কিছু সত্যি কখনো রূপ বদলায় না৷ সেগুলো চিরন্তন সত্য৷ বাংলাদেশে তেমন চারটি সত্যি হলো, সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে, ব্যথা পেলে শিশু হাসে না, জনসংখ্যা প্রতিদিন বাড়ে এবং দুর্নীতিও বাড়ে৷
বিজ্ঞাপন
প্রথম দু'টি সত্যি বিশ্বের সব দেশে এবং বাকি দু'টি শুধু বাংলাদেশের মতো কিছু দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য৷ ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে' – এ দাবি সব সরকারই করতে পেরেছে, ‘দেশ আগে দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ছিল, এখন নেই' – এমন দাবিও আমরা শুনেছি৷ কিন্তু ‘বাংলাদেশে কখনো দুর্নীতি ছিল না' – এমন কথা কেউ বলেছেন বলে আমার জানা নেই৷ এমনটি বললে বক্তার ‘নিরপেক্ষতা' এবং ‘মানসিক সুস্থতা' নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে৷
বাংলাদেশে কোন শাসনামলে দুর্নীতি ছিল না? হাতে গোনা কয়েকটি পত্রিকা, একটি টেলিভিশন চ্যানেল আর একটি মাত্র বেতারকেন্দ্রেও যখন সব খবর, সব নাম প্রচার করা যেতো না – তখনকার অবস্থাটা বিবেচনায় নিয়ে বেশি কথা বলার তেমন কোনো মানে হয় না৷ সামরিক শাসনের সময় বা জলপাই রঙের ছায়াশোভিত গণতান্ত্রিক আমলে কিভাবে সংবাদ মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা হতো – তা তো আমরা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আমলের কথা পড়ে আর শুনেই অনুমান করতে পারি৷ তখনকার সাংবাদিকদের স্মৃতিচারণামূলক অনেক লেখা তো এখনো অনলাইনে, বইয়ের দোকানে আছে৷ এখনো তো প্রতি রাতে কত টক শো হচ্ছে, শুনলে দেখা যাবে কোনো-না-কোনোটিতে অবধারিতভাবেই চলে এসেছে সেই সময়ের সাংবাদিকদের ডিজিএফআই-এর টেলিফোন আতঙ্কের কথা৷
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ার পাঁচ কৌশল
বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইন্ডিকেটরস গ্রুপ’-এর পরিচালক আওগুস্তো লোপেজ-কার্লোস এক ব্লগ পোস্টে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ার কয়েকটি কৌশল আলোচনা করেছেন৷ ছবিঘরে থাকছে সে’সব কথা৷
ছবি: Getty Images
সরকারি চাকুরেদের জন্য ভালো বেতন
যাঁরা সরকারি চাকরি করেন তাঁদের বেতন যদি খুব কম হয়, তাহলে আয় বাড়াতে তাঁরা ‘অনানুষ্ঠানিক’ পথ অবলম্বন করতে পারেন৷ বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে সরকারি চাকুরেদের কম বেতন ও দুর্নীতির মধ্যে সম্পর্ক পাওয়া গেছে৷
ছবি: DW
অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা
যে সমস্ত দেশের নাগরিকদের সরকারি কর্মকাণ্ড পর্যালোচনার সুযোগ আছে সেসব দেশে দুর্নীতি কম হয়৷ অর্থাৎ যেখানে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, শিক্ষিতের হার বেশি এবং সক্রিয় সুশীল সমাজ রয়েছে সেখানে দুর্নীতির হার কম৷ কেননা এর ফলে বিভিন্ন প্রকল্পে সরকারের ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়, সরকারের নীতি নিয়ে আলোচনা করা যায়৷
ছবি: Colourbox/Hin255
লাল ফিতার দৌরাত্ম কমানো
বিশ্বব্যাংকের ‘ডুয়িং বিজনেস’ প্রতিবেদন বলছে, যে সব দেশে ব্যবসা শুরু করতে, সম্পত্তি নিবন্ধন করতে, আন্তর্জাতিক ব্যবসায় জড়িত হতে নানা ধরনের সার্টিফিকেট, আইন, লাইসেন্স ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে সে’সব দেশে দুর্নীতি বেশি হয়৷ তাই বিশ্বব্যাংকের এক গবেষক দুর্নীতির জন্ম দিতে পারে এমন আইনকানুন বাদ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷
ছবি: DW
ভর্তুকি নয়
জ্বালানি খাতে ভর্তুকির নানা সমস্যা আছে৷ প্রায়ই এর সুবিধাভোগী হন ধনীরা৷ এছাড়া ভর্তুকি মূল্যে কেনা জ্বালানি চোরাচালানের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হন অনেকে৷ তাই ভর্তুকির মতো ব্যয়বহুল পদ্ধতির চেয়ে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মানুষদের অর্থ সহায়তা দেয়া যেতে পারে৷
ছবি: DW/W.Jantschits
স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার
সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে নাগরিকদের সরাসরি যোগাযোগ যত কমানো যাবে, দুর্নীতি কমানো ততই সম্ভব হবে৷ এক্ষেত্রে বিভিন্নক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সহায়তা নেয়া যেতে পারে৷ সরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে অনলাইনে টেন্ডার আহ্বানের মতো বিষয়াদি চালু করলে দুর্নীতির সুযোগ কমবে৷
ছবি: Getty Images
5 ছবি1 | 5
তবে ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ এবং ১৯৯০ থেকে ২০১৫ – এই দুই সময়কালকে মাথায় রেখে দেশে দুর্নীতি ছিল কিনা, থাকলে কতটা ছিল – এমন আলোচনা হতেই পারে৷ ‘‘বঙ্গবন্ধু ‘বাকশাল' দিয়ে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চেয়েছিলেন, তখন সংবাদপত্রের স্বাধীনতাও ক্ষুণ্ণ হয়েছিল' – এ সব বলে ওই সময়ের দুর্নীতির চিত্র বিশ্বাসযোগ্যভাবে তুলে ধরা নিয়ে কোনো কোনো মহল সংশয় প্রকাশ করতে পারেন৷ তাঁদের শুধু বঙ্গবন্ধুর একটি উক্তি মনে করিয়ে দিই৷ বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের দিকে বিদেশি সাহায্যের কম্বল নিয়ে ‘হরির লুটের' কথা জেনে প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, ‘সাত কোটি মানুষের কম্বল এলো, আমার কম্বল গেল কই?' বঙ্গবন্ধু বেপরোয়া দুর্নীতিপরায়নদের শায়েস্তা তো দূরের কথা, নিয়ন্ত্রণও করতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন, তা না হলে নিশ্চয়ই এমন মন্তব্য তাঁর মুখে শুনতে হতো না৷
'৭৫-এর পর থেকে রাজনীতিতে টাকা এবং টাকাওয়ালাদের প্রভাব নিরবচ্ছিন্নভাবে বেড়েছে৷ সাবেক প্রেসিডেন্ট, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এক সাক্ষাৎকারে দেশ এবং রাজনীতি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলেন ‘মানি ইজ নো প্রবলেম' এবং ‘আই উইল মেক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট ফর দ্য পলিটিশিয়ান্স'৷ বাংলাদেশ ‘শহিদ জিয়ার' আমল থেকেই বিচারপতি সাত্তার, ‘পল্লিবন্ধু' এরশাদ, ‘দেশনেত্রী' খালেদা জিয়া এবং ‘জননেত্রী' শেখ হাসিনার আমল মিলিয়ে বেশ কয়েকটি শাসনামল দেখেছে৷ সব আমলেই তৃণমূল থেকে উঠে আসা ‘প্রকৃত' রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি কঠিন হয়েছে, তাঁদের সংখ্যা ক্রমাগত কমেছে এবং বেশির ভাগ ‘উল্লেখযোগ্য' রাজনীতিবিদের জন্যই ‘মানি' কোনো ‘প্রবলেম' থাকেনি৷
একটা দেশের দুর্নীতির অভয়াঞ্চল হয়ে উঠতে এরপর আর তেমন কিছুর দরকার পড়ে না৷ রাজনীতি রাজনীতিবিদদের জন্য ধীরে ধীরে কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে হয়ে এখন কঠিনতম পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে৷ অন্যদিকে ব্যবসায়ী, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক্ষক, আইনজীবী, অবসরপ্রাপ্ত আমলা – বলতে গেলে সব পেশাজীবীই ঢুকে পড়েছেন রাজনীতিতে৷ অন্য পেশা থেকে যাঁরা এসেছেন তাঁদের বেশির ভাগই এসেছেন মূলত ‘রাজনীতিতে অর্থ উপার্জন কোনো সমস্যাই নয়' – এই সত্যিকে মন্ত্রজ্ঞান করে৷ তাঁদের প্রায় সবারই ‘সিদ্ধিলাভ' হয়েছে৷ ক্ষমতায়, ক্ষমতার দৌড়ে বা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার কারণে নানান অপকৌশলে তাঁরা টাকা রোজগার করেছেন৷ খুব গরিব মানুষ নেতা হয়ে নিজের দলে কদর পাচ্ছেন এমন দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব৷
‘বাইরের লোক' রাজনীতিতে এসে শুধু রাজনীতিকে কলুষিত করেননি, যে পেশা থেকে এসেছেন সেই পেশাও তাঁদের মাধ্যমে কলুষিত, দুর্নীতিগ্রস্থ হয়েছে৷ একজন ব্যবসায়ী সরকারি দলে যোগ দিয়ে টাকার পাহাড় গড়ে ব্যবসায়ী সমাজে ‘অনুকরণীয়' দৃষ্টান্ত হয়ে যাচ্ছেন৷ তাঁকে অনুসরণ করে অন্য ব্যবসায়ীরাও টাকার পাহাড় গড়ার সহজ ফর্মুলাই রপ্ত করছেন৷
সেরা দশ দুর্নীতির দেশ, সবচেয়ে কম দুর্নীতির দেশ
এক সময়ের দুর্নীতির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ এবার হয়েছে ১৩তম৷ চলুন দেখা যাক ট্র্যান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআইবি)-র প্রতিবেদনে এবার কোন কোন দেশ আছে দুর্নীতির সেরা দশে আর কোন দশটি দেশে এখন দুর্নীতি সবচেয়ে কম৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Antonisse
৮ থেকে ১০ নম্বরে কঠিন লড়াই
টিআইবি-র এবারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সমান ১৮ পয়েন্ট করে পাওয়ায় সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দশটি দেশের তালিকায় ৮ নাম্বার থেকে ১০ নাম্বার পর্যন্ত স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তান, লিবিয়া এবং ইরিত্রিয়া৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
দুর্নীতির সপ্তম স্বর্গে তুর্কমেনিস্তান
উজবেকিস্তান, লিবিয়া এবং ইরিত্রিয়ার চেয়ে মাত্র এক পয়েন্ট কম হওয়ায় দুর্নীতিতে সেরা দশটি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে তুর্কমেনিস্তান৷
ছবি: DW
ইরাকের দুরবস্থা
যুদ্ধ, হানাহানির মাঝে ইরাকে দুর্নীতিও চলছে পুরোদমে৷ তাই ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন দুর্নীতিতে সেরা দেশগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে৷
ছবি: Reuters
পঞ্চম স্থানে দক্ষিণ সুদান
ইরাকের পরেই রয়েছে সদ্য স্বাধীন দেশ দক্ষিণ সুদান৷ তারা পেয়েছে ১৫ পয়েন্ট৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Karumba
আফগানিস্তান দুর্নীতিরও স্থান
দুর্নীতিরও স্থান না হলে আফগানিস্তান কি আর ১২ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বের চতুর্থ সেরা দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হতো?
ছবি: Getty Images/AFP/S. Marai
দক্ষিণ সুদানের চেয়ে দুর্নীতিতে এগিয়ে সুদান
সুদান থেকে আলাদা হয়ে দক্ষিণ সুদান শুধু মানচিত্রেই নয়, দুর্নীতিতেও কিছুটা ব্যবধান দেখাতে পেরেছে৷ দক্ষিণ সুদান যখন সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে, সুদান তখন ১১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়৷ দুর্নীতিতে এগিয়ে থাকা তো আর ভালো কথা নয়!
ছবি: getty / C. Bouroncle
উত্তর কোরিয়া আর সোমালিয়া
সমাজতন্ত্র কায়েমের পথে হোঁচট খেয়ে প্রায় মুখ থুবড়ে পড়লেও দুর্নীতিতে খুব এগিয়েছে উত্তর কোরিয়া৷ আফ্রিকার দারিদ্র্য জর্জরিত দেশ সোমালিয়াও কম যায় না৷ ৮ পয়েন্ট করে নিয়ে এই দুই দেশই আছে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে৷
ছবি: picture alliance/dpa/R. Sinmun
সবচেয়ে কম দুর্নীতির দেশ ডেনমার্ক
নারীর জন্য সবচেয়ে ভালো দেশ হওয়ার পর, এবার সবচেয়ে কম দুর্নীতির দেশও হয়েছে ডেনমার্ক৷ স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এই দেশ পেয়েছে ৯২ পয়েন্ট৷
ছবি: Reuters/N. Ahlmann Olesen
দ্বিতীয় নিউজিল্যান্ড, তৃতীয় ফিনল্যান্ড
সবচেয়ে কম দুর্নীতির দেশগুলোর মাঝে নিউজিল্যান্ড ৯১ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে আর ৮৯ পয়েন্ট পেয়ে ফিনল্যান্ড দ্বিতীয় স্থানে৷
ছবি: picture alliance / Robert Harding
চতুর্থ স্থানে সুইডেন
আরেক স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ সুইডেনও কম দুর্নীতিগ্রস্থ দেশগুলোর মাঝে খুব ভালো অবস্থানে৷ তাদের পয়েন্ট ৮৭, অবস্থান চতুর্থ৷
ছবি: DW/T. Mehretu
নরওয়ে আর সুইজারল্যান্ডে সমতা
৮৬ পয়েন্ট করে পেয়েছে নরওয়ে আর সুইজারল্যান্ড৷ ফলে দেশ দু’টি আছে পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্থানে৷
ছবি: EBU
একের হেরফেরে সাত থেকে দশ
সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দশ দেশের তালিকায় সপ্তম থেকে দশম স্থানে আছে যথাক্রমে সিঙ্গাপুর, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবুর্গ এবং ক্যানাডা৷ সপ্তম থেকে দশম, অষ্টম, নবম ও দশমে মাত্র এক পয়েন্ট করে ব্যবধান৷ সিঙ্গাপুরের ৮৪, নেদারল্যান্ডসের ৮৩, লুক্সেমবুর্গের ৮২ এবং ক্যানাডার পয়েন্ট ৮১৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Antonisse
12 ছবি1 | 12
সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষকদের হাত ধরেও রাজনীতির অঙ্গনসহ পুরো দেশটা এভাবেই দুর্নীতিগ্রস্থ হয়েছে৷ রাজনীতিবিদরা আপোষকামি না হলে অন্য পেশাজীবীদের জন্য রাতারাতি ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়া' নিশ্চয়ই কঠিন হতো৷ পোড় খাওয়া অনেক রাজনীতিবিদই নীতি, আদর্শের প্রশ্নে আপোষহীন না হয়ে বরং গড্ডালিকপ্রবাহেই গা ভাসিয়েছেন৷ রাজনীতির নেতার চেয়ে তাঁরা অনেকক্ষেত্রে দুর্নীতির বড় নেতা হয়ে গেছেন৷ সমাজের আগাপাশতলা এভাবেই এখন এ সব দুর্নীতিপরায়নের লেজ ধরে ধরেই দুর্নীতিগ্রস্ত৷ বাংলাদেশে জনসংখ্যাবৃদ্ধি কখনো থামেনি, দুর্নীতিও কমেনি৷ দু'টোই বাড়ছে৷
আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷