বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০সর্বশেষ শুক্রবার রাতে রাজধানীর মানিকদি এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন ঢাকা মহানগর ক্যান্টনমেন্ট থানা ছাত্রলীগের সভাপতি এবিএম ফারুক হোসেন৷
এ মাসের ২ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রাণ হারান তৃতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র আবু বকর সিদ্দীক৷ এরপর একে একে বিভিন্ন ঘটনায় চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র হত্যার ঘটনা ঘটে৷
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেছেন, ছাত্র রাজনীতিতে সংঘর্ষের মাত্রা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে৷ তিনি বলেন, এ ধরণের ঘটনা আর সহ্য করা যায় না৷
এদিকে সরকার ও ছাত্রলীগ বর্তমান পরিস্থিতির জন্য জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন শিবিরকে দায়ী করেছেন৷ অন্যদিকে, শিবির সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে৷
ইতিমধ্যে সরকারের নির্দেশে দেশব্যাপী শিবির কর্মীদের গ্রেপ্তার করা শুরু হয়েছে৷ তবে নিজ দলের কর্মীদেরও গ্রেপ্তার করা হবে কি না জিজ্ঞাসা করা হলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন৷
এ পর্যন্ত পুলিশ রাজশাহী শহর জামায়াতের প্রধান আতাউর রহমানসহ কমপক্ষে ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের একজন মুখপাত্র নওশের আলী৷ তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের সময় ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করায় নয়জন পুলিশ সদস্যকেও বরখাস্ত করা হয়েছে৷
সংসদের চলতি অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সাংসদরা ছাত্র রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতির জন্য একে অপরের ছাত্র সংগঠনকে দায়ী করেন৷
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ঘটনার কারণে সংগঠনটির সম্মানিত চেয়্যারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দীক বলেছেন, ছাত্র রাজনীতি দূষিত হয়ে গেছে৷ তিনি বলেন, বর্তমান ঘটনাগুলো ছাত্র নেতাদের উস্কিয়ে দেয়া, যাদের বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়৷
প্রতিবেদনঃ জাহিদুল হক
সম্পাদনাঃ অরুন শঙ্কর চৌধুরী