1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শ্রমিক অধিকারের কোনো নিশ্চয়তা নেই!

সমীর কুমার দে ঢাকা
২২ জুন ২০১৭

বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ কর্মক্ষেত্রের একটি বাংলাদেশ৷ বিশ্বের খারাপ কর্মক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ৷

ছবি: Harun Ur Rashid Swapan

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন (আইটিইউসি)-এর বার্ষিক জরিপে দেখা যায়, কর্মীবান্ধব নয় এমন শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে৷ বৈশ্বিক শ্রম অধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত ভিয়েনাভিত্তিক সংগঠনটির বার্ষিক প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে৷ এই ১০ দেশের তালিকায় আরো রয়েছে কলাম্বিয়া, মিশর, গুয়াতেমালা, কাজাখস্তান, ফিলিপাইন্স, কাতার, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত৷

তবে এই রিপোর্টের সঙ্গে একেবারেই একমত নন বাংলাদেশের পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ'র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘এই রিপোর্টটা দেখার পর আমরা মেজাজটাই খুব খারাপ হয়ে গেছে৷ ট্রেড ইউনিয়ন নেই এমন অনেক দেশের নামই এখানে নেই৷

Labure Leader Mosrafa Misu 22.06.2017 - MP3-Stereo

This browser does not support the audio element.

বাংলাদেশ গরিব দেশ হিসেবে ইচ্ছেমতো নাম দিয়ে দেয়া হয়৷ আমরা ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশন এখন অনলাইনে করে দিয়েছি৷ তারপরও কেউ যদি না করে, তাহলে আমরা কি নিজেরা গিয়ে করে দেব? বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই ধরনের রিপোর্ট আগেও দেয়া হয়েছে, এখনও হচ্ছে৷ আমি বলব, শ্রমিক আমাদের, তাঁদের ভালো-মন্দ, সুবিধা-অসুবিধা দেখার দায়িত্বও আমাদের৷ বাইরের কারো এটা না দেখলেও চলবে৷''

‘আইটিইউসি গ্লোবাল রাইটস ইনডেক্স ২০১৭' শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের ওপর সরকার ও নিয়োগকর্তার চাপিয়ে দেওয়া অব্যাহত ভোগান্তির কারণে বাংলাদেশ রেটিংয়ে ৫ পেয়েছে, যার অর্থ হলো- শ্রমিকদের ‘অধিকারের কোনো নিশ্চয়তা নেই'৷ ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমারও রেটিংয়ে ৫ পেয়েছে; নেপাল ও শ্রীলংকা ভালো অবস্থানে রয়েছে৷ এই দুটি দেশের রেটিং ৩, যার অর্থ ‘সেখানে নিয়মিত অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নেই'৷

BGMEA President Suddiqur Rahman 22.06.2017 - MP3-Stereo

This browser does not support the audio element.

আইটিইউসির মহাসচিব শারান বারো বলেন, ‘‘অনেক দেশেই কর্পোরেট স্বার্থের নিচে পড়ে আছে মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার৷'' পুলিশের বর্বরতা, গণগ্রেপ্তার ও বৈষম্যকে বাংলাদেশে শ্রমিক সংগঠনের ওপর নির্যাতনের প্রধান দিক হিসেবে গত ১৩ জুন প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে৷

এদিকে এই প্রতিবেদনকে শতভাগ সত্যি বলেছেন গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু৷ ডয়চে ভেলেকে এই শ্রমিক নেত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশে শ্রমিকদের ন্যূনতম অধিকার নেই৷ এখানে কোনো কর্মঘণ্টা নেই৷ দিন-রাতের হিসাব নেই৷ কোনো শ্রমিক গর্ভবতী হলে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়৷ এক কথায়, মালিকরা এখানে শ্রমিকদের শোষণ করেন৷ ফলে ওই রিপোর্টে যেটা বলা হয়েছে, সেটা পুরোপুরি ঠিক৷ আমি এর সঙ্গে একমত৷''

আইটিইউসি বলছে, ‘‘২০১৭ সালের জানুয়ারির শুরুতে এক হাজার ৬০০ জনের বেশি শ্রমিক বরখাস্ত করেছে এবং ৬০০ শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে৷''

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে পদ্ধতিগতভাবে এবং ব্যবহারিক পর্যায়ে ট্রেড ইউনিয়নবিরোধী বৈষম্য বিরাজমান রয়েছে৷ আইইউটিসি বলেছে, ৩০ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতির বাধ্যবাধকতার কারণে বাংলাদেশের সাড়ে চার হাজার তৈরি পোশাক কারখানার মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ কারখানায় আংশিকভাবে নিবন্ধিত ইউনিয়ন আছে৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের বছরের মতোই বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ এখনও কর্মীবান্ধব নয়৷

গত বছর আশুলিয়ায় গার্মেন্টস কর্মীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বিষয়টি প্রতিবেদনে উঠে আসে৷ সেই সময় অন্তত ৩৫ জন শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ অভিযোগ গঠন হয়েছিল প্রায় এক হাজার কর্মীর বিরুদ্ধে৷ এই তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছে কাতার৷ এরপরই যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমীরাত, মিশর ও ফিলিপাইন্স৷ শীর্ষ দশে বাংলাদেশের পরে রয়েছে শুধু গুয়াতেমালা৷ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই কর্মীদের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ৷ আইটিইউসির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বাংলাদেশের সাড়ে চার হাজার গার্মেন্টেসের মাত্র ১০ শতাংশেরই নিবন্ধিত কর্মী ইউনিয়ন রয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ