1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ

২৪ এপ্রিল ২০১২

বাংলাদেশের আইনে ১৮ বছরের কম মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার বিধান নেই৷ তবু এখনও ৬৬ শতাংশ অল্পবয়সি মেয়েকে অভিভাবকের মর্জি মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হচ্ছে৷ সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ৷

Titel 2 (0050.jpg) : Frauen Konferenz und versammlung am International Frauens Tag in Bangladesch Bildunterschrift: Frauen Konferenz und versammlung am International Frauens Tag in Bangladesch Text: Frauen Konferenz und versammlung am International Frauens Tag in Bangladesch Datum: 08.03.2011 Eigentumsrecht: Ayesha Khanam, Präsident, Bangladesh Mahila Parishad BMP, Dhaka Stichwort: Bangla, bengali, Bangladesh, Bangladesch, Freiheitkämpferin, Ayesha, Khanam, War, 1971, Liberation, Freedom, Fighter,
নারী দিবসে নারী অধিকার নিয়ে আলোচনা সমাবেশছবি: Ayesha Khanam

অল্পবয়সে বিয়ে এবং অপরিণত বয়সে মা হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের নারী শিশুরা৷ এছাড়া বাল্যবিবাহের ফলে কিছুদিন পরই স্বামীর নির্যাতন, স্বামীর উপর নির্ভরশীলতা, বিবাহ বিচ্ছেদ, মা ও শিশুর অসহায়ত্ব ও অযত্ন – এসব কিছু যেন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এই ছোট্ট দেশটিতে৷ একইসাথে নারী শিক্ষার উপরও পড়ছে বাল্যবিবাহের বিরূপ প্রতিক্রিয়া৷ অল্প বয়সে বাবা-মার চাপে বিয়ে ও সংসার শুরু করে বিদ্যালয় ছাড়া হচ্ছে অনেক নারী শিশু৷

শিশুদের বৈশ্বিক অবস্থা নিয়ে ২০১২ সালে প্রকাশিত ইউনিসেফ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮ বছর বয়স না হতেই বাংলাদেশের ৬৬ শতাংশ মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ ফলে এদের একটি বিশাল অংশ শিক্ষা জগত থেকে ঝরে পড়ছে৷

জিনাত রহমানছবি: DW/Mahfuzur Rahman

এ বিষয়ে ডয়চে ভেলের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে নারী শিশুদের বাল্যবিবাহের পেছনে কারণগুলো তুলে ধরলেন নারী অধিকার কর্মী ও সাংবাদিক জিনাত রহমান৷ তিনি বলেন, ‘‘পিতা-মাতার অশিক্ষা, সচেতনতার অভাব, মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতা এবং পিতা-মাতার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মেয়েদের প্রতিবাদ করার সক্ষমতা না থাকায় জোর করে বাল্যবিবাহের ঘটনা এখনও ঘটে চলেছে৷ এমনকি এটি একটি বড় ধরণের সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে৷''

বাংলাদেশের সমাজ থেকে জোরপূর্বক বাল্যবিবাহ দূর করতে করণীয় সম্পর্কে জিনাত রহমান বলেন, ‘‘একদিকে পিতা-মাতা ও অভিভাবকদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে৷ অন্যদিকে, মেয়েদের শিক্ষিত ও অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল করে গড়ে তোলার কাজ করতে হবে৷'' এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী নারী নেত্রী জিনাত রহমান৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, ডিপিএ
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ