1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভরতি পরীক্ষা ও শিক্ষার মান

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান প্রথম বর্ষের ভরতি পরীক্ষায় চারটি ইউনিটেরই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে৷ ভরতি পরীক্ষায় গড় পাসের হার মাত্র শতকরা ১৬ ভাগ৷ পাস বিপর্যয়ের জন্য শিক্ষামন্ত্রী ভরতি পরীক্ষা পদ্ধতির ত্রুটিকে দায়ী করেছেন৷

Bangladesch Schüler Schulkasse in Dhaka Prüfung
ছবি: picture-alliance/landov

এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি (বানানভেদে ভর্তি) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন দুই লাখ ৩৭ হাজার ৯২৮ জন৷ মোট পাস করেছেন ৩৮ হাজার ৭১৬ জন৷ এর বিপরীতে সর্বশেষ এইচএসসি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ মেধার জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৭৮৯ জন৷ আর আটিটি শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার শতকরা ৭৪.৭৫৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ইউনিটের ভরতি পরীক্ষার ফলাফলই হতাশাজনক৷ ‘ক' ইউনিটে পাসের হার ২১.৫০ শতাংশ৷ এই ইউনিটে আসন ১ হাজার ৬৪০টি৷ ভরতি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৭৮ হাজার ২৯৩ জন৷ পাশ করেছেন ১৬ হাজার ৮৪০ জন খ ইউনিটে ৯০ শতাংশই ফেল করেছেন৷ ৪০ হাজার ৫৬৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র তিন হাজার ৮৭৪ জন পাস করেছেন৷ পাসের হার ৯.৫৫ শতাংশ৷

‘গ' ইউনিটে পাসের হার ২০.৬১ শতাংশ৷ ৪৮ হাজার ৫৭ জন পরীক্ষায় অংশ নেন৷ পাস করেছেন ৯ হাজার ৯০৬ জন৷ এই ইউনিটে ১ হাজার ১৭০টি আসন রয়েছে৷ ‘ঘ' ইউনিটে ভরতি পরীক্ষায় অংশ নেন ৭১ হাজার ১৩ জন৷ পাস করেছেন আট হাজার ৯৬ জন৷ পাসের হার ১১.৪০৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি পরীক্ষার পাশ বিপর্যয় নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা হচ্ছে৷ শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভরতির বাছাই প্রক্রিয়াকে ‘ত্রুটিপূর্ণ' বলে দাবি করেছেন৷ তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘শিক্ষার্থীদের সর্বনাশ করার এ প্রক্রিয়া বিবেচনা করবেন৷ ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না৷''

শিক্ষামন্ত্রী বললেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভরতির বাছাই প্রক্রিয়া ‘ত্রুটিপূর্ণ' (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance/landov

তিনি বলেন, ‘‘এটা পাস-ফেলের পরীক্ষা নয়৷ এটি একটি বাছাই পরীক্ষা৷ আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন৷ না হলে প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করতে হবে৷ তবে এটা আমরা করতে চাই না৷''

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের কাছে ভরতি পরীক্ষায় কোনো ত্রুটি ধরা পড়েনি৷ তবে শিক্ষামন্ত্রী বলে থাকলে তিনি যদি সুনির্দিষ্ট করে বলেন আমরা তা দেখব৷''

তিনি বলেন, ‘‘এটা একটা সমন্বিত পদ্ধতি৷ এসএসসি ও এইচএসসির গ্রেড এবং ভরতি পরীক্ষার নম্বর মিলিয়ে মেধা তালিকা করা হয়৷ আর আসন সংখ্যার বিপরীতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভরতি করা হয়৷'' উপাচার্য বলেন, ‘‘আসন সংখ্যা সীমিত তাই বাছাই করতেই হবে৷ এটা বাদ দেয়া নয়, বাছাই করা৷'' তবে তিনি বলেন, ‘‘ভরতি পরীক্ষার ফল দেখে বলা যাবে না যে শিক্ষার মান কমেছে৷ যারা ভরতি পরীক্ষায় পাশ করেনি তারাও মেধাবী৷ তবে সব মেধাবীকে ধারণ করার মতো আসন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই৷''

উল্লেখ্য, গত ১৩ই আগস্ট এইচএসসি ও সম্মান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়৷ এর মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৫.৭৪ শতাংশ৷ আর মেধা নির্ধারণের মাপকাঠি জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৭ হাজার ৭৮৯ জন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ