজ্ঞা-প্রযুক্তি বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘অন্বেষণ’-এ শীঘ্রই প্রচার করা হবে তাঁর সাক্ষাৎকার৷
ছবি: DW/A. Islam
এনজাইম গবেষণায় আহমেদ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহেদ আহমেদের বয়স মাত্র ২৫ বছর৷ বাংলাদেশের ঢাকা, সিলেটসহ বড় বড় শহরগুলোর ময়লা বা আবর্জনা কাজে লাগানোর এক অভিনব উপায় নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি৷ আমদানি নির্ভরতা কমাতেও নাকি ভূমিকা রাখবে তাঁর গবেষণা৷ তাঁর সাক্ষাৎকারও প্রকাশ করবে ডয়চে ভেলে৷
ছবি: DW/A. Islam
জ্বালানি ঘাটতি মেটাতে চান আলম
বাংলাদেশের জ্বালানি ঘাটতি মেটাতে চান বাংলাদেশের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক শাহাদাত আলম৷ তবে এ জন্য আরো অনেক গবেষণার প্রয়োজন বলে জানান তিনি৷ তাই পশ্চিমা বিশ্বের কোনো দেশে বিষয়টি নিয়ে গবেষণায় আগ্রহী তিনি৷ তাঁর সাক্ষাৎকার প্রচার হবে ডিডাব্লিউ-র ‘অন্বেষণ’ অনুষ্ঠানে৷
ছবি: DW/A. Islam
স্ট্রোকের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে চান শুভ্র
বাংলাদেশি গবেষক তানমিনুল হক শুভ্র থাকেন জাপানে৷ মানুষের মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের এক ভিন্ন উপায় নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি৷ স্ট্রোকে আক্রান্ত মানুষের উপকারে কাজে আসতে পারে তাঁর এই কাজ৷ ডয়চে ভেলেতে তাঁর সাক্ষাৎকার প্রচার হবে শীঘ্রই৷
ছবি: DW/A. Islam
একে অন্যকে জানার সুযোগ
লিন্ডাউ শহরের এই বৈঠক গোটা বিশ্বের তরুণ গবেষকদের একে অন্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়, সুযোগ করে দেয় অভিজ্ঞতা বিনিময়ের৷ এই বৈঠকে অংশ নেয়া তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ, অকপটে সে’কথা স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ থেকে আগত গবেষকরা৷ চলতি বছর ২৮শে জুন থেকে ৩রা জুলাই পর্যন্ত আয়োজন করা হয়েছে বৈঠকটির৷
ছবি: DW/A. Islam
ছবির মতো সুন্দর লিন্ডাউ
এ ছবিই বলে দিচ্ছে যে দ্বীপ-শহর লিন্ডাউ কতটা সুন্দর৷ লেক কনস্টান্সের পূর্বে অবস্থিত বাভারিয়ার এই শহরটি প্রকৃতিকে যেন ধরে রেখেছে গভীর যত্নে৷ ছবিতে লিন্ডাউ হার্বার বা বন্দরে প্রবেশের পথ দেখা যাচ্ছে, যার একদিকে লাইট হাউস, আর অন্যদিকে বাভারিয়ার সিংহ-মূর্তি৷
ছবি: DW/A. Islam
7 ছবি1 | 7
খ. আজ থেকে ৩০-৪০ বছর আগেও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ ছিল, পরীক্ষণের ব্যবস্থা ছিল৷ এখন পরীক্ষণের সুযোগ নাকি সংকুচিত হয়ে এসেছে৷ ল্যাবরেটরির পূর্ণ নম্বর কোনো পরীক্ষণ না করেই যেহেতু পাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে, তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা বোর্ড কর্তৃপক্ষ ব্যবহারিকের নম্বর উঠিয়ে দেয়ার চিন্তা করছে৷ এতেই কিন্তু বিজ্ঞান শিক্ষার দীনহীন অবস্থার কথা যথাযথভাবে ফুটে উঠেছে৷ নকলের প্রবণতা কমে গেলেও শোনা যাচ্ছে, এটা কিছুটা প্রাতিষ্ঠানিক হয়ে যাচ্ছে৷ নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার উত্তর যেহেতু ছোট, সেটা ছাত্ররা না শিখেই নানাভাবে শুদ্ধ উত্তর লিখে ফেলতে পারছে৷ একসময় প্রতিটি স্কুলের শ্রেষ্ঠ ছাত্ররা বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার জন্য রোমাঞ্চ অনুভব করতো, এখন বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্ররা পদার্থ বিজ্ঞান কিংবা রসায়ন শাস্ত্রে ব্যুৎপত্তি অর্জন করে ব্যবসা শিক্ষায় ভর্তি হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চেষ্টা করছে৷ এভাবে দেশের পয়সায় অর্জিত বিদ্যার সঠিক প্রয়োগের পথ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ ৩০-৪০ বছর পূর্বে এরকম প্রবণতা ছিল না৷ এতে বোঝা যায়, বিজ্ঞান শিক্ষায় আগ্রহী হওয়ার মত প্রণোদনা শিক্ষার্থীরা দেখতে পারছে না৷ ভারতের মতো ‘স্বদেশি পণ্য কিনে হও ধন্য' আন্দোলন শুরু করতে হবে৷ দেশে এত মোবাইল, কিন্তু মোবাইল তৈরির একটি কারখানা পর্যন্ত নেই৷ একই কথা প্রযোজ্য কম্পিউটারের জন্য৷ যদিও আমাদের ব্র্যান্ড দোয়েল ল্যাপটপ অতি অল্প সময়ের মধ্যেই বাজার থেকে উধাও হয়েছে৷ বিজ্ঞান বিভাগগুলোতে স্কুল কলেজে শিক্ষার্থী সংখ্যাও কমেছে৷ অথচ দেশকে এগিয়ে নিতে হলে বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই৷ স্কুল, কলেজের পড়ালেখার মান যে কমেছে তার একটি প্রমাণ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বোর্ডের সর্বোচ্চ গ্রেডধারি ছাত্রদের অসহায় পরিণতি৷
গ. প্রশ্নপত্র ফাঁস, পাঠ্যপুস্তকে যত্রতত্র ভুল, বোর্ডের মূল্যায়নে সর্বোচ্চ গ্রেড পেয়েও ছাত্রদের দক্ষতা প্রদর্শনে ব্যর্থতা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের নাভিশ্বাস অবস্থা এবং সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গ্রহণযোগ্য সমাধান দিতে ব্যর্থতা, ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক সকলেরই কোচিং সেন্টারমুখী গতি, বেআইনি সহায়ক পুস্তকের শক্তিশালী অবস্থান, এগুলো সবই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার নেতিবাচক দিক, যার ফলে জনগণ আস্থা রাখতে পারছে না৷ বেশ কয়েক বছর পূর্বে শিক্ষা কমিটি ন্যূনতম সময়ে একটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছিল, যেখানে দেশের আগ্রহী জনগোষ্ঠীর মতামতও গ্রহণ করা হয়েছিল৷ তবে এই শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের কাজ নজরে পড়ছে না৷
ঘ. বর্তমান সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষারল মানের এই ক্রমাবনতির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে কিছু কিছু পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন করার প্রকল্প গ্রহণ করেছে৷ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যাতে ফাঁস হয়ে না যায় তার জন্য প্রাযুক্তিক সমাধান বের করতে উদ্যোগী হয়েছে৷ উত্তরপত্র মূল্যায়নেও যাতে সমতা বিধান করা যায় সেজন্য মূল্যায়নকারীদেরও মডেল মূল্যায়ন দিয়ে সহায়তা করছে৷ বিগত তিনবছর ধরে স্কুল-কলেজে ভর্তি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে একযোগে স্বচ্ছ্বতার সঙ্গে করা হচ্ছে৷ অধিকতর মানসম্পন্ন স্নাতকদের শিক্ষকতা পেশায় আসতে উৎসাহিত করতে শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো করার প্রতিশ্রুতি দীর্ঘদিন যাবত ঝুলে আছে৷ শিক্ষায় বরাদ্দ যে কার্যকর হতে পারছে না তার পেছনে রয়েছে দুর্নীতি এবং অঙ্গীকারের অভাব৷ সরকারের উপবৃত্তি প্রকল্পের অর্থ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মায়েদের অ্যাকাউন্টে নির্ভুলভাবে যাচ্ছে৷ শিক্ষার নানা প্রকল্পে মোবাইল এবং তথ্যপ্রযুক্তির জোরালো ব্যবহার শুরু করা দরকার৷
বিজ্ঞান শিক্ষা তথা শিক্ষার সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য যেসকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে তা হলো:
১. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিষয়সমূহে ছাত্রদের অনাগ্রহ অত্যন্ত শঙ্কার বিষয়৷ একসময় দেশের শ্রেষ্ঠ ছাত্ররা বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে চাইত৷ এখন সম্ভবত এই ক্ষেত্রে চাকুরির অভাব তাদের অন্যান্য বিষয়ের দিকে আকৃষ্ট করছে৷ এমনকি বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসিতে ভালো জিপিএ নিয়ে পাস করার পরও বাণিজ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে৷ দেশকে উন্নত করতে হলে উৎপাদনের বিকল্প নেই, আমাদের উৎপাদনমুখী হতে হবে, কলকারখানা তৈরি করতে হবে, আমদানি নিরুৎসাহিত করতে হবে, দেশি পণ্য ব্যবহারের সংস্কৃতি চালু করতে হবে৷ এরফলে বিজ্ঞান ও কারিগরি বিষয়ে কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে৷ বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করতে হলে সমাজে বিজ্ঞানীদের পুরস্কার ও মর্যাদার ব্যবস্থা করতে হবে৷ তবে শুধু সোনালি আস্তরণে লোহার টুকরা পুরস্কার দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করা যাবে না৷
২. সাংহাইয়ের জিয়াওটং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি দুইবছর পর পর অনুষ্ঠিত বিশ্বমানের একটি কনফারেন্সে অংশ নেয়া স্বনামধন্য শিক্ষাবিদদের স্লোগান ‘বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে'৷ এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অর্জনের উপর ভিত্তি করে গণমাধ্যমে বহুল প্রচার নিশ্চিত করে তাদের র্যাংক প্রকাশ করা ও সেই অনুযায়ী পুরস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে৷
৩. যে পাঠ্যপুস্তকের দশ লক্ষ কপি ছাপানো হবে তা তৈরিতে ৩/৫ মাস সময় নয়, ৩/৪ বছর সময় দিতে হবে, যাতে করে একজন লব্ধপ্রতিষ্ঠ অভিজ্ঞতাপুষ্ট শিক্ষাবিদ জাতিকে একটি চমৎকার পাঠ্যপুস্তক উপহার দিতে পারেন৷ বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে উন্নতমানের ছবি সংযোজন করে আরও আকর্ষণীয় করতে হবে৷ প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিজ্ঞানসহ অনেক বিষয়ের যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষকের অভাব রয়েছে৷ জরুরি ভিত্তিতে এর সমাধানের জন্য টিভিতে শিক্ষা চ্যানেলের মাধ্যমে সকল শ্রেণি ও সকল বিষয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করা উচিত, যা প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছাত্ররা টিভি কক্ষে বসে শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে দেখবে ও পাঠ গ্রহণ করবে৷
২০১৬ সালে বিজ্ঞানের কিছু অভিনব ও বিস্ময়কর উদ্ভাবন
চলতি বছর বিজ্ঞানীরা এমন কিছু আবিষ্কার করেছেন, যা দীর্ঘদিন মানুষের উপকারে আসবে, মানুষকে দীর্ঘজীবন লাভে সহায়তা করবে৷ আবিষ্কারগুলো সম্পর্কে জেনে নিন ছবিঘর থেকে৷
ছবি: imago/Science Photo Library
মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গের খোঁজ
জুন ২০১৬-তে মানুষ প্রথমবারের মত মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ রেকর্ড করতে পেরেছে৷ বিজ্ঞানীরা ১৯৯২ সাল থেকে এই তরঙ্গের খোঁজ করছিলেন৷ তাঁদের ধারণা, এই তরঙ্গ নিয়ে গবেষণা করার ফলে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের উৎপত্তি ও বিস্তার সম্পর্কিত অনেক রহস্যের সমাধান করা যাবে৷
ছবি: imago/Science Photo Library
তিন বাবা-মায়ের সন্তান
২০১৬ সালের মে মাসে বিশ্বে প্রথমবারের মতো এমন এক সন্তান জন্ম নেয়, যে দুই নারীর ডিম্বাণু এবং এক পুরুষের শুক্রাণু নিয়ে পৃথিবীতে এসেছে৷ মেক্সিকোতে জন্ম নেয়া এই সন্তান একদম সুস্থভাবে ভূমিষ্ঠ হয়৷ বিজ্ঞানীরা জানান, মায়ের শরীরে যদি জিনগত কোনো রোগ থাকে, তবে এই উপায়ে শিশুটি সেই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Carl Court
ডিএনএ কাটাছেঁড়া
এ বছর মার্কিন বিজ্ঞানীরা শুকরের শরীরে মানুষের অঙ্গের বিকাশে সফল হন৷ ‘জিন এডিটিং’ বা ডিএনএ কাটাছেঁড়ার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা শুকরের ভ্রুণে মানুষের স্টেমসেল প্রতিস্থাপিত করেন, এর ২৮ দিন পরে মানুষের সেই স্টেমসেল শুকরের দেহে বিকশিত হতে শুরু করে৷
ছবি: picture-alliance/Chromorange/Bilderbox
কার্বন ডাই-অক্সাইডকে পাথরে রূপান্তর
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্ব যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, তা থেকে বাঁচতে উত্তর মেরুর কাছে আইসল্যান্ডে বিজ্ঞানীরা কার্বন ডাই-অক্সাইডকে চুনাপাথরে রূপান্তর করতে সফল হন৷
ছবি: imago/blickwinkel
হিলিয়ামের সম্ভার
তানজানিয়ায় হিলিয়াম গ্যাসের বিশাল সম্ভারের খোঁজ পাওয়ায় চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন৷ বিমানের টায়ারে ব্যবহৃত এই গ্যাসের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় এমআরআই এবং স্ক্যানিং মেশিনে৷
ছবি: CHROMORANGE
এইচআইভি-র ভ্যাকসিন
এইডস-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ২০১৬ সালে বিজ্ঞানীরা সফলতা দেখিয়েছেন৷ প্রথমবারের মত বিজ্ঞানীরা এইচআইভি ভাইরাস নির্মূল করতে পারে এমন ভ্যাকসিন বানিয়েছেন৷ ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশে এই মুহূর্তে এই ভ্যাকসিনের ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ চলছে৷
ছবি: AP
অন্তহীন তথ্য ভাণ্ডার
ন্যানো স্ট্রাকচার ব্যবহার করে মার্কিন বিজ্ঞানীরা একটি ছোট গ্লাস ডিস্ক বানিয়েছেন৷ ভীষণ ছোট একটি ডিস্কে ৩৬০ টেরাবাইট ডাটা বা তথ্য সংরক্ষণ করা যায়৷ ১,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপামাত্রায় ডিস্কটি গলে না বা নষ্ট হয় না৷ আর বড় ডিস্কে অসংখ্য তথ্য জমা রাখা যায়৷
ছবি: Getty Images
রকেটের পুনর্ব্যবহার
যুক্তরাষ্ট্রের রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স প্রথমবারের মতো আবারও ব্যবহারযোগ্য রকেট এনেছে৷ সমুদ্রে ‘ফ্যালকন ৯’ লঞ্চ প্যাড থেকে উৎক্ষেপিত এই রকেট আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছে আবার সফলভাবে ফিরে আসে৷
ছবি: SpaceX
সুপারসনিক গতি
মার্কিন স্টার্টআপ কোম্পানি ‘হাইপারলুপ’ এ বছর এক অভিনব প্রযুক্তি বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করেছে৷ এর ফলে ভবিষ্যতে মানুষের পক্ষে ভ্যাকুয়াম টিউবের মধ্য দিয়ে ঘণ্টায় এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে ছোটা সম্ভব হবে৷
ছবি: Hyperloop Technologies
চালকবিহীন গাড়ি
মানুষের কল্পনায় ছিলো এমন গাড়ি, যা নিজে থেকেই চলবে৷ সেই কল্পনাকে বিজ্ঞানীরা বাস্তব রূপ দেন এই বছর৷ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে চালকবিহীন গাড়ি পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে৷
ছবি: APTN
10 ছবি1 | 10
৪. শ্রেয়তর কাজের উপযোগী মস্তিষ্ককে যাতে করে তথ্যের সংরক্ষণাগার হিসাবে ব্যবহার করা না হয় তার জন্য পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়নে সারা বছর ধরে গবেষণা করতে হবে৷ আমাদের ছাত্রদের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে হবে৷ এমন সকল প্রশ্ন করতে হবে যার উত্তর মুখস্ত করে দেওয়া সম্ভব না হয় এবং যা ছাত্রদের জিজ্ঞাসু হতে বাধ্য করে৷ প্রশ্নপত্র প্রণয়নের জন্যও ভাল সম্মানী রাখা দরকার৷
৫. বর্তমানে প্রচলিত উত্তাপহীন, শিক্ষায় আগ্রহী করতে ব্যর্থ জিপিএ সিস্টেমের উন্নয়ন সাধন করতে হবে, যেন আমরা একই সাথে অধিকতর মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মেধাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারি৷ আন্তর্জাতিক গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াডের কঠিন আসর থেকে আমাদের ছাত্ররা যে নিয়মিতভাবে পদক আনতে পারছে তা থেকে প্রতীয়মান যে আমাদের ছাত্ররা সফলতার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম৷ সুতরাং অধিক সংখ্যক ধাপের জিপিএ সিস্টেম ও চ্যালেঞ্জিং প্রশ্নপত্র দিয়ে আমাদের তরুণদের মেধা শানিত করে তুলতে হবে৷
৬. ভালো স্কুল-কলেজে ভর্তির মাত্রারিক্ত প্রবণতার কারণে সারা দেশে ভাল স্কুল-কলেজ গড়ে উঠছে না৷ ছেলেমেয়েদের দূর-দূরান্তরে ভর্তি করার ফলে তাদের ও অভিভাবকদের যেমন যাতায়াতে ভোগান্তি হচ্ছে, তেমনি সমাজের অন্যান্য শ্রেণির নাগরিকরা যানজটের শিকার হচ্ছে৷ এই অবস্থায় উন্নত দেশসমূহের, এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশের মতো স্কুল-কলেজে ভর্তি, এলাকা অনুযায়ী হওয়া উচিত৷ এর ফলে সারা দেশে স্কুল-কলেজগুলোর ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে৷ তাছাড়া তৈরি হবে উৎকর্ষ অর্জনের সুস্থ প্রতিযোগিতা৷
৭. স্কুল-কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হতে হলে যথাযথ নৈতিকতাসহ শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী হতে হবে যেন শিক্ষকরা কমিটির সদস্যদের উপদেশ থেকে উপকৃত হয়৷ স্কুলের ফলাফল যদি খুব খারাপ হয় তাহলে ব্যবস্থাপনা কমিটি পরিবর্তন করার ব্যবস্থা থাকতে হবে৷ কোনো একক ব্যক্তিকে দুইটির অধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে রাখাও যুক্তিযুক্ত নয়৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনায় এলাকার উচ্চ শিক্ষিত ও লব্ধপ্রতিষ্ঠ নাগরিকদের যুক্ত করতে হবে৷
৮. ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারসহ সর্ববিষয়ে বিজয়ীদের নিয়ে অলিম্পিয়াড ধরনের পরীক্ষা উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে আয়োজন করা উচিত৷ বিজয়ী ছাত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্যও আকর্ষণীয় পুরস্কারের ব্যবস্থা করা উচিত৷
৯. এর পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্যতর করে গড়ে তোলা উচিত৷ স্কুল-কলেজের ভৌত অবকাঠামো বিনির্মাণেও তৎপর হওয়া উচিত৷ ছাত্রদের সর্বদা জ্ঞানার্জনে আকৃষ্ট করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে অত্যন্ত উদ্দীপনামূলক পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিত৷ যেমন প্রতিবছরই পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি স্কুল-কলেজকে র্যাংক দেওয়া এবং গণমাধ্যমে তার বহুল প্রচার নিশ্চিত করা উচিত, যেন শুধু ছাত্র-শিক্ষকেরাই নয়, অভিভাবক ও এলাকার জনগণও স্কুল-কলেজের ফলাফলের বিষয়ে অধিকতর আগ্রহী হয়ে ওঠে৷
একসময় উন্নয়নের মাপকাঠিতে সমকাতারে দাঁড়িয়ে থাকা কোরিয়া, মালয়েশিয়া শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে অনেক উন্নত হয়েছে৷ আমাদের বিশ্বাস করতে হবে, দেশের মানুষের কায়িক পরিশ্রমে আমরা এমনকি মধ্যম আয়ের দেশও হতে পারবো না৷ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পথটিই আমাদের উন্নয়নের পথ৷ মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যার দেশে একমাত্র মানবসম্পদ উন্নয়নেই আমাদের ভবিষ্যত নির্ভর করছে৷ তাই শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে৷ আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার সুকঠিন দায়িত্ব যারা নিয়েছেন দেশের উন্নয়নে শিক্ষার গুরুত্ব তারা অনুধাবন করবেন এবং শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে তারা আমাদের দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবেন, এটাই কামনা৷
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের ১১ উদ্ভাবন
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) মূলত সায়েন্স ল্যাবরেটরি নামে পরিচিত৷ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়৷ প্রতিষ্ঠানটির উদ্ভাবিত কয়েকটি পণ্য ও প্রযুক্তি দেখে নেই চলুন৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
উদ্ভাবিত পণ্য ও প্রযুক্তির প্রদর্শন
ঢাকার এলিফেন্ট রোডের সায়েন্স ল্যাবরেটরি বা বিসিএসআইআর ক্যাম্পাসে ভেতরে দোতলা একটি ভবনে সম্প্রতি চালু হয়েছে বিসিএসআইআর ইনোভেশন গ্যালারি৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
ইনোভেশন গ্যালারি
ভবনের দোতলায় বিশাল একটি ঘরজুড়ে ১৩টি তাকে প্রদর্শিত হচ্ছে বিসিএসআইআর-এর দুই শতাধিক উদ্ভাবিত বৈজ্ঞানিক পণ্য ও প্রযুক্তি৷ বিসিএসআইআর-এর দেশজুড়ে ১১টি শাখা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন এই সব৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
ন্যাচারাল প্রিজারভেটিভ
বাংলাদেশে এখন এক আতঙ্কের নাম ফরমালিন৷ খাদ্যপণ্য বেশি সময় ভালো রাখার জন্য ব্যবহার করা হয় এই ফরমালিন৷ কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে এ খাবারই রূপ নেয় বিষে৷ সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন এমনই এক প্রিজারভেটিভ যা একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত৷ আর প্রিজারভেটিভ তৈরি করেছেন চা পাতার উচ্ছ্বিষ্ট, সবজি ও বিভিন্ন ফলের খোসা থেকে৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
ফরমালিন ডিটেক্টর
বাংলাদেশে মাছসহ বিভিন্ন খাদ্যপন্যে মাত্রারিক্ত ফরমালিন ব্যবহারের ফলে সবসময়ই আতঙ্কে থাকেন ক্রেতারা৷ তবে বিসিএসআইআর উদ্ভাবিত ফরমালিন শনাক্তকরণ কিট ব্যবহার করে ঘরে বসেই যে কেউ পরিমাপ করতে পারবেন মাছ ও দুধে ফরমালিনের পরিমাণ৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
পলিমার মডিফাইড বিটুমিন
বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশের সড়কগুলোতে পিচ উঠে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে৷ ফলে বর্ষা মৌসুমের আগে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক সংস্কার করা হলেও সে টাকা জলেই যায়৷ আর এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সড়ক নির্মাণের জন্য বিসিএসআইআর উদ্ভাবন করেছে পলিমার মডিফাইড বিটুমিন৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
আর্সেনিক রিমুভাল ফিল্টার
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার নলকূপের পানিতে মাত্রারিক্ত আর্সেনিক রয়েছে৷ আর আর্সেনিকযুক্ত এ পানি ফুটিয়েও বিশুদ্ধ করা সম্ভব নয়৷ ঐ সব এলাকার মানুষের জন্য আশার আলো দেখিয়েছেন বিসিএসআইআর-এর বিজ্ঞানীরা৷ তাঁরা এমন এক ফিল্টার উদ্ভাবন করেছেন, যা পানি থেকে আর্সেনিক দূর করবে৷ আর খরচও খুবই কম৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
সোলার ফার্ম হ্যাট
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এটি পরিচিত মাথাল হিসেব৷ কাঠফাটা রোদ্দুর থেকে বাঁচতে গ্রামের কৃষকরা ব্যবহার করেন এটি৷ তবে সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত এ মাথাল কৃষকদের মাথায় কোমল বাতাসও দিবে৷ এই মাথালের ভেতরের এলইডি বাতিগুলো রাতের বেলা ঘরেও আলো দিবে৷ আর এ সব যুক্ত আছে মাথালের উপরের ছোট ছোট সোলার প্যানেলের সঙ্গে৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
সোলার চার্জিং ব্যাকপ্যাক
স্মার্টফোনের এই যুগে সবাই কম বেশি ভোগেন চার্জ নিয়ে৷ সেক্ষেত্রে সঙ্গে থাকা ব্যাকপ্যাকটিই যদি চার্জার হিসেবে ব্যবহৃত হয় তাতে সুবিধাটাই বেশি৷ সায়েন্স ল্যাবের বিজ্ঞানীরা এমনই এক ব্যাকপ্যাক আবিষ্কার করেছেন যার মাধ্যমে চার্জ করা যাবে সেলফোন৷ ব্যাকপ্যাকে থাকা সোলার প্যানেল থেকেই চার্জ হবে সেলফোন৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
সোলার ওভেন
এই ওভেন ব্যবহারের জ্বালানি খরচ নেই একেবারেই৷ রোদের তাপেই এ ওভেন দিয়ে রান্নাবান্নাসহ খাবার গরমও করা যাবে৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
স্পিরুলিনা
স্পিরুলিনা হলো অতিক্ষুদ্র নীলাভ সবুজ সামুদ্রিক শৈবাল যা সূর্যালোকের মাধ্যমে দেহের প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করে৷ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, লৌহ ও একাধিক খনিজ পদার্থ৷ সাধারণ খাদ্য হিসেবে তো বটেই নানা রোগ নিরাময়ে মূল্যবান ভেষজ হিসেবে দেশে-বিদেশে স্পিরুলিনার প্রচুর চাহিদা রয়েছে৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
নানা হারবাল পণ্য
বিসিএসআইআর-এর বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন নানারকম হারবাল পণ্য৷ এ সবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নিম ও অ্যালোভেরার তৈরি হারবাল হ্যান্ডওয়াশ, ত্বক উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় করার জন্য অ্যালোভেরা জেল ইত্যাদি৷ এছাড়াও আছে অ্যালোভেরা ভ্যানিশিং ক্রিম, অ্যালোভেরা বডি লোশন, অ্যালোভেরা লেমন ড্রিংক, হারবাল তুলসি চা, অ্যালোভেরা টুথপেস্ট, অ্যালোভেরা শ্যাম্পু, লেবুর পাতার তৈরি শেভিং লোশন ইত্যাদি৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
বায়োগ্যাস প্লান্ট
দু’ধরনের বায়োগ্যাস প্লান্ট উদ্ভাবন করেছেন সায়েন্স ল্যাবের বিজ্ঞানীরা৷ একটি ফিক্সড ডোম বায়োগ্যাস প্লান্ট এবং অন্যটি ফাইবার গ্লাস বায়োগ্যাস প্লান্ট৷ জ্বালানি সংকটের এই যুগে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এসব বায়োগ্যাস প্লান্ট বেশ জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়েছে৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
অ্যালুমিনিয়াম ব্লক
বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত অ্যালুমিনিয়ামের জন্য বাংলাদেশ পুরোটাই আমদানি নির্ভর৷ সায়েন্স ল্যাবের বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন রকম ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য থেকে উদ্ভাবন করেছেন অ্যালুমিনিয়াম ব্লক, যা আমদানি নির্ভরতাকে কমাতে পারে৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
বিশেষ আটা
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) উদ্ভাবন করেছে ‘হাই প্রোটিন সমৃদ্ধ আটা’৷ বাজারের যে কোনো আটা হতে এ আটা দ্বিগুণ প্রোটিন সমৃদ্ধ৷ এতে আছে ফাইটো-ক্যামিক্যালস, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, আইসোফ্লাভন, ক্যালসিয়াম এবং সব অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো-অ্যাসিড, যা মানব শরীরের প্রোটিন গঠনে এবং ক্যানসার, কোলেস্টোরল, অস্টিওপোরোসিস এবং ম্যাল-নিউট্রেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাসহ রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
14 ছবি1 | 14
এ বিষয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷