বাংলাদেশে হরতালে ব্যাপক সংঘর্ষ, গ্রেফতার
২৭ জুন ২০১০মীর্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস অভিযোগ করেন, ব়্যাব সদস্যরা বাসায় ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর ও পরিবারের সদস্য এবং কর্মচারীদের মারপিট করে৷ এমনকি তাঁর ওপরেও হামলা চালিয়েছে৷ মীর্জা আব্বাস ছাড়াও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান, বিএনপি নেতা শমসের মবিন চৌধুরী, আহমেদ আযম খানসহ বিএনপির ৯৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়৷
হরতালে পুরনো ঢাকা ও শাহবাগে ব্যাপক সংঘর্ষের পর বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি আহত অবস্থায় হাপাতালে ভর্তি হলে তাঁকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ হরতাল চলাকালে নয়া পল্টনের বিএনপি কার্যালয় কার্যত অবরুদ্ধ থাকে৷ বিএনপি নেতা মীর্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর জানান, পুলিশ দু'দিকে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে রেখেছিল৷
হরতালে রাজধানীতে যানবাহন চলাচল তেমন ছিলনা৷ দোকানপাট খোলেনি৷ চলেনি দূর পাল্লার যানবাহন৷ সরকারি অফিস খুললেও তেমন কাজকর্ম হয়নি৷ গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানিসংকট নিরসনসহ ১১ দফা দাবীতে বিএনপি এই হরতাল কর্মসূচি পালন করে৷
হরতালে ছাত্রলীগ প্রতিরোধের ভূমিকা নিয়ে মাঠে নামে বলে অভিযোগ করে বিএনপি৷ জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের কোন অঙ্গ সংগঠন নয়৷ সন্ধ্যায় হরতাল শেষে বিএনপি'র মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন হরতাল সফল হওয়ায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ছেন৷ হরতালে বাধা, নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা এবং গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিএনপি সোমবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়