1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘যারা গণতন্ত্র দেখে না' তাদের সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী

২৮ এপ্রিল ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘‘কিছু লোক আছে যারা দেশে গণতন্ত্র দেখে না এবং যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে ও মানুষ হত্যার পর লাশ গুম করে, তাদের পক্ষ নিচ্ছে৷''

ছবি: PID Bangladesh government

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘‘তারা মনে করে বাংলাদেশে কেবল তখনই গণতন্ত্র ছিল যখন দেশে স্বৈরাচার, ভোট কারচুপি এবং হ্যাঁ বা না ভোট দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা হয়েছিল৷''

ওয়েস্টিন টোকিওতে আয়োজিত জাপানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পরের অবস্থা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, তখন কোনো মানবাধিকার ছিল না, কারণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যায় জড়িতদেরও ইনডেমনিটি আইন প্রণয়ন করে সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল৷ তিনি বলেন, হত্যাকারীরা তখন শাস্তির বদলে উপহার পেয়েছে৷

বঙ্গবন্ধুর ২ খুনি এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডায় অবস্থান করছেন- এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, খুনিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য দুই দেশের সরকারকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, '‘কিন্তু, তারা অনুরোধে কর্ণপাত করে না৷''

যুক্তরাষ্ট্রের দিকে  ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘খুনিদের নিজ দেশে আশ্রয় দিয়ে তারা বাংলাদেশে মানবতা খুঁজে৷''

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বাংলাদেশে দায়মুক্তির সংস্কৃতি বন্ধ করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে৷

এ সময় তিনি সমাজ ও দেশ যেন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত থাকে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান৷

তিনি আরো বলেন, ‘‘বিএনপি-জামায়াত চক্র কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে, তারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এবং তারা জনগণের উন্নয়ন চায় না, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে, তারা নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কা করে৷''

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার দ্য ডেইলি স্টার-এ প্রকাশিত বার্তাসংস্থা বাসস-এর খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী বলেন, '‘অনেকে বলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই এবং বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় না৷ বিএনপি কোন মুখ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে, ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ২৯টি আসন পেয়েছিল এবং নির্বাচনের ন্যায্যতা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয়নি৷তারা ২০টি দল, কিন্তু মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল এবং পরে তারা উপনির্বাচনে আরও একটি আসন পেয়েছিল৷''

তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি-জামায়াত জোট পরাজয়ের ভয়ে ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বয়কট করেছিল৷''

‘‘২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি-জামায়াত চক্র ৭০টি সরকারি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করে ৫০০ জনকে হত্যা এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করেছিল৷''

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘‘মানুষের যদি মানবিক গুণ থাকে, তাহলে তারা কখনোই মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে না৷ যারা এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা কোন মুখে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে৷''

তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে দেশব্যাপী স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম বিএনপির সময় বন্ধ করে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো প্রদত্ত সুবিধা বন্ধ না করে তাদের কল্যাণের জন্য কাজ করে মানুষের মন জয় করা প্রয়োজন৷

বিএনপি চেয়ারপার্সনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘খালেদা জিয়া বলেছিলেন যে, তারা ক্ষমতায় আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছেন, কারণ, যারা ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্যসেবা নেবেন তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন৷''

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘বিএনপি-জামায়াত চক্র নানাভাবে নির্বাচন নিয়ে কারসাজি শুরু করেছে৷ অন্যদিকে, তার দল ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স চালু করে দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রতিষ্ঠা করেছে৷''

তিনি দাবি করেন, ‘‘আমরা আওয়ামী লীগ শাসনামলে সব উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি৷''

এনএস/এসিবি (দ্য ডেইলি স্টার)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ