বাংলাদেশে মডেলিং-এর প্রতি তরুণীদের আগ্রহ এখন বেশ লক্ষণীয়৷ মডেলিং-এ নারীদের এই অংশহগ্রহণ কি সামাজিক অগ্রগতির কোনো লক্ষণ? কী বলছেন এই সময়ের মডেল ও অভিনেত্রীরা?
বিজ্ঞাপন
দেয়াল জুড়ে আঁকা এক মুখ৷ পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে একটু যেনো থমকে দাঁড়াতে হয়, তাকাতে হয় তার দিকে৷ সে কেবলই ছবি, মুখে তার কোনো কথা নেই৷ তবু এ মুখ বলে দেয় অনেক কথা৷ বলে দেয়, কোনো এক পণ্যের এটি এক চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন ৷
শাড়ি, জামা, জুতো, চাল, ডাল, তেল, নুন থেকে শুরু করে টয়লেট ক্লিনার, কোন পণ্যটা নিয়ে বিজ্ঞাপন হতে বাকি? নেচে গেয়ে হেসে যারা ফুটিয়ে তোলেন বিজ্ঞাপনগুলো তাদেরকে ডাকা হয় মডেল৷
বাঙালি নারীর দশ গুণ
গরবিনি, আবেগী এবং স্বাধীনচেতা – বাঙালি নারীর সঙ্গে এই তিনটি বিশেষণই মানানসই৷ নারীর গুণ সম্পর্কে জানিয়েছেন ডয়চে ভেলের পাঠকরা৷ তাঁদের মতামত এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি বাঙালি নারীর দশগুণ নিয়ে ছবিঘর৷
ছবি: Zaman/AFP/GettyImages
আবেগী, স্বাধীনচেতা
গরবিনি, আবেগী এবং স্বাধীনচেতা – বাঙালি নারীর সঙ্গে এই তিনটি বিশেষণই মানানসই৷ আবেগ যেমন তাঁদের দ্রুত স্পর্শ করে, তেমনি স্বাধীনতার প্রশ্নে কিন্তু তাঁরা সত্যিকার অর্থে অনড়৷ নিজের সত্ত্বা নিয়ে অহংকার তাঁদের আছে বটে, তবে তার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের মধ্যে রয়েছে অসীম ধৈর্য্য৷
ছবি: Zaman/AFP/GettyImages
শাড়িতে সবচেয়ে সুন্দর
বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে শাড়ি৷ সেই শাড়ি বাঙালি নারীর সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তোলে চমৎকারভাবে৷ বিভিন্নভাবে শাড়ি পরতে জানেনও তাঁরা৷ আর ‘উপহার হিসেবে শাড়ি’? – কোন বাঙালি মেয়ে না চায় বলুন?
ছবি: DW/A. Islam
উৎসব প্রেমী
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন৷ নববর্ষ, ঈদ কিংবা দুর্গা পূজা – সব উৎসবই যেন বাঙালি নারীর জন্য তৈরি৷ প্রতিটি উৎসবের সঙ্গে মানানসই পোশাক পরতে এবং সেই উৎসবের উপযুক্ত রান্নায় পারদর্শী তাঁরা৷ ডয়চে ভেলের পাঠক সুজন খানের কথায়, ‘‘বঙ্গের নারী লাজুক প্রকৃতির, কিন্তু যে কোনো উপলক্ষ্যেই প্রাণ খোলা হাসি উপচে পড়ে তাঁদের৷’’
ছবি: Zaman/AFP/GettyImages
‘নো ডায়েট’
বাঙালি নারী ‘ডায়েট’ করছেন, এমনটা বেশ বিরল৷ তাই খাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা বেশ উদার৷ কথায় বলে না, মাছে-ভাতে বাঙালি? অবশ্য মাছ-ভাতের পাশাপাশি ফুসকা কিংবা চটপটি পেলে তো আর কথাই নেই৷ আসলে টক, ঝাল, নোনতা, মিষ্টি, এমনকি তেতোও পছন্দ এই নারীদের৷
ছবি: Debarati Mukherji
রান্নার শখ
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথাই ধরুন৷ দেশ সামলানোর কঠিন দায়িত্ব পালনের মাঝেও রান্না ঘরে যেতে ভোলেন না তিনি৷ গত বছর ছেলের জন্য রান্না করার সময় তোলা তাঁর এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন তুলেছিল৷ বাঙালি মেয়েরা রাঁধতে যে ভীষণ ভালোবাসেন!
ছবি: Sajeeb Wazed
অল্পতেই সন্তুষ্ট
বাঙালি মেয়েদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলা কি খুব কঠিন? না৷ সকলেই জানেন যে, কাজটা সহজই৷ একটি লাল গোলাপ পেলে কিংবা প্রিয় রেস্তোরাঁয় নিয়ে গেলেই তাঁরা সন্তুষ্ট৷ ডয়চে ভেলের পাঠক রন্জু খালেদের মতে, বাঙালি নারীর মধ্যে ‘একইসাথে দৃঢ়তা ও নমনীয়তা এবং প্রজাপতির চপলতা’ রয়েছে৷
ছবি: DW/A. Islam
কাজল কালো চোখ
জীবনানন্দ দাসের ‘বনলতা সেন’ কিংবা রবি ঠাকুরের ‘কৃষ্ণকলি’ – বাঙালি নারীর কাজল কালো চোখের প্রশংসা পাবেন অনেক কবির কবিতাতেই৷ সত্যি বলতে কি, বাঙালি নারীর চোখ পুরুষকে টানে সবচেয়ে বেশি৷
ছবি: N.Seelam/AFP/GettyImages
বাকপটু
বাংলাদেশের কিংবা ভারতের মেয়েরা চুপ করে বসে আছেন – এমন দৃশ্য কল্পনা করাও কঠিন৷ তাঁরা কথা বলতে ভালোবাসেন৷ রান্না থেকে রাজনীতি – সব বিষয়েই একটা মতামত আছে তাঁদের৷ ডয়চে ভেলের পাঠক জিএনএস নয়নের কথায়, ‘‘নারী পুরুষের যে কোনো কষ্ট অতি সহজে ভুলিয়ে দিতে পারে৷ এই গুণই আমাকে মুগ্ধ করে, আবার সাথে অবাকও করে৷’’
ছবি: DW/A. Islam
নারীবাদী
বাঙালি মেয়েরা নারীবাদী৷ বিতর্কিত বাঙালি লেখিকা তসলিমা নাসরিন তাঁদের অনেকেরই প্রিয়৷ নাসরিনের ‘আমার মেয়েবেলা’ পড়েনি এমন নারী পাওয়া মুশকিল৷
ছবি: AFP/Getty Images
ভ্রমণপ্রিয়
বাংলাদেশি কিংবা ভারতীয় বাঙালি নারীর গুণ কি আর অল্পতে জানানো যায়, বলুন? কিছু গুণ না হয় অজানাই থাক৷ তবে একটির কথা বলে শেষ করি, বাঙালি মেয়েরা কিন্তু ঘুরতে খুব ভালোবাসেন৷ তথ্য সহায়তা: ডয়চে ভেলে ফেসবুক পাতা, ইন্ডিয়াওপাইন্স, স্কুপহুপ
ছবি: DW/A. Islam
10 ছবি1 | 10
শুধু টিভি বিজ্ঞাপন নয়, পত্রিকা, ম্যাগাজিন, বিলবোর্ড, এবং ফ্যাশন শো এ র্র্যম্প মডেলিং- সব ধরনের মডেলিং-এই বতর্মানে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশের মেয়েরা৷ অথচ বাংলাদেশে একটা সময় ছিলো, যখন মঞ্চ বা টিভিতে মেয়েদেরকে অভিনয় করতে দিতেই পরিবারগুলোর ছিলো আপত্তি৷ এই যে মেয়েরা বাইরে বেরিয়ে আসছে, মডেলিং করছে এটি কি একধরনের সামাজিক অগ্রগতি?
এই বিষয়টি নিয়েই কথা হচ্ছিলো লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার, মডেল ও অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মীমের সাথে৷
মীম বলেন,‘মিডিয়াতে একটা মেয়ে কাজ করবে এই বিষয়টা কিন্তু একসময় পারিবারিকভাবে সমর্থন করা হতো না৷ যেমন, আমার মায়ের খুব ইচ্ছে ছিলো, যে তিনি এই ধরণের কাজ করবেন কিন্তু তাকে তার পরিবার সমর্থন দেয় নি৷ তবে সময় এখন পাল্টেছে৷ আমার মা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন৷'
এই বিষয়ে অভিনেত্রী ও মডেল নওশীন বলেন, ‘ এটা শুধু নারীদের অগ্রগতি কেন হবে? অভিনয় করে তো আজকাল অনেক ছেলেও প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে৷ সুতরাং নারী পুরুষের বৈষম্যটাকে আমি এখানে আনতে চাই না৷ আমি বরং এটিকে দেখতে চাই একটি পেশা হিসেবে৷'
সময়টা যদিও পাল্টেছে, যদিও আগের তুলনায় অনেক নারী মডেলিং-এ আসছে কিন্তু এটাকে কি পেশা হিসেবে গ্রহণ করার অবস্থা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে?
এ প্রসঙ্গে মীম বলেন, ‘আমরা যদি আগের কাউকে আইডল হিসেব দেখি তাহলে মৌ, মোনালিসা, রিয়া এদের কথা সবার আগে বলতে হয়৷ এরা কিন্তু মডেলিং করেই নিজের ক্যারিয়ার গড়েছেন৷ সুতরাং আমার মনে হয়, মডেলিংকেও এখন পেশা হিসেবে নেয়া যায়৷'
তবে মীমের সাথে একটু ভিন্নমত পোষণ করেন নওশীন৷ নওশীন মনে করেন, বাংলাদেশে এখনো মডেলিংকে পেশা হিসেবে নেয়ার বাস্তবতা তৈরি হয় নি৷ তবে ভবিষ্যতে এই পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ হবে বলেও আশা করেন তিনি৷
মডেল নায়লা নাঈমের কিছু আলোচিত ছবি
বাংলাদেশি মডেল নায়লা নাঈম৷ সম্প্রতি তাঁর কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে৷ এই ছবিঘরে নায়লা নাঈমের বেশ কয়েকটি ছবি রয়েছে৷ সঙ্গে থাকছে তাঁর সম্পর্কে চমকপ্রদ বিভিন্ন তথ্য৷
ছবি: Abu Naser
শুরুটা যেভাবে
ছোটবেলা থেকেই মিডিয়ায় কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন নায়লা৷ ডেন্টাল কলেজে পড়ার সময় নিজের মেধা ও সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে ভালো কিছু করার ইচ্ছা প্রবল হয়৷ শুরুটা এভাবেই৷ বর্তমান সময়ের আলোচিত মডেল নায়লা নাঈম সম্পর্কে আরো জানতে দেখুন পরের ছবিগুলো৷
ছবি: Aiyan Aj
‘পরিপূর্ণ স্বাভাবিক মানুষ’
নায়লা নাঈম মনে করেন, সৃষ্টিকর্তা তাঁকে একজন পরিপূর্ণ স্বাভাবিক মানুষ হিসাবে তৈরি করেছেন৷ এটা তাঁর কাছে বিশাল ব্যাপার৷ নায়লার কথায়, ‘‘নিজেকে স্বাভাবিক ও সুন্দর একজন মানুষ হিসাবে দেখতে পারাটা আমাকে মুগ্ধ করে৷’’
ছবি: Abu Naser
আত্মবিশ্বাসী নায়লা
বাংলাদেশের মডেল কন্যাদের সচরাচর যেসব পোশাকে দেখা যায় সেসব থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম নায়লা নাঈম৷ অনায়াসেই বিকিনি পরে ছবির জন্য পোজ দিচ্ছেন তিনি৷ তাঁর মধ্যে কোন ধরনের জড়তাও নেই৷
ছবি: Aiyan Aj
আলোচনা-সমালোচনা
স্বল্পবসনে তোলা নায়লা নাঈমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা, সমালোচনার জন্ম দিয়েছে৷ তিনি অবশ্য সমালোচনায় পিছিয়ে যাবার পাত্র নন৷ ডয়চে ভেলেকে নায়লা বলেন, ‘‘অনেকে হয়তো ব্যাপারটিকে সহজভাবে নিতে পারেননি এবং সমালোচনা করেছেন৷ কিন্তু অনেকেই কিন্তু এই একই কাজগুলোর অনেক প্রশংসাও করেছেন৷’’
ছবি: Abu Naser
গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা
নায়লা নাঈম তাঁর অনুসারীদের কাছে গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘সমালোচনার মাঝে সৃজনশীল কিছু পেলে সেটাকে গ্রহণ করতে বা সেখান থেকে কিছু শেখার থাকলে সেটাকে ইতিবাচকভাবে নিতে আপত্তি নেই আমার৷’’
ছবি: Aiyan Aj
'ধমীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল'
বলাবাহুল্য বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ৷ নায়লা অবশ্য তাঁর কাজের ক্ষেত্রে ধর্মকে কোন বাধা মনে করেন না৷ বরং তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের নিজেদের একটা স্বকীয় সংস্কৃতি আছে৷ দেশীয় সংস্কৃতির কথা এবং ধমীয় মূল্যবোধের কথা মাথায় রেখে যতটুকু অগ্রগতি সম্ভব ঠিক ততখানি এগিয়ে যাওয়া আমি সমর্থন করি৷’’
ছবি: Farjana k. Godhuly/AFP/Getty Images, Rafiqul Islam Raf
বিবসনা হবেন না নায়লা
বিকিনি কিংবা পশ্চিমা আদলে তৈরি স্বল্প পোশাকে সাবলীল হলেও কখনো মডেলিং বা অভিনয়ের প্রয়োজনে নগ্ন বা বিবসনা হবেন না নায়লা৷ নিজের এই অবস্থানের কথা পরিষ্কার জানিয়েছেন তিনি৷ নায়লা বলেন, ‘‘আমাকে কখনোই এইরকম কোন দৃশ্যে দেখা যাবার সম্ভাবনা নেই যেটা আমাদের সংস্কৃতির সাথে পুরোপুরি বেমানন৷’’
ছবি: Abu Naser
ব্যস্ত সময়
নায়লা নাঈম এখন অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন৷ মডেলিংয়ের পাশাপাশি অভিনয়ে মনোযোগ দিচ্ছেন তিনি৷ রানআউট, আদি, ওয়ান মিলিয়ন ডলারসহ কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করছেন তিনি৷ শীঘ্রই সংগীত শিল্পী প্রীতম আহমেদ এর সাথে একটি মিউজিক ভিডিওতে দেখা যাবে তাঁকে৷
ছবি: Abu Naser
অভিনয়ই মূল লক্ষ্য
মডেলিং এর মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করলেও বাংলা চলচ্চিত্রে স্থায়ী ঠিকানা তৈরি করাই নায়লার বর্তমান লক্ষ্য৷ ভবিষ্যতে দর্শকদের গতানুগতিক ধারার বাইরে ব্যতিক্রমধর্মী কিছু উপহার দিতে চান তিনি৷ পশুপ্রেমিক নায়লা ভবিষ্যতে পশুপাখির জন্য একটি চিকিৎসা কেন্দ্র ও অভয়ারণ্য গড়তে আগ্রহী৷
ছবি: Adnan Rahman
ফেসবুকে নায়লা
মডেল, অভিনেত্রী নায়লা নাঈমকে পাওয়া যাবে ফেসবুকেও৷ তাঁর আনুষ্ঠানিক পাতার ঠিকানা: www.facebook.com/artist.nailanayem৷ বর্তমানে (১২.০৫.২০১৪) এই পাতায় অনুসারীর সংখ্যা ষাট হাজারের মতো৷
ছবি: strixcode/Fotolia
10 ছবি1 | 10
অভিনেত্রী সারা যাকের, প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে জড়িত আছেন বাংলাদেশের টেলিভিশন মাধ্যমের সাথে৷ এছাড়া বিজ্ঞাপন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সাথেও রয়েছে তার সম্পৃক্ততা৷ বাংলাদেশে বর্তমান মডেলিং জগতে নারীদের অংশগ্রহণকে তিনি কীভাবে দেখছেন?
সারা বলেন, ‘কিছু সংখ্যক ছেলে মেয়ে আমাদের দেশে টিভি বিজ্ঞাপন ও ফ্যাশান শো-এ ব়্যাম্প মডেলিং করছে বটে কিন্তু তার মানে এই না যে সামাজিক অগ্রগতি হয়েছে৷ একদিকে বাসায় বসে রক্ষণশীল জীবন যাপন আর অন্য দিকে বাইরে বিলবোর্ডে স্লিভলেস পরা মেয়েদের ছবি৷ তো, এই স্লিভলেস পরা ছবিটা আসলে সমাজের উদার মানসিকতার কোনো ম্যাসেজ বহন করে না৷'
মডেলিং-এর প্রতি এখনো সামাজিক নেতিবাচক মনোভাব আছে বলেই মনে করেন সারা যাকের৷ তাই এই বিষয়টির উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে মেয়েটি মডেলিং করে বিয়ের পরে অনেক সময়ই তাকে মডেলিং ছেড়ে দিতে হয়৷ সুতরাং যে দেশে সামাজিক বাস্তবতা এরকম, সে দেশে মেয়েরা মডেলিং আসা মানেই সামাজিক অগ্রগতি নির্দেশ করে না বলেই মনে করেন তিনি৷
২০ বা ৩০ বছর আগের তুলনায় অনেক পাল্টেছে এখন সময়৷ কিন্তু এখনো সীমাবদ্ধতাও রয়ে গেছে ঢের৷ আলোর অপূর্ব রোশনাই বা আলো-ছায়ার রহস্যঘেরা মায়াজালের ভেতর রাজহংসীর মতো উদিত হচ্ছেন যে মডেল, সমাজের মানসিকতা এখনো তাকে গ্রহণে পুরোটা সক্ষম নয় বলে মনে করছেন অভিনেত্রী সারা, মীম ও নওশীন৷ তাদের মতে, টিভির পর্দায়, বিলবোর্ডে বা ফ্যাশান শো-এর মঞ্চে দশর্ক যাকে দেখছেন মুগ্ধতায় তার প্রতি সাধারণ মানুষের ইতিবাচক মনোভাব আসতে এখনো আরো কিছু সময় প্রয়োজন৷