ঘরে-বাইরে সমানে কাজ করছেন বাংলাদেশের নারীরা৷ পরিবার এবং দেশের উন্নয়নে রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা৷ কিন্তু মসজিদে নামাজ পড়ার সুযোগ এখনো প্রায় নেই বললেই চলে৷
বিজ্ঞাপন
সাতসকালে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে একসাথে মসজিদে যায়, শেখে কোরান পাঠ৷ বাংলাদেশের চিরপরিচিত দৃশ্য এটা৷ কিন্তু নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে বিষয়টা অন্যরকম৷ মসজিদের জামাতে যোগ দেয় ছেলেরা৷ মেয়েরা নামাজ সেরে নেয় অন্দরমহলে৷
সরকারের হিসেবে বাংলাদেশের প্রায় পৌনে তিন লাখ মসজিদের মধ্যে নারীর জন্য আলাদা কোনো মসজিদের অস্তিত্ব থাকার খবর পাওয়া যায় না৷ নারীদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা আছে এমন মসজিদও হাতেগোনা৷ সেটা খোদ ঢাকা শহরেও এক শতাংশের কমই হবে৷ অথচ রাজধানীর প্রথম মসজিদ হিসেবে খ্যাত নারিন্দার বিনত বিবির মসজিদ একজন নারীর নামেই সুলতানী আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল৷
ইসলাম নারীদের মসজিদে যাওয়ার বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি: মিছবাহুর রহমান চৌধুরী
ধর্মচর্চায় নারীরা এখনো ঘরমুখী৷ বিষয়টি ধর্মীয় বিধিবিধানের কারণে নয় বলে মনে করেন বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী৷ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ডের এই গভর্নর ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নারীদের মসজিদে নামাজ আদায় করার প্রবণতা কম বা সুযোগ কম- এটা সাংস্কৃতিক কারণে হয়ে থাকতে পারে৷ ধর্মীয় কারণে নয়৷ কারণ, ইসলাম নারীদের মসজিদে যাওয়ার বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি৷ তারা ইচ্ছে করলে স্বাধীনতা বজায় রেখে মসজিদে যেতে পারে৷’’
দেশের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে পুরুষদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারীদের জন্য কোনো সুযোগ থাকে না৷ এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই অঞ্চলে ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসন, পরবর্তী শাসনব্যবস্থা- এসব ব্যবস্থায় ইসলাম নারীদের যে অধিকার দিয়েছে, সেটা দেয়া হয় নাই৷ সামাজিকভাবে, রাষ্ট্রীয়ভাবে নারীদের উৎসাহ দেয়া হয় নাই৷ এই কারণে মেয়েদের নামাজের ব্যবস্থা নাই, কিন্তু ছেলেদের জন্য ব্যবস্থা আছে৷’’
অন্যদিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারী নেতৃত্ব রয়েছে৷ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও আলেম-ওলামারা এ নিয়ে বিভিন্ন সময় আপত্তি করেছেন৷ বাস্তবতা বিবেচনায় নিজেরাই আবার নারী নেতৃত্ব একরকম মেনেও নিয়েছেন৷ কিন্তু নামাজে কোনো নারী ইমামতি করবেন বিষয়টি এদেশের প্রেক্ষাপটে এখনো অসম্ভবই বলা যায়৷ অথচ পশ্চিমা বিশ্বে নামাজের জামাতে নারীদের ইমাম হিসেবে দাঁড়ানোর কিছু চর্চা দেখা গেছে৷ এ প্রসঙ্গে মিছবাহুর রহমান চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মহিলা ইমামতির বিষয়ে ইসলামের কোনো দিকনির্দেশনা নেই৷ যেহেতু নেই, আমি কিছু বলতে পারবো না৷ আমি মনে করি, ইমামতি ছাড়াও তাদের জন্য অনেক সম্মানের বিষয়বস্তু আছে৷ আরো একটা ব্যাপার হচ্ছে ইমামতি করার জন্য তারা সবসময় সুস্থ থাকবে না৷ মাসে প্রায় ৫ দিন তারা অসুস্থ থাকবে৷’’
নানা ধর্মে ধর্মীয় আচারে প্রথাভাঙা নারীরা
অনুসারীর সংখ্যায় এগিয়ে থাকা সবগুলো ধর্মেই প্রথা অনুযায়ী নারীরা উপাসনালয় বা ধর্মীয় আচারে নেতৃত্ব দিতে পারেন না৷ তবে সমান অধিকারের দাবিতে সেই প্রথা ভাঙার অনেক উদাহরণও আছে৷
ছবি: Lucas Barioulet/AFP/Getty Images
স্বীকৃতি না মিললেও পাদ্রি
চার্চে নারীরা পাদ্রিদের সহযোগী হিসেবে কিছু দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি পেলেও পাদ্রি হওয়ার অনুমতি নেই৷ তবে অনেক দেশের নারীরা ভ্যাটিকানের এই নিয়ম মানতে রাজি নন৷ তারাও দীক্ষা নিয়ে চার্চ প্রধান হতে চান৷ সেই সুযোগ করে দিচ্ছে রোমান ক্যাথলিক উইমেন প্রিস্টস অর্গ্যানাইজেশন৷ ভোগ ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাদের অধীনে ২০৫ জন নারী পাদ্রি আছেন৷ তারা স্বাধীনভাবে পরিচালিত বিভিন্ন চার্চে দায়িত্ব পালন করছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Rumpenhorst
মসজিদেও ব্যতিক্রমী চিত্র
কিছু দেশে পুরুষদের ইমামতিতে নারীরা আলাদাভাবে জামাতে অংশ নিতে পারেন৷ মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে তাদের ইমামতির অনুমতি নেই৷ তবে ক্যানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের কিছু দেশে নারী ইমামের নেতৃত্বে নারী মুসল্লিদের নামায পড়ার নজির আছে৷ ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ৬০ জন নারী-পুরুষ ফ্রান্সের একটি মসজিদে দুই নারীর ইমামতিতে জামাতে অংশ নেয়ার খবর আসে রেডিও ফ্রান্সে৷ (ছবি: ফ্রান্সের ইমাম কাহিনা বাহলুল)
ছবি: Lucas Barioulet/AFP/Getty Images
বার্লিনের নারী ইমাম সাইরান আতিস
আরো ব্যতিক্রমী উদাহরণ তৈরি করেছেন সাইরান আতিস৷ তুর্কি বংশোদ্ভূত এই জার্মান প্রশিক্ষণ নিয়ে বার্লিনের ইবনে রুশদগ্যোটে মসজিদে ইমামের দায়িত্ব পালন করছেন৷ ২০১৭ সালে আতিস নিজেই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন৷ সেখানে যেকোনো ধর্মের মানুষেরই প্রবেশাধিকার রয়েছে এবং নারী-পুরুষ একসঙ্গেই প্রার্থনায় অংশ নিতে পারেন৷ আতিস ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘আমাদের মসজিদে কাউকে নিকাব বা বোরকা পরে আসতে হবে না৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Gambarini
ইতিহাস বদলানো দুই নারী
ঐতিহ্যগতভাবে হিন্দু ধর্মে ঋতুমতী নারীদের মন্দিরে প্রবেশ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাধা দেয়া হয়৷ ২০১৮ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এর বিরুদ্ধে রায় দেয়৷ এরপর ঋতুমতী অবস্থায় কেরালার শবরীমালার ‘আয়াপ্পা’ মন্দিরে প্রবেশ করে ইতিহাস গড়েন দুই নারী৷ ঘটনাটি ভারতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে৷ রক্ষণশীল হিন্দুরা ঋতুমতী নারীদের মন্দিরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পুনর্বহাল চাইলে সুপ্রিম কোর্ট নতুন আইন তৈরির কথা জানায়৷
ছবি: Getty Images/A. Sankar
রীতি ভেঙে পৌরোহিত্যে
প্রথা অনুযায়ী হিন্দুদের পূজা বা বিয়েতে নারীরা পুরোহিত হতে পারেন না৷ তবে এই নিয়ম ভাঙার চেষ্টা করছেন অনেকে৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতির শিক্ষক নন্দিনী ভৌমিক পুরোহিত হিসেবে একাধিক বিয়ে পড়িয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন৷ মহারাষ্ট্রেও একটি পুরোহিত পাঠশালা নারীদের পৌরোহিত্যের দীক্ষা দিয়ে আসছে৷ দু'জন হিন্দু বিধবাকে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের একটা মন্দিরে পুরোহিত হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল ২০১৬ সালে৷
ছবি: PURONATUN/Arshavi Banerjee
মিয়ানমারে এক নারী ভিক্ষুর লড়াই
মিয়ানমারসহ দক্ষিণ-র্পূব এশিয়ার দেশগুলোতে নারী ভিক্ষুরা পুরুষের সমান মর্যাদা পান না৷ অনেক বৌদ্ধ স্থাপনায় তাদের প্রবেশ নিষেধ৷ এমনকি বসা যায় না পুরষ ভিক্ষুদের সামনেও৷ মিয়ানমারে এই পরিস্থিতি বদলাতে চান কেতুমালা৷ সমঅধিকার আর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন একটি ফাউন্ডেশন৷ এই সংস্থাটির ৪,৮০০ টি বৌদ্ধ শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে৷ নারী ভিক্ষুদের ক্ষমতায়নের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও চালু করেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. A. Main
6 ছবি1 | 6
নারীদের পক্ষে রিট
বাংলাদেশের নারীদের মসজিদে যাতায়াতের চর্চা বাড়াতে সামাজিক উদ্যোগ নেই বললেই চলে৷ সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র থেকেও এ নিয়ে তেমন কোনো দাবি উঠে আসে না৷ এ অবস্থার মধ্যেই আইনি প্রক্রিয়ায় নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ দেখা যায় ২০২০ সালে৷ দেশের সব মসজিদে নারীদের জন্য নামাজের স্থান নিশ্চিতে উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেয়া হয়৷ গতবছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে রিট মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহমুদুল হাসান মামুন৷ আদালতে তার আবেদন ছিল, মুসলমানদের ধর্মচর্চার কেন্দ্রবিন্দু মসজিদ৷ পুরুষের পাশাপাশি নারীরও মসজিদে নামাজ আদায়ের পূর্ণ অধিকার আছে৷ এ বিবেচনায় বাংলাদেশের মুসলিম নারীরা ধর্ম পালনে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন৷
সেই রিট মামলার বিবাদী পক্ষ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ইসলামি ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক৷ এই প্রেক্ষাপটে তাদের অবস্থান এখনো জানা যায়নি৷ এ প্রসঙ্গে রিটকারী আইনজীবী মাহমুদুল হাসান মামুন ডয়চে ভেলেকে জানান, করোনাভাইরাস চলে আসায় বিষয়টি নিয়ে তিনি আর কাজ করতে পারেননি৷ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই তিনি আবার আদালতের শরনাপন্ন হবেন৷ তিনি মনে করেন, নারীদের মসজিদে যাওয়ার বিষয়টি সাংবিধানিক অধিকার শুধু নয়, ধর্মীয় দিক থেকেও অনুমোদিত৷ তাই বিষয়টির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত হাল ছাড়তে রাজি নন এই আইনজীবী৷
ঢাকার দশটি প্রাচীন মসজিদ
ঢাকাকে বলা হয় মসজিদের শহর৷ মূলত মুঘল আমল থেকেই মসজিদের শহরে পরিণত হয় ঢাকা৷ নতুন নতুন মসজিদের পাশাপাশি প্রাচীন আমলের অনেক মসজিদ এখনো বিদ্যমান ঢাকা শহরে৷ রাজধানীর প্রাচীন দশটি মসজিদ নিয়ে এই ছবিঘর৷
ছবি: DW/M. Mamun
বিনত বিবির মসজিদ
পুরনো ঢাকার নারিন্দা এলাকায় অবস্থিত মধ্যযুগীয় মসজিদ৷ ঢাকার সবচেয়ে পুরাতন মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম এটি৷ ৮৬১ হিজরি বা ১৪৫৭ খ্রিস্টাব্দে সুলতান নাসিরুদ্দিন মাহমুদ শাহের শাসনামলে মারহামাতের কন্যা মুসাম্মাত বখত বিনত বিবি এই মসজিদটি নির্মাণ করেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
চক বাজার শাহী মসজিদ
পুরানো ঢাকার চকবাজারে অবস্থিত মুঘল আমলের মসজিদ৷ মুঘল সুবেদার শায়েস্তা খান এটিকে ১৬৭৬ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করেন৷ তিনটি গম্বুজ আর বিশাল মিনার এ মসজিদটির মূল আকর্ষণ৷
ছবি: DW/M. Mamun
কর্তালাব খান মসজিদ
পুরনো ঢাকার বেগম বাজারে অবস্থিত এ মসজিদটি বেগম বাজার মসজিদ নামেও পরিচিত৷ ১৭০১ থেকে ১৭০৪ সালের মধ্যে নির্মিত এই মসজিদটি তৎকালীন দেওয়ান মুর্শিদ কুলি খানের নামে করা হয়৷ মুর্শিদ কুলি খান কর্তালাব খান নামেও পরিচিত ছিলেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
তারা মসজিদ
পুরানো ঢাকার আরমানিটোলায় আবুল খয়রাত সড়কে অবস্থিত৷ আঠারো শতকের শুরুর দিকে মির্জা গোলাম পীর নামে এক ধনাঢ্য ব্যক্তি এ মসজিদ নির্মাণ করেন৷ পরে ১৯২৬ সালে ঢাকার ব্যবসায়ী আলী জান ব্যাপারী মসজিদটির সংস্কার করেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
মুসা খান মসজিদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণে মুসা খাঁর মসজিদ নির্মিত হয় আনুমানিক ১৬৭৯ সালে৷ ধারণা করা হয় যে, মসজিদটি ঈশা খাঁ’র পুত্র মুসা খান নির্মাণ করেন৷ এ মসজিদ প্রাক-মুঘল স্থাপত্যের একটি নিদর্শন৷
ছবি: DW/M. Mamun
হাজী শাহবাজ মসজিদ
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত প্রাচীন মসজিদ৷ মুঘল শাসনামলে শাহজাদা আযমের সময়কালে ১৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে এ মসজিদটি নির্মিত হয়৷ হাজী শাহবাজ নামে একজন অভিজাত ধনী ব্যবসায়ী এটি নির্মাণ করেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
লালবাগ শাহী মসজিদ
ঢাকার লালবাগ কেল্লার পাশে অবস্থিত প্রাচীন মসজিদ৷ ১৭০৩ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন ঢাকার উপ-শাসক সম্রাট আওরঙ্গজেবের প্রপৌত্র ফর্রুখশিয়রের পৃষ্ঠপোষকতায় এটি নির্মিত হয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
খান মহম্মদ মৃধার মসজিদ
পুরনো ঢাকার লালবাগের আতশখানায় অবস্থিত প্রাচীন মসজিদ৷ এটি ১৭০৬ খ্রিস্টাব্দে নায়েবে নাযিম ফররুখশিয়ারের শাসনামলে ঢাকার প্রধান কাজী ইবাদুল্লাহ’র আদেশে খান মহম্মদ মৃধা এ মসজিদটি নির্মাণ করেন৷ বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এই মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করে৷
ছবি: DW/M. Mamun
কসাইটুলি মসজিদ
পুরান ঢাকার কসাইটুলির কে পি ঘোষ রোডের এ মসজিদ ‘কাস্বাবটুলি জামে মসজিদ’ নামে পরিচিত৷ এর আরেক নাম ‘চিনির টুকরা মসজিদ’৷ হিজরি ১৩৩৮ সনে জনৈক ব্যবসায়ী আবদুল বারি এ মসজিদটি নির্মাণ করেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ
পুরান ও নতুন ঢাকার মিলনস্থলে ১৯৫৯ সালে এ মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন তৎকালীন ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ ইব্রাহিম বাওয়ানি৷ পরবর্তীতে ১৯৬০ সালের ২৭ জানুয়ারি এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়৷ এই মসজিদে একসঙ্গে ৪০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন৷ বায়তুল মোকাররম মসজিদের মূল অবকাঠামো মক্কা শরীফ এর কাবা এর মতো৷ এটি বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ৷