1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার ও ব্রিটেন, মিয়ানমারের নেতার ভারত সফর

১ আগস্ট ২০১০

বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া, এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও মিয়ানমারের সামরিক শাসক থান শোয়ে’র ভারত সফর জার্মান সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্ব পেয়েছে৷

জার্মানির পত্রপত্রিকায় মাঝে মাঝেই উঠে আসে বাংলাদেশ ভারতের খবরছবি: AP

বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া জার্মানির সংবাদ মাধ্যমেও আগ্রহের সৃষ্টি করেছে৷ ‘নয়েস ডয়েচলান্ড' সংবাদপত্র জামায়েতের নেতাদের গ্রেপ্তার, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবজাতির বিরুদ্ধে অপরাধের মতো অভিযোগ আনার ঘটনার উল্লেখ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত খতিয়ান তুলে ধরেছে৷ ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রক্রিয়া অবশেষে শুরু হওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করা হয়েছে৷ জার্মান পাঠকদের জন্য বাংলাদেশের দলীয় রাজনীতির চালচিত্রও আলাদা করে তুলে ধরা হয়েছে ঐ প্রতিবেদনে৷ তবে সরকারের সামনে সংবিধান সংস্কার, সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষণ বাড়ানোর মতো অনেক চ্যালেঞ্জও রয়েছে, উল্লেখ করেছে ‘নয়েস ডয়েচলান্ড'৷

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের ভারত সফরের বিষয়ে মন্তব্য করেছে ‘ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং'৷ বেঙ্গালুরুতে এক তথ্য-প্রযুক্তি কর্মীর প্রশ্নের জবাবে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলে বসেন, সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার প্রশ্নে পাকিস্তানকে ‘ডাবল গেম' খেলতে দেওয়া উচিত নয়৷ এই মন্তব্যে ভারত খুশি হলেও পাকিস্তান ক্ষুব্ধ হয়৷ কোনো ইউরোপীয় প্রতিনিধিদলের সফর ভারতে এতটা সাড়া তুলছে – এই ঘটনা বিরল৷ প্রায় অর্ধেক মন্ত্রিসভা ও সবচেয়ে বড় শিল্প-বাণিজ্য প্রতিনিধিদল নিয়ে আমেরিকার পর ক্যামেরনের এই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিদেশ সফর ছিল সত্যি নজর কাড়ার মতো৷ গত কয়েক দশক ধরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোনো উদ্দীপনা দেখা যায় নি৷ অসামরিক পরমাণু চুক্তি থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে ক্যামেরন এক কৌশলগত সম্পর্কের সূচনা করতে সমর্থ হলেন, লিখেছে ‘ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং'৷

ক্যামেরনের ঠিক আগে মিয়ানমারের সামরিক শাসক থান শোয়ে'র ভারত সফরের বিষয়টিও নজর এড়িয়ে যায় নি৷ ‘নয়েস ডয়েচলান্ড' সংবাদপত্র নতুন দিল্লিতে থান শোয়ে'র জন্য লাল গালিচা অভ্যর্থনার উল্লেখ করে লিখেছে, মিয়ানমারে মানবাধিকারের শোচনীয় পরিস্থিতি ও ভারতে নির্বাসিত বর্মীদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ অগ্রাহ্য করে ভারত সরকার চীনের মতোই অর্থনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইছে৷ নব্বইয়ের দশকেই এই নীতির সূত্রপাত ঘটেছিল৷ তাছাড়া ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলিকে দমন করার ক্ষেত্রেও মিয়ানমারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ৷ অন্যদিকে চীন ও ভারতের সমর্থনের জোরে মিয়ানমারের সামরিক সরকারও যাবতীয় আন্তর্জাতিক সমালোচনা অগ্রাহ্য করে টিকে রয়েছে৷

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ