সিঙ্গাপুরে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত বাংলাদেশির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে৷ বুধবারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সে দেশে সবশেষ ২৪ ঘন্টায় মোট সংক্রমিতের ৫৭ ভাগই বাংলাদেশি৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের খবর অনুযায়ী, বুধবার রাতে সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেখানে সারা দেশে (সিঙ্গাপুর) নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪৭, তার মধ্যে ২৫৬ জন, অর্থাৎ মোট নতুন আক্রান্তের ৫৭ ভাগই বাংলাদেশি৷
অন্যদিকে বুধবার পর্যন্ত, বাংলাদেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ১২৩১৷
সিঙ্গাপুরে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ৩৬৯৯৷ এ পর্যন্ত মোট ১০ জন মারা গেলেও ৬৫২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন৷
বুধবার পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৯ জন৷
এসিবি/ কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, প্রথম আলো)
ভ্রমণের পথে বাধা সৃষ্টি করছে করোনা সংকট
করোনা সংকটের কারণে গোটা বিশ্বে জনজীবন প্রায় স্তব্ধ হয়ে গেছে৷ বিশেষ করে ভ্রমণ ও পর্যটন ক্ষেত্র অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ অদূর ভবিষ্যতেও অনিশ্চয়তা কাটার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷
ছবি: picture-alliance/nordphoto/Bratic
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত বন্ধ
১৭ই মার্চ থেকে এক মাসের জন্য ইইউ-র বহির্সীমানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল৷ সেই সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ইইউ-র বাইরের কয়েকটি দেশসহ শেঙেন এলাকার বহির্সীমানাও বন্ধ রাখা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/E. Cegarra
জার্মানিতে সতর্কতার মেয়াদ বাড়লো
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস জানিয়েছেন, বিদেশ ভ্রমণে সতর্কতার মেয়াদ কমপক্ষে এপ্রিল মাসের শেষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে৷ তিনি টুইট বার্তায় জার্মানির মানুষকে বাসায় থেকে নিজের ও অন্যান্য মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছেন৷ অনেক ভ্রমণ সংস্থাও এপ্রিল মাসের শেষ পর্যন্ত কার্যকলাপ বন্ধ রেখেছে৷ জার্মান সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে সীমান্ত ৪ঠা মে পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে৷
ছবি: picture-alliance/nordphoto/Bratic
আটকে পড়া নাগরিকদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ
করোনা সংকট শুরু হবার পর থেকে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশে আটকে পড়া দেড় লাখেরও বেশি জার্মান নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছে৷ টিইউআই ভ্রমণ সংস্থার সূত্র অনুযায়ী এই উদ্যোগের ফলে প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ দেশে ফিরে এসেছেন৷ বিশেষ করে মিশর, স্পেন, পর্তুগাল ও কেপ ভ্যার্দ দ্বীপপুঞ্জে বেশিরভাগ জার্মান নাগরিক আটকে পড়েছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Margais
ভারতে বন্ধ পর্যটন ভিসা
করোনা সংকটের জের ধরে ভারত সব পর্যটক ভিসা কমপক্ষে এক মাসের জন্য বাতিল করেছিল৷ একমাত্র যে সব বিদেশি আগে থেকেই দেশে ছিলেন, তাদের থাকার অনুমতি দিয়েছিল ভারত সরকার৷ আপাতত ৩রা মে পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/N. Kachroo
এশিয়ার পর্যটনে ধস
বিশেষ করে চীনা পর্যটকদের প্রবেশের উপর বিধিনিষেধের কারণে এশিয়ার অনেক পর্যটনকেন্দ্র সংকটে পড়েছে৷ যেমন টোকিওর সেনসো-জি মন্দির ও কম্বোডিয়ার আংকর ওয়াট মন্দিরে দর্শকদের সংখ্যা নাটকীয় মাত্রায় কমে গেছে৷ মার্চ মাসেই থাইল্যান্ডে পর্যটকদের সংখ্যা ৪৪ শতাংশ কমে গিয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Taga
অ্যামেরিকায় প্রবেশ নিষেধ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ থেকে বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে৷ ইটালি ও স্পেন করোনা সংকট সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে৷ ফ্রান্স লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ ১৩ই এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যে অ্যামেরিকায় প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা ততদিন চালু থাকবে, যতদিন না ইউরোপের দেশগুলিতে উন্নতির লক্ষণ দেখা না যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Stolyarova
মাইয়র্কা দ্বীপে দুশ্চিন্তা
পর্যটনের উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল স্পেনের মাইয়র্কা দ্বীপ৷ পালমা শহরের রাজপ্রাসাদের সামনে এখন প্রায় কোনো মানুষই চোখে পড়ছে না৷ পর্যটকেরা ইস্টারের ছুটি কাটাতে সেখানে যেতে পারেন নি৷ বিশেষ করে জার্মানি ও ব্রিটেনে অনিশ্চয়তার কারণে এমনকি মরসুমের সময়েও অনেক হোটেল বন্ধ রাখতে হবে সেখানকার হোটেল সংগঠন আশঙ্কা করছে৷
ছবি: picture-alliance/GTRES/G3online
আশার আলো
সুইজারল্যান্ডের ম্যাটারহর্ন পর্বতের উপর আলোর এক ইনস্টলেশন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও মানবজাতির মধ্যে সংহতির বার্তা পাঠাচ্ছে৷ বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তেও পর্যটকদের প্রিয় অনেক স্থানে এমন ইতিবাচক বার্তা তুলে ধরা হচ্ছে৷ যেমন মিশরের গির্জা পিরামিডের সামনে লেখা আছে ‘নিরাপদ থাকুন, বাসায় থাকুন’৷
ছবি: picture-alliance/KEYSTONE/V. Flauraud
অস্ট্রেলিয়ায় নাগরিকদের উপর নিষেধাজ্ঞা
অস্ট্রেলিয়ার সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য নাগরিকদের বিদেশ সফরের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বিদেশে অবস্থানরত সব অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের দেশে ফেরার ডাক দিয়েছেন৷ অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম বে কিছু দিন ধরে চালু রয়েছে৷